নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নপূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়।তাই বলে স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়,তাকে সঙ্গে নিয়ে চলি।ভালো লাগে ভাবতে, আকাশ দেখে মেঘেদের সাথে গল্প পাততে, বৃষ্টি ছুঁয়ে হৃদয় ভেজাতে, কলমের খোঁচায় মনের অব্যক্ত কথাগুলোকে প্রকাশ করতে...

শাওন আহমাদ

এটা আমার ক্যানভাস। এখানে আমি আমার মনের কোণে উঁকি দেয়া রঙ-বেরঙের কথাগুলোর আঁকিবুঁকি করি।

শাওন আহমাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিডিও গেইমস

২০ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩২



বয়স কাছাকাছি হওয়ায় আমরা দুই ভাই ছোটবেলা থেকেই সবসময় একসঙ্গে থাকতাম। যেমন বন্ধুর মতো মধুর সম্পর্ক নিয়ে আমরা রাস্তায় গলাগলি ধরে ঘুরে বেড়াতাম ঠিক তেমনই মাঝে মাঝে দা-কুমড়ো হয়ে রাস্তার মধ্যে মারামারি করে একে অন্যের কাপড় খুলে নিতাম। সেই সময় আমাদের স্থানীয় বাজারে একটা ভিডিও গেইমসের দোকান খোলা হয়। স্কুলে গিয়ে বন্ধুদের কাছে গেইমসের গল্প শুনে যন্ত্রটা দেখার আগ্রহ বেড়ে যায়। তো একদিন বিকেলবেলা বন্ধুদের সঙ্গে আমি ও আমার ছোট ভাই গেইমসের দোকানে হাজির হলাম।

গিয়ে দেখি, পুরো দোকান কানায় কানায় পূর্ণ। দু-একজন করে খেলছে আর বাকিরা সব হাঁ করে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম, গেইমসের নাম মোস্তফা। যা হোক, পকেটে টাকা না থাকায় সেদিন বুকের ভেতর একটা চাপা উত্তেজনা নিয়ে বাসায় ফিরে এলাম। পরদিন সকালে বাবা অফিসে যাওয়ার পর আমরা দুই ভাই টাকা নিয়ে যথারীতি হাজির হলাম গেইমসের দোকানে। যারা মোটামুটি খেলা পারে, তাদের কাছ থেকে টুকটাক কিছু কৌশল শিখে নিয়ে আমরা দুজন খেলা শুরু করে দিলাম। আর এভাবেই শুরু হলো আমাদের গেইমস খেলার যাত্রা। ভালো খেলার সুবাদে কিছুদিনের মধ্যেই আমরা দুই ভাই গেইমসের দোকানের পরিচিত মুখ হয়ে উঠলাম। গেইমসের নেশা আমাদের উপড় অশরীরির মতো ভড় করে বসল। হাতে টাকা পেলেই আমরা চলে যেতাম গেইমসের দোকানে।

যথারীতি একদিন পড়ার টেবিলে বসে বই নাড়াচাড়া করছি আর অপেক্ষায় আছি বাবা কখন অফিসে যায়। বাবা অফিসে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা দুই ভাই গেইমসের দোকানে হাজির। সকালবেলা হওয়ায় দোকানে লোক তেমন একটা ছিল না। তাই দেরি না করে আমরা খেলা শুরু করে দিলাম। খেলায় টানটান উত্তেজনা। ৩ কি ৪ নম্বর ‘বস’, মানে ভিলেনকে প্রায় কুপোকাত করে ফেলেছি। এমন সময় মনে হলো, কেউ আমার পেছনের চুল ধরে টানছে। খেলায় এত ব্যস্ত ছিলাম যে তাকিয়ে দেখার সময় নেই। আমরা আমাদের মতো খেলেই যাচ্ছি। যখন চুল টানার মাত্রা বেড়ে গেল, চিৎকার দিয়ে পেছনে তাকিয়ে দেখি বাবা দাঁড়িয়ে। তারপর কী হয়েছিল, সেটা আর নাই-বা বললাম।

লেখাটি ২০১৪ তে প্রথম আলোর ছুটির দিনে ছাপা হয়েছিল, আজ আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।
ছবিঃ প্রথম আলো

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

জটিল ভাই বলেছেন:
তারপর কি খেলা চলমান ছিলো? :P

২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: সেই ঘটনার পর আর সাহস করে উঠতে পারিনি। গেইমসের দোকানে প্রবেশ করলেই মনে হতো এই বুঝি আব্বা এসে পিছনে দাড়ালেন। :D

২| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৪৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: গেমস একটি এডিকশান।ছোট বেলায় আমি মোস্তফা গেমসের প্রতি এতো এডিকটেড ছিলাম যে একবার রেজাল্ট খারাপ হয়েছিল।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১০

শাওন আহমাদ বলেছেন: যথাসময়ে আব্বার মাইর খাওয়ার কারণে সেই নেশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০১

শায়মা বলেছেন: বাবাকেও একটাবার ভুলায় ভালায় খেলাটা ধরায় দিতে পারলে আর মার খেতে হত না।

২০ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৩

শাওন আহমাদ বলেছেন: হা হা আমার আব্বা ভীষণ স্ট্রিক ছিলেন তাকে ভুলভাল বোঝানোর ক্ষমতা আমাদের ছিলো না। আমরা খুব বেশী দরকার ছাড়া আব্বার সাথে তেমন একটা কথা বলতাম না।
https://www.somewhereinblog.net/blog/Shawon_Ahmad/30337128

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি কখনওই ভিডিও গেম খেলিনি।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৪

শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনার জীবন ১৬ আনাই বৃথা। :D

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমার বাসার পাশেই ছিলো এই ভিডিও গেমের দোকান। তিন চারটি মেশিন ছিলো। দোকানটি ছিলো আমাদেরই বন্ধুর। সেখানেই প্রতিদিন বিকেল আর সন্ধ্যায় আড্ডা হতো। আমিও যেতাম। সবাই ধুমায়া মোস্তফা আর অন্য সব গেম খেলতো। কন্ট্রলের সাথেই যেনো যুদ্ধ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আমি কোনো দিন সেখানে খেলিনি। তবে ঘরে বসে কম্পিউটারে খেলাতাম খুব।

২১ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:২৬

শাওন আহমাদ বলেছেন: আচ্ছা লুকিয়ে লুকিয়ে খেলা! ;) :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.