![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাধারন ছেলে, স্বাধীন ভাবে থাকতে ভালবাসি, মনের প্রশান্তির জন্য লেখালেখি করি..................
পর্বঃ ৩
সোহেল শুধু জানতো,রিফাকে তার দেখতে ভাল লাগে,তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে| ছোটবেলায় তার সাথে খেলাধূলা করতে ভাল লাগতো|
সোহেলর ভাল লাগা গুলো,কখন যে ভালবাসায় পরিনত হয়ে গেছে|সোহেল সেটা আদোও বুঝতে পারেনি|
কিন্তু,এ ভালবাসা প্রকাশ করার সাহস সোহেলের নেই|সে কি করবে কিছু ভেবে পায় না|এদিকে এস এস পরীহ্মা সামনে চলে আসছে|সে পড়াশুনা নিয়ে আরও বেশী ব্যাস্ত হয়ে যায়|
সোহেল ভাল করেই জানে,রিজাল্ট ভাল করতে না পারলে|
রিফা হয়তো তাকে পছন্দ করবে না|
তাই সে পড়াশুনায় আরও বেশী মনোযোগী হয়ে যায়|
কিন্তু সে ভালভাবে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করতে পারে না|
রিফাকে নিয়ে তার ভাবনা বেড়ে যায়|
এস এস পরীহ্মার পর কে কোন কলেজে ভর্তি হবে| এর কোন ঠিক নেই|হয়তো রিফা আরও অনেক বেশী দুরে চলে যাবে|
সোহেল ভাবতে থাকে, যে ভাবেই হোক রিফাকে তার ভালবাসার কথা জানাতে হবে|
রিফা,তার ভালবাসার প্রস্তাব গ্রহন করবে কি না ? সোহেল জানে না|
সোহেল একসময় সিদ্ধান্ত নেয়|
ভালবাসার প্রস্তাব গ্রহন করুক বা না করুক| রিফাকে তার ভালবাসার কথা জানাবে|
ভালবাসার কথা সে আর চেপে রাখতে পারছে না| ভালবাসার কথা না বলার যন্ত্রনা|তাকে প্রতিমুহ্নত কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে|
সোহেল আর এ যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতে পারছে না| যেভাবেই হোক একটি বারের জন্য হলেও|
রিফাকে তার ভালবাসার কথা জানাতে হবে|
কিন্তু কিভাবে,হাজারও প্রশ্ন তাকে
ঘিরে ধরে|
এই লাজুক ছেলেটি তাকে ভালবাসার অফার দেবে| রিফা তাকে কি মনে করবে?
যদি অপমান করে, এরকম নানাবিদও প্রশ্ন|
সোহেলের মাথায় ঘুরপাক খায়|
কিছু ভেবে উঠতে পারে না সে|
রিফাদের স্কুলে এস এস পরীহ্মার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সামনে চলে আসে| সোহেল ভাবে বিদায় অনুষ্ঠান উপলহ্মে রিফাকে কিছু উপহার পাঠাবে|
সোহেল রিফার জন্য একটা ডাইরী.একটা কলম ও একটি রুমাল কেনে|
বিদায় অনুষ্ঠানের দিন,সোহেল পাশের বাড়ির এক ছোটবোনের মাধ্যমে উপহার গুলো পাঠিয়ে দেয়|
সারাদিন সোহেল টেনশনের মধ্যে থাকে|
উপহার গুলো রিফা কি গ্রহন করবে না ফিরিয়ে দেবে|
এই চিন্তায় . . . . |
শেষে বিকেল বেলা ছোটবোনের কাছ থেকে সবকিছু জানতে পেরে| সোহেলের খুব ভাল লাগে| প্রথমে নাকি উপহার গুলো নিতে চায়নি,লজ্জা পাচ্ছি|
পরে বান্ধবীদৈর কথা শুনে উপহার গুলো নিয়েছে|
এটা শুনে সোহেলের খুব ভাল লাগে|
বিদায় অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পরেই এস এস সি পরীহ্মা শুরু হয়ে যায়| পরীহ্মার কেন্দ্র একই স্কুলে হওয়ায়,সোহেল মাঝে মাঝে রিফাকে দুর থেকে দেখতো|
কাছে যাওয়ার সাহস পেত না|
কি করবে?
সোহেল কিছু ভেবে পায় না|
সোহেল একসময় রিফার বান্ধবী খেয়ার সাথে যোগাযোগ করে|
খেয়া অবশ্য সোহেলেরও বান্ধবী|
ছোটবেলায় এরা তিনজনই একই প্রাইমারী স্কুলে পড়তো|
খেয়াকে সবকিছু বলার পর,খেয়া কিছুটা অবাক হয়|
তারপরও সহযোগিতা করতে আশ্বাস দেয়|
©somewhere in net ltd.