![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম
কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তা বিভিন্ন এলাকার চিিহ্নত কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সোর্স এর কাজে ব্যবহার করে অসহায় লোকদের হয়রানী করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানান, নগরীর দনি চর্থা থিরা পুকুর পাড় এলাকার চিিহ্নত ছিনতাই,চাদাঁবাজী,মাদক ব্যবসাসহ একাধিক মামলার আসামী মৃত মানিক মিয়ার ছেলে জুম্মন, ভাগীনা মাসুমসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়োজিত সোর্সরা নগরীর বিভিন্ন এলাকার অসহায় লোকদের কৌশলে আটক করে প্রথমে মোটা অংকের টাকা চাদাঁ দাবী করে, পরে চাদাঁর টাকা পেলে এদের ছেড়ে দেয়া হয়। চাদাঁ দিতে ব্যর্থ হলে আটকে রেখে মাদক বা অস্ত্র দিয়ে ডিবি পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। তখন ডিবি পুলিশও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে পরিবারের লোকজনদের খবর দিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে বলে সূত্র জানায়।
জানা যায়, এই ডিবি পুলিশরা তাদের নিয়োজিত দালালদের নিয়ে সাবেক উপসচিব আবুল কাসেম মিয়ার এস এ এন্টার প্রাইজে বসে এসব অপকর্ম পরিচালনা করেন। জানা যায়, জুম্মন ও মাসুমের এসব কাজে সহযোগিতা করছেন ডিবি পুলিশের এ.এস.আই নাজমুল ও মেহেদী। সূত্র মতে, গত ১৪ মার্চ ঢুলিপাড়া এলাকার স্থানীয় লোকজন তাস খেলার সময় এস আই নাজমুল ওই সোর্সদের নিয়ে স্থানীয়দের আটক করে বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ১৩ জনের নিকট হতে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন, সাবেক উপসচিব আবুল কাসেমসহ আমরা এখানে বসে আড্ডা দেই আর একটু বসে মাঝে মাঝে তাস খেলে সময় কাটাই কিন্তু আমরা কোন প্রকার জুয়া খেলি না। জুয়া খেললেতো আমাদের সাথে টাকা পাইতো বাড়ি থেকে আর টাকা এনে পুলিশের হাত বাচঁতে হয় না। টাকা দিলেন কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয়রা বলেন, পুলিশের সাথে বাড়াবাড়ি করলে কোন ঝামেলায় পড়তে হয় তাই।
এ ব্যাপারে ডিবি’র এস আই নাজমুল বলেন, জুম্মন ও মাসুম এক সময় আমাদের সোর্স ছিল। এখন নেই। গত ১৪ মার্চ এই দুইজনের ফোন পেয়ে আমরা ঢুলীপাড়া এলাকায় একটি রিকসা গ্যারেজে গিয়ে দেখি, সেখানে দিনমজুর ও রিকসাচালকরা তাস খেলছে। কিন্তু আমাদের ফোনে জানানো হয়েছিল সেখানে বড় ব্যবসায়িরা জুয়া খেলছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বিষয়টি মিথ্যা। তাই স্থানীয় এলাকাবাসির সামনে তাদের মাফ করে ছেড়ে এসেছি। অসহায় মানুষদের ধরে চাদাঁ নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা।
©somewhere in net ltd.