![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব সেবাই আমার মূল ধর্ম
৩১ আগষ্ট শনিবার কুমিল্লা ডায়বেটিক হাসপাতালে জাল টাকাসহ আটক ফেরদৌসি বেগমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ফেরদৌসি বেগমই ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে বীচ ছাতার মার্কেটে মধ্য রাতে জাল টাকা সহ আটক হয়। ওই ঘটনায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় চার মাস পর ফেরদৌসি বেগমের বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানায় স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট ১৯৭৪ ধারায় আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। মামলা নং- ৪০।
দেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোট বাজারজাত করে এই ফেরদৌসি বেগম। গত মাসে কুমিল্লার মিয়া বাজারে জাল নোট বাজারজাত করার সময় এলকাবাসির সন্দেহ হলে মিয়াবাজারে আটক হয় ফেরদৌসি, পরে ছলচাতুরি করে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়।
জাল টাকা ৈেতরির সাথে জড়িত রয়েছে ফেরদৌসি বেগম, তবে একটি সূত্র জানায়, এই জাল টাকা বাজারজাত করণের সাথে জড়িত রয়েছে ফেরদৌসির একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। সূত্রটি জানায়, বাজারজাত করণের জন্য ৩৫ থেকে ৪০ জনের একটি দল রয়েছে, আর এই দলের নেতা ফেরদৌসি বেগম। দেশের বিভিন্ন এলাকায় এবং পছন্দমতো জায়গায় ফেরদৌসি এবং তার দল জাল নোট বাজারজাত করে থাকে। ফেরদৌসি বেগম কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থা থিরা পুকুর পাড় এলাকার মৃত আরব আলী মিয়ার মেয়ে। এই এলাকায় বাড়ি থাকলেও বেশির ভাগ সময় ফেরদৌসি বাইরে থাকে বলে জানায় এলাকাবাসি।
মূলত, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে জাল নোট বাজারজাত করার এলাকা পছন্দ করে ফেরদৌসি বেগম, তার পছন্দকৃত এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয় দলের চতুর সদস্যদের। এজন্য ফেরদৌসি ঘুরে বেড়ায় দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চল, যেখনে জাল নোট সনাক্ত করার কোন রকম ব্যবস্থা নেই সে সকল এলাকাগুলোতে ১ হাজার ও ৫শ টাকার নোট চালান করা হয়। তার স্বামীর বিরুদ্ধেও মামলা রয়েছে। ফেরদৌসি বেগমের স্বামী কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে ২০১০ সালে ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে বিক্রি করার জন্য আনা ৪৪ পিস ইয়াবা সহ আটক করা হয়। পরে রামপুরা থানায় জাহাঙ্গীর এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, ফেরদৌসি বেগম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মধ্যে জাল নোট নিয়ে বের হয় এবং সুযোগ বুঝে চালিয়ে দেয়।
ফেরদৌসি বেগমের ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে বীচ ছাতার মার্কেটে মধ্য রাতে জাল টাকা সহ আটকের ঘটনায় দায়েরকৃত হয় মামলাটির অভিযোগপত্র ইতিমধ্যে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই অভিযোগপত্রে ফেরদৌসি বেগমের বিরুদ্ধে তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্তকারি অফিসার কক্সবাজার থানার এস আই মোঃ মিজানুর রহমান, তিনি জানান, জালটাকা সহ ফেরদৌসি বেগমকে আটক করা হয়েছে, আটককৃত জাল নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে পরীক্ষার জন্য পাঠালে ব্যাংক জাল বলে সনাক্ত করে। তিনি জানান, তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদালত এই মামলার স্বাক্ষী গ্রহণ করছে বলেও তিনি জানান।
৩১ আগষ্ট শনিবার কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালে জাল টাকাসহ হাতেনাতে আটক হয় ফেরদৌসি বেগম। শনিবার সকাল ১১ টায় কৌশলে কুমিল্লা ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের কাছে ভাংতি চেয়ে জাল টাকা বিনিময়ের সময় তাকে আটক করা হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফেরদৌসিকে আটকিয়ে র্যাব এ খবর দিলে কুমিল্লা র্যাব-১১ সিপিসি-২ অধিনায়ক শাহেদ হোসেন রাজীব ফেরদৌসি বেগমকে জাল টাকাসহ র্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তার সাথে থাকা ১ হাজার টাকার ৪ টি নতুন নোট পাওয়া যায়। ঐ দিন রাতেই ফেরদৌসি বেগমের বিরুদ্ধে র্যাবের এস আই পুর্ণেন্দু কোতয়ালী মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে। এই মামলাটি তদন্ত করছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এস আই সাইফুল, তিনি জানান ফেরদৌসি বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.