নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা আমার ক্যানভাস। এখানে আমি আমার মনের কোণে উঁকি দেয়া রঙ-বেরঙের কথাগুলোর আঁকিবুঁকি করি।
আমি আমার আশেপাশে বাবা-ছেলেদের যে মধুর সম্পর্ক দেখে বড় হয়েছি,আমাদের সাথে আমাদের আব্বার এমন সম্পর্ক কল্পনা করাও ছিলো কল্পনাতীত। যে মানুষটার গলার শব্দ শুনে আমাদের প্রাণবায়ু বের হয়ে যাবার উপক্রম হতো, যার চোখের চাহনীতে আমাদের শিড়দাঁড়া বেয়ে শীতল স্রোত বয়ে যেতো, তাঁর সাথে আমাদের মধুর সম্পর্ক হওয়াটা সত্যি কল্পনাতীত'ই ছিলো বটে। আমরা আমাদের আব্বাকে এতোটাই ভয় পেতাম যে আমাদের সম্পর্ক ছিলো চিল আর মুরগির ছানার মতো। মুরগির ছানারা যেমন চিলের আনাগোনা পেলে দৌড়ে গিয়ে মায়ের ডানার নিচে লুকায়, আমরাও তেমন বাবার সাড়াশব্দ পেলে দৌড়ে গিয়ে মায়ের আঁচলের নিচে মুখ লুকাতাম বা বাড়ির এমন কোনো জায়গায় গিয়ে আশ্রয় নিতাম; যেখানে আব্বা খুব একটা যেতেন না।
এই ভয়ের কারণেই আব্বার সাথে আমাদের দূরত্ব ছিলো ঢের।আমাদের কাছে আমাদের আব্বার উপস্থিতি আনন্দের চেয়ে ভয়েরই ছিলো বেশি। আব্বা তাঁর ব্যবসার কাজ ছাড়া যতোটা সময় বাসায় থাকতেন এই পুরোটা সময় আমাদের শ্বাস বন্ধ হবার জোগাড় হয়ে থাকতো। ভয়ে আমরা পড়ার টেবিলে বা অন্য কোনো জায়গায় জড়সড় হয়ে বসে থাকতাম। সারা বাড়ি জুড়ে তখন মৃত্যু শোকের মতো নীরাবতা বিরাজ করতো। আমরা সাধারণ বিষয় নিয়েও আব্বার সাথে নিজে থেকে কথা বলতাম না; আমাদের কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে মায়ের কাছে জানাতাম, মা আব্বার কাছে বলে সেগুলো আদায় করে দিতেন।
আমাদের লেখাপড়ার প্রথম টিচার আব্বাই ছিলেন, অক্ষর চিনানো হাতে ধরে লেখা শিখানো সব আব্বার কাছ থেকেই হয়েছে। অবশ্য আব্বার কাছে পড়তে বসলে যতোটা না আমরা পড়তাম তার চেয়ে বেশি ভয়ে কাঁপতাম। একটু এদিক রেখে ওদিক হলেই ঠাস ঠাস পড়তো গালে। পড়ালেখার বাইরে কোনো অপরাধ করলে তার শাস্তি আরও ভয়ংকর ছিলো। আমরা তখন মায়ের ডানার নিচে গিয়ে লুকাতাম। মা আমাদের বুক দিয়ে আগলে রাখতেন আর সমস্ত ঝড় তার উপর দিয়ে যেতো। ঝড়ঝাপটা শেষে প্রকৃতি শান্ত হয়ে গেলে আমারা ডানার নিচ থেকে বেরিয়ে এদিক-ওদিক চলে যেতাম।
আব্বার কথা ছিলো একটাই, খাওয়া ঘুম আর পড়া। এর বাইরে কিছুই করা যাবেনা। সপ্তাহে একদিন মানে শুক্রবারেও কখনো আমরা আব্বার কাছ থেকে টেলিভিশন দেখার অনুমতি পেতাম না। সন্ধ্যায় আলিফ-লায়লা দেখতে না পারার আফসোস নিয়ে আমরা পড়ার টেবিলে বসে থাকতাম; কিন্তু পড়াশোনা কিছুই হতোনা কারণ তখন মন বিচরণ করতো আলিফ-লায়লা জুড়ে। শুক্রবারও যথারীতি আমাদের দিন শুরু হতো শাসন আর পড়াশোনা দিয়ে, সপ্তাহে একদিন যে বেলাকরে ঘুমাব তার যো ছিলো না। আমার আব্বার ভয়ে পাড়ার ছেলে-পেলেরাও আমাদের সাথে মিশত না খুব একটা। যদিওবা কেউ ভয়ে ভয়ে আমাদের কাছে আসতো; কিন্তু আব্বার কন্ঠ শুনলেই ভোঁ দৌড় দিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচত, সে বেলায় আর তার ছায়াকেও আমাদের বাড়ির ত্রিসীমানায় দেখা যেতো না। আব্বা যখন তার ব্যবসার কাজে কিছুদিনের জন্য দূরে কোথাও যেতেন আমরা তখন আমাদের নিজস্ব রাজ্যের রাজা বাদশা হয়ে যেতাম, আমাদের আকাশে তখন ঈদের চাঁদ দেখা দিতো; দিনমান খেলাধুলা আর লাফালাফিতে ব্যতিব্যস্ত থাকতাম আমরা। তিনি বাসায় ফিরে এলেই সব আবার আগের মতো রঙহীন আর মৃত্যুশোকে ছেয়ে যেতো।
আব্বার নীল রঙের একটা সুজুকি মটরসাইকেল ছিলো, এর শব্দ ছিলো অন্য সব মটরসাইকেলের চেয়ে আলাদা। আব্বা যখন মটরসাইকেল নিয়ে বাসায় আসতেন আমরা মটরসাইকেলের শব্দ শুনে সুবোধ ছেলের মতো শান্ত হয়ে পড়ার টেবিলে বসে থাকতাম; কিন্তু আমরা ডালে ডালে চললে আব্বা চলতেন পাতায় পাতায়। মাঝেমাঝে আমাদের পরীক্ষা করার জন্য আব্বা অফিসে মটরসাইকেল রেখে বাসায় আসতেন; আর এসেই যদি আমাদের এলোমেলো দেখতেন শুরু হয়ে যেতো ধুমধাম। অবশ্য অন্য ভাইয়েদের চেয়ে আমি ভাগে সবসময়ই কম পেতাম; কারণ আব্বা বলতেন আমার চোখের দিকে তাকালে নাকি তার মায়া হয় খুব এ জন্যই আমি বরাবর বেঁচে যেতাম। যদিও আমি আমার কোটেরে ঢোকা ডার্ক-সার্কেল পরা চোখে মায়ার ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাইনা কখনো।
আব্বা আসলে এসব করতেন কারণ তার বাচ্চারা যেনো অন্য বাচ্চাদের চেয়ে আলাদা হয়, তার বাচ্চারা যেনো সুন্দর একটা ভবিষ্যৎ পায়। আমাদের জন্যই তিনি দিনরাত খাটতেন; কিন্তু ছোটবেলায় বাবা কে ভয় পাবার কারণে আমাদের মাথায় তাকে অন্যভাবে দেখা ছাড়া আর কিছু কাজ করত না। যেদিন সকালবেলা আব্বা মারা গেলেন মা আমাদের জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। আমরাও মায়ের সাথে গলা মিলিয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলাম। যাকে আমরা সবমসময় চাইতাম দূরে থাক সেই মানুষটাই যখন চিরতরে দূরে চলে গেলো তখন তাকে ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকবো এই ভেবেই হাউমাউ করে কাঁদছিলাম,এতোগুলো বছর পরেও কাঁদি।
বাবারা আসলে এমনই হয় তারা খুব একটা ভালোবাসা প্রকাশ করেন না। তারা বুকে ভালোবাসা জমিয়ে রেখে সন্তানের জন্য ভবিষ্যৎ গড়ায় ব্যস্ত থাকেন। আমার আব্বাও তাই করতেন। আমাদের এমনও দিন গিয়েছে, সপ্তাহের পর সপ্তাহ আমাদের আব্বার সাথে দেখা হতো না। তিনি তার ব্যবসার কাজ নিয়ে এতো ব্যস্ত থাকতেন যে, আমরা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পর তিনি বাসায় আসতেন; আবার ভোরবেলা আমাদের ঘুম থেকে উঠার আগেই বাইরে চলে যেতেন। এই সকল পরিশ্রম, আরাম-আয়েশ বিসর্জন সব আমাদের ভালো রাখার জন্যই করতেন। তখন আব্বার অনুপস্থিতি আমাদের মনে ভালো লাগার সঞ্চার করলেও এখন তার সেইসব দিনের ত্যাগের কথা হৃদয় পটে উঁকি দিলেই বিষাদে বুক ভারী হয়ে যায়, আঁখি যুগলে ঘোর বর্ষা নামে।
ছবিঃ গুগল
১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
শাওন আহমাদ বলেছেন: সত্যিই ভাইয়া, আব্বা মারা গেছেন এক যুগ হতে চলছে তবুও সে এখনো কাটা ঘায়ের মতো বুকের ভিতর জীবন্ত।
ধন্যবাদ অভিবাবকের মতো আদর মাখানো কমেন্ট করার জন্য।
আমীন
২| ১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমরাও বাবাকে খুব ভয় পেতাম। আপনার বাবা জান্নাতবাসী হোন এই কামনা করি।
১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমীন, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
৩| ১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচাড়ণ মহৎকাজ গুলির মধ্যে গন্য ।
আপনার বাবা জান্নাতবাসী হোন এই কামনা করি।
শুভেচ্ছা রইল
১১ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমীন, ধন্যবাদ ভাইয়া! আপনার মন্তব্যের জন্য।
৪| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:১৭
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার স্মৃতি কথার সাথে আমার জীবনের অনেকটাই মিলে গেল কিন্তু তারপরও অনেক ব্যতিক্রম.... যা বিভীষিকাময় করে তুলেছিল আমার জীবন।
ভালো লাগলো আপনার স্মৃতিচারণ।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: ঘুরেফিরে কোথাও না কোথাও আমাদের স্মৃতিরা প্রায় একই রকম। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
৫| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪২
শায়মা বলেছেন: বাবারা এমন ছিলো ...... এখনকার বাবারা অন্যরকম।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: হুম আমার ভাইয়াদের বাচ্চারা তাদের কাঁধে উঠে নাচে, আমাদের আব্বার সাথে আমাদের সম্পর্কের কথা বললে তারা হেসে কুটিকুটি হয়।
৬| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আব্বা কে নিয়ে লেখা ভালো লেগেছে !
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
৭| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর স্মৃতিচারণ লিখে আব্বাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে বাবারা বোধহয় এমনি।যাদের হৃদয়টা মায়ার চাদরে মোড়া কিন্তু উপরটা থাকে কঠিন পাথরের মত। সন্তানরা এই কারণে ভিতরে ঢুকতে না পেরে বাইরে দেখেই বাবাদের বিচার করে। আপনার আব্বার মাগফিরাত কামনা করি।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন বাবারা আসলেই এমন, বাবাদের সবকিছু প্রকাশ করতে নেই। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্যেও শুভ কামনা।
৮| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১১
শেরজা তপন বলেছেন: আমার আব্বাও আপনার আব্বার মত রাগী ছিলেন। তিনি বাসায় আসলে আমরাও একেবারে সুবোধ হয়ে যেতাম। তবে পড়াশুনার জন্য মায়ের বকুনি আর পিটুনি খেতে হয়েছে বেশী।
পৃথিবীর সব বাবার প্রতি ভালবাসা। উঁনি হয়তো উনার মত করে ভাবতেন-তবে এভাবে ভাবাটায় খানিক ভুল ছিল- অন্তত কিছুক্ষন খেলেধুলার জন্য ছাড় দেয়া উচিৎ ছিল।
১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: আসলে আমাদের মহল্লার আড্ডা খুব একটা ভালো ছিলো না, আশেপাশের ছেলেপুলেরা নেশায় আসক্ত ছিলো; তাই তিনি ভয় পেতেন খারাপ আড্ডায় মিশে আমরাও আবার....
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
৯| ১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এখন আমি বুঝি বাবার টাকা পয়সা থাকা লাগে না, বাবা বেঁচে থাকাটাই বড় কথা।
আড়াই বছর আগে আমার বাবা মারা যায় করোনাতে।
১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১২
শাওন আহমাদ বলেছেন: এখন আমি বুঝি বাবার টাকা পয়সা থাকা লাগে না, বাবা বেঁচে থাকাটাই বড় কথা। একদম সত্যি ভাইয়া বাবা থাকাটাই বড় কথা। আপনার বাবার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
১০| ১২ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে।
১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
১১| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
চারাগাছ বলেছেন:
শাওন,
আপনার স্মৃতিচারণ বেশ ভালো লাগে। আগেও পড়েছি।
এটাও ভালো লিখেছেন।
কয়েকটা স্মৃতিচারণ পড়লাম। সবারটাই ভালো লেগেছে।
আশাকরি সামনে আরো চমৎকার সব লেখা পাবো।
আমার বাবা খুব কড়া ছিলেন।
তাঁকে নিয়ে অনেক স্মৃতি আছে।
১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। আমরা আপনার বাবাকে নিয়ে আপনার স্মৃতি গুলো জানতে চাই।
১২| ১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো স্মৃতি রোমন্থন। আমার আব্বা আমাদের সাথে বন্ধুর মত আচরণ করতেন। তবে আমার আম্মাকে ভয় পেতাম। দুপুর বেলা আমার মা যখন ঘুমিয়ে থাকতেন তখন আমাদের দুষ্টামিতে মায়ের ঘুম ভেঙ্গে গেলে ভীষণ রাগ হতেন।
১২ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:১৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: কারো বাবা রাগী থাকেন, আবার কারো বা মা। তাদের নিয়ে আপনার স্মৃতি গুলো ব্লগে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৩| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
১৩ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
শাওন আহমাদ বলেছেন: জেনে আমারও ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৪| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:২৮
জটিল ভাই বলেছেন:
স্মৃতি আছে বলেই মানুষ বাঁচে.....
১৪ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭
শাওন আহমাদ বলেছেন: জ্বী স্মৃতি নিয়েই মানুষ বাঁচে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৫| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৪০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বি ইয়ানা সগীরা। আপনার লেখা বরাবরই আমার পছন্দ। লিখাটি পোস্ট দেবার পরে দীর্ঘ সময় অফলাইন এ ছিলাম তাই কোনোভাবে হয়তো মিস করেছিলাম। বাবাকে নিয়ে অনেক সুন্দর ও স্মৃতিময় লিখা।
হ্যাপি ব্লগিং।
১৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া! আপনার মন্তব্যের জন্য। যারা আমাকে অনুপ্রেরণা দেয়া আমার লেখায় আমি তাদের মিস করি। আমি আপনার আন্তরিকতা কে পছন্দ করি ভাইয়া। আপনার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা, রব আপনাকে ভালো রাখুন।
১৬| ১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৪
অর্ক বলেছেন: বেশ খানিকটা পড়লাম ভাই। ভালো লাগলো। আপনার বাবা এখনও জীবিত কিনা আমি জানি না! বাকিটুকু পড়লে হয়তো জানা যেতো। কৌতূহল রেখেই শেষ করলাম আপাতত। বাকিটুকু পড়ার আগ্রহ থেকে গেলো। হয়তো পড়বো কখনও।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা থাকলো। আপনজনের নিয়ে আনন্দে কাটুক দিনগুলো।
১৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য। আমিও আর আমার বাবা সম্পর্কে কিছু জানালাম না; থাকুক আপনার কৌতুহলের তৃপ্তি। আপনার জন্য শুভ কামনা।
১৭| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১০
অর্ক বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। লেখায় ভালোলাগা জানানো ছাড়া তেমন কিছু বলার থাকে না এসব লেখায়। আপনার পিতাকে তো অবশ্যই, বিশেষভাবে আপনার মাকে সম্মান জানাচ্ছি আমি। বিশেষ বিশেষ সময়ে পরিস্থিতি তার জন্য হয়তো খুব অসহনীয় হয়ে উঠতো। সশ্রদ্ধ সালাম পৃথিবীর সমস্ত সর্বংসহা মমতাময়ী মাদের।
শুভেচ্ছা থাকলো।
(এর আগের মন্তব্যে ভুল আছে। ডিলিট করে দিলে খুশি হবো।)
১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আমার স্মৃতিতে মন্তব্য জুড়ে দেওয়ার জন্য। জি করে দিলাম ডিলিট।
১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত হৃদয়স্পর্শী হয়েছে আপনার এ স্মৃতিচারণ। পড়তে পড়তে মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যাচ্ছিল। আপনার বাবার কথা ভেবেও দুঃখ হচ্ছিল এ কারণে যে তিনি আপনাদের সর্বোত্তম হিতাকাঙ্খী হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র আচরণে ও শাসনে ভালোবাসার প্রকাশ না থাকার কারণে আপনারা তার ভয়ে এতটা তটস্থ থাকতেন!
আমার নিজের বাবার কথাও মনে হলো। তিনিও ভীষণ রাগী মানুষ ছিলেন। তার হাতেই আমাদের পড়ালেখার হাতেখড়ি হয়েছিল। সে কারণে তার হাতে মারও খেয়েছি প্রচুর। কিন্তু তার পরেও বুঝতাম যে তিনি আমাদেরকে ভালোবাসেন, যখন আমাদের কোন অসুখ বিসুখ হতো। তখন আমাদেরকে সুস্থ করে তোলার জন্য তিনি অস্থির হয়ে থাকতেন। সাধ্যমত উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করতেন, নিজ হাতে সেবা ও অন্যান্য পরিচর্যা করতেন। ক্যাডেট কলেজে চান্স পেয়ে সেখানে চলে যাবার পর আর তার হাতে মার খাইনি। আরেকটু বড় হয়ে বিভিন্ন পরিস্থি্তির পর্যবেক্ষণ আর বিশ্লেষণে বুঝতে পারতাম, তার মনেও ভালোবাসার ফল্গুধারা বয়ে যায়, যদিও মুখে বা বাহ্যিক আচরণে সেটার অভিব্যক্তি কখনোই প্রকাশ পায় নি। তখন থেকেই তার প্রতি ভয়টা ধীরে ধীরে কেটে যায়।
আমিও আমার সন্তানদেরকে কড়া শাসনে লালন করেছি। ওরাও ছোটবেলায় আমাকে ভয় পেত। আমার মনে হয়, ওরাও বড় হয়ে বুঝতে পেরেছে কঠিন খোলসের অভ্যন্তরে আমার কোমল অন্তরের অনুভূতি, তাই ওরা আর এখন ভয় পায় না। যদিও সন্তানদের যথার্থ লালনের জন্য সঠিক শাসনেরও প্রয়োজন রয়েছে, তথাপি তরুণ বাবাদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, আপন সন্তানদের প্রতি সদয় আচরণ করতে এবং তাদের সাথে আচরণের সময় শাসনের সাথে সাথে ভালোবাসার অনুভূতিটাও যথাযথভাবে প্রকাশ করতে।
২৬ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভাইয়া অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সময় নিয়ে এতো বড় একটি মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য, আরও ধন্যবাদ আপনার নিজের স্মৃতি গুলো শেয়ার করে জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। ভালোবাসা জানবেন।
১৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার প্রয়াত বাবার মাগফিরাত কামনা করছি। প্রতিযোগিতায় আপনার এ স্মৃতিচারণের সাফল্য কামনা করছি।
২৬ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমীন!
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮
মিরোরডডল বলেছেন:
বাবা হচ্ছে পরিবারে বটবৃক্ষ।
বাবার চলে যাওয়া মানে ছায়াহীন সাপোর্টহীন কেমন যেনো অসহায়, কি যেনো নেই নেই!
বাবা বেঁচে থাকলে জীবনটা কেমন হতো, এই ভাবনাটা আমাকে প্রায়ই ভাবায়।
শাওনের বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ভালো লেগেছে।
আমাদের বাবারা ওপারে ভালো থাকুক।