![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিজ্ঞান সাময়িকী এভোলুশন টুডে তে প্রকাশিত হল এক গবেষণা প্রতিবেদন। যেখানে গবেষণার প্রধান বিজ্ঞানী মার্ক ডারউইন ও তাঁর দলের দাবি - আগামী ৫০০০ বছরের মধ্যে মানুষ পরিণত হবে পেঁচায়।
পত্রিকায় খবরটা পড়ার অনেক আগে থেকেই আমার নিজেকেই কেন জানি পেঁচা পেঁচা মনে হচ্ছিল। তাই সম্ভাবনাটাকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছেনা। একটা সময় ছিল যখন নিয়ম করে ভোরে ঘুম থেকে উঠতাম। সকালে অফিস যেতাম। অফিস থেকে বিকেলে বা সন্ধার পর বাসায় ফিরে টুক টাক সময় কাটিয়ে রাত সাড়ে দশ কি এগারোটার দিকেই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে হত পরববর্তী সকালের অপেক্ষায়। মাঝে মাঝে যে এর ব্যাতিক্রম হতনা তা নয়। এর পর যখন ইন্টারনেটের সাথে পরিচয় ঘটলো বদলাতে লাগলো নিত্য রুটিন। ধীরে ধীরে রাতের পরিধি বাড়তে লাগলো। ১২-০১-০২-০৩। এখনতো অনেক সময় রাত ৪টার দিকে ঘুমিয়েও সকাল ৮-৯টার দিকে অফিসের দিকে দৌড়াতে হয়। প্রথম দিকে নিজেকে ক্লান্ত মনে হলেও এখন অনেকটাই গা সওয়া হয়ে গেছে। তাই নিজেকে এখন পেঁচা বলেই মনে হয়।
মার্ক ডারউইন বলেন- ‘আমাদের অভ্যাস ও প্রয়োজন যেভাবে বদেলেছে সেই তার প্রভাবেই ধীরে ধীরে এপ (বানর প্রজাতি) থেকে মানুষের বিবর্তন ঘটেছে। আর এখন সময় মানুষ থেকে নিশাচর প্রাণীতে বিবর্তনের। আমাদের মধ্যে যারা ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করেন তাদের বেশিরভাগেরই রাত ৩টা থেকে ৪টা নাগাদ ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস। অর্থাৎ আমরা ধীরে ধীরে নিশাচর প্রাণীতে পরিণত হচ্ছি।’
গবেষণায় বলা হচ্ছে, আগামী ২০০ বছরের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যার সিংহভাগের কাছে পৌঁছে যাবে উন্নততর প্রযুক্তি। যার ফলে দিনে কাজ করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে হারাবে মানুষ। সারারাত স্বচ্ছন্দে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাটাবে তারা। আর ৩০০০ সালের মধ্যে মানুষের শরীরে হবে পালকের আবির্ভাব। তবে পেঁচার মতো চোখ মানুষের থাকবে না যার দ্বারা রাতেও দেখা যায়। তার কারণ আমরা সাধারণত রাতে মোবাইল বা ল্যাপটপের দিকে তাকাতেই অভ্যস্ত। ফলে রাতের অন্ধকারে দেখার কোনও ক্ষমতা তৈরি হবে না। তাই দ্বিতীয় শ্রেণীর পেঁচায় পরিণত হবে মানুষ। আর পেঁচা সমাজে মিলবে না সমান সম্মানও।
তবে এই বিষয়ে প্রথম শ্রেণীর পেঁচায় পরিণত হওয়ার উপায় বাতলে দিয়েছেন মার্ক। ফোন ঘাঁটাঘাঁটি না করে রাতে অলসভাবে বসে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তার ধারণা এই পদ্ধতিতেই প্রথম শ্রেণীর পেঁচায় পরিণত হবে মানুষ!
মানব সভ্যতা সত্যিই যদি পেঁচা সভ্যতায় রুপান্তর হয় তবে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। আজ থেকে সেই ৫০০০ বছর পরের সেই পেঁচা সভ্যতায়কি এখনকার মানব সভ্যতার মত প্রেম, ভালোবাসা, মমতার মত বিষয়বস্তুগুলো থাকবে? তারাকি রাতের পর রাত বিশেষ কাউকে মনে করে দু-চার লাইন কবিতা লিখবে? ভোর অব্দি জীবনানন্দ দাসের কবিতা আওড়াবে? রবীন্দ্র সঙ্গীতে মগ্ন হয়ে বিশেষ কারো জন্য চোখের জল ফেলবে? নজরুলের মত বিদ্রোহী হয়ে সমশ্বরে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে? মার্ক সাহেব এই বিষয় গুলো ক্লিয়ার করেনি যা ক্লিয়ার করলে ভাল হত? প্রথম শ্রেনীর পেঁচা হওয়ার জন্য তিনি যে ঝিম ধরে বসে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তাও আমার মনপুত হয় নাই। আমরাতো কেবল পেঁচা না আমরা প্রযুক্তি নির্ভর পেঁচা হতে চলছি। তাঁর গবেষণায় তাঁর স্ববিরোধী ভাবনা ঢুকে গবেষণাটিকে অনেকটাই দুর্বল করে দিয়েছে। এতে মানুষ পরিপূর্ণ পেঁচা হয়ে উঠতে আরো কিছু সময় বেড়ে যেতে পারে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৭
আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন:
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:০৮
আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন:
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪২
খেলাঘর বলেছেন:
আপনি কি পেঁচা পাখী হয়ে গেছেন?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৮
আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন: অনেকটাই তাই। ৫০০০বছর পর পুরোপুরি পেঁচা হয়ে যাবো।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: