![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিকে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা পৃথিবীর বাইরেও যে মানুষের মতো অন্য কোনো প্রজাতি রয়েছে সেই রহস্য উদঘাটনে হাবুডুবু খাচ্ছে। অপরদিকে আরেকদল মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর জিনের সংমিশ্রণে আলাদা নতুন একটি প্রজাতি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন। সত্যিই মানুষের চিন্তাধারার কোনো সীমা নেই।
কি এই গবেষণা?
তারা যেই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করছে তা হলো – মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী যেমন – কুকুর, বানর কিংবা অন্য কোনো প্রাণীর ডিএনএ – এর সাথে মানুষের ডিএনএ – মিশিয়ে দুই প্রজাতির সংমিশ্রণে নতুন একটি প্রজাতি তৈরি করা। তারা যদি এই গবেষণা অব্যাহত রাখেন তাহলে ভবিষ্যতে মানুষ ও পশুর পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি গোত্রের প্রাণীর সম্ভাবনা অমূলক নয়। কেমন হবে তারা? বুদ্ধিমান নাকি গাধা টাইপের তা ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা বিজ্ঞানীদের হাতে।এটা মানুষের জন্য ভালো হবে নাকি মন্দ? ভীতিকর নাকি আশাপ্রদ, এ নিয়ে সম্ভাবনা ও সংশয় থেকে যাচ্ছে।
নৈতিক বাঁধা:
অবশ্যই এই ধরনের কোনো কাজে নৈতিক বাঁধা থাকে। তবে প্রকাশ্যে এই গবেষণায় নৈতিকভাবে বাঁধা থাকায় অনেকেই গোপনে এই গবেষণাটি চালিয়ে যাচ্ছে।
অনেকে প্রকাশ্যেই চালাচ্ছে গবেষণা:
এখন প্রকাশ্যেই জাপানের গবেষকেরা প্রাণীদেহে মানুষের অঙ্গ তৈরির বিষয়টি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। জাপানের গবেষকেরা মানুষ ও প্রাণীর জিন ব্যবহার করে নতুন একধরনের ভ্রূণ তৈরি করতে চান।এটাকে বলে ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ নিয়ে গবেষণা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ তৈরির এমন একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যাতে প্রাণীর ভ্রূণের সঙ্গে মানুষের স্টেম সেল স্থাপন করা হয়।
এর স্বপক্ষে বিজ্ঞানীদের মতামত:
জাপানিরা বলছেন যে, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরিতে কাজে লাগানোর জন্য গবেষণা করতে চান তাঁরা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, এতে করে প্রাণীর শরীরে ‘মানুষ ও পশুর হাইব্রিড’ তৈরি হবে, যা থেকে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অঙ্গ পাওয়া যাবে।
যেভাবে উৎপন্ন করা হবে তৃতীয় প্রজাতি:
গবেষকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মানুষ ও প্রাণীর মিশ্রিত ভ্রূণ গর্ভাশয়ে স্থাপনের পর স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করে হাইব্রিড প্রাণী। এরপর সেই হাইব্রিড প্রাণীদেহে উৎপাদিত অঙ্গটি সংগ্রহ করবেন গবেষকেরা এবং মানুষের শরীরে তা প্রতিস্থাপন করবেন।
বৈধতার বিষয়:
এখন পর্যন্ত ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ তৈরির বিষয়টি বৈধ; তবে কোনো প্রাণীর গর্ভে তা স্থাপন করার বিষয়টি বৈধ নয়। জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে। জাপানের গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা অনুমোদন পেলে এক বছরের মধ্যেই প্রাণীদেহে মানুষের অঙ্গ তৈরির বিষয়ে সাফল্য পাবেন।
সফলতা:
আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস একটি সাড়াজাগানো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল; যাতে বলা হয়েছিল, দেশটির গবেষকেরা মানুষের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী পরীক্ষাগারে জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। সিমেরিক এমব্রায়ো তৈরির গবেষণার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যেই আইন মানা হয়েছিল। গবেষকেরা এ সময় পশুর ডিম্বাণুর সঙ্গে মানুষের শুক্রাণু মিলিয়ে তৈরি করেন ‘সাইব্রিড’। এই সাইব্রিড যদি কখনও পরীক্ষাগার ছেড়ে উন্মুক্ত পৃথিবীতে এসে পড়ে তবে তাঁরা হবে অদ্ভুত এক প্রাণী।
মানবজাতির ভবিষ্যৎ ত্রাস:
মানুষ ও পশুর ভ্রূণ তৈরির বিষয়টি সব সময় বিতর্ক তৈরি করেছে, নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা নৈতিকতার প্রশ্নে গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে পারেননি। এ রকম দুটি গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে মানুষের শুক্রাণু বা ডিম্বাণুধারী কোনো হাইব্রিড ও মানুষের মস্তিষ্ক বা বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সাইব্রিড। হয়তো কোনো গোপন গবেষণাগারে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মানুষের ডিএনএর সঙ্গে অন্য কোনো প্রাণীর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন কোনো প্রাণী তৈরির প্রচেষ্টা। নিশ্চয় বায়োটেকনোলজির সাহায্যে মানুষের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী তৈরির বিষয়টি গা ছমছমে এক বিষয়। ভয় বা আশঙ্কা কোনো ‘ফ্রাংকেনস্টাইনের’ (দানবের নাম)। একদিন আমাদের সঙ্গে কারা সহবস্থান করবে তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ভয়। কোনো এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন, এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে ভয় নেই, আমাদের মধ্যেই এলিয়েন আছে তাকে নিয়েই ভয়। কর্পোরেট কোনো প্রতিষ্ঠানের গোপন অন্ধকার কুঠুরি থেকে একদিন হয়তো সূর্যের আলোয় বেরিয়ে পড়বে উড়ুক্কু মানুষ, চারপেয়ে মানুষ, কুকুরের মত দেহ কিন্তু প্রজননক্ষমতা মানুষের মতো। ভয়ের নাকি সম্ভাবনার?
বিশ্বাস করুন, আর নাই করুন, ওরা আসছেই! ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান নয়, এরপর মানবজাতিকে পঙ্গু করতে আসছে নতুন ত্রাস! হাইব্রিড ও সাইব্রিড!
আরও দেখতে পারেন:
* লেক ন্যাট্রন: ভয়ংকর এক লেক
* অদ্ভুত ঘটনা: একসাথে হারিয়ে গেলো পুরো গ্রামবাসী
* জাটিঙ্গা: এ যেনো পাখিদের মৃত্যুপুরী
* অউকিগাহারা: এ যেনো এক আত্মহত্যার অভয়ারন্য
* চেয়ার অব ডেথ: যে বসবে সেই মারা যাবে
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮
এইচ তালুকদার বলেছেন: আমার মতে এই ধরনের গবেষনার অগ্রগতির মধ্যেই মানব সভ্যতার ভবিষ্যত নির্ভর করছে।