![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
চেঙ্গিস খান বলেছিলেন যদি তুমি একটি জাতীকে নিরবিঘ্নে ২০০ বছর শাসন করতে চাও তাহলে প্রথমে লাইব্রেরী গুলো ধ্বংস কর অতঃপর ঐ দেশের শিক্ষিত মানুষ গুলোকে যেখানে পাও সেখানে হত্যা কর।
এর অন্যতম কারন ছিল তখন শিক্ষিত মানুষ মাত্রই বিবেকবান এবং অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ছিলেন।
কালের বিবর্তনে ব্রিটিশদের শাসনামলে বাঙ্গালী দেখল শুধু ক্ষমতার লোভে কীভাবে উপমহাদেশের এক শ্রেণীর শাসকরা ব্রিটিশদের পদলেহন করে দেশের স্বাধীনতা ওদের হাতে তুলে দিল। তাদের এই খাম খেয়ালীর গচ্চা উপমহাদেশের মানুষ ২০০ বছর যাবত দিল।
এর পরে এলো পাকিস্তান সেই পাকিস্তানের শাসকগণ ও আমাদের জনপদ কে ব্রিটিশ রা যেমন ভারতবর্ষকে ব্যাবহার করেছে তেমনি ব্যাবহার করে। তৎকালীন বিবেক বোধ সম্পন্ন মানুষ গুলো এর প্রতিবাদ গড়ে তুলে আর সুযোগ সন্ধানিরা পাকিস্তান সরকারের অনুগত হয়ে তাদের আজ্ঞাবহ হিসেবে কিংবা পালিয়ে গিয়ে যুদ্ধের নয় মাস নিরাপদে অবস্থান করে দেশে ফিরে বা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর বিশাল বিশাল যোদ্ধা বা যুদ্ধের সংগঠক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে থাকে।
যেহেতু এই সুযোগ সন্ধানীগণ বড়ই চতুর তাই তাঁরা চেঙ্গিস খানের উক্তি টিকে কিছুটা পরিবর্তন করে নেয় কারন চেঙ্গিস খানের সময় হত্যার জন্য বিচার না থাকলেও এখন আছে। তাদের পরিবর্তিত উক্তি টি হল- তুমি একটি জাতীকে নিরবিঘ্নে ২০০ বছর শাসন করতে চাও তাহলে চাটুকার, সার্টিফিকেট ধারী, অনুগত, বিবেক বর্জিত শিক্ষিত জনশ্রেণী তৈরি কর। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ যেন এই কাজটি পুরদমে করে যাচ্ছে। আরেকটি কাজ সুচারু রুপে করছে আর তা হল দলে উপদলে বিভক্ত ছাত্রসমাজ এবং পেশাজীবী সমাজ।
হলে থাকতে এক বড় ভাই কোন এক রাজনৈতিক দলের নেতৃস্থানীয় এক জনের পুত্রের সাথে দেখা করে এসে তার চেহারার বর্ণনা করছিলেন "সেভ করার পরে দাড়ির গোঁড়া গুলো নিল হয়ে চেহারা ফুটে আছে, সেইরকম রাজকীয় ভাব। তার সাথে হাত মিলাতে পেরেই আমি মুগ্ধ"। অথচ আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি ঐ বড় ভাইয়ের মেধার পায়ের সমান মেধাবী ঐ ব্যাক্তি নয়। আমি শুনলাম আর হাসলাম কত টুকুন দাসত্ববাদ আমাদের অন্তরে ঢুকে গেছে। এই ছেলের এই নুরানি চেহারা করতে যদি ১৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়ে থাকে এর এক টাকা যে আপনার পকেট হতে কেটে নেয়া হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ ঐ ছেলের অভিভাবক কে জিজ্ঞেস করুন তাদের ক্যানাডার বেগম পাড়া বা মালয়েশিয়া তে সেকেন্ড হোম কীভাবে হল বা কেন দরকার হল? সাথে সাথে আপনাকে মারতে একশ্রেণীর যুবক দাড়িয়ে যাবে। আর যদি আপনার অবস্থান এর উরদ্ধে হয় তাহলে ওদের পালিত কুকুর রূপী বুদ্ধিজীবীগণ কলম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে সংবাদ পত্র সহ সকল মিডিয়াতে তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী সেকেন্ড হোম থাকাটা দোষের কিছু না এইটা প্রমাণ করতে। সেই দেশের বুদ্ধিজীবীগন যখন ডঃ আব্দুল কালামের সমালোচনা করার মত দৃষ্টতা দেখায় তখন আসলে বাকরুদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
ডঃ আব্দুল কালাম সাহেবের মৃত্যুতে উনার আন্তঃনদি সংযোগ প্রকল্পের সমালচনা করে উনার পিণ্ডী চটকাতে অনেকই অগ্রগামি। অথচ উনি যা করেছে তা উনার দেশের মঙ্গলের জন্য করেছে। আমাদের বুদ্ধিজীবী/ শিক্ষিত জনগন কিছু ভারত পন্থী, কিছু আমেরিকা পন্থী, কিছু চীন পন্থী, কিছু সুবিধা পন্থী বাকি ৫-১০% হয়ত বাংলাদেশ পন্থী। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই ৫-১০% কে মিডিয়া কাভারেজ দেয়ার মত সৎ মিডিয়া আদতে একটিও নেই। আমাদের শিক্ষক শ্রেণী কতটুকুন চাটুকার তা মোদী সাহেবের আগমনের উদ্দেশ্য আয়োজনকৃত সংবর্ধনার অনুষ্ঠান নিয়ে হওয়া রাজনীতি দেখেও যারা চোখ বন্ধ রাখতে পেরেছেন তাঁরা আসলেই প্রশংসাযোগ্য চাটুকার।
যেই দেশের নদীর মাঝে বাধ দিয়ে প্রতিবেশী দেশের ট্রাক চলাচলের ব্যাবস্থা করে দিতে সরকার সহ সুশীল সমাজ উদগ্রীব সেই দেশের মানুষের মুখে এ পি জে আবদুল কালামের মত একজন দেশপ্রেমীর দেশ প্রেম নিয়ে সমালোচনা যেন এক অপার কৌতুকের উৎস স্থল বাংলার মাঝে নতুন কোন কৌতুকের মতই শুনা যায়।
সিজনাল দেশপ্রেম এখন ক্রিকেটে আবদ্ধ রয়েছে। দেখা যাক অদূর ভবিষ্যতে কই গিয়ে ঠেকে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:২৭
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: কারন?
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিশ্ব রাজনীতির কোন কিছুই বাদ যায়নি; উনি হয়তো আপনার পোস্ট পড়ার চেস্টা করবেন
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৪
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: দুঃখিত ভাই
খোঁচা দেয়ার অভ্যাস কম আর কেউ দিলেও উল্টা দিতে ইচ্ছা করে না।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:২৮
আলী আকবার লিটন বলেছেন: আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি [/sb
হ লেখাটা পড়ে তাই মনে হল...
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: আপনার সুচিন্তিত কারেকশন থাকলে বলতে পারেন
সেই অপশন ও দেয়া ছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোস্টের পর, ড: আবদুল কালাম আবার জীবিত হয়ে যেতে পারেন।