নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে বৃহত্তর কুমিল্লার সংবাদ জানতে ভিজিট করুন www.comillardak.com এ ।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূমি মন্ত্রনালয়ের চিঠির খবর জানতেন না মন্ত্রী কুমিল্লায় দীপিকা ও দীপালী সিনেমা হল ভাঙ্গার চেষ্টা: জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে মহানগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় সরকার থেকে বন্দোবস্ত নেয়া সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত দীপিকা ও দীপালী সিনেমা হল ভাঙ্গার চেষ্টাকালে তা বন্ধ করে দিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। শুক্রবার সকালে সরকার থেকে বন্দোবস্তো নেয়া দেলোয়ার থিয়েটারের লোকজন সিনেমা হলের পেছনের দিকে ভবন ভাঙ্গার কাজ কাজ শুরু করলে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এনডিসি মো: জাকির হোসেন, আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভবন ভাঙ্গার কাজ বন্ধ করে দেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৩ সালে কুমিল্লা মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় এলাকায় ২৪২ নং ছোটরা মৌজার ২৬৯ খতিয়ানভুক্ত ১২৯৮, ১২৯৯, ১২৯৬, ১৩০০ দাগের ৬৩ শতাংশ সরকারি সম্পত্তিতে সিনেমা হল ও হোটেল নির্মাণের জন্য মেসার্স দেলোয়ার থিয়েটার এন্ড এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী অবসরপাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বন্দোবস্তের আবেদন করলে শহরবাসীর বিনোদনের জন্য শতর্ সাপেক্ষে ওই ৬৩ শতাংশ সম্পত্তি বরাদ্দ দেয়া হয়। বর্তমানে ওই স্থানে দীপিকা দীপালী নামের দুটি সিনেমা হল, হোটেল, ব্যাংক, কালার ল্যাবসহ ছোট-বড় ২৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু বিগত ২০১১ সালে প্রায় শত কোটি টাকার ওই সরকারি সম্পত্তিতে লিজের শর্ত উপেক্ষা করে সেখানে ২৪ তলা বিশিষ্ট ভবনে আধুনিক সিনেমা হল, হোটেল , আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য ঢাকার একটি হাউজিং কোম্পানীর সাথে দেলোয়ার থিয়েটার কর্তৃপক্ষ চুক্তি সম্পাদন করে সেখানে ডিজিটাল সাইন বোর্ড টানিয়ে দেয়। পরে ২০১১ সালের ১৫ জুন দেলোয়ার থিয়েটারের ম্যানেজার অহিদুর রহমান কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বরাবরে ওই মূল্যবান ভূমি বন্দোবস্তের আবেদন করলে এ নিয়ে প্রশাসন ও মিডিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করে। লিজের শর্তে শুধুমাত্র ‘সিনেমা হল ও হোটেল’ থাকায় ওই আবেদন সরাসরি নাকচ করে দেন জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল আহসান। কিন্তু পরে দেলোয়ার থিয়েটার কর্তৃপক্ষ পূনরায় ভূমি মন্ত্রনালয়ে আবেদন করলে ওই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীকে পাশ কাটিয়ে সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধমে চলতি বছরের ১০ জুলাই আধুনিক সিনেমা কমপ্লেক্স তৈরী ও বাণিজ্যিক ভবনের জন্য অনুমতি দেন। কিন্তু এ চিঠি পেয়ে পূনরায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সরকারি ওই মূল্যবান সম্পত্তি রক্ষায় আবারো তৎপর হয়ে উঠে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে মন্ত্রনালয়ে যোগায়োগ করা হলে ভূমি মন্ত্রী ভূমি মন্ত্রনালয় থেকে প্রেরিত পত্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসককে টেলিফোনে নির্দেশ দেন। সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল আহসান মন্ত্রীর নির্দেশের উদ্ধৃতি দিয়ে মেসার্স দেলোয়ার থিয়েটারকে ভূমি মন্ত্রনালয়ের চিঠির আলোকে কোন কার্যক্রম গ্রহন না করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেন। কিন্তু জেলা প্রশাসনের এ নির্দেশের পরও শুক্রবার সকালে দেলোয়ার থিয়েটারের লোকজন ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। এতে খবর পেয়ে ম্যাজিষ্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ভবন ভাঙ্গার কাজ বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল আহসান জানান, মাননীয় ভূমি মন্ত্রীর নির্দেশেই আমি চিঠির মাধ্যমে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে দেলোয়ার থিয়েটার কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলাম, কিন্তু এর পরও তারা শুক্রবার ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করে,তাই পুলিশ -ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ভবন ভাঙ্গার কার্যকম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

০৬১১-০০৮৪৬৯

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: উত্তম কাজ
আইনি ভাবে সুরাহা হলে ভেজালের কোন আশংকা থাকবেনা ।

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাকে লেখার উৎসাহ দেয়ার জন্য আল্লাহ আপনার সহায় হউক আমিন

৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১১

সরল মানুষ৭ বলেছেন: ভাই মোবইল নাম্বারটা কার?

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন: ভাই আমার দুলা ভাই এর নাম্বার আমার মোবাইল হারানোর কারনে দিছিলাম আমার নাম্বার ০১৬১১-০০৮৪৬৯

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.