নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

র‍্যাগনারক: পৃথিবীর শেষ এবং পুনঃজন্ম।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২



প্রচন্ড শীত। সূর্য নেই।
প্রায় দেড় বছর ধরে পুরো পৃথিবী ঢাকা পড়ে আছে শীতের চাদরে, হাড় কাঁপানো শীত। সেই প্রচন্ড শীতের প্রভাবে মারা যাচ্ছে পৃথিবীর মানুষ , মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। শুধুমাত্র বেঁচে আছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাইকিংরা । তারা বিশ্বাস করে , ভয়াবহ সেই শীতও তাদের কাবু করতে পারবে না। হ্যা ঘটনা ঠিক তেমন ই চলছে।
তবে চিন্তার বিষয় হলো, এরপর যে যুগ শুরু হবে, তা কল্পনাতীত , ভয়াবহ ।সেই ভয়ঙ্কর যুগটির নাম ‘পতিতাবৃত্তির যুগ’!
এ যুগে মানবজাতির অবস্থা হবে অতিশয় শোচনীয় । দীর্ঘকালের শীতের প্রকোপে পৃথিবীতে দেখা দেবে চরম খাদ্যসঙ্কট। বেঁচে যাওয়া মানুষেরা খাবারের জন্য একে ওপরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে , সেই মরণ লড়াইয়ে মরবে মানুষ। বাপ খুন করবে ছেলেকে , ছেলে বাবাকে , ভাই ভাইকে। তবে সবচেয়ে জঘন্য আর ঘৃণিত ব্যাপার হলো, সেই সময়ে মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়বে ইনসেস্ট।

একের পর এক মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানবিক পতন , অপদেবতাদের উত্থান, মৃতদের সেনাবাহিনীর আগমন, দেবতাদের সাথে অপদেবতাদের মরণপণ যুদ্ধ- এই সব নিয়েই ভাইকিংদের 'র‍্যাগনারক'। নর্স মিথলজি ভয়াবহ 'র‍্যাগনারক' !

মৃত্যুর পরে মৃত মানুষেরা কি করে ? অপেক্ষা ? কিসের অপেক্ষা ?
ভাইকিং উপকথা বলে , যেদিন থেকে মৃত্যুর শুরু , ঠিক সেইদিন থেকেই মৃত ব্যক্তিরা পৃথিবীর শেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে আছে। তারা সেইদিন জেগে উঠবে। তবে সবাই নয়।
জেগে উঠবে তারা - যারা খারাপ তারা। যারা নরকে ঠাঁই পেয়েছে তারা।সেইদিন জেগে উঠবে নরকবাসীরা। তারা বিশাল এক নৌকা নিয়ে বেঁচে থাকা মানবজাতির বিরুদ্ধে অগ্রসর হবে।
তবে সেটিও কোনো সাধারণ নৌকা হবে না, সেটি মৃত ব্যক্তির নখ দিয়ে বানানো! সেই নৌকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় নখ আসতো মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। ভাইকিংদের এমন বিশ্বাসের কারণে , কেউ মারা গেলে তার তার হাত-পায়ের নখগুলো কেটে দিতো। এমন কি অতিরিক্ত সতর্কতা স্বরূপ কখনো আবার পুরো নখটিই তুলে ফেলা হতো। এই বিষয়ে ভাইকিংরা ছিলো খুবই সতর্ক। কারণ তারা মনে করতো নৌকা বানানোর জন্য যথেষ্ট নখ পেয়ে যাওয়া মানেই হলো পৃথিবীর শেষ ঘনিয়ে আসা।
হ্রাইম্র নামক এক দানব নৌকাটিকে দেবতাদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রের পথে চালিয়ে নেবে, হাল ধরে থাকবে স্বয়ং ধূর্ত দেবতা লোকি। মুখোমুখি হবে চরম সংঘাত !
পৃথিবীর ভয়াবহ সেই ক্রান্তিকালের নাম 'র‍্যাগনারক'

'র‍্যাগনারক' নিয়ে সামান্য ধারণা পাওয়া গেল। বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আসুন তার আগে কিছু কুশীলবদের চিনে নেয়া যাক যারা প্রবল অপেক্ষায় বসে আছে পৃথিবীর ক্রান্তিকালের।

ভাইকিংদের উপকথা আর বিশ্বাস মোতাবেক খারাপ দেবতাদের কথা বলা হয়ে থাকে। সেই দেবতারা মানুষদের সবসময় খারাপ কাজে প্ররোচিত করতো। শয়তান যেমন করে। তারা প্রচন্ড শক্তিশালী , ক্ষমতাশালী এমনকি কেউ কেউ এতটাই ভয়াবহ যে, আশেপাশে তাদের উপস্থিতি একজন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট ছিল। তবে ভাইকিংরা বিশ্বাস করতো খারাপ সে দেবতাদের অনেক আগেই এমন কোনো এক জায়গায় বন্দী করে রাখা হয়েছে যেন তারা কারো কোনো ক্ষতি করতে না পারে। এটাকে সৌভাগ্য বলতে হবে মানবজাতির জন্য ।

ধূর্ত দেবতা লোকি:
দেবালয় অতিষ্ট করে তোলা এক কুখ্যাত দেবতা লোকি। জেনে নেয়া যাক দেবতা লোকির কয়েকটি অপরাধ।
১. ঘোড়ার সাথে সঙ্গম
২. স্বর্গের ভৃত্যদের হত্যা
৩. একদিন একটি ভোজে সে আমন্ত্রিত না হয়েও সেখানে হাজির হয়ে সবকিছু ভন্ডুল করে দেয় ।
৪. দেবতা ওডিনের ছেলে বালডুর কে হত্যা

দেবতারা ধৈর্য ধরে রাখতে পারলেন না। তাকে ভয়াবহ শাস্তি দেয় দেবতারা।
দেবতারা প্রথমে তার সামনে তার ছেলেকে খুন করে। এরপর ছেলেটির নাড়িভুঁড়ি দিয়েই হাত-পা বেঁধে আটকে রাখা হয় লোকিকে। এখানেই শেষ নয় , বেঁধে রাখার পর তার উপর রাখা হয় বিষাক্ত একটি সাপ যার বিষ ফোঁটায় ফোঁটায় পড়তো তার মুখে, অসহনীয় যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে সে ।

লোকির স্ত্রী সিগুনা তাকে এই ভয়ানক যন্ত্রণা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। সে লোকির সাথে সাথে গুহায় অবস্থান করে। সেখানে সাপের মুখ থেকে বিষ ধরার জন্য তিনি একটি থালা রেখেছিলেন। থালাটি পূর্ণ হয়ে গেলে, সে থালাটি খালি করতে একটু সময় নিতো । এই মুহুর্তে, লোকির মুখে পুনরায় সাপের বিষ পড়তে থাকে। বিষের যন্ত্রণা এতটাই প্রখর যে লোকি চেঁচিয়ে চিৎকার করে উঠত । ভাইকিংরা বিশ্বাস করে , প্রতিবার লোকি তীব্র যন্ত্রনায় চিৎকার করে আর মোচড়াতে থাকে। এবং লোকির প্রতিটা মোচড়ের সময় পৃথিবী কেঁপে ওঠে।
লোকির স্ত্রী আজীবন চেষ্টা করে যায় যেন তার মুখে সেই বিষ না পড়ে, তবে বারবার ব্যর্থ হয় সে।

পৃথিবীর চরম ক্রান্তিকালে ভূমিকম্প সংঘটিত হবে। সেই ভূমিকম্পে মুক্তি পাবে ধূর্ত লোকি। হাল ধরবে মানবজাতি আর দেবতাদের বিরুদ্ধে অগ্রসর হওয়া নৌকার।



ফেনরির : নেকড়ে আকৃতির দেবতা। দেবতা লোকির ছেলে।
মানবজাতির ইতিহাস শুরু হওয়ার আগেই ভালো দেবতারা এই ভয়ঙ্কর ফেনরিরকে বন্দী করে ফেলে দেবতারা , জাদুর তলোয়ার দিয়ে আলাদা ভাবে আটকে রাখে তার দুটো চোয়াল। তবে সে একবার ছাড়া পেলে ধ্বংসের মাতম তুলবে গোটা পৃথিবী জুড়ে । মুখ দিয়ে নির্গত আগুনে ছারখার করবে স্বর্গ মর্ত্য !
পৃথিবীর কোথাও বন্দী করে রাখা হয়েছে তাকে। ধারণা করা হয় মাটির নিচে , শেকলে বন্দী। তাকে মুক্ত করতে হলে দরকার ভূমি ছিন্নভিন্ন , খণ্ডিত হওয়া। আর তাই দরকার ভূমিকম্পের। পৃথিবীর ক্রান্তিকালে যখন সেই ভয়াবহ ভূমিকম্প সংঘটিত হবে তখন শিকল ছিঁড়ে মুক্ত হবে ভয়ঙ্কর ফেনরির।

আচ্ছা , ভূমিকম্প কেন হবে ? এর পিছনে কেউ কি আছে ? প্রশ্নটা মনের মধ্যে আসতেই পারে।
না , আমি কোন আশার বাণী শোনাতে পারছি না। ভূমিকম্প সংগঠন আপনা আপনি হবে না। কুটিল পরিকল্পনা নিয়ে মানবজাতি আর দেবতাদের পিছনে লেগেছে যে খারাপ দেবতারা। ভূমিকম্প সংগঠিত করার জন্য ফেনরির ছেলেরা শুধু সময়ের অপেক্ষায় আছে।
কল্পনাতীত এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে পৃথিবী , মানবজাতি আর দেবতারা !

মিডগার্ডের সাপ :


পৃথিবীর সূচনা লগ্নে দেবতারা যখন খারাপ দেবতাদের খুঁজছে বন্দী করার জন্য তখন কেউ কেউ অগোচরে চলে গিয়েছিলো। বজ্রের দেবতা থর যখন হন্যে হয়ে খুঁজেছে তখন বিশালাকার দানবীয় সাপ আত্মগোপন করেছিল সমুদ্রের তলদেশে। বিশালাকার এই ভয়ংকর সাপ হচ্ছে মিডগার্ডের সাপ। Jörmungandr নামেও পরিচিত। সাপটি এতটাই বিশাল যে সে অনায়াসে সারা পৃথিবীকে পেঁচিয়ে ধরতে পারে।মিডগার্ডের সাপ উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় আছে ।

পৃথিবী অপেক্ষা করছে চরম ক্রান্তিকালের , সংঘর্ষ আর চরম বিপর্যয়ের।





দেড় বছর ধরে শীতের প্রকোপের কথা বলেছিলাম। একটানা তিনটা শীতকাল। যেটা গ্রেট উইন্টার নামে পরিচিত। এই গ্রেট উইন্টার শেষের পথে। পৃথিবীর প্রায় সকল মানুষ মারা গেছে। বেঁচে আছে ভাইকিংরা। উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় অধীর হয়ে অপেক্ষা করা ফেনরির দুই ছেলে 'স্কল' আর 'হাতি' , ফেনরির কে মুক্ত করতে প্রস্তুত। গ্রেট উইন্টার শেষ হবার সাথে সাথে তারা তাদের পরিকল্পনা মাফিক অগ্রসর হবে। কিন্তু ফেনরিরকে মুক্ত করতে হলে দরকার ভুমিকম্প। যার ফলে ভূপৃষ্ঠ খণ্ডিত হবে , বিচ্ছিন্ন হবে। আর এই ভূমিকম্প সংঘটিত করার জন্য প্রকৃতির সিস্টেমে ধাক্কা দিতে হবে , প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটাতে হবে।

তাই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমে ‘স্কল’ সূর্যটাকে গিলে খাবে আর ‘হাতি’ চাঁদ সহ অন্যান্য নক্ষত্রগুলো গিলে নেবে! তখন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে গোটা বিশ্বজগত।আকাশ ও বাতাস রক্তে ছড়িয়ে পড়বে ।পৃথিবী ও পাহাড় কাঁপতে শুরু করবে , গাছ উপড়ে পড়বে । ভূপৃষ্ঠ তার সাম্যবস্থা ধরে রাখতে পারবে না।
ভয়াবহ ভূমিকম্প শুরু হয়ে যাবে গোটা পৃথিবী জুড়ে। তখনই শিকল ছিড়ে মুক্তি পাবে ফেনরির। ফেনরির মুক্ত হবার সাথে সাথে মুক্ত হবে দেবতা লোকি ! অতঃপর তারা অগ্রসর হবে দেবতা আর পৃথিবীবাসীদের বিরুদ্ধে।

চারিদিকে বেজে উঠছে বিপর্যয়ের দামামা। ঠিক এই সময় 'র‍্যাগনারক ' সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করবে তিনটা মোরগ।
তিনটা মোরগ তিনবার ডেকে উঠবে। প্রথমে লাল রঙের মোরগ ‘জালার’ ডাক দিয়ে সতর্ক করবে পৃথিবীর জায়ান্টদের। জায়ান্টরা তখন যুদ্ধসাজ নিবে। এরপর কিছু সময় বাদে 'গোল্ডেন কম্ব' নামের দ্বিতীয় মোরগ দেবতাদের বিশাল প্রাসাদের দরজায় ডেকে উঠবে। সর্বশেষ মোরগ ডেকে উঠবে মৃত নরকবাসীদের জগতে, যেখানে শাসন করছে লোকির কন্যা হেল। সেই ডাকে জেগে উঠবে মৃত নরকবাসীরা । মৃতদের হাত-পায়ের নখ দিয়ে তৈরি ‘নালফার’ নামক সেই জাহাজে চড়ে বসবে তারা।

যুদ্ধের জন্যে ধেয়ে আসবে দেবতা আর পৃথিবীবাসীর দিকে। মৃতদের কমান্ডে থাকবে স্বয়ং লোকি। ছলনাময়ী , ধূর্ত , পাপিষ্ঠ সেই সাথে চরম মাত্রায় প্রতিশোধ পরায়ণ।
মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে মিডগার্ডের সাপ প্রবল বেগে সাঁতার কেটে ভূমিতে উঠে কারণে সমুদ্র চাপ সইতে পারবে না।
অতঃপর সমুদ্র ফুঁসে উঠবে , দেখা দেবে ভয়াবহ বন্যা। ভেসে যাবে সমগ্র পৃথিবী।

না , মিডগার্ডের সাপ এখানেই ক্ষান্ত দেবে না। এরপর সে ছড়িয়ে দেবে তার ভয়াবহ বিষাক্ত বিষ , আকাশ আর সমুদ্রে। পৃথিবীর সমস্ত পানি বিষাক্ত হয়ে যাবে আর আকাশ থেকে ঝরে পড়বে বিষাক্ত বৃষ্টি !
প্রবল বন্যাতেও ভেসে উঠবে লোকি নৌকা। সেইসাথে রাইম নামক এক আইস জায়ান্ট তার বাহিনী নিয়ে লোকির সাথে যোগ দিবে। ধেয়ে আসবে ধ্বংসের দিকে , পৃথিবীর মহা বিপর্যয় সংগঠনে।

পৃথিবীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রধান দেবতা হাইমডাল সদা সতর্ক অবস্থায় নজর রাখেন। কোনো ঘটনাই নজর এড়ায় না। সুউচ্চ টাওয়ার থেকে তিনি দেখতে পেলেন দিগন্ত তোলপাড় করে দিকে ধেয়ে আসছে লোকি , অ্যাসগার্ডের সাপ , ফেনরির জায়ান্ট এবং মৃতদের সেনাবাহিনী। তখন তিনি দেবতাদের সমবেত করার জন্য ‘জালারহর্ন’ নামক শিঙ্গায় ফুঁক দিলেন । দেবতারা এসে জমায়েত হবেন বিশাল হলে। তাদের নেতৃত্ব নিলেন ওডিনের। সমস্ত দেবতা ওডিনের নেতৃত্বে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিলেন । তারা জমায়েত হবে ‘ভিগ্রিয়দ’ নামক এক ময়দানে , মহা যুদ্ধের অপেক্ষায় । সেখানেই হবে চূড়ান্ত সংঘর্ষ । মুখোমুখি দেবতা আর খারাপ দেবতার এবং তার বাহিনী।

দেবতা এবং অপদেবতাদের চূড়ান্ত সংঘাত যখন হতে যাচ্ছে। তখন অতীব ভয়ংকর কিছুই ঘটবে , সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই দৃশ্যপট অবলোকন করার মত কোন মানুষ বেঁচে নেই। যুদ্ধপূর্বক বিপর্যয়ে সকল মানুষ মারা দিয়েছে। তবে এই যুদ্ধে কিন্তু দেবতারা মানব জাতির কাছ থেকে সাহায্য পায়।

ওডিন আর ফেনরির মুখোমুখি হলে ফেনরির একেবারে গিলে ফেলে দেবতা ওডিন কে। ওডিনের পুত্র দেবতা ভিদার বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে এগিয়ে আসে । নিজেদের দেবতা হিসেবে ভাইকিং সমাজের প্রতিটি সদস্যেরই কর্তব্য ছিলো তাদের দেবতাদের সাহায্য করা।
হ্যা , আমি মানব জাতির সাহায্যের কথা বলেছিলাম।

ভিদারের বেলায় মানিবজাতি সাহায্য করেছিল তাকে চামড়া দেয়ার মাধ্যমে। ভাইকিংদের দেয়া এই চামড়াই পরবর্তীতে ভিদারের সেই জাদুকরী জুতা তৈরীতে কাজে লেগেছিল । প্রতিদিনই কাজে যাবার সময় প্রাচীন স্ক্যান্ডিনেভিয়ার মুচিরা কিছু চামড়ার টুকরা ছুড়ে দিতো। এভাবেই দেবতাকে সাহায্য করছে ভেবে মনে শান্তি পেত তারা ।


এই জুতা পায়ে গলিয়েই ফেনরির মুখে ঝাঁপিয়ে পড়ে ভিদার।জাদুকরী এই জুতোয় দিয়ে ভিদার আটকে রাখে ফেনরির নিচের চোয়াল আর হাত দিয়ে উপরের চোয়াল সর্ব শক্তি দিয়ে ধরে রাখে। এরপর সুযোগ বুঝে দু টুকরো করে ফেলে ফেনরির কে।
ফেনরির ইতি ঘটলো এখানেই।

দেবতা থরের প্রারম্ভিক কালের শত্রু মিডগার্ডের সাপ। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে থর খুঁজে বেড়াচ্ছে মিডগার্ডের সাপ। আর আত্মগোপন করা মিডগার্ডের সাপ এই সুযোগকে আর নষ্ট করতে চাইলো না। মুখোমুখি হলো দুজন।

তুমুল লড়াইয়ের এক পর্যায়ে হাতুড়ির এক আঘাতে সাপটির মাথা থেঁতলে দেবে থর। কিন্তু দেবতা থর বিজয় উল্লাস করতে পারলেন না।তিনি টের পেলেন মৃত্যুর আগে সাপটি তার বিষদাঁত বসিয়ে গেছে শরীরে। মাত্র নয় ধাপ পিছিয়ে যেতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বজ্র দেবতা মহাশক্তিধর থর ।

এদিকে হাইমডাল লড়াই করে লোকির বিরুদ্ধে এবং নর্সের আবহাওয়ার দেবতা ফ্রেয়ার লড়াই করছে জায়ান্ট সার্টার এর বিরুদ্ধে। হাইমডাল এবং লোকি একে অপর কে হত্যা করে।
জায়ান্ট সার্টার যখন মৃত্যুর মুখে তখন মারা যাওয়ার আগে আগুন নিক্ষেপ করবে সে। আগুনে পুড়ে যায় পুরো পৃথিবী । পৃথিবীকে গ্রাস করে নেবে ভয়াবহ সেই আগুন।
সেই আগুন আর যুদ্ধ শেষে বেঁচে ফিরতে পারবে না কেউই, সবাই ঢলে পড়বে মৃত্যুর কোলে!
মৃত্যু পরবর্তী বিচারে লোকির সাথে থাকা সেই মৃতদের সেনাবাহিনী আর নরকে ফিরবে না। শুধু নরক তাদের কাম্য নয়। তারা যাবে নরকের চেয়েও ভয়াবহ একস্থানে, নাম তার নাস্ট্রান্ড - শয়তানদের গ্রেট হল। বিশালাকার সেই হলরুমে বিষাক্ত সব সাপ দিয়ে পরিপূর্ণ থাকবে ।

সাপগুলোর মুখ থেকে বের হবে বিষ। সেই বিষ একসাথে হয়ে মেঘে রূপ নেমে। মেঘ থেকে বৃষ্টির মত ঝরতে থাকবে বিষ। বিষের বৃষ্টি। সেই বিষাক্ত পরিবেশেই অনন্তকাল ধরে থাকতে হবে ধূর্ত দেবতা লোকির অনুসারী মৃতদের সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে।
ভালো মানুষদের স্থান হবে 'গিম্লে' নামক এক জায়গায়। সেখানে তারা পান করার জন্য পাবে অফুরন্ত এবং বিভিন্ন ধরণের বিয়ার।

ওদিকে পৃথিবীর কি হবে? সূর্য তারা নক্ষত্রহীন পৃথিবী কি রয়ে যাবে প্রাণ শূন্য ! বিধ্বস্ত।

---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পৃথিবী রয়ে যাবে প্রাণ শূন্য ! -- কথাটাতে দাঁড়ি টানা যেত , সমাপ্তি টানা যেত এই পোস্টের । কিন্তু ভাইকিংদের নর্স মিথোলজি যখন দুজন মানব মানবী কে লুকিয়ে থাকতে দেখে তখন লেখাটা আরো একটু বাড়াতে হয়। নতুন করে ভাবতে হয়।
দুজন মানব-মানবী ও ছয়জন দেবতা শেষ দিনের সেই ভয়াবহতার পরেও বেঁচে আছে । এদের মধ্যে দেবতা থর এর সন্তান মোডি আর ম্যাগনি ও ওডিনের সন্তান ভিদার আর ভেলি ।

দুজন মানব - মানবী সেই বিপর্যয়ের পুরোটা সময় একটা বনের ভেতর লুকিয়ে ছিল। জাদুর এক বন।
নবজাতক পৃথিবী আরও একবার সমুদ্র থেকে উঠে আসবে , সবুজ এবং গৌরবময়।
সূর্য নিজের মতোই একটি কন্যা জন্ম দেবে এবং সে সূর্যেকে পুনরায় জাগাবে। অন্ধকার চাদরে ঢাকা পৃথিবীতে ফিরে আসবে আলো। পৃথিবী আবার হেসে উঠবে। প্রজাপতি বসবে ফুলে।বইবে ঝর্ণার জলধারা , বইবে নদী। পৃথিবী বিকশিত হবে পুনরায়।সূর্য আলোয় সমস্ত মন্দ অদৃশ্য হয়ে যাবে ।

সেই বেঁচে থাকা দুজন মানব - মানবী। লিফ নামের সেই পুরুষ ও লিফথ্রাসি নামের নারী । লিফ ( life - জীবন) , লিফথ্রাসি (Lifthrasir- she who springs from life, জীবন থেকে প্রভাবিত)
এই দুজন মানব মানবী ফিরিয়ে আনবে প্রেম , ভালোবাসা। প্রকৃতি ছুটে চলবে অঘোম নিয়মে। মানব ইতিহাসের পুনর্জন্ম হবে , পুনর্জন্ম হবে পৃথিবীর ।

র‍্যাগনারক - শুধুই কি মহা বিপর্যয় ? নাকি আশার গল্প , সম্ভাবনার গল্প কিংবা পুনর্জন্মের গল্প।











ছবিঃ গুগল
______________________________________________


প্রিয় ব্লগার শের শায়রী ভাইয়ের ভাইকিং বিভীষিকা
পোস্টটা পড়ে 'র‍্যাগনারক' নিয়ে লেখার ইচ্ছা জেগেছিলো খুব। বিভিন্ন ব্যস্ততা , ঝামেলার কারণে সময় করে উঠতে পারছিলাম না। আর এই ধরণের লেখায় আমি একেবারেই আনাড়ি। তবুও চেষ্টা করছি।


স্বপ্নবাজ সৌরভ
০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২২






মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পৃথিবীতে অনেক কিছু ঘটেছে যা এখন রুপকথা মনে হলেও ঘটনা সত্য কারণ তার নমুনা - ফসিল এখনো পাওয়া যায়।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লিখতে লিখতে র‍্যাগনারক সত্য বলে মনে হয়েছিল।
ভালো থাকবেন স্যার। অনেকদিনপর আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো।

২| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০০

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত চমৎকার পোষ্ট উপহার দিয়েছেন আমাদের।

র‍্যাগনারক আসলে সময়ের সমাপ্তি।
সমস্ত বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সমাপ্তি। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটা চক্রের সমাপ্তি। মহাপ্রলয়।
শুধু তাই নয়, নর্স মিথলজির বহু দেবদেবীর মৃত্যু ঘটবে এই চূড়ান্ত সময়ে এসে। খুব সামান্য কিছু দেবতাই পরে আবার ফিরে আসবেন। ফিরে এসে পুনরায় গড়ে তুলবেন আমাদের কসমসকে। শুরু হবে আরেকটা চক্র।
এভাবেই চলবে একটার পরে একটা চক্র।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
যথার্থ বলেছেন। পোস্ট পূর্ণতা পায় এমন মন্তব্যে।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ড টিকিয়ে রাখতে লিফ ও লিফথ্রাসি রয়ে যাবে।
ভালো থাকবেন রাজীব ভাই।

৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন , পাঠে মুগ্ধ।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই। আমার পোস্ট গুলো পড়েন এবং মন্তব্য করে , খুব ভালো লাগে। অনেক ভালো থাকবেন আপনি।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২২

নীল আকাশ বলেছেন: সৌরভ ভাই,
ফাটাফাটি লিখেছেন। আমার পড়া আপনার অন্যতম সেরা লেখা এটা। একটানে পড়ে ফেললাম।
একটা মজার বিষয় দেখুন, সব সভ্যতা আর জাতিতেই কিন্তু পাপ পূণ্যের হিসাবে কথা আছে। স্বর্গ নরকের কথা আছে।
আমার কেন জানি মনে হয়, এইসব সভ্যতার রূপ কাহিনী পূর্বের আল্লাহ দ্বারা নাযিল করা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে অপভ্রংশ হিসেবে তৈরি হয়েছে।
অভিনন্দন এবং শুভ কামনা রইলো।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এই পোস্টের জন্য বিশেষ ভালো লাগে পেয়ে ভালো লাগলো প্রিয় ভাই।

আমি পড়তে এবং যখন লিখতে বসি তখন ভেবেছি। লোকি আসলে শয়তানের একটা রূপ। শয়তান এমন একসময় ফেরেস্তা ছিল , লোকি ছিল দেবতা।
পৃথিবী ধ্বংসের কথা পারি সব ধর্মেই আছে। লোকি দেবতা বলে হয়তো মরার মাধ্যমেই নিঃশেষ হয়েছে কিন্তু খারাপের নরকের চেয়েও ভয়াবহ স্থানে পতিত হয়েছে।


পোস্টটি লেখার সময় অনেক মজা পেয়েছি , মজা করে লিখেছি। লিখতে ক্লান্তি লাগেনি।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন প্রিয় নীল আকাশ ভাই। এই ধরণের আরো কিছু নিয়ে লেখার ইচ্ছা জাগে। তবে নর্স মিথোলজি নিয়ে পরিপূর্ন তথ্য কোথাও পাইনি। আরো খুঁজবো , পড়বো। ভালো থাকবেন ভাই। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিশাল পোস্ট পরিশ্রমও বটে। রাগনারক সম্পর্কে বিশদে জেনে সমৃদ্ধ হলাম। কি অদ্ভুত অদ্ভুত সব কাহিনী; তবে বেশ মজাদার লাগলো। লোকির পুত্রকে হত্যা করে তার নাড়িভুঁড়ি দিয়ে ওর হাত-পা বেঁধে সাপের বিষ পানের যন্ত্রণাটি সবচেয়ে ভয়াবহ লেগেছে। যদিও লোকির স্ত্রী যথাসাধ্য চেষ্টা করে গেছে।

পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা প্রিয় সৌরভ ভাই কে।

০৩ রা মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লোকির কাহিনী বেশ করুণই বলতে হবে। লোকি ওডিনের পুত্রকে খুব চাতুরতায় হত্যা করেছিল। সে ঘটনা এই পোস্টে আলোচনা করা হয়নি। সত্যি কথা বলতে কি লোকির স্ত্রীর জন্যেও খারাপ লেগেছে।
নর্স মিথোলজি বেশ মজা লেগেছে আমার। নর্স মিথোলজি নিয়ে হয়তো আবার আসব।
পোস্ট ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশি হলাম। চেষ্টা কিছুটা সার্থক মনে হলো। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই আমার।

৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

ইসিয়াক বলেছেন: খুবই চমৎকার পোষ্ট।
বোঝাই যাচ্ছে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।
এরকম আরো পোষ্ট চাই আপনার কাছ থেকে।
শুভকামনা রইলো আপনার ও ভাইপোর জন্য।
শুভসন্ধ্যা

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রিয় ভাই ভালোবাসা নিন। এই পোস্ট লিখতে পরিশ্রম করেছি ঠিকই তবে সেটা খুব আনন্দ নিয়ে । আর এখন আপনাদের মন্তব্য গুলো আনন্দ কে বাড়িয়ে দিচ্ছে বহু গুনে। চেষ্টা করবো এমন আনন্দ পেতে । ভালো থাকবেন আপনি। আপনার ভাইপোর শরীর ভালো নেই। দোয়া করবেন।

৭| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঘুটুরি বলেছেন: বিরতিহীন ভাবে একটানা মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়েছি। দারুন

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কি যে দারুণ প্রশান্তি পেলাম আপনার মন্তব্যে। অনেক ধন্যবাদ জানাই । ভাল থাকবেন।

৮| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

র‌্যাগনারক মুভি রিভিউঃ
তাইকা ওয়াইতিতির পরিচালনা ছিল এককথায় অসাধারণ। তিনি শুধু থর ফ্র্যাঞ্চাইজকেই পুনর্জীবিতই করেন নি, নতুন রূপ দিয়েছেন সিনেমার প্রতিটি চরিত্রকে। আগে থর বললেই আমাদের চোখের সামনে ভাসতো হাতুড়ি হাতে লম্বা চুলওয়ালা ক্রিস হেমসওর্থ। থরের চিরায়ত ইমেজকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছেন ওয়াইতিতি। এই সিনেমায় আর থরের সেই হাতুড়ি নেই। নেই সেই লম্বা চুলও। এমনকি থরের পোশাকও বদলে গেছে এই সিনেমায়। শুধু থর নয়, ওয়াইতিতির ছাপ পড়েছে হাল্ক এবং লোকির ইমেজেও। সবুজ হাল্ককে আগে আমরা কখনো কথা বলতে দেখি নি (হাল্কের দ্বিতীয় সত্তা ব্রুস ব্যানার অপরদিকে একজন বাকপটু ব্যক্তি), দেখেছি কেবল গর্জন করতে। কিন্তু এই মুভিতে আমরা সবুজ হাল্ককে শুধু কথা বলতেই দেখি না, আমরা আবিষ্কার করি যে হাল্ক আসলে খুবই রসিক সুপারহিরো। প্রথমবার সুপারহিরো মুভি পরিচালনা করতে এসে ওয়াইতিতি ভালোভাবেই নিজের স্বাক্ষর রেখে গিয়েছেন। তার পরিচালনায় যেমন ছিল টারান্টিনোর মতো হিউমার, তেমনি ছিল স্নাইডারের মতো মোমেন্ট। পরিচালক এবং অভিনেতাদের মতে এই সিনেমার ৮০ ভাগই ছিল ইম্প্রোভাইজড। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ ডায়ালগই স্ক্রিপ্টের বাইরে, পরিচালক-অভিনেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির ফসল। থর র‍্যাগনারক একটি রোলারকোস্টার ভ্রমণের মতো। এই সিনেমা আপনাকে শুধু আনন্দই উপহার দিবে। থর, হাল্কদের এই কসমিক এডভেঞ্চার কাহিনী নির্ভর না, এমনকি থরের বাকি দুই মুভির সাথেও র‍্যাগনারক তেমন কোনো সম্পর্ক নেই। কালারফুল সেট, সরস সংলাপ এবং দৃপ্ত মিউজিকের সাথে আমাদের পরিচিত সুপারহিরোদের নতুন রূপে উপস্থাপন করেছে থর র‍্যাগনারক। সুপারহিরো ঘরানার সিনেমাগুলোর জন্য র‍্যাগনারক একটি নতুন সংযোজনও বটে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অসাধারণ মুভি রিভিউ দিলেন। অনেক ধন্যবাদ । তবে মুভির সাথে নর্স মিথলজির র‌্যাগনারক এর বিস্তর ফারাক পাবেন।
ভালো থাকবেন। মন্তব্যে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগে। মনটা ভরে উঠে।

৯| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: পোষ্ট নিয়ে খুব বেশি কিছু বলব না, শুধু এইটুকু বলি প্রিয় ভাই, আমার ব্লগ জীবনের ৭ বছরে আমার চোখে পড়া সব মনিমুক্তা (মুলত রহস্য রোমাঞ্চ) এই পোষ্টে শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম এক করছি সেখানে সেকেন্ড পোষ্ট হিসাবে আমি এই পোষ্ট টাকে যুক্ত করছি।

এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেছি। সুলেখনির সব থেকে বড় নির্নায়ক কি জানেন? লেখাটা শেষ হবার পর পাঠকের মনে হবে ইশ লেখাটা যদি আর একটু বড় হত! এই লেখাটা তেমনি। অন্তত আমার কাছে।

অভিনন্দন ভাই চমৎকার একটা পোষ্ট দেয়ায়।।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রতিউত্তরে কি বলবো ভাবছি।
ব্লগে বড় এক প্রাপ্তি। ভালো থাকবেন প্রিয় ভাই ।
শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় - যুক্ত হতে পেরে ভালো লাগছে ।

তবে র‌্যাগনারক নিয়ে কিন্তু আপনারো লেখার কথা ছিল। আপনি অনুমতি না দিলে হয়তো লেখা হতো না।

১০| ০৩ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কথিত আনাড়ী চেষ্টা বেশ ভালো হয়েছে। সমস্যা একটাই, পড়ার পরে মাথা ঘুরাচ্ছে। :(
তবে, ভাইকিংদের চিন্তা-ভাবনায় বেশ কিছু অসামন্জস্যতা আছে। প্রাচীন কালের কল্পনা তো....ততোটা অর্গানাইজড না। B-)

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
মাথা ঘুরাচ্ছে!! খুব কি জটিল? তবে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
নর্স মিথলজির নয়টা জগত নিয়ে আসবো একদিন । বেশ মজার।

ভালো থাকবেন । অনেক ধন্যবাদ ।

১১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: পরিশ্রম করেছেন অনেক এমন পোস্ট লিখতে, কিন্তু পরিশ্রম সার্থক হয়েছে, শেষ পর্যন্ত গভীর আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।
মহা বিপর্যয়ের গল্প,আশার গল্প, সম্ভাবনার গল্প কিংবা পুনর্জন্মের গল্প তাই হোক- খুবই ভালো লাগলো পড়তে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধন্যবাদ আপু পুরো পোস্ট পড়া এবং অনুপ্রেরণা মুলক মন্তব্য করার জন্য ।
আসলে আপনাদের এমন মন্তব্যের ফসল এই পোস্ট । ভালো থাকবেন।

১২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০১

শের শায়রী বলেছেন: যারা মুভিটা দেখতে চান তাদের জন্য লিঙ্কটা রেখে গেলাম Thor: Ragnarok

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমি নিজেও মুভিটা দেখিনি :)

১৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৩৯

কাতিআশা বলেছেন: এই মুহুর্তে রাগনারক নেটফিল্ক্স সিরিজ দেখছি..ভালই লাগছে!

০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৮:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
দারুণ উপভোগ্য হবার কথা!
পাঠে আর মন্তব্যে ভালোবাসা নেবেন।

১৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৫০

এমজেডএফ বলেছেন: অসাধারণ লেখা! পড়ার সময় মনে হয়েছে ঘটনাগুলো জীবন্ত দেখতে পাচ্ছি।
এ ধরনের একটি পোস্ট লিখতে অনেক পড়াশুনা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ রইলো।
ধ্বংসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সৃষ্টির রহস্য!

পৌরাণিক কাহিনী সম্পর্কে শুরু থেকেই আমার একটা নেতিবাচক ধারণা ছিল। মনে করতাম এসব উদ্ভট কল্পকাহিনী পড়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। আপনার লেখা পড়ে মজা পেয়েছি, এখন থেকে পৌরাণিক কাহিনী পড়তে হবে। তাছাড়া কাল্পনিক শক্তিকে বিকশিত করার জন্য এসব প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনীগুলো পড়া দরকার।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ধ্বংসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সৃষ্টির রহস্য! -- চমৎকার প্রাসঙ্গিক মন্তব্য।অনেক দেরিতে মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত। আমার ভালো লাগাতে অনেক প্রেরণা পেলাম, সেইসাথে পরিশ্রম সফলের আনন্দ। অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
কাল্পনিক শক্তিকে বিকশিত করার জন্য এসব প্রাচীন পৌরাণিক কাহিনীগুলো পড়া দরকার। -- আমিও আপনার সাথে একমত।
ভালো থাকবেন। নর্স মিথোলজি নিয়ে আবার ফিরে আসার ইচ্ছা আছে আমার।
শুভেচ্চ্ছা ও শুভকামনা।

১৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করলো তা দেখতে আবার আপনার পোষ্টে আসা।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বারবার ফিরে আসুন। আপনাকে দেখলে ভালো লাগে প্রিয় ভাই। অনেক ধন্যবাদ।

১৬| ০৫ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,
গত কয়েক বছর ধরে হলিউডে মিথোলজি বেসড সিনেমা করার একটা ক্রেজ উঠেছে ।সেই সূত্রেই নর্স মিথোলজি নিয়েও অনেকগুলো ব্লগ বাস্টার মুভি হলো । ইদাননিং ব্লগেও দেখি সেই ঢেউ । এখন আর মিথোলজি পড়া হয় না পড়ার অভ্যেস চেঞ্জ হবার কারণেই । তারপরও আপনার লেখাটা পড়লাম । স্কুল দিনে পড়া গ্রীক মিথোলজি পড়ার মজা নিয়েই পড়লাম । অনেক কষ্ট করে ইনফরমেশন কালেক্ট করেছেন লেখার জন্য সেটা লেখা পড়েই বোঝা গেলো । ভালো লাগা লেখা পোস্টের ধন্যবাদ নিন ।

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রিয় মলাসইলমুইনা ভাই , অনেকদিনপর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে। আপনার চমৎকার মন্তব্য ভালো লাগলো। ইদানিং পড়ার চেয়ে দেখতে পছন্দ করে মানুষ।
কয়েকদিন আগে কমিক্স নন্টে ফন্টে এর ৫০ বছর পূর্ণ হলো। এই নিয়ে যত লেখা পেলাম তার সব কথা বলেছে এনিমেটেট সিরিস নিয়ে কালিতে ছাপানো বইয়ের কথা কেউ তেমন বলে না।
হলিউড মুভির কথা বললে। মার্ভেল কিন্তু পুরোপুরি মিথ মেনে চলেনা। সিনেমার খাতিরে কিছুটা পরিবর্তন করে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক মজা নিয়ে আমার পোষ্টটা পড়েছেন বলে সীমাহীন ভালো লাগা কাজ করছে মনে। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ২:১৬

সোহানী বলেছেন: অসাধারন অসাধারন। এক নি:শ্বাসে পড়লাম। মিথোলজি আমার বরাবরেই প্রিয়। ভালো লাগে বোকা বোকা দেবতাদের :P

০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ সোহানী আপু। এইবার বুক ভরে নিঃশ্বাস নিন। :)
ভালো থাকবেন। মিথলজির বোকা বোকা দেবতারা ভালো থাকুক।

১৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৬

মোঃমোজাম হক বলেছেন: আমাদের নিকট অনেক কিছুই অজানা আছে। লেখা পরে আমি মুগ্ধ।
তবে বলবেন কি এটা শুধুই কাল্পনিক নাকি কোন ধর্মীয় কাহিনী?
মুভি হলে দেখতে হবে।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রথমে স্বাগত জানাই আপনাকে।লেখা ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলাম।
আসলে মিথ কারো কারো কাছে ধর্ম আবার কারো কারো কাছে কল্পনা।
শের শায়রী ভাই , কমেন্ট বক্সে মুভির লিংক দিয়েছেন। আপনি দেখতে পারেন।
তবে মুভিটা পুরোপুরি নর্স মিথোলজি অনুসরণ করেনি।

ভালো থাকবে আপনি। শুভকামনা আর শ্রদ্ধা রইলো।

১৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৪

মা.হাসান বলেছেন: অসাধারণ এলটি লেখা। হ্যাটস অফ।

০৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় হাসান ভাই। কেমন আছেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.