নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনেকের তীব্র আপত্তি থাকা সত্ত্বেও জোর করে নিজেকে একজন সাদা মনের সহজ-সরল মানুষ হিসেবে ঘোষণা করলাম।www.facebook.com/shashish.shamikamal

শাশীশ

শাশীশের ব্লগ

শাশীশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৫

রানা প্লাজা ধস নিয়ে আজ গবেষণার কাজ করছিলাম। এই ধস নিয়ে কাজ করতে করতেই শুরু হল ভূমিকম্প। এখন কি করা উচিৎ তা আমার এক সিনিয়র ভাইকে জিজ্ঞাসা করতে না করতেই দেখি সে নাই। ৯ তলা সিড়ি বেয়ে দৌড়ে নিচে নেমে গেলেন। এত দ্রুত কিভাবে নামলেন তা জানি না (ভাইয়ের ২ দিন পর বিবাহ। বিবাহের ২ দিন আগে ডেটা অ্যানালাইসিস করতে করতে মৃত্যুর হাস্যকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচবার তাড়নাই হয়ত তাকে দ্রুত নিচে নামিয়েছেন)। ভূমিকম্প শুরু হলে আমি ঘুণে ধরা পুঁজিবাদী সমাজের চক্ষুলজ্জার তোয়াক্কা না করে একটি টেবিলের তলায় আশ্রয় নেই। ভূমিকম্প যখন বাড়ছে তখন আমি আরেক সিনিয়র ভাইকে জিজ্ঞাসা করি যে আমি যেখানে আশ্রয় নিয়েছি- জায়গাটা আসলেই আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে কিনা? ভাই বললেন এভাবে বলা যায় না। বল যে “জায়গাটার নিরাপত্তা দেবার প্রবাবিলিটি কত?”। মৃত্যুর মুখেও যে লজিকাল স্ট্যান্ড ঠিক রাখতে পারে সেই আসল পুরুষ।

বেশ কিছুদিন ধরে এসব ধস জাতীয় দুর্যোগ আমার সাথে লেগেই আছে। জীবনে প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণ করি থাইল্যান্ড। আমি বাংলাদেশে ফেরার তিন মাস পরেই সেখানকার সরকারের পতন হয়। মালদ্বীপ থেকে ফেরত আসার ১ সপ্তাহ পর দেখি সেখানে খাবার পানির সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনী নাকি সেখানে খাবার পানি পাঠাচ্ছে। নেপাল থেকে আসার কয়েক মাস পর সেখানে হল ভূমিকম্প। কলকাতা গেলাম এবং সেখানে থাকা অবস্থায়ই দুটো দুর্ঘটনা ঘটল- কলকাতার ওভারব্রিজ ধসে পড়ল এবং ভারত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের কাছে হেরে গেল।

তবে সবচাইতে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশের ভেতরেই। কারওয়ান বাজারের মোড়ে বিশাল একটা বাঘের মূর্তি ছিল। এক বন্ধুর সাথে রাত ৮ টা পর্যন্ত সেই বাঘের মূর্তির পাশে দাঁড়িয়ে আড্ডা দেই। তার পরদিন শুক্রবার বসুন্ধরা সিটি যাওয়ার সময় দেখি বাঘের মূর্তিটা হেলে পড়ে গিয়েছে। চারপাশের রাস্তা রক্তাক্ত। জানতে পারি তার আগের রাতে বাঘের মূর্তিটা এক ঘুমন্ত ভ্যান-চালকের ওপর হেলে পড়ে। তার মৃত্যু হয় সেখানেই। কিছুদিন পর প্রথম আলোতে রিপোর্ট হয় সেই ভ্যান-চালককে নিয়ে। সেখান থেকে জানতে পারলাম যে গ্রামে তার বউ নাকি তাকে নিয়ে চিন্তিত থাকত, ভয় পেত। আর বউকে সাহস দিয়ে হাসিমুখে সেই ভ্যান-চালক বলত-“আমার কোন ভয় নাই বঊ---আমি বাঘের তলে ঘুমাই”।

জীবনটা আসলে বড়ই বিচিত্র। সবার এই বিচিত্র জীবন যেন রঙ-রস ও আনন্দে অটুট থাকে সেই কামনা করি।

Writer's ID

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩২

শাশীশ বলেছেন: ধন্যবাদ উৎসাহ প্রদানের জন্য।

২| ৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: জীবন আসলেই বড় বিচিত্র। সুন্দর লিখেছেন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

শাশীশ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: “আমার কোন ভয় নাই বঊ---আমি বাঘের তলে ঘুমাই”।
....................................................................................
আপনি পোষ্ট দিয়ে কিসের ভয়ে হারায়ে গেলেন ???
সামুতে বাঘ, ভল্লুক, সিংহ কিছুই নাই!!!
ভাই, টেবিলের নীচ থেকে বেড়িয়ে আসুন
এবং
বীরের মতো বাচুঁন !!!
......................................................................................

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪

শাশীশ বলেছেন: হা হা। ধন্যবাদ উৎসাহ প্রদানের জন্য।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: দুই বছর পর উত্তর দিয়ে প্রমাণ করলেন যে বব্লগ ছেড়ে যাননি।

ভাল , খুব ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.