![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
নাটক মানে আমি যা বুঝি এর মধ্য নিম্নের যেকোনো একটি গুন থাকা চাই
১. এটা হাস্যরসাত্মক হবে
২. এখানে সাধারন বা দেশীয় সংস্কৃতির আলোকে কোন পারিবারিক বা কোন এক জনের জীবনের ঘটনা গুলোর/ কোন নিদ্রিস্ত ঘটনার আলকপাত হবে
৩. সামাজিক অসঙ্গতি তুলে ধরা
৪. কোন নৈতিকতা মূলক মেসেজ থাকবে
৫. রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয় থাকবে
৬. সর্বোপরি মানব জীবন এর সাথে সম্পর্কিত এবং ঐ দেশের রিতি নিতির সাথে মিল থাকতে হবে।
উপরে উল্লেখিত নাটক টিকে ঈদের নাটক জেনে গত কাল দেখার একটু চেষ্টা করেছিলাম। ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট এর নাটক টিকে ২০ মিনিটে টেনে টেনে দেখতে বাধ্য হয়েছি। ব্যাস্ত এই প্রবাস জীবনে মাঝে মাঝে নির্মল দেশীয় আনন্দ দানের জন্য নাটক আমাদের অন্যতম মাধ্যম। সেখানে যদি এই হয় নাটকের মাণ(!) তাহলে সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন বাংলা ছায়াছবির মত নাটক ও এর জনপ্রিয়তা হারাবে।
নাটক টি আসলে কি জন্য বা কি বলতে চেয়েছে তা আমার মাথায় ধরে নি। হয়ত বা আমাদের বাবা মা আমাদের হরলিক্স এর বদলে খাঁটি গরুর দুধ খাইয়েছে তাই বর্তমানের হরলিক্স খাওয়া মেধাবী নির্মাতাদের নাটক এর মেসেজ আমাদের এন্টেনা তে ধরা খায় না।
আমার এ খুদ্র মস্তিস্কে যা বুঝলাম-
নাটকের প্রথমেই শিক্ষার চেয়ে অর্থ বড় এই একটা মেসেজ দেয়া হয়েছে।
যদিও পথে পাওয়া একটা আপেল ও এর মালিকের অনুমতি ব্যাতিরেকে খাওয়া যায় না তথাপিও নাটক টিতে নির্মাতাগণ হয়ত বুঝাতে চেয়েছেন পরে পাওয়া অর্থ চাইলেই তুমি আত্মসাৎ করতে পার।
আরেকটি মেসেজ হয়ত দিতে চেয়েছে যে মণ চাইলে ই একদল ছেলে মেয়ে বেড়াতে গিয়ে একই হোটেলে থাকা যায়।
আর উগ্র পোশাক এবং মাম্মা ধরনের কথা বলতে পারাই একজন নাট্য ব্যাক্তিত্তের অন্যতম গুন।
তবে অভ্যন্তরীণ একটা মেসেজ আমি স্পষ্ট পেয়েছি আর তা হল সারা বিশ্বে আমাদের গর্ব করার মত যে মার্জিত ও পরিশীলিত আচার আচরণ আছে তাঁকে ধ্বংস করার একটা ছোট খাট প্রয়াস তাঁরা চালিয়েছেন বলা যেতে পারে।
নাটকের শুরুতেই যে সকল মানসিক অসুস্থ রুগি গুলোকে দেখানো হয়েছে এদের সাথে আমি কোন শিক্ষার্থীর মিল খুঁজে পাই না।
আমরা ও তো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশুনা করে এসেছি বেশী দিন হয় নি এর মধ্যেই কি শিক্ষাঙ্গন এমন পাগল ছাগলে ভরে গেল? এই মন্তব্যের কারন নাটক সাধারনত তৈরি হয় সমাজের মেজরিটি মানুষদের কথা মনে রেখে। এই নাটক দেখে এই মনে হয়েছে এখন কার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার চেয়ে অর্থ এর মুল্য বেশী দিচ্ছে যা আসলে ধনী ও অসৎ পিতামাতার বখে যাওয়া সন্তানই করতে পারে। তাঁর মানে কি আমরা ধরে নিব আমাদের উঠতি জেনারেশন এমন নষ্টামি ও বখে যাওয়া মনুষ্যত্ব নিয়ে বড় হচ্ছে? তাহলে কি হবে আগামি দিনের বাংলাদেশের? কারা দিবে নেতৃত্ব? এই বখাটে গুলো??
আমি আরও অবাক হয়েছি তারিক এনামের মত নাট্য ব্যাক্তিত্ত এই ফালতু নাটকে অভিনয় করেছেন? এটাও এই প্রমাণ করে যে টাকা হলে আমাদের দেশের মহরথিরা বিবেক ও ব্যাক্তিত্ত বিক্রয় করে দিতে পিছপা হবেন না। এটা তো আরও ভয়ানক মেসেজ।
যাই হোক অনেক কিছু লিখে ফেললাম যা হরলিক্স না খাওয়া ব্রেন থেকে এসেছে তাতে হয়ত কোন ভুল থাকলেও থাকতে পারে। ভুল সুদ্ধ যাই থাকুক অতি দ্রুত আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের সোনার বাংলাকে কি আমরা এই সকল বখাটে দের হাতে তুলে দিয়ে যাব নাকি সত্যিকারের বাঙ্গালী আদব, সংস্কৃতির, সঠিক মনুষ্যত্ববোধ এবং বিবেকবান কোন প্রজন্ম তৈরি করে তাদের হাতে তুলে দিব।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ছেড়ে দিয়ে কি কোন সমাধান হবে? আসুন ওদের এমন বস্তা পচা নাটক তৈরিতে বাঁধা প্রদান করি।
২| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৫৬
নাজমুল হক জুয়েল বলেছেন: ভাই এইটা নাটক না। এইটা এয়ারটেল-এর বিভিন্ন সার্ভিসগুলোর বিজ্ঞাপন। থুক্কু দীর্ঘ বিজ্ঞাপন। আপনাকে ভিডিও কল থেকে শুরু করে সব কিছুর ব্যবহার শেখানো হয়েছে নাটকটাতে সরি বিজ্ঞাপনটাতে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: সহমত
৩| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৮
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: বাংলাদেশের ছোটপর্দা এখন অনেক এগ্রেসিভ। আজ দেখাচ্ছে 'হ্যালো বাংলাদেশ'। ইংরেজির চোটে বাংলা সাবটাইটেল সহ দেখতে হচ্ছে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: কি আর করা দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
৪| ০২ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:০৪
এম. এ. হায়দার বলেছেন: হয়ত বা আমাদের বাবা মা আমাদের হরলিক্স এর বদলে খাঁটি গরুর দুধ খাইয়েছে তাই বর্তমানের হরলিক্স খাওয়া মেধাবী নির্মাতাদের নাটক এর মেসেজ আমাদের এন্টেনা তে ধরা খায় নাঘ
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:১০
অর্নি বলেছেন: এসব কারনে আজকাল নাটক দেখা ছেরেই দিয়েছি।
++