প্রিয় হুমায়ুন, বই মেলায় আপনার নিমন্ত্রণ .......

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৩

১
কে আমায় ডেকে নিয়ে যায় নীল জ্যোৎস্নায়?
কেউ ডাকবে না
তবু যাব, যেখানে তাঁর পদচারণা
হলুদ রোদে মিশে আছে
ধুলোবালি আর অক্ষরমালা
বইয়ের পাতায় ডানা ঝাপ্টায়

চলে যায় বসন্তের দিন!
যাক না,
কেউ আর মনে করিয়ে দেয় না
তবু ভাবি, লাল কৃষ্ণচুড়া আকাশে আগুন লাগায়
বসন্ত আসে যায়,
আর একজন হুমায়ুন
জ্যোৎস্নায়, হলুদ রোদ, বৃষ্টি আর মেঘমালা নিয়ে
কখনই ভাবেন না!!

-----------------
প্রিয় হুমায়ুন,
বই মেলাতে আপনার নিমন্ত্রণ!


২
মাথাটা ছিঁড়ে যাচ্ছে
খুলির ঢাকনা টা খুলে দেশলাইয়ের কাঠির মাথায় স্যাভলনে ভেজানো তুলো জড়িয়ে আলতো ভাবে পরিষ্কার করলে হয়ত একটু আরাম পেতাম!

৩
যখন জমবে ধূলা তানপুরাটার
তারগুলায়,
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়,

আহা,

ফুলের বাগান ঘন ঘাসের
পরবে সজ্জা বনবাসের,
শ্যাওলা এসে ঘিরবে দিঘির
ধারগুলায়-

চলে যেতে হয় কেন? পৃথিবীটা তো খারাপ না।
কুঁড়ে ঘরের পিছে কলা গাছের পাতায় বাতাস খেলা করে... শোঁ শোঁ ডাক দিয়ে যায়, সেই কলাপাতায় উড়ে এসে বসে দুলতে দুলতে লেজ নাড়ায় বুলবুলি... কিংব গ্রীস্মের অলস দুপুর, ঘুম ঘুম চোখ... আর আমার দক্ষিণ খোলা জানালায়, বাড়ে বয়স...


৪
গাঢ় অন্ধকার
রাতের স্তব্ধতায় একাকী
মিছিমিছি কিছু স্বপ্নের বানে
ভেসে ভেসে অবশেষে শেষ হতে চলেছি!
তুমি অথবা সে কিংবা দুজনায় ছিলে
মাঝ নদীতে মাঝরাতের মত দোদুল্যমান নৌকো
দুইধারে বসে ছিলে দুজনে।
সময় যায় বাতাস বয়
পূব থেকে পশ্চিমে
উত্তরের জানালায় ঘোর লাগা অন্ধকার
দক্ষিণ ধারে ঘুনে খাওয়া কাঠের মত, ঋজু ভীত অসহ্য সময়!
শেষ মোমবাতিটা নিভু নিভু
চিলের চিৎকারে ভোরের অপেক্ষায় ..




৫
ফেব্রুয়ারীর সিক্ত ঘাসে পা ভিজিয়ে হাঁটতে কেমন লাগছে বন্ধু?
সে ফেব্রুয়ারীতে মূলতঃ শিশির নয়; রক্ত ভিজিয়ে ছিল তোমার পা, বুক, চেতনা! সব কিছু।
তুমিও তো ভিজেছো রক্তে! ভেজোনি?

ছবিঃ ইন্টারনেট

১৮ টি +২/-০