![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন ক্লাস ৬ এ পড়ি। বলাবাহুল্য , তখন বিভিন্ন পন্ডিত ব্যাক্তিদের উক্তি সহজ়ে নম্বর পাওয়ার একটি ভাল উপায় হিসেবে বিবেচিত হত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে উপরের ক্লাসের বই থেকে সংগ্রহ করা এসব উক্তি ছিল অনেকটা দাত ভাঙ্গা ধরনের যা আমার মত দূর্বল ছাত্রদের জন্য অসুবিধাজনক । তাই বাধ্য হয়ে নিজেই দার্শনিক নির্মানে নেমে গেলাম আর তখনকার জনপ্রিয় ইংরেজী ধারাবাহিকের জনপ্রিয় চরিত্রগুলোকে দার্শনিকের স্থানে বসিয়ে দিলাম!! বলাবাহুল্য, এতে হীতে-বিপরীত হয়েছিল!
যা হোক , আমি দমবার পাত্র নই; পরেরপবার শুধু মণীষীদের নামগুলো ভালভাবে মুখস্থ করে , তাদের কথার কাছাকাছি কথা লিখে চালিয়ে দিলাম! এবার বেশ ভাল ফল পেলাম ।
কিছু দিন আগে এক বিদেশী পত্রিকায় অনেকটা একই ধরনের লিখা দেখে বেশ মজা পেয়েছিলাম। লিখাটি যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছে যে, অহরহ শুনা যায় এমন অনেক উক্তিই আসলে সে সকল মনীষীদের বলা কথা নয়!! অথচ , অনেক বিখ্যাত লেখকও তাদের লিখায় নাম উল্লেখ করে সেসকল উক্তি লিখে থাকেন! যেমন " ২০ বছরে কেউ যদি সমাজতন্ত্রী না হয় তা হলে বুঝতে হবে তার হৃদয় নেই ; আর ৩০ এর পর যদি কেউ রক্ষণশীল না হয় তাহলে বুঝতে হবে তার বুদ্ধি নেই" কথাটি যে চার্চিল বলেন নি , তা সেই দিন জানলাম।কে , কখন, কি উদ্দেশ্যে এগুলো বলেছিলেন সেগুলো জানা জরুরী।
এর পেছনে আমাদের সমাজের সৃষ্ট বাস্তবতার একটা মিল দেখতে পাই। আমাদের সমাজের সৃষ্ট রীতি-নীতি তথা সমাজ কাঠামো কতগুলো নিয়ম-নীতি ও বাস্তবতার সমষ্টি। এগুলোর অনেকগুলোই গড়ে উঠেছে কতগুলো বাহ্যিক কাঠামোর ভিতর দিয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে , এগুলো কি সত্য-সত্যই যুক্তির বিচারে উত্তীর্ণ ; নাকি সমাজের কিছু অংশ নিজের উদ্দেশ্যকে সমনে রেখে এগুলোকে নির্মাণ করেছ? একটা , উদাহরণ দেয়া যেতে পারে; সেটি হচ্ছে সুদ বিষয়ক জটিলতা। বাইবেলে , সুদকে অবৈধ বলা হলেও পরবর্তীতে বাইবেলের ব্যাখ্যায় একে সিদ্ধ বলে মতামত দিয়েছেন। এমন অনেক ক্ষেত্রেই ব্যাপারটি সত্য। আমরা আসলে সেটাই জানতে চাই, যা আমরা জানতে ভালবাসি এবং নিজের জানাটাকে অন্যেকে জানাতে এবং বিশ্বাস করাতে চাই, যাতে করে আমরা সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে পারি .
©somewhere in net ltd.