![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কালো চোখের প্রতি কেনা দুর্বল হয়েছে।ইনিয়ে বিনিয়ে কতভাবে আমরা কালো চোখের বর্ণন দেই।আর দীঘল কালো চুল?কল্পনায় তখন বনলতা সেন উকি দিয়ে যাবে আপনার মনের গহিনে।কালোকে নিয়ে কতশত কবিতা, কতশত গল্প আমাদের।কিন্তু সেই কালোই যদি কোনো মেয়ের কাল হয়ে দাড়ায়?
মিতুর গায়ের রং শ্যামা হলেও হয়তো হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার গায়ের রং হয় কালো।আর তাইতো তার শশুর বাড়ীর সকলের মনের আক্ষেপ। বিয়ের আটবছর পরেও মিতুকে শুনতে হয় কেনো তুই কালো হয়ে জন্মালি।কালো হয়েছিস ভালো তাই বলে এই সংসারেই তোকে আসতে হবে?প্রতিদিন কত মেয়ে মরে তুই মরতে পারিসনা?
মিতু মরলেইতো সবার মঙ্গল। সংসারে নতুন বউ আসবে।সেই বউয়ের গায়ের রং হবে টুকটুকে ফর্সা।সে হবে সবার আদরের।তাই মিতু সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্ত্যার।নিজে মরে সবাইকে মুক্তি দিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত। মিতুর তখন খুব করে মনে পড়ছিলো তার দুই সন্তানের কথা।সন্তান,এই সন্তানোযে বড় হয়ে মাকে বলবে,মা তুমি এতো কালো কেনো মা?
গ্যালনের সবটুকু কেরোসিন এখন মিতুর শরীরে।বেশ কয়েকবারের চেস্টায় মেচের কাঠিটি জ্বলে উঠলো।মুহুর্তের মাঝেই প্রচন্ড তাপে মিতুর কালো শরীর ঝলসে উঠলো।
মিতু এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালের বার্নইউনিটে মৃত্যুর সাথে লড়ে যাচ্ছে। সবাই যখন তার বেঁচে উঠার প্রার্থনায় রত আমি তখন তার মৃত্যু কামনা করবো।একমাত্র মৃত্যুই দিতে পারে তার আজন্ম লাঞ্ছনার থেকে মুক্তি।মিতুদের বেঁচে থাকতে নেই।ওদের মরে যাওয়াই মনে হয় সবার জন্য ভালো।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩০
আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন: ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৪:৫৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: বড় কষ্ট এ সমাজে। বাইরের দুনিয়ায় কিন্তু রুপের কালো'র জন্য কালো মানুষের এতো কষ্ট সইতে হয়না।