নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সু-শীল জঙ্গি বনাম জঙ্গি জঙ্গি

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:০০

গতকাল তথাকথিত সেকুল্যার সংবাদ মাধ্যম বিডি নিউজ ২৪ “হিজাব: ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা কতটুকু" শিরোনামে একটি মতামতের অনুবাদ প্রকাশ করে।

মূল লেখার শিরোনাম ছিল The idea of the Hijab এবং প্রকাশিত হয়েছিল পাকিস্তানের (!!) একটি পত্রিকাতে। দ্বৈত নীতির চরম ভক্ত এই অনলাইন পত্রিকাটির জন্য এই লেখাটির অনুবাদ করেছেন ড. আবদুস সেলিম নামে এক বিজ্ঞজন। প্রথমেই The idea of the Hijab এর বাংলা “হিজাব: ধর্মীয় বাধ্যবাধকতা কতটুকু” দেখেই বুঝা যায় আসলে অনুবাদের উদ্দেশ্য কি। সে যাই হোক আমরা যারা কম বুঝি তাঁদের এটা বুঝার জো নেই কারন যিনি লিখেছেন তিনি তার নামের পূর্বে ডঃ লিখেছেন ফলে উনি ভুল বললেও আমাদের দেশে তা সঠিক। ওনার পুরো লেখা নিয়ে বলার সময় নেই তাই সামান্য কিছু অংশ যা আমার মত ক্ষুদ্র ইসলামিক জ্ঞান সম্পন্ন ব্যাক্তিও বুঝতে পারে যে কত বড় মিথ্যচার হয়েছে এখানে তাই তুলে ধরলাম। তবে নিজে একজন পি এইচ ডি ছাত্র হিসবে যত টুকুন জানি একটি লেখা লিখতে হলে ঐ লেখার বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান থাকতে হবে আর সমালোচনা করতে হলে ঐ বিষয়ে গভীর জ্ঞান প্রয়োজন। এই দুই জরুরী বিষয় বিবেচনা না করেই যিনি এই লেখা লেখতে পারলেন এবং যাহারা তা ছাপিয়ে সহজ সরল মুসলমানদের ধোঁকা দিতে চাইলেন তাদের কোন ধরণের মানুষ বলবেন তা বিবেচনার দায়িত্ব আপনাদের।

উনার লেখার একটি কলাম হল-
“‘হিজাব’ একটি আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘ঢেকে রাখা’ বা ‘বন্ধ করে রাখা’। আরব ভাষাতত্ত্ববিদ রাখিব বলছেন, ‘আল-হিজাব’ হলো এক ধরনের বাধা, যার মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো একটি বিষয় বা বস্তুর নাগালে বাধা প্রদান করা। বর্তমানে মেয়েরা হিজাব হিসেবে যা পরে সেটি হলো এক ধরনের মস্তক-আবরণী বা এক ধরনের মুখাবরণ বা নেকাব যার সঙ্গে মস্তক-আবরণী সংযুক্ত থাকতেও পারে অথবা না-ও পারে। এটির সঙ্গে দেহাবরণীরও প্রচলন আছে”।


“যার মূল উদ্দেশ্য হলো কোনো একটি বিষয় বা বস্তুর নাগালে বাধা প্রদান করা” এই কথাটি সত্য কিন্তু উপস্থাপন এমন ভাবে করা হয়েছে যেন হিজাব মেয়েদের কাজে বাঁধা স্বরূপ!! অথচ হিজাব মেয়েদের সমাজের লম্পট ব্যাক্তিদের লোলুপ দৃষ্টি হতে বাঁচানোর জন্য বাঁধা স্বরূপ। যেমন এই প্রথম আমেরিকার কোন মহিলা (Ibtihaj Muhammad ) হিজাব পরে অলিম্পিক গেমসে ফেন্সিং এ লড়বেন। যা প্রমাণ করে ফেন্সিংয়ের মত কৌশলী খেলাও হিজাবের কারনে বাধাগ্রস্থ নয়। কিন্তু বাংলাদেশের এ সকল মিডিয়া শিখাচ্ছে হিজাব মানেই শৃঙ্খল!!! দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এটা আমরা মেনেও নিচ্ছি। মেনে নেয়ার পূর্বে একবারও ভাবছি কি যে এই মিডিয়া গুলোই নারী কে পন্য হিসেবে উপস্থাপন করে আসছে যুগের পর যুগ?

এর পরে তিনি বলেছেন-
“লক্ষণীয় বিষয়টি হলো, কোরানে হিজাব শব্দটির উল্লেখ কোনো ধরনের পোশাক-পরিচ্ছদ হিসেবে কখনও পাওয়া যায় না। কোরান পুরুষ ও নারী উভয়কেই তাদের দৃষ্টি, হাঁটা-চলা, পোশাকের এবং গোপনাঙ্গ বিষয়ে পরিমিত ও সংযত হতে উপদেশ দিয়েছে। সপ্তম শতাব্দীর নারীদের জন্য তাদের বুকের উপর ‘খিম’ বা শাল ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিল, বিশেষ করে, তারা যখন বাইরে বের হত। সে সময় এ-ও বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের ‘জিনাত’ বা সৌন্দর্য তাদের স্বামী ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছাড়া আর কারও সামনে প্রদর্শন না করে।
হিজাব ইসলামের কোনো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে না এবং ফলে এর কোনো ধর্মীয় গুরুত্ব বা নৈতিক মর্যাদা নেই। খ্রিস্টপূর্ব ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এক অ্যাসিরিয় পাঠাংশে এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়– যখন ক্রীতদাসদের এবং পতিতাদের হিজাব পরা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য করা হত। ইতিহাসে বর্ণিত আছে– গ্রিক, রোমান, জরাথুস্ত্র, ইহুদি এবং সনাতনধর্মী আরব উচ্চবংশীয় ও ধর্মযাজকরা তাদের মেয়েদের সম্মান ও উচ্চ মর্যাদার নিদর্শন রূপে শরীরের আচ্ছাদন ও পর্দার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে”।


“লক্ষণীয় বিষয়টি হলো, কোরানে হিজাব শব্দটির উল্লেখ কোনো ধরনের পোশাক-পরিচ্ছদ হিসেবে কখনও পাওয়া যায় না” কথা সত্য কিন্তু ব্যাখ্যা ভুল। কারন কোরআনে আরবি ভাষাতে নাজিল হয়েছে আর আরবি ভাষাতে কেবল আচ্ছাদন মানে একটাই শব্দ ব্যাবহার হবে এটা লেখক কীভাবে বুঝলেন? এমন কি তিনি বলেছেন “হিজাব ইসলামের কোনো ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার মধ্যে পড়ে না এবং ফলে এর কোনো ধর্মীয় গুরুত্ব বা নৈতিক মর্যাদা নেই” একথাটি পুরোপুরি কুফরি অর্থাৎ যে এই কথা বিশ্বাস করবে সে একটি কুফরি করবে। কারন পবিত্র কোরআনে সুরা আন নুরের আয়াত ৩০ এবং ৩১ এ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন সকল মুসলিম নর-নারির জন্য পর্দা ফরজ করে দিয়েছেন। এই কথার মাধ্যমে তিনি সেই নির্দেশ কে বিকৃতি করেছেন যা পরিষ্কার একটি কুফর। এ কথাকে গুরুত্ব দেয়াতে তিনি আরও একটি ডাহা মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছেন আর তা হল “অধিকাংশ বিদ্বজ্জন একমত যে, হিজাব ব্যবহারের অনুশর্ত শুধুমাত্র মহানবী (সা.)এর স্ত্রীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এ কথা প্রমাণ করার জন্য যে, তাঁরা পবিত্র নারী”। লেখার প্রতি লাইনে লাইনে এমন মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ যা পাঠক একটু সচেতন ভাবে পড়লেই বুঝতে পারবেন। হিজাব বা পর্দা কিংবা আচ্ছাদন ফরজ কিনা তা এই দুই আয়াত কোরআনের বানী পড়লেই বুঝতে পারবেন- (সুরা আন নূর)


قُل لِّلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ(৩০)
Say to the believing men that they should lower their gaze and guard their modesty: that will make for greater purity for them: And Allah is well acquainted with all that they do
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ(৩১)
And say to the believing women that they should lower their gaze and guard their modesty; that they should not display their beauty and ornaments except what (must ordinarily) appear thereof; that they should draw their veils over their bosoms and not display their beauty except to their husbands, their fathers, their husband's fathers, their sons, their husbands' sons, their brothers or their brothers' sons, or their sisters' sons, or their women, or the slaves whom their right hands possess, or male servants free of physical needs, or small children who have no sense of the shame of sex; and that they should not strike their feet in order to draw attention to their hidden ornaments. And O ye Believers! turn ye all together towards Allah, that ye may attain Bliss
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।


এই দুই আয়াতের অর্থ পড়লেই একজন বাংলা পড়তে জানা ব্যাক্তিই বুঝবেন আসলেই পর্দা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য ফরয একটি কাজ এবং যেকোনো ফরয অস্বীকার করা মানেই কুফরি করা এটাও একটি সতঃসিদ্ধ একটি ব্যাপার। তার মানে কি ডঃ আব্দুস সালাম না বুঝেই এতো বড় একটি ভুলে ভরা একটি লেখা ছাপাতে দিলেন এবং যাদের নিকট বহু মানসম্পন্ন লেখা স্তুপ আকারে পরে থাকে তারাও না বুঝেই ছাপিয়ে দিল?

না ওনাদের আপনারা যত বোকা ভাবছেন তারা অত বোকা না তবে তারা উগ্রবাদী যারা কসম করে নেমেছে দেশ থেকে ইসলামকে জেটিয়ে বিদায় করবে। আর এদের এই কাজে সহযোগিতা করছে এক শ্রেণীর কম জ্ঞানী আবেগি মুসলিম। যাদের ধর্মীয় আবেগ চরম কিন্তু জ্ঞান নাই বললেই চলে। যার ফলে এসকল ছুপা নাস্তিকদের এমন লেখা দেখেই উনারা নিজেদের ইসলামের একমাত্র রক্ষাকর্তা ভেবে চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেন। ওনারা জানেন না যে আল্লাহ্‌র নবী আবু সুফিয়ানের মত ব্যাক্তিকেও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন! উনারা জানেই না যে আল্লাহ্‌ সুরা আল মায়েদাহ তে ৩২ নম্বর আয়াতে বলেছেন

مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ كَتَبْنَا عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهُ مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا وَلَقَدْ جَاء تْهُمْ رُسُلُنَا بِالبَيِّنَاتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم بَعْدَ ذَلِكَ فِي الأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ (৩২)
“On that account: We ordained for the Children of Israel that if any one slew a person - unless it be for murder or for spreading mischief in the land - it would be as if he slew the whole people: and if any one saved a life, it would be as if he saved the life of the whole people. Then although there came to them Our apostles with clear signs, yet, even after that, many of them continued to commit excesses in the land
এ কারণেই আমি বনী-ইসলাঈলের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে। তাদের কাছে আমার পয়গম্বরগণ প্রকাশ্য নিদর্শনাবলী নিয়ে এসেছেন। বস্তুতঃ এরপরও তাদের অনেক লোক পৃথিবীতে সীমাতিক্রম করে”


আজকের বাংলাদেশের এই করুন পরিবেশের জন্য এই দুই শ্রেণীর উগ্রপন্থীদের সমান ভুমিকা রয়েছে। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করব যে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলিম সে দেশের প্রথম শ্রেণীর একটি মিডিয়াতে এমন ভুলে ভরা প্রবন্ধ ছাপানো যেমন দুঃখজনক এবং পরিত্যাজ্য একটি বিষয় তেমনি ইসলাম সম্পর্কে না জেনে কেবল আবেগের বশবর্তী হয়ে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটানও দেশ এবং ধর্মের জন্য অকল্যাণকর। সুতরাং এই দুই উগ্রপন্থীদের হাত থেকে বাংলার সাধারণ জনগণকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের। আসুন একজোট হয়ে এই দুই জঙ্গিকেই প্রতিহত করে সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা বাংলার সেই চিরচেনা অসাম্প্রদায়িকতা পূর্ণ বন্ধুবৎসল রূপ ফিরিয়ে আনি

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:১৯

সম্রাট৯০ বলেছেন: আমার মস্তিষ্কের গোলোযোগ আছে একটু তাই আপনার লেখা নিয়ে আমি সঠিক ভাবে মন্তব্য করতে পারবোনা, যখন শান্ত মেজাজে থাকবো তখন করবো,আপনার পোস্ট খুজে পাওয়ার জন্য এই মন্তব্য করে গেলাম।

ধন্যবাদ

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৩৮

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: দুঃখিত মস্তিষ্কের গোলযোগের সংক্রান্ত কোন মন্তব্য আমার লেখাতে আমি রাখি না।
ডিলিট করে দিব যদি তা যৌক্তিক এবং সংগতিপূর্ণ না হয়।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫০

সম্রাট৯০ বলেছেন: না না আপনি আমাকে ভুল বুঝেছেন মান্যজন, আমি আপনার লেখার সমস্যার কথা বলিনি, আমার নিজের মাথায় সমস্যার কথা বলেছি, বলেছি টপিকটা গুরুত্বপুর্ন,আমাকে একটু শান্ত মেজাজে বলতে হবে, তখন আসলেই একটু অস্থিরতা ছিলো, আপাতত নেই, এখন যেতে হবে ভাই, পরে কথা হবে এই বিষয়ের উপর।

ভালো থাকবেন

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:০২

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
কারন আমি এই ব্লগের গালি গালাজ সম্পন্ন কথা থেকে অনেক কষ্টে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখি।
খারাপ কথা আমার কীবোর্ডে আসে না। তাই কেউ খারাপ ভাষা ব্যাবহার করলে ডিলিট বাদে আর কোন অস্ত্র থাকে না।

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: ফেসবুকেও হিজাববিরোধী লেখাটা চোখে পড়েছে।যারা খুব ধর্মপ্রান তারা হয়ত ধর্মীয় গুরুত্বের ওপড়ই জোর দেয়। তবে যারা খুব বেশি ধার্মিক নয় তাদের প্রতি কিছু কথা আছে। আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে হিজাববিরোধী হন সেটা আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যপার , সেটাকেও ধার্মিকদের কটাক্ষ করার আসলে কোন যুক্তি নেই। কারন অন্যের ইচ্ছা অনিচ্ছায় নাক গলানোর অধিকার কারো নাই। তেমনি একইভাবে যারা হিজাবের বিরোধিতা করে লেখেন তাদের সম্পর্কেও একই কথা। বাংলাদেশ একটি মুসলিম্প্রধান দেশ। সেখানে নারীরা যদি বাসার বাইরে, কর্মক্ষেত্রে হিজাব পড়ে নিজেদের অধিক সুরক্ষিত অনুভব করে, সেখানে আপনার নাক গলানোর কোন অধিকারই নাই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: সহমত

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

বাংলার জামিনদার বলেছেন: হিজাব বলেন আর পর্দা বলেন, সবই মানসিকতার উপর নির্ভর করে, এবং নারী পুরুষ সবারই নিয়ন্ত্রন রাখা জরুরি নিজেদের। মনের মধ্যে হাজারো শয়তানি রেখে বস্তার ভিতর ঢুকে বা ঢুকাইয়া লাভ নাই।

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আল্লাহ্‌ বাঁচাবে।
আর যে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টাই করল না টাকে কীভাবে এসব থেকে রক্ষা করবেন।

মুসলমান হওয়ার প্রথম শর্ত হল মন থেকে ঐ শয়তানী দূর করা। যদি মুসলমানই না হইলেন তাইলে আপনারে হিজাব পড়তে তো বলার কথা না।

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:১৭

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: গতকাল বিডি নিউজের লেখাটি পড়িছি আর ভাবছিলাম, এমন একটা মেয়ে যে হিজাব পরবে কি পরবে না এমন দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে আছে তার ক্ষেত্রে কিরূপ প্রভাব পড়বে!

এমন দ্বিধা দ্বন্দ্বে থাকা মেয়েদের ক্ষেত্রে ঐ লেখাটি লেখকের উদ্দেশ্য সফল করবে। অর্থাৎ মেয়েটি হিজাব থেকে দূরে থাকবে এমনটাই মনে হলো!

এখন ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে একটি লেখাকে যদি কেউ ব্যাক্তি স্বাধীনতা বলে চালিয়ে দিতে চান সেটা নির্বোধের সমর্থন ছাড়া নূন্যতম জ্ঞান সম্পন্ন লোকের সমর্থন থাকতে পারে না!

এমন ভুল ব্যাখ্যার কারনে একজন ফরজ বিধান থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বা যেতে পারে। তাদের ব্যাপারে রাষ্ট্র কি ভুমিকা নিবে তার সুস্পষ্ট বক্তব্য থাকা উচিত! এদের ব্যপারে যদি রাষ্ট্র সঠিক সিদ্ধান্ত নিতো তাহলে উগ্রপন্হার জন্ম হতোনা বলেই মনে হচ্ছে!

২৬ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৪:২১

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ধন্যবাদ
সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.