![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
২০২৫ সাল
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব রুমনের কৃতিত্বে উপজেলার একমাত্র সরকারী বিদ্যালয় ভবনের বীম এবং পিলারে ৩০% মুলিবাঁশ ব্যাবহারের চক্রান্ত ভেস্তে গেছে!
চারদিকে রুমনের প্রশংসা! অপরদিকে এ কাজের ঠিকাদার ক্ষমতাশীন দলের চ্যালা মানিক এ রুমন কমবখতের এমন অপরিনামদর্শী আচরনে যার পর নাই বিরক্ত! অন্য ঠিকাদাররা যেখানে ৪০-৫০% বাঁশ ব্যাবহার করে সেখানে মানিক স্কুল ভবন বলে মাত্র ৩০% বাঁশ ব্যাবহারের মত মহত চিন্তা করল! মানিক এ বিষয়ে পার্টির হাই কমান্ডে একটি যথাবিহিত ব্যবস্থা নিতে জানিয়ে রেখেছে।
পরদিন সকালে রুমন সাহেব তাঁকে ও এস ডি করার কাগজ হাতে পেয়ে অবাক হয়ে গেলেন, এত ভালো একটি কাজের প্রতিদান কি এই? এ ঘটনা জানাজানি হলে উৎসুক জনতা রুমন সাহেবের উপর এ নির্দেশ প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন শুরু করল। এ আন্দোলন এতোটাই তীব্র ছিল যে স্থানীয় সাংসদকে রুমন সাহেবের ও এস ডি হওয়ার আদেশ বাতিলের মুচলেকা দিয়ে আন্দোলন প্রশমিত করতে বাধ্য হন।
৭ দিন পরে রুমন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি চিঠি পান এই মর্মে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে দেখা করতে বলেছেন। রুমন সাহেব তো মনে মনে বেজায় খুশি, এই বুঝি সততার জন্য বিশাল কিছু পুরুস্কার পেতে যাচ্ছেন!
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এসে উনাকে পেলেন না। উনি জরুরি কাজে বাইরে আছেন। রুমন সাহেব যে মুহূর্তে অপেক্ষা করে দেখা করে যাবেন সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন ঠিক সেই মুহূর্তেই প্রধানমন্ত্রীর এ পি এস জাবেদ সাহেব তাঁকে ওনার রুমে ডেকে পাঠালেন। রুমন সাহেব রুমে ঢুকে বসতে না বসতেই উনার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে বললেন পড়তে। রুমন সাহেব নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল! তার বিরুদ্ধে এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে অবহেলার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এর জন্য তাঁকে মনপুরার ইউ এন ও করা হয়েছে। সাথে এই বলে সাবধানও করা হয়েছে যে ওখানে এমন কিছু ঘটলে তাঁকে এর চেয়ে চরম মূল্য দিতে হবে!
অবাক রুমন হলের বড়ভাই জাবেদ সাহেব কে প্রশ্ন করলেন ভাই এ কেমন বিচার! উনি বললেন, হলের ছোট ভাই হওয়াতে এ যাত্রাতে বাঁচিয়ে দিলাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তোমার উপর অনেক রাগান্বিত, তিনি বলেছেন, “বাঁশের ব্যবহার কি এই প্রথম হল? অতীতে আমাদের পূর্ববর্তী সরকারের আমলেও হয়েছে, সুতরাং এটা নতুন কিছু না। বাঁশ দেয়া হয়েছিল, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে, এটা আমাদের এক চলমান ঐতিহ্যের মত!” সুতরাং ভালো চাওতো এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভালো ভাবে চাকুরি কর না হলে পরের বার আমিও কিছু করতে পারব না!
এসব শুনে রুমনের দম বন্ধ হয়ে আসছিল। মারা যাবার উপক্রম হচ্ছিল, আতঙ্কে চিৎকার করে উঠে বসতেই রুমমেট জাবেদ ভাই “বলল কি হয়েছে রুমন? এত রাতে এভাবে চিৎকার করছ কেন? কাল সকালে আমার মধুর ক্যান্টিনে প্রোগ্রাম আছে একটু ঘুমাতে দেও ভাই”। রুমন শান্ত ছেলের মত উঠে টয়লেট থেকে ফ্রেস হয়ে এসে মোবাইলে দিন তারিখ দেখল যে এখন ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ সাল। দেখেই তাঁর মনটা ভালো হয়ে গেল। টেবিলের উপর থেকে সকল বিসিএস এর প্রস্তুতির বই ফেলে ৬ মাস আগে কেনা অযত্নে পরে থাকা জি আর ই এবং টোফেল এর বই গুলো পরিস্কার করে সেখানে রাখল। মনে মনে সে প্রতিজ্ঞা করল যে করেই হোক এই দুঃস্বপ্নের ফলাফল থেকে নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতেই হবে!
বিদ্রঃ গল্প এবং এর চরিত্র সম্পূর্ণ কাল্পনিক এর কিয়দংশও যদি কাহারো জীবনের সাথে নুন্যতম ভাবে মিলে যায় তাহলে লেখক দায়ী নয়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৭
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
এত কিছু বুঝি না মূর্খমানব। বাংলাদেশে এপ্লাই করলে সাক্ষাৎকার পত্র দেয় না অযোগ্য বলে!
তাই মার্কিনমূলকে থাকি
এত জ্ঞান আমাদের আছে নাকি
যে তেনাদের সমালোচনা করব
স্বপ্ন দেখেছিল রুমন, তাই লিখলাম
বাস্তব তো জানে জনগন এবং যোগ্য জনগণ!
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
খাঁজা বাবা বলেছেন: কিছু বলার নাই, খালি চাইয়া দেখেন
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
খাঁজা বাবা বলেছেন: কিছু বলার নাই, খালি চাইয়া দেখেন
০২ রা মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: হুম কি আর করা!!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৪
আখেনাটেন বলেছেন: দেশে যা শুরু হয়েছে ২০২৫ সাল লাগবে না এর অাগেই এগুলো দেখতে হবে হয়তবা।
যে দেশের সর্বোচ্চ পদের অধিকারী প্রশ্ন ফাঁসের মতো জাতির মেরুদণ্ড বিনাশকারী ঘটনাকে তাচ্ছিল্য সহকারে উড়িয়ে দিতে পারে, সে দেশে শুধু স্কুলে ৩০% মূলীবাঁশ নয় আরো অনেক জায়গায় বাঁশের অপেক্ষা করুন।
ছোটকালে হামবড়া টাইপ কিছু করলে সিনিয়ররা একটা কথা বলত, 'উঁইপোকার মুখ ডাটি' (শক্ত)। এই বিশেষ পোকার মুখটাই শক্ত যা কেটে টেটে একাকার করতে পারে। কিন্তু এর পেছনের দিকটা ততটাই নরম ও ফ্রাজাইল। দেশের নাজুক অবস্থা দেখে এখন তাই মনে হচ্ছে।
কালকের ঐ বক্তব্য শুনার পর নিজেকে ধিক্কার দিতে ইচ্ছে করছে। এ দেশের ইনারাই শাসক। জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ইনাদের বিন্দু পরিমাণ অাগ্রহ নেই। তা না হলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা অতল গহব্বরে পতিত হওয়া দেখেও কীভাবে এভাবে বলতে পারে?