নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি যদি আজ পাশে থাকতে,তাহলে আমার স্বপ্নগুলো দুঃস্বপ্নে পরিণত হত না . . . . . .

সিগারেটের ধোঁয়ার মত যদি, নিজের কষ্টগুলোকে পুড়িয়ে ফেলা যেত । তাহলে হয়তো অনেক আগেই তোমাকে ভুলে যেতাম . . . . . . .

স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন

আমি সাধারন ছেলে, স্বাধীন ভাবে থাকতে ভালবাসি, মনের প্রশান্তির জন্য লেখালেখি করি..................

স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্পঃ প্রথম ভালবাসার স্পর্শ

১১ ই জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

পর্বঃ ৩



সোহেল শুধু জানতো,রিফাকে তার দেখতে ভাল লাগে,তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে| ছোটবেলায় তার সাথে খেলাধূলা করতে ভাল লাগতো|

সোহেলর ভাল লাগা গুলো,কখন যে ভালবাসায় পরিনত হয়ে গেছে|সোহেল সেটা আদোও বুঝতে পারেনি|

কিন্তু,এ ভালবাসা প্রকাশ করার সাহস সোহেলের নেই|সে কি করবে কিছু ভেবে পায় না|এদিকে এস এস পরীহ্মা সামনে চলে আসছে|সে পড়াশুনা নিয়ে আরও বেশী ব্যাস্ত হয়ে যায়|



সোহেল ভাল করেই জানে,রিজাল্ট ভাল করতে না পারলে|

রিফা হয়তো তাকে পছন্দ করবে না|

তাই সে পড়াশুনায় আরও বেশী মনোযোগী হয়ে যায়|

কিন্তু সে ভালভাবে পড়াশুনায় মনোনিবেশ করতে পারে না|

রিফাকে নিয়ে তার ভাবনা বেড়ে যায়|



এস এস পরীহ্মার পর কে কোন কলেজে ভর্তি হবে| এর কোন ঠিক নেই|হয়তো রিফা আরও অনেক বেশী দুরে চলে যাবে|

সোহেল ভাবতে থাকে, যে ভাবেই হোক রিফাকে তার ভালবাসার কথা জানাতে হবে|

রিফা,তার ভালবাসার প্রস্তাব গ্রহন করবে কি না ? সোহেল জানে না|

সোহেল একসময় সিদ্ধান্ত নেয়|



ভালবাসার প্রস্তাব গ্রহন করুক বা না করুক| রিফাকে তার ভালবাসার কথা জানাবে|

ভালবাসার কথা সে আর চেপে রাখতে পারছে না| ভালবাসার কথা না বলার যন্ত্রনা|তাকে প্রতিমুহ্নত কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে|



সোহেল আর এ যন্ত্রনা বয়ে বেড়াতে পারছে না| যেভাবেই হোক একটি বারের জন্য হলেও|

রিফাকে তার ভালবাসার কথা জানাতে হবে|



কিন্তু কিভাবে,হাজারও প্রশ্ন তাকে

ঘিরে ধরে|

এই লাজুক ছেলেটি তাকে ভালবাসার অফার দেবে| রিফা তাকে কি মনে করবে?

যদি অপমান করে, এরকম নানাবিদও প্রশ্ন|

সোহেলের মাথায় ঘুরপাক খায়|

কিছু ভেবে উঠতে পারে না সে|

রিফাদের স্কুলে এস এস পরীহ্মার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান সামনে চলে আসে| সোহেল ভাবে বিদায় অনুষ্ঠান উপলহ্মে রিফাকে কিছু উপহার পাঠাবে|



সোহেল রিফার জন্য একটা ডাইরী.একটা কলম ও একটি রুমাল কেনে|

বিদায় অনুষ্ঠানের দিন,সোহেল পাশের বাড়ির এক ছোটবোনের মাধ্যমে উপহার গুলো পাঠিয়ে দেয়|



সারাদিন সোহেল টেনশনের মধ্যে থাকে|

উপহার গুলো রিফা কি গ্রহন করবে না ফিরিয়ে দেবে|

এই চিন্তায় . . . . |



শেষে বিকেল বেলা ছোটবোনের কাছ থেকে সবকিছু জানতে পেরে| সোহেলের খুব ভাল লাগে| প্রথমে নাকি উপহার গুলো নিতে চায়নি,লজ্জা পাচ্ছি|



পরে বান্ধবীদৈর কথা শুনে উপহার গুলো নিয়েছে|

এটা শুনে সোহেলের খুব ভাল লাগে|



বিদায় অনুষ্ঠানের কয়েকদিন পরেই এস এস সি পরীহ্মা শুরু হয়ে যায়| পরীহ্মার কেন্দ্র একই স্কুলে হওয়ায়,সোহেল মাঝে মাঝে রিফাকে দুর থেকে দেখতো|

কাছে যাওয়ার সাহস পেত না|

কি করবে?

সোহেল কিছু ভেবে পায় না|

সোহেল একসময় রিফার বান্ধবী খেয়ার সাথে যোগাযোগ করে|

খেয়া অবশ্য সোহেলেরও বান্ধবী|



ছোটবেলায় এরা তিনজনই একই প্রাইমারী স্কুলে পড়তো|

খেয়াকে সবকিছু বলার পর,খেয়া কিছুটা অবাক হয়|



তারপরও সহযোগিতা করতে আশ্বাস দেয়|

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.