![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম
http://www.comillardak.com
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির রাজনৈতিক সকল ধরনের কর্মকান্ড থেকে বেশ কিছুদিন নিজেকে সরিয়ে রাখার পর গত সপ্তাহে শুভাকাঙ্খি ও দলের কিছু নেতা কর্মীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে সভা করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির চলমান রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো: সেলিম।
কুমিল্লার জনপ্রিয় দৈনিক কুমিল্লার ডাক পত্রিকায় প্রকাশিত শাহ মো: সেলিম কুমিল্লা সদর নির্বাচনী এলাকার বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন এমন রিপোর্ট প্রকাশের পর আলোচনার ঝর উঠেছে সকল মহলে। দীর্ঘ ত্যাগ দলের জন্য সময় দেয়ার পরও নিজ দলের নেতা কর্মীদের অগনতান্ত্রিক কর্মকান্ডে উপর ক্ষুব্দ হয়ে অভিমান করে কিছু দিন দলের কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখলেও সঠিক সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরলেন শাহ মো: সেলিম।
নিজ বাড়িতে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সভা করা ও সভার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নিজের ভবিষ্যত রাজনৈতিক আকাংখার কথা খোলাখুলি ভাবেই তুলে ধরেন ‘কুমিল্লার ডাক’র কাছে। জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড় ঝাঁপ প্রকট আকার ধারণ করে। কুমিল্লা সদরও এর ব্যতিক্রম নয়। গত নির্বাচনের আগেও কুমিল্লা থেকে প্রায় ১ ডজন নেতা বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে সর্বোচ্চ লবিং তদবির চালিয়ে যায়। তবে দলের প্রধান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত হাজী আমিন-উর-রশীদ ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেয়। ঐ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এর সাথে পরাজিত হন। এবারও কুমিল্লা সদর-৬ আসন থেকে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, বিএনপি সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং প্রাইভেট মেডিকেল এসাসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ সেলিম, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শফিকুর রহমান শাফি, ব্যাবসায়ী কাউছার জামান বাপ্পি, কন্ঠ শিল্পি আসিফ আকবর, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী আকবর হোসেন এর ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন। এরা সকলে দলীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এ সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লবিং এবং তদবির যতই শক্তিশালী হোক না কেন দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে প্রার্থী সিলেকশন করা হবে এমনটিও ভাবনায় আছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের। এ সকল প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাঁপ তারেক জিয়া অথবা দলের প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তি যার সাথেই হোক না কেন চুড়ান্ত টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সনই মুখ্য বিষয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে সিদ্ধান্ত নিবে দল এরকম আলোচনা হয়েছে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির শেষ সভায়। প্রতিটি আসনে প্রার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়, এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যথেকে প্রায় ৭০ তেকে ৭৫ শতাংশ নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী স্ট্যান্ডিং বডির সুনজরে রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ সেলিম। মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীদের চেয়ে মেধা, যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করা এবং সাংগাঠনিক দক্ষতার জন্য বিবেচনার বিষয়ে মত দিয়েছেন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পর্যবেক্ষক দলের কয়েকজন। অন্য সব প্রার্থীরা দৌঁড়ে এগিয়ে থাকলেও সংসদ নির্বাচনের মত কঠিন চ্যালেঞ্জে তাদের অবস্থান শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এদের মধ্যে গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়া বিএনপির প্রার্থী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন দলের কাছে আলোচনায় আছেন কারণ হিসেবে তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনটি নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যদিও সাংগঠনিক দুর্বলতা ও স্থানীয় না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এর কাছে পরাজিত হন। মনোনয়ন প্রত্যাশার তালিকায় রয়েছেন কাউছার জামান বাপ্পি, তিনি দেশের স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যাবের পরিচালক, তবে বদনামও রয়েছে তার, এক এগারোর পর থেকে কারাগারে থাকা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গং-দের একজন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ভায়রা তিনি। হাওয়া ভবনের অপকর্মের সাথে জড়িত থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অধপতনের জন্যে মামুন গং-দের সাথে তিনি ও সমানভাবে দোষি ফলে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ইমেজ রক্ষার বিষয়ে দলের ব্ল্যাক লিষ্টে থাকবে বাপ্পির নাম।
বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান শফির অবস্থানও নড়বড়ে। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে জন্মলগ্ন থেকে। গত ৫টি নির্বাচনেই তিনি সমানভাবে মনোনয়ন চেয়েছেন কোন বারই কপালে জোটেনি বিএনপির টিকেট, ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যেই তিনি এবারও মনোনয়ন চাইবেন। এরকম হালকা জনপ্রিয়তা দলের মনোনয়নের জন্যে যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করেছেন দলের কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা, শুধু আলোচনায় থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট নিজের পকেটে আনা অনেক কঠিন বলে মনে করেন দলের সিনিয়র নেতারা। বিএনপি থেকে কুমিল্লা সদর-৬ আসনের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তিনিও নানান নাটকীয়তার মধ্যে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। রাজনীতির এই স্বল্প সময়ে গতিপথ পরিবর্তন করেছে বেশ কয়েকবার, আস্থা হারিয়েছে দলের সকল শ্রেনীর নেতাকর্মীদের কাছে। গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছেন, অবস্থান ভালোনা বুঝতে পেরে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এ আসনে নির্বাচন করার দাবি জানান। পরে হাজী ইয়াছিন মনোনয়ন পেলে তার পক্ষে প্রচারণা চালান, ইয়াছিনের সাথেও সু-সম্পর্ক টেকেনি। এখন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাচ্ছেন জোড়ালো ভাবে। আসিফকে নিয়ে অনেকটাই বিভ্রান্ত দলের সাধারণ নেতা কর্মীরা, উদ্ভট আচারণে ক্ষুব্ধ অনেকে। তার বহিঃ প্রকাশ ঘটে ২০১১ সালের ৩১শে জানুয়ারী। আসিফের প্রতি ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আসিফের উপর হামলা চালায়। আলেখারচরের মিয়ামি সভাকক্ষ থেকে নিজের দূর্বলতার জানান দিয়ে বেড়িয়ে আসতে হয়েছিল তাকে। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের বক্তব্য হচ্ছে সঙ্গীতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আসিফ রাজনীতিতে একেবারে আনকোড়া। সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা আর রাজনীতির ভোটের জনপ্রিয়তা এক নয় বলছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আসিফকেও টিকেট প্রাপ্তির হতাশায় ভুগতে হবে।
সঠিক সময়ে যদি ১০ম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লা -৬ থেকে চুড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাহ মোঃ সেলিম ও হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন এ দু’জনই সর্বোচ্চ আলোচনায় থাকবেন এরকমই আভাস বাতাসে ভাসছে। সেক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন মুখের সন্ধানে নেমে কেন্দ্রীয় বডি কুমিল্লা সদর-৬ থেকে যোগ্যতা, সততা আর গ্রহন যোগ্যতায় নতুনের তালিকায় শাহ মোঃ সেলিমই সকলের নজর কাড়বেন এনটি বলছেন অন্য নতুন প্রার্থীরও। সেই সাথে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর মনস্তাত্বিক সমর্থনের সু-বাতাস বইছে শাহ মোঃ সেলিমকে ঘিরে, ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি দলীয় ও ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানে মেয়র সাক্কু ও শাহ সেলিম এক সাথে ছিলেন, ওই অনুষ্টান গুলোতে বিপুল সংখক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিল, যারা শাহ মোঃ সেলিমের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ছিলেন। অন্তরালে থাকার প্রতিশ্রুতিতে মেয়র সাক্কু কাছের এক কর্মী জানালেন তাদের ক্ষোভের কথা, বললেন নতুন প্রার্থী না হলে কুমিল্লা সদরে পরাজয় নিশ্চিৎ হবে বিএনপির প্রার্থীর। জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দলের সমর্থক মাহাবুবুল আলম চপল বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো, তবে শাহ মোঃ সেলিস শিক্ষিত এবং জ্ঞানি হিসেবে পরিচিত ও দলের প্রতিষ্ঠা কালিন সয়ের ত্যাগি নেতা, তিনি মনোনয়ন পেলে ভলো হবে। এই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষন করেছেন ইয়াছিন সমর্থীত জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন- সম্পাদক আতাউর রহমান ছুটি, তিনি জানান, বিগত সময়ে যারা দলের সাথে ছিলেন সংগঠন গুছিয়েছেন এদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে সুবিধা করতে পারবে না, এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন চলমান নেতৃত্বে দল অনেক শক্তিশালি।
তবে দলের ধারাবাহিক কর্মকান্ড তুলে ধরে শক্ত প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে কুমিল্লা জেলা যুব দলের সভাপতি অমিরুজ্জামান আমির, তিনি বলেন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেকেউ দরের মনোনয়ন চাইতে পারে, সেক্ষেত্রে দলের মনোনয়ন কে পাবেন সেটা দল নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, এক এগারোর থেকে দীর্ঘ সময় যারা দলের সাথে ছিল নেত্রী তাদের কথাই বিবেচনায় রাখবেন। তিনি দৃড়তার সাথে ইয়াছিনের মনোনয়ন পাওয়ার কথা বলেন।
তবে যাকে ঘিরে আলোচনা ও সমালোচনার ঝর বইছে তিনি বললেন ভিন্ন কথা, জানালেন জোরালো মতামত। প্রথম প্রশ্নের জবাবে শাহ মোঃ সেলিম ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের মনোনয়ন চাওয়া এবং প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিৎ করলেন, বললেন আমাকে পূর্নমুল্যায়নের সময় হয়েছে, অন্য যে কোন প্রার্থীর চেয়ে নিজেকে যোগ্য বলে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি, বলেন বিএনপির সকল কর্মকান্ডের সাথে আছি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে, শেষ সময় গুলোতে দল আমার তেমন ভাবে খোজ খবর নেয়নি, তবে এখন সময় হয়েছে, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। সুযোগ সন্ধানী বলে অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশেনর জবাবে সেলিম বলেন, দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে চেনেন জানেন, আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে অবগত আছেন তিনি। দীর্র্ঘ দিন ধরে এই বিএনপিকে গুছিয়েছি এখন সুযোগ সন্ধানীরাই দলের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন, তিনি বলেন রাজার বাড়ির রাজনীতি এখন সেই জায়গায় নেই, আন্দোলন সংগ্রামে কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপিকে পুরোপুরি ব্যার্থ বললেন তিনি, দলের বঞ্চিত ও অবহেলিত নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার কাজে ব্যাস্ত রয়েছে বলে তিনি জানালেন, বর্তমান কমিটিকে মেয়াদোতীর্ন বলে জেলা কমিটি পূর্নগঠনের দাবি জানান শাহ মোঃ সেলিম। শেষ প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন দল মনোনয়ন দিলে আমার জয় নিশ্চিৎ হবে, সেই সাথে কুমিল্লা সদর-৬ আসনে দীর্ঘ সময়ের দক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করার নিজের অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
রাজনীতির নয় ছয় হিসেবে কষে দলের প্রয়োজনে প্রয়োজনিয় কথাটিই বলতে চেষ্টা করেন নেতারা। শাহ মোঃ সেলিম বিএনপির মনোনয়ন চান এমন কথার প্রতিউত্তরে আমি উর রশিদ ইয়াছিন প্রথমেই বললেন তিনি দলের কেউ না। কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি করার সময় সেচ্ছায় দল থেকে চলে গিয়েছেন তিনি। মনোনয়ন চাইতেই পারেন, এটা উনার ব্যাক্তি গত ব্যাপার। অন্য প্রশ্ন করার অগেই আমি উর রশিদ ইয়াছিন বলেন এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।
চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে মনোনয়ন প্রত্যাশি নিয়ে ও প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপির সাংগঠনিক টিম গুলোও তাদের কাজ এগিয়ে রেখেছেন। গত আগষ্ট থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ৫৬ টিম সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। প্রতিটি জেলার রিপোর্টও জমা দিয়েছেন কেন্দ্রর কাছে। ওই সফরে কুমিল্লা দক্ষিন জেলার দায়ীত্ব সাংগঠানিক সফর করেন কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লা আল নোমান ও বরকত উল্লা বুলু। ওই সফরে সাংগঠানিক টিমের সদস্যরা শাহ মোঃ সেলিমের সাথেও কথা বলেছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির রাজনৈতিক সকল ধরনের কর্মকান্ড থেকে বেশ কিছুদিন নিজেকে সরিয়ে রাখার পর গত সপ্তাহে শুভাকাঙ্খি ও দলের কিছু নেতা কর্মীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে সভা করাকে কেন্দ্র করে বিএনপির চলমান রাজনীতিতে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মো: সেলিম।
কুমিল্লার জনপ্রিয় দৈনিক কুমিল্লার ডাক পত্রিকায় প্রকাশিত শাহ মো: সেলিম কুমিল্লা সদর নির্বাচনী এলাকার বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন এমন রিপোর্ট প্রকাশের পর আলোচনার ঝর উঠেছে সকল মহলে। দীর্ঘ ত্যাগ দলের জন্য সময় দেয়ার পরও নিজ দলের নেতা কর্মীদের অগনতান্ত্রিক কর্মকান্ডে উপর ক্ষুব্দ হয়ে অভিমান করে কিছু দিন দলের কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখলেও সঠিক সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে নিজেকে মেলে ধরলেন শাহ মো: সেলিম।
নিজ বাড়িতে দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে সভা করা ও সভার আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নিজের ভবিষ্যত রাজনৈতিক আকাংখার কথা খোলাখুলি ভাবেই তুলে ধরেন ‘কুমিল্লার ডাক’র কাছে। জানালেন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।
বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসলে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ জেলায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড় ঝাঁপ প্রকট আকার ধারণ করে। কুমিল্লা সদরও এর ব্যতিক্রম নয়। গত নির্বাচনের আগেও কুমিল্লা থেকে প্রায় ১ ডজন নেতা বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেতে সর্বোচ্চ লবিং তদবির চালিয়ে যায়। তবে দলের প্রধান চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত হাজী আমিন-উর-রশীদ ইয়াছিনকে মনোনয়ন দেয়। ঐ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এর সাথে পরাজিত হন। এবারও কুমিল্লা সদর-৬ আসন থেকে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন, বিএনপি সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং প্রাইভেট মেডিকেল এসাসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ সেলিম, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি শফিকুর রহমান শাফি, ব্যাবসায়ী কাউছার জামান বাপ্পি, কন্ঠ শিল্পি আসিফ আকবর, সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী আকবর হোসেন এর ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন। এরা সকলে দলীয় প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এ সকল মনোনয়ন প্রত্যাশীদের লবিং এবং তদবির যতই শক্তিশালী হোক না কেন দলের মনোনয়নের ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তে প্রার্থী সিলেকশন করা হবে এমনটিও ভাবনায় আছে মনোনয়ন প্রত্যাশিদের। এ সকল প্রার্থীদের দৌঁড়ঝাঁপ তারেক জিয়া অথবা দলের প্রভাবশালী কর্তাব্যক্তি যার সাথেই হোক না কেন চুড়ান্ত টিকিট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে চেয়ারপার্সনই মুখ্য বিষয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে সিদ্ধান্ত নিবে দল এরকম আলোচনা হয়েছে দলের স্ট্যান্ডিং কমিটির শেষ সভায়। প্রতিটি আসনে প্রার্থী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে দলের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত নেয়ার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়, এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যথেকে প্রায় ৭০ তেকে ৭৫ শতাংশ নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল।
সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী স্ট্যান্ডিং বডির সুনজরে রয়েছেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল এসোসিয়েশেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ মোঃ সেলিম। মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য প্রার্থীদের চেয়ে মেধা, যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করা এবং সাংগাঠনিক দক্ষতার জন্য বিবেচনার বিষয়ে মত দিয়েছেন সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পর্যবেক্ষক দলের কয়েকজন। অন্য সব প্রার্থীরা দৌঁড়ে এগিয়ে থাকলেও সংসদ নির্বাচনের মত কঠিন চ্যালেঞ্জে তাদের অবস্থান শুধু আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এদের মধ্যে গত নির্বাচনে পরাজিত হওয়া বিএনপির প্রার্থী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন দলের কাছে আলোচনায় আছেন কারণ হিসেবে তিনি ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনটি নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। যদিও সাংগঠনিক দুর্বলতা ও স্থানীয় না হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার এর কাছে পরাজিত হন। মনোনয়ন প্রত্যাশার তালিকায় রয়েছেন কাউছার জামান বাপ্পি, তিনি দেশের স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কাইল্যাবের পরিচালক, তবে বদনামও রয়েছে তার, এক এগারোর পর থেকে কারাগারে থাকা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন গং-দের একজন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ভায়রা তিনি। হাওয়া ভবনের অপকর্মের সাথে জড়িত থেকে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অধপতনের জন্যে মামুন গং-দের সাথে তিনি ও সমানভাবে দোষি ফলে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ইমেজ রক্ষার বিষয়ে দলের ব্ল্যাক লিষ্টে থাকবে বাপ্পির নাম।
বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী শফিকুর রহমান শফির অবস্থানও নড়বড়ে। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে জন্মলগ্ন থেকে। গত ৫টি নির্বাচনেই তিনি সমানভাবে মনোনয়ন চেয়েছেন কোন বারই কপালে জোটেনি বিএনপির টিকেট, ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যেই তিনি এবারও মনোনয়ন চাইবেন। এরকম হালকা জনপ্রিয়তা দলের মনোনয়নের জন্যে যথেষ্ঠ নয় বলে মনে করেছেন দলের কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটাররা, শুধু আলোচনায় থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট নিজের পকেটে আনা অনেক কঠিন বলে মনে করেন দলের সিনিয়র নেতারা। বিএনপি থেকে কুমিল্লা সদর-৬ আসনের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী কন্ঠশিল্পী আসিফ আকবর। তিনিও নানান নাটকীয়তার মধ্যে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। রাজনীতির এই স্বল্প সময়ে গতিপথ পরিবর্তন করেছে বেশ কয়েকবার, আস্থা হারিয়েছে দলের সকল শ্রেনীর নেতাকর্মীদের কাছে। গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চেয়েছেন, অবস্থান ভালোনা বুঝতে পেরে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে এ আসনে নির্বাচন করার দাবি জানান। পরে হাজী ইয়াছিন মনোনয়ন পেলে তার পক্ষে প্রচারণা চালান, ইয়াছিনের সাথেও সু-সম্পর্ক টেকেনি। এখন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাচ্ছেন জোড়ালো ভাবে। আসিফকে নিয়ে অনেকটাই বিভ্রান্ত দলের সাধারণ নেতা কর্মীরা, উদ্ভট আচারণে ক্ষুব্ধ অনেকে। তার বহিঃ প্রকাশ ঘটে ২০১১ সালের ৩১শে জানুয়ারী। আসিফের প্রতি ক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আসিফের উপর হামলা চালায়। আলেখারচরের মিয়ামি সভাকক্ষ থেকে নিজের দূর্বলতার জানান দিয়ে বেড়িয়ে আসতে হয়েছিল তাকে। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের বক্তব্য হচ্ছে সঙ্গীতে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা আসিফ রাজনীতিতে একেবারে আনকোড়া। সঙ্গীতের জনপ্রিয়তা আর রাজনীতির ভোটের জনপ্রিয়তা এক নয় বলছেন অনেকে। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আসিফকেও টিকেট প্রাপ্তির হতাশায় ভুগতে হবে।
সঠিক সময়ে যদি ১০ম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লা -৬ থেকে চুড়ান্ত মনোনয়ন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শাহ মোঃ সেলিম ও হাজী আমিন-উর-রশিদ ইয়াছিন এ দু’জনই সর্বোচ্চ আলোচনায় থাকবেন এরকমই আভাস বাতাসে ভাসছে। সেক্ষেত্রে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন মুখের সন্ধানে নেমে কেন্দ্রীয় বডি কুমিল্লা সদর-৬ থেকে যোগ্যতা, সততা আর গ্রহন যোগ্যতায় নতুনের তালিকায় শাহ মোঃ সেলিমই সকলের নজর কাড়বেন এনটি বলছেন অন্য নতুন প্রার্থীরও। সেই সাথে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর মনস্তাত্বিক সমর্থনের সু-বাতাস বইছে শাহ মোঃ সেলিমকে ঘিরে, ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি দলীয় ও ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানে মেয়র সাক্কু ও শাহ সেলিম এক সাথে ছিলেন, ওই অনুষ্টান গুলোতে বিপুল সংখক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিল, যারা শাহ মোঃ সেলিমের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে ছিলেন। অন্তরালে থাকার প্রতিশ্রুতিতে মেয়র সাক্কু কাছের এক কর্মী জানালেন তাদের ক্ষোভের কথা, বললেন নতুন প্রার্থী না হলে কুমিল্লা সদরে পরাজয় নিশ্চিৎ হবে বিএনপির প্রার্থীর। জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য দলের সমর্থক মাহাবুবুল আলম চপল বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো, তবে শাহ মোঃ সেলিস শিক্ষিত এবং জ্ঞানি হিসেবে পরিচিত ও দলের প্রতিষ্ঠা কালিন সয়ের ত্যাগি নেতা, তিনি মনোনয়ন পেলে ভলো হবে। এই বিষয়ে ভিন্ন মত পোষন করেছেন ইয়াছিন সমর্থীত জেলা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন- সম্পাদক আতাউর রহমান ছুটি, তিনি জানান, বিগত সময়ে যারা দলের সাথে ছিলেন সংগঠন গুছিয়েছেন এদের বাদ দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দিলে সুবিধা করতে পারবে না, এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন চলমান নেতৃত্বে দল অনেক শক্তিশালি।
তবে দলের ধারাবাহিক কর্মকান্ড তুলে ধরে শক্ত প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে কুমিল্লা জেলা যুব দলের সভাপতি অমিরুজ্জামান আমির, তিনি বলেন গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যেকেউ দরের মনোনয়ন চাইতে পারে, সেক্ষেত্রে দলের মনোনয়ন কে পাবেন সেটা দল নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, এক এগারোর থেকে দীর্ঘ সময় যারা দলের সাথে ছিল নেত্রী তাদের কথাই বিবেচনায় রাখবেন। তিনি দৃড়তার সাথে ইয়াছিনের মনোনয়ন পাওয়ার কথা বলেন।
তবে যাকে ঘিরে আলোচনা ও সমালোচনার ঝর বইছে তিনি বললেন ভিন্ন কথা, জানালেন জোরালো মতামত। প্রথম প্রশ্নের জবাবে শাহ মোঃ সেলিম ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজের মনোনয়ন চাওয়া এবং প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিৎ করলেন, বললেন আমাকে পূর্নমুল্যায়নের সময় হয়েছে, অন্য যে কোন প্রার্থীর চেয়ে নিজেকে যোগ্য বলে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন তিনি, বলেন বিএনপির সকল কর্মকান্ডের সাথে আছি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে, শেষ সময় গুলোতে দল আমার তেমন ভাবে খোজ খবর নেয়নি, তবে এখন সময় হয়েছে, দল আমাকে মূল্যায়ন করবে। সুযোগ সন্ধানী বলে অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশেনর জবাবে সেলিম বলেন, দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে চেনেন জানেন, আমার রাজনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে অবগত আছেন তিনি। দীর্র্ঘ দিন ধরে এই বিএনপিকে গুছিয়েছি এখন সুযোগ সন্ধানীরাই দলের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন, তিনি বলেন রাজার বাড়ির রাজনীতি এখন সেই জায়গায় নেই, আন্দোলন সংগ্রামে কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপিকে পুরোপুরি ব্যার্থ বললেন তিনি, দলের বঞ্চিত ও অবহেলিত নেতাকর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার কাজে ব্যাস্ত রয়েছে বলে তিনি জানালেন, বর্তমান কমিটিকে মেয়াদোতীর্ন বলে জেলা কমিটি পূর্নগঠনের দাবি জানান শাহ মোঃ সেলিম। শেষ প্রশ্নের উত্তরে সেলিম বলেন দল মনোনয়ন দিলে আমার জয় নিশ্চিৎ হবে, সেই সাথে কুমিল্লা সদর-৬ আসনে দীর্ঘ সময়ের দক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহারের মতো শক্ত প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করার নিজের অবস্থানের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
রাজনীতির নয় ছয় হিসেবে কষে দলের প্রয়োজনে প্রয়োজনিয় কথাটিই বলতে চেষ্টা করেন নেতারা। শাহ মোঃ সেলিম বিএনপির মনোনয়ন চান এমন কথার প্রতিউত্তরে আমি উর রশিদ ইয়াছিন প্রথমেই বললেন তিনি দলের কেউ না। কুমিল্লা দক্ষিন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি করার সময় সেচ্ছায় দল থেকে চলে গিয়েছেন তিনি। মনোনয়ন চাইতেই পারেন, এটা উনার ব্যাক্তি গত ব্যাপার। অন্য প্রশ্ন করার অগেই আমি উর রশিদ ইয়াছিন বলেন এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।
চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে মনোনয়ন প্রত্যাশি নিয়ে ও প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপির সাংগঠনিক টিম গুলোও তাদের কাজ এগিয়ে রেখেছেন। গত আগষ্ট থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা ৫৬ টিম সারা দেশ চষে বেড়িয়েছেন। প্রতিটি জেলার রিপোর্টও জমা দিয়েছেন কেন্দ্রর কাছে। ওই সফরে কুমিল্লা দক্ষিন জেলার দায়ীত্ব সাংগঠানিক সফর করেন কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লা আল নোমান ও বরকত উল্লা বুলু। ওই সফরে সাংগঠানিক টিমের সদস্যরা শাহ মোঃ সেলিমের সাথেও কথা বলেছে।
©somewhere in net ltd.