![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এটা আমার ক্যানভাস। এখানে আমি আমার মনের কোণে উঁকি দেয়া রঙ-বেরঙের কথাগুলোর আঁকিবুঁকি করি।
যেদিন ভোরবেলা আব্বা মারা গেলেন, মা আমাদের চার ভাইকে মুরগির ছানার মতো বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তার কান্নায় কেবল অসহায়ত্ব নয়, মিশে ছিল এক বুক গভীর শূন্যতা। বারবার বলছিলেন, ‘তোরা তো এতিম হয়ে গেলি, আমি এখন কীভাবে তোদের আগলে রাখব?’
একদিকে জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে হারানোর অসহনীয় বেদনা, অন্যদিকে তাঁর রেখে যাওয়া ছোট ছোট সন্তানদের দেখভালের বিশাল দায়িত্ব—মা যেন দিশেহারা হয়ে যাচ্ছিলেন। কী খাওয়াবেন, কী পরাবেন, কীভাবে আমাদের সঠিক শিক্ষায় বড় করে তুলবেন—এইসব ভাবনায় সারাক্ষণ আনমনা হয়ে থাকতেন।
মা নিজে তো আমাদের কড়া কথা বলতেনই না, বরং অন্য কেউ কিছু বললে আব্বার কথা মনে করে ডুকরে ডুকরে কাঁদতেন। প্রিয় মানুষ হারানোর বেদনা বুকে পুষে রাখতে রাখতে ঠিক এমনই এক বর্ষার সকালে, মা-ও চলে গেলেন আব্বার কাছে। আর আমরা হয়ে গেলাম পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী মানুষ।
আমি যদি কোনোদিন আলাদিনের চেরাগের সেই দৈত্যের দেখা পেতাম, আর সে যদি আমাকে তিনটি ইচ্ছা পূরণের সুযোগ দিত, আমি এক মুহূর্ত না ভেবে তিনবারই আমার মাকে ফিরে পেতে চাইতাম। মায়ের মতো আশ্রয় আর কেউ দিতে পারে না, এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
১৪ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১২
শাওন আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৫
আরোগ্য বলেছেন: বাবা হারানোর পর লেখাপড়া, খেলাধুলা আর কাজকর্মে কখন যে চব্বিশ বছর পার হয়ে গেল কিন্তু এই বয়সে মাকে হারিয়েছি যখন যে কোন ক্ষত সারতে সময় লাগে, এন্টিবায়োটিক লাগে। আর মার কমতি যেন প্রতি মুহূর্ত ক্ষতকে তাজা করে দেয়। নিজেকে স্বান্তনা দেওয়ার কোন ভাষা খুঁজে পাই না। কতশত মুখের মাঝেও সেই প্রশান্তকারী মুখটা দেখার স্পৃহা যেন বেড়েই চলছে।
আল্লাহ তায়ালা আপনার মনেও শান্তি দান করুক।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৪১
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সত্যি বলেছেন, ছোটবেলায় যারা বাবা মা হারিয়েছে তাদের মতো দুঃখী আর কেউ নয় । বাবা দরকার ছায়া দেয়ার জন্য অর্থ জোগান দেয়ার একটা শক্ত হাত। আর মা মায়া ভালবাসা, আর সেবা দেওয়া, পাশে থাকা ,সাপর্ট দেওয়া বিপদ থেকে দূরে রাখা ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
সুনীল সমুদ্র বলেছেন: মায়ের জন্য চিরন্তন ভালোবাসার প্রকাশ।
আবেগময় লেখাটা ভালো লাগলো।