![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অজ্ঞান ছিলাম ৪ ঘন্টার মত । চোখ খুলে দেখি এক বড়সড় ঘরে আমি সহ আরো ১০ । সবাই অজ্ঞান কিংবা মাত্র জ্ঞান ফিরেছে এমন। এর মধ্যে আমার অবস্থা সবচেয়ে ভাল। আশ্চর্যের বিষয় অনেক চেষ্টার পরও মুখ দিয়ে কেন যেন শব্দ বের হয় না। পাশে ছিল এক আশি বছরের বৃদ্ধ । বেচারা একসময় বেশ প্রভাবশালী ছিল বোঝা যায়; কিছুক্ষণ পরপর এটাসেটা আবলতাবল হুকুম দিয়ে যাচ্ছেন আবার একটু পরপর জোরে জোরে খোদার নাম জপছেন। বেশ ভালই বিনোদন ছিল। এক নতুন বাচ্চা কিছুক্ষণ রপর তার অস্তিত্ত জানান দিচ্ছিল। সেখা্্নকার সেবা কর্মীদের কাছে এসব নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার; তার তারা খুনসুটিতে ব্যাস্ত। আসলেই ৭০০ কোটি মানুষের এই জগৎতে প্রতিদিন কিছু মানুষ মারা যাবে, মরার আগে কিছুদিন হাসপাতাল ঘুরে যাবে সেটা খুবই সাধারণ ঘটনা। তবে, যারা চলে যাচ্ছে সেসকল ব্যাক্তি বিশেষের জন্য এটি বিশেষ কিছু হয়ত। কিছুদিন বিছানায় থাকতে থাকতে রীতিমত অসুস্থবোধ করছিলাম। কাল মধ্যরাতে শুরু হলো প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি। কঁাচের জানালার ওপাশে বিছানায় বসে ঝড় দেখছিলাম। বাতাসের ঝাপটা ক্ষণে-ক্ষণে যেন জানালাকে উড়িয়ে নিতে চাচ্ছে আর একটু পর পর পানির ঝাপটা যেন বিক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলছে বেরিয়ে আয় এই প্রলয় শিখায় , বজ্রধ্বনির প্রচন্ড আওয়াজ আমাকে ডাকছে এক অনাগত যুদ্ধের পানে। কিন্তু আমি নির্বিকার , নিশ্চুপ , রাত্রিগ্রস্ত এক যুবক। অচিরেই যে হারিয়ে যাবে কিছু নাম না জানা পথিকের ভীড়ে। অনাগত সূর্যোদয় কিছু নির্বিষ অন্ধকারকে মুছে দিবে এর চেয়ে বেশী কিছু চাওয়ার শক্তি তার নেই । মধ্যবিত্তের ঘূর্ণনে থেকে কালের ধুলোয় হারিয়ে যাওয়াই তার অমেঘ পরিণতি। যাবার আগে হয়তো হাসপাতালের এই একই বিছানায় মিলবে কিছু অখণ্ড অবসর। ১০ কিংবা ১২ জনের মাঝ থেকে একটি লোকের চলে যাওয়া , একটি সংখ্যার পরিবর্তন ছাড়া কী খুব বেশী কিছু।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
world of Tranquility বলেছেন: অনেকটা তাই। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা হয়তো মৃত্যুকে নিশ্চিত করবার জন্যই বেঁচে থাকি। অনেকে চেষ্টা করেও অনেকেরই মৃত্যকে অতিক্রম করা হয়ে ওঠে না।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রকৃতির নিয়ম
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩৪
world of Tranquility বলেছেন: নিষ্টুর, নির্মম, সত্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
বিজন রয় বলেছেন: জীবন আর মৃত্যু।