| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Sharifariyan
সবার মধ্যেই ফটোগ্রাফিক মেমোরি থাকে। তবে কারও কারও মাথায় ফিল্ম নেই।
হলের ভাত, ডাল, মাংসের টুকরা নিয়ে জনমনে আছে
হাজারো প্রশ্ন, জিজ্ঞাসা, কৌতূহল। সেসবের উত্তর
পেতেই এক সাংবাদিক গিয়েছিলেন হল কর্তৃপক্ষের
কাছে।
সাংবাদিক: হলের খাবার নিয়ে যেমন, ডাল কিংবা মুরগি নিয়ে
যেসব কথাবার্তা শোনা যায়, সে ব্যাপারে আপনাদের
মতামত কী?
হল কর্তৃপক্ষ: আমরা এসব সম্পর্কে একদম অজ্ঞাত!
আপনারা কী বলছেন, একদম বুঝতে পারছি না; অনুগ্রহ
করে খুলে বলুন।
সাংবাদিক: এই যে হলের ডাল, মাংস, ভাতের চাল, মাছ নিয়ে
বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি প্রচলিত আছে, এসব সম্পর্কে
জানতে চাইছিলাম।
কর্তৃপক্ষ: এসব অবান্তর কথাবার্তার কোনো মানে খুঁজে
পাচ্ছি না; একান্তই দুঃখিত! কী বলতে চাইছেন, এক এক
করে খুলে বলুন।
সাংবাদিক: এই যে মনে করুন, হলের ডাল নিয়ে সবাই বলে
এটা জলের মতো! এতই পরিষ্কার যে তাতে নাকি ডাল যে
পাত্রে নেওয়া হয় তার তলানি পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা যায়।
কর্তৃপক্ষ: ও আচ্ছা, এই কথা? দেখুন, আমরা স্বচ্ছতায়
বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের উন্নয়নের পথে
অস্বচ্ছতাই একমাত্র বাধা। তাই আমরা সবকিছুতেই স্বচ্ছ
থাকতে চেষ্টা করি, আমাদের সবকিছুই স্বচ্ছ, আর হলের
ডালও আমাদের স্বচ্ছতার অংশ।
সাংবাদিক: ধন্যবাদ, হলের ডাল নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান
ঘটানোর জন্য।
কর্তৃপক্ষ: আর কোনো প্রশ্ন আছে? থাকলে করুন,
আশা করি ব্যাখ্যা দিতে পারব। কোনো কিছুই ব্যাখ্যার
ঊর্ধ্বে নয়।
সাংবাদিক: হ্যাঁ, আরও কিছু প্রশ্ন ছিল। হলে খাওয়ার জন্য
যেসব মুরগির মাংস, গরুর মাংস পাওয়া যায়, সেগুলোর আকার
অনেক ছোট বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ
সম্পর্কে কী বলবেন?
কর্তৃপক্ষ: খুবই হাস্যকর প্রশ্ন করলেন। দেশ যেখানে
ন্যানো টেকনোলোজিতে এগিয়ে চলছে, সেখানে
এ ধরনের প্রশ্ন অবান্তর। এসব মুরগির ছোট ছোট টুকরা
তো আমাদের এগিয়ে যাওয়ার স্বাক্ষর বহন করছে, আর
আপনি কিনা বলছেন মুরগির মাংসের, গরুর মাংসের টুকরা
ছোট!
সাংবাদিক: আপনাদের হলগুলোয় যে ভাত দেওয়া হয়
সেগুলোর চাল নাকি অস্বাভাবিক রকম মোটা? এ চাল আপনারা
কোথায় পান? নাকি এ-ও আপনাদের কোনো গবেষণার
ফসল?
কর্তৃপক্ষ: আপনাদের কথাবার্তা না আমাদের কাছে অনেক
অদ্ভুত ঠেকে। এতক্ষণ আপত্তি করছিলেন মুরগি ও গরুর
মাংসের টুকরা আর ডাল নিয়ে, আর এখন ভাতের চাল মোটা
নাকি, সেটা নিয়ে আপত্তি! হাসালেন বটে। এর প্রশ্নের
উত্তর আপনি নিজেই খুঁজে নিন। আর কোনো প্রশ্ন
আছে কি আপনার?
সাংবাদিক: নাহ্, আর কোনো প্রশ্ন নেই। আজ তাহলে উঠি।
কর্তৃপক্ষ: প্রশ্ন নেই? ধন্যবাদ। হ্যাঁ, উঠবেন তো
বটেই, তা আমাদের হলে একবেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে
যান।
সাংবাদিক: নাহ্, তার আর দরকার নেই। আপনার কথা শুনেই তো
পেট ভরে গেছে। হলের ছাত্ররা তো অনেক
সৌভাগ্যবান! এসব খেয়ে এখনো দিব্যি পড়াশোনা চালিয়ে
যাচ্ছে! অফিসে গিয়ে আমাকে আবার রিপোর্টটা লিখতে
হবে কিনা!
তথ্যসুত্রঃ হলসমূহ
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৪
Sharifariyan বলেছেন: ধন্যবাদ
২|
০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮
কঙ্কাল দ্বীপ বলেছেন: এটা একটা বহুল প্রচলিত প্রাচীন বিষয়, হলের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে আমার বাবা বলেন, আমিও বলি।
কিন্ত বাস্তবতা কি আমরা ভেবে দেখেছি কখনও? হলের ক্যান্টিন / ডাইনিং যারা পরিচালনা করে তাদের কে কিন্তু বাজার থেকে বাজার মূল্যেই চাল ডাল সহ সব কিছু কিনতে হয়। সেই সাথে হলের প্রভাবশালীদের নগদে চাদা দিতে হয়, তার সাথে আবার অন্তত বিশ থেকে ত্রিশ শতাংশ ফাও খাবার দিতে হয়। এখন সাধারণ অর্থনীতির জ্ঞান থেকেই আপনারা বলুন বাকী পয়সা দিয়ে কতটুকু বিলাসবহুল ভালো খাওয়া দেয়া সম্ভব। বাংলাদেশের কোন কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিন পরিচালকেরা কিন্তু এই আয় থেকে গাড়ী বাড়ি তৈরী করতে পারেন নাই, হয় তোবা সংসার চালানোর মতো মার্জিন নিয়ে বাসায় ফেরৎ যেতে পারেন- সাথে আবার বোনাস হিসেবে অমুকের হুমকী , অমুক দলের পিটুনী পেতে পারে। বলা বাহুল্য এই হল থেকে পাশ করা ছাত্র ছাত্রীরাই কিন্তু কর্মজীবনে বাজারমূল্যেই খরচ করতে বসেন। এমনকি ১৫ হাজার টাকা খরচ করে "ভিলেজ" এর মতো রেস্টুরেস্টে একখানা আস্ত মুরগীর গ্রীল ভক্ষন করতেও আপত্তি থাকে না। দেশের যে কোন রাস্তার পাশের হোটেলের রান্না এক সপ্তাহ টানা খেলে সুস্থ পেট বজায় রাখতে পারবে, এমন কোন সম্ভাবণাই যেখানে থাকে না, সেখানে এত গ্যাঞ্জামের পরও হলের স্বচ্ছ ডাল - তরকারী খেয়ে পাচবছর পর সুস্থ দেহে বের হতে পারাটাও একটা অর্জন এবং ক্যান্টিনের অবদান বটে।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭
Sharifariyan বলেছেন: ভাই কি আর বলবো! আপনি তো আমার লিখাটাকেই অল্পতেই হারিয়ে দিয়েছেন!!
EXCELLENT কঙ্কাল দ্বীপ ভাই।ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
মুসাফির নামা বলেছেন: চমৎকার+++