![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। কিন্তু এই ঈদের আরও অনেক মানে রয়েছে। যেমন - বাড়তি ভাড়া দিয়ে অসহনীয় দুর্ভোগ সহ্য করে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া, এর পাশাপাশি চুরি-ছিনতাইয়ের এর মতো ঘটনার শিকার হওয়া। আর ভাগ্য যদি অতিরিক্ত ভালো হয় তাহলে সব সম্ভবের এই পৃথিবী (বাংলাদেশ) থেকে চিরতরে বিদায় নিয়ে পরপারে চলে যাওয়া।
প্রতিবছর বিশেষত ঈদের সময় সড়ক ও নৌ পথে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বছরের পর বছর ধরে এরকমটিই চলে আসছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই। দুর্ঘটনা ঘটার পর কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র শোক প্রকাশের মধ্যেই তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সীমাবদ্ধ রাখেন। মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় লঞ্চডুবিতে যে মানুষগুলো মারা গিয়েছে তারা সবাই পরিবার-পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শহর ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিলো। পরিবার-পরিজন ছেড়ে শহরে ফিরতে মন না চাইলেও জীবিকার টানে তারা ফিরতে বাধ্য হয়। এই পরিবারগুলো কি আর কোনোদিন স্বাভাবিকভাবে ঈদের আনন্দ করতে পারবে? এ ধরনের ঘটনাগুলো কর্তৃপক্ষের মনের দরজায় কড়া নাড়া দিতে না পারলেও আমাদের মত সাধারণ মানুষদের মনের কড়া ঠিকই নাড়া দেয়। আর তখনই মনে মনে ভাবি কোনো একদিন হয়তোবা আমিও এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হবো।
আমি নিজে এই রুটের যাত্রী ছিলাম। মাওয়া ঘাট ও কাওড়াকান্দি দুই ঘাটেই পুলিশের নাকের ডগায় লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছিল। অথচ তাদেরকে ঘাটে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল যাতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা না হয় এবং অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চগুলো বহন করতে না পারে।
কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে থেকে আমাদের কোনো লাভ নেই। আমাদের নিজেদেরকেই যতটা সম্ভব সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। তবে কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন, যেনো মৃতদেহগুলো স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করা হয়।
নিহতদের স্বজনদের স্বান্তনা দেওয়ার কোনো ভাষাই আমাদের নেই। কোনো ভাষার স্বান্তনাই তাদের প্রিয়জন হারানোর ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারবে না। মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট প্রার্থনা করি – তিনি যেনো এসকল পরিবারগুলোকে এই শোক সইবার শক্তি দান করেন।
©somewhere in net ltd.