নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে বৃহত্তর কুমিল্লার সংবাদ জানতে ভিজিট করুন www.comillardak.com এ ।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

তীব্র শীত ও শৈত প্রবাহে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহালেও শীতবস্ত্র বিতরণে কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এনজিওগুলো

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

তীব্র শীত ও শৈত প্রবাহে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহালেও শীতবস্ত্র বিতরণে কোন উদ্যোগই গ্রহণ করেনি বিদেশি সাহায্যপুষ্ট এনজিওগুলো। এদিকে, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে দুইটি এনজিও শীতবস্ত্র বিতরণের অনুমোদন নিলেও দাতা সংস্থা টাকা দিচ্ছে না এমন অজুহাতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেনি একটি এনজিও। চলতি অর্থ বছরের নভেম্বর পর্যন্ত এনজিও ব্যুরোর মাধ্যমে বিভিন্ন এনজিও এক হাজার ৭ শ’ ৬০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বৈদেশিক সহায়তা ছাড় করালেও শীতার্ত মানুষের পাশে কোন সংগঠনই না দাঁড়ানোর কারণে হতবাক হয়েছেন এনজিও ব্যুরোর কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর কোন আগ্রহই দেখাচ্ছে না এনজিওগুলো।



এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. নুরুন্নবী তালুকদার জানান, এবার শীতকবলিত এলাকার মানুষদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য অনুমোদন চেয়ে তাদের কাছ আবেদন করেছে মাত্র দুটি এনজিও। মুসলিম এইড ইউকে এনজিও-কে গত রবিবার এবং পার্ল নামে একটি এনজিওকে কয়েক দিন আগে শীত বস্ত্র বিতরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পার্ল এনজিও চট্টগ্রামে শীত বস্ত্র বিতরণের অনুমোদন নিলেও দাতা সংস্থা তাদের টাকা দেয়নি এমন অজুহাতে শীতবস্ত্র বিতরণ করেনি। তিনি বলেন, শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এনজিওগুলোকে আহ্বান জানিয়েও কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।



সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে এনজিও ব্যুরাতে নিবন্ধিত এনজিওর সংখ্যা আড়াই হাজারেরও বেশি। এনজিওগুলো বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা তহবিল আনলেও স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ তুলনামূলকভাবে অলাভজনক খাতে তারা প্রাপ্য অর্থ খরচ করতে চায় না। বড় এনজিওগুলো ব্যাংক, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ঋণদান কর্মসূচি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে তাদের টাকা ব্যয় করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে দুর্যোগ বা দুর্যোগোত্তর ত্রাণ কার্যক্রমে অসহায় ও গরীব মানুষদের সাহায্য করার প্রবণতা এনজিওগুলোর মধ্যে কমছে ।



এনজিও ব্যুরোর কর্মকর্তারা জানান, বন্যা, ঘুর্নিঝড়, খরা প্রভৃতি প্রাকৃতিক ও দুর্যোগের সময় বা দুর্যোগোত্তর সময়ে বৈদেশিক সাহায্যের মাধ্যমে ত্রাণকার্য পরিচালনা করতে হলে সংশ্লিষ্ট এনজিওকে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে ত্রাণ কর্মসূচি এনজিও ব্যুরোর কাছে পেশ করার পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে অনুলিপি দিতে হয়। এনজিও’র কাছ থেকে প্রস্তাবিত ত্রাণ কর্মসূচি বা প্রকল্প প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে এনজিও ব্যুরো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে সংশ্লিষ্ট এনজিও, মন্ত্রণালয় এবং বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করবে। এ ছাড়া প্রকল্প অনুমোদনের ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রা বা সামগ্রী অবমুক্তির আদেশ জারি করবে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। শুধু তাই নয়, যেকোন ত্রাণ বা সাহায্য প্রদানের ক্ষেত্রে প্রকল্প বা কর্মসূচি দ্রুত অনুমোদনের ব্যবস্থা করাও হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.