নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম। বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে বৃহত্তর কুমিল্লার সংবাদ জানতে ভিজিট করুন www.comillardak.com এ ।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুমিল্লা জেলায় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শত শত অসুস্থ শিশু

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে শত শত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জেলার কুমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে দুপুর থেকে অসুস্থ শিশু ভর্তি হচ্ছে। শিশু অসুস্থতার হার দ্রুতগতিতে বাড়ছে। অভিভাবকমহল পড়েছে বিপাকে।



সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্কুলে হাসপাতাল কর্তৃপ ও প্রাইমারী স্কুলের শিকদের নিয়ে গঠিত টিম ৫ বছরের নিচে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ায়। ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর ৪/৫ ঘন্টা পর পরই শিশুদের বমি ও খিচুনি এবং পেটে ব্যাথাসহ উৎবেগ শুরু হয়।



সূত্রমতে, কুমেক হাসপাতালে ৩৫ জন শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হাসপাতালে পর্যাপ্ত সিটের ব্যবস্থা না থাকায় শত শত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বিদায় করা হচ্ছে।



কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুরা হচ্ছে, খাদিজা আক্তার (৫), নুসরাত (৪), নাজমুল (২২ মাস), মেহেদী হাসান(২),মারিয়া (৪), ওসমান গণি(২), রাফি(১৮ মাস), হাবিব(২), রাকিব(৪), মীম(২), সজীব(৪), ফয়সল(২), শাহপরান(৪৩ দিন), ফারুখ (২), জোবায়ের(৪), আব্দুল্লাহ(৩), শিপন(৪), বিনতি(৩), সামিয়া(২), জুনায়েত (৩), মুনতাহা(৪), মেহেদী হাসান(৪), রাখি(৩), শাওন (২) তানিম(দেড় বছর), সাব্বির (২২ মাস), তাছপিয়া (২৫ মাস)।

দুপুর ২টা থেকে হাসপাতালগুলোতে শত শত অসুস্থ শিশু আসতে শুরু করে। রাত সাড়ে ১০ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হাসপাতালে অসুস্থ শিশু ভর্তি হচ্ছে।



রাত সাড়ে ৯টায় কুমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে সরেজমিনে পরিদর্শন করে রোগীর অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ঔষুধ খাওয়ার ২/৩ ঘন্টার মধ্যে শিশু গুলো বমি করা শুরু করে, অনেক শিশু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায় আবার অনেকে অচেতন হয়ে যায়, কেউবা পেটে ব্যথা অনুভব করে।



সদর দণি উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার ২২ মাস বয়সী নাজমুলের মাতা তাহমিনা জানান, আমার বাচ্ছাকে কৃমি ও ভিটামিন দুটো ঔষুধই খাওয়ানো হয়েছে। বমি করতে করতে সে এখন অচেতন হয়ে আছে।



কুমেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ডাক্তার কাইয়ূম জানান, এ পর্যন্ত ৩৫ জন শিশু অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছে। যেসব শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে, তারা ঘনঘন বমি করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আর যারা ভিটামিন ক্যাপসুল খেয়েছে তারা অচেতন হয়ে ভর্তি হয়েছে। কেন এমন হচ্ছে এর উত্তর না দিয়ে তিনি পাশ কাটিয়ে যান।

কুমিল্লা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী মুঠোফোনে জানান, এগুলো গুজব। আর খালি পেটে খেলে এমন সমস্যা হতেই পারে। এ নিয়ে দুঃচিন্তার কিছু নেই। আর কোন মেয়াদ উর্ত্তীন ঔষূদ খাওয়ানো হয়নি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪১

কলাবাগান১ বলেছেন: এই ব্লগ টি দেখুন.। সঠিক তথ্যের জন্য

Click This Link

"হাইপারভিটামিনোসিস" কি শুধু ভারতে উৎপাদিত ক্যাপসুলে হবে??? নাকি যে কোন ক্যাপসুলে হবে?

জামাতিরা তো গুজব ছড়াচ্ছে যে সরকার ইচ্ছা করে ভারতীয় ঔষুধ খাওয়াচ্ছে 'ষড়যন্ত্র' করে

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

দূর্যোধন বলেছেন: শাহপরান(৪৩ দিন)


এই শিশুকে কোন নিয়মে ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে ? সুত্র উল্লেখ করেন ।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

বিডি আমিনুর বলেছেন: এই ব্যাপারে কঠিন ভাবে তদন্ত করা হোক এবং দল, মত নির্বিশেষে সকলে দুষিদের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করা উচিৎ ।

৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৪৩

সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে , তাহলে এখনই জরুরি ভিত্তিতে সবগুলা ক্যাপ বন্ধ করে ঐ ঔষুধ গুলা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠান উচিত ,
আর ভিটামিন এ ক্যাপসুল কি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়না ?
আমি যতদুর জানি , ভারতের থেকে বাংলাদেশের ঔষুধের মান অনেক ভাল ,,,
তাহলে কেন বা কার স্বার্থে ভারত থেকে ঔষুধ আমদানি করা হল ???

৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন: যারা এমন ঘটনাকে ঘুজব বলে চালাচ্ছেন আমি তাদের চ্যালেন্জ করছি আমার কাছে সকল অভিভাবকের বক্তব্য এর ভিডিও ফুটেজ আছে । কি পাইছেন দেশটাকে সব জামাত-শিবিরের কাজ বলে চালিয়ে যাচ্ছে । আমাকে খজতে হবে না ফোন দিলে চলে আসবো +৮৮০১৬১১-০০৮৪৬৯

৬| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

ব্লাক উড বলেছেন: ভিটামিন ‘এ’ খেয়ে নড়াইলে ৩০ শিশু অসুস্থ

নড়াইল প্রতিনিধি | তারিখ: ১৪-০৩-২০১৩

৩ মন্তব্যপ্রিন্ট
ShareThis





« আগের সংবাদ

নড়াইলে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খেয়ে ৩০ জন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ১৫ জনকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া ১০ জন শিশু প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছে।
অসুস্থ শিশুরা হলো লোহাগড়া উপজেলার বাঁকা গ্রামের ইকবাল শেখের মেয়ে ইমা (বয়স ২৬ মাস), মাইগ্রামের জব্বার শেখের ছেলে নাফিস (১৭ মাস), ঈশানগাতী গ্রামের জুনায়েদ (১৪ মাস), লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজপুরের অধরা (পাঁচ মাস) ও শাওন (তিন মাস)। তাদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নড়াইল সদর হাসপাতালে ১৫ জন শিশুকে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি বিভাগ থেকে আরও ১০ জন শিশু চিকিত্সা নিয়েছে। বিভিন্ন ক্লিনিকে এবং বাসাবাড়িতেও অনেক শিশুকে চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকেরা জানান, গত মঙ্গলবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর থেকে শিশুদের মাঝে বিভিন্ন অস্থিরতা দেখা দেয়। কেউ কেউ বমি করে, কেউবা আবার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। পাতলা পায়খানাসহ স্বাভাবিক খাবারে অনীহা দেখা দেয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এসব অসুস্থ শিশুকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো শিশুকে আবার প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিত্সক মোহাম্মদ শাহীদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সা কর্মকর্তা (আরএমও) চিকিত্সক রোকসানা বিনতে আকবর জানান, এসব শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছে। অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকেরা অভিযোগ করেন, হাসপাতালে গেলে চিকিত্সকেরা বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে দেখছেন না। এমন কি অসুস্থ শিশুদের ভর্তি না করে প্রাথমিক চিকিত্সা দিয়ে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকেরা।

৭| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: সূত্রকি ? X(

৮| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৩

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন: এমন অনেক সংবাদ আছে যা মিডিয়া গুলোকে সরকার চাপ প্রয়োগ করে সত্য প্রকাশ করা থেকে বিরত রেখেছে বলে মনে হয় নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.