নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
১.
শীতের সকাল। ছুটি চলছে। বাইরে শোরগোল । ঘুম ভেঙে গেল। আরে ! কিছু মিস করলাম নাকি? একটানে লেপ সরিয়ে লেপের তল থেকে বের হলাম। কোন কিছুই মিস করা চলবে না কিছুতেই । সবাই হয়তো ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। ছোটফুফুরাও ঢাকা থেকে এসেছে। সব ভাইবোন মিলে আনন্দের শেষ নেই। মনে পড়লো ,গতরাতে নন্টে ফন্টে শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম মেজচাচার ঘরে , কে তুলে এনে আমাদের ঘরে শুইয়ে দিয়েছে কে জানে।
উঠোনে জটলা। মেজচাচার হাতে ব্যাগ । তাতে কয়েক রকম পাটালি গুড়ের নমুনা । সবচেয়ে ভালো গুড় দিয়ে আজ রস পিঠা বানানো হবে। চিতই পিঠা রসে ডোবানো হবে। কেনা আর টেস্ট করার গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্ব সব সময়ই মেজচাচার ঘাড়ে পড়ে । এ ক্ষেত্রে মেজচাচার জুড়ি নেই । দাদা জানালায় বসে তাকিয়ে আছেন। রস পিঠা দাদার খুব প্রিয়।
আনন্দমুখর পরিবেশ চলছে। সবার মধ্যে চঞ্চলতা। আমি ব্রাশে পেস্ট মাখিয়ে দৌড়ে চলে গেলাম পুকুর পাড়ে । জামগাছটার নিচে। ভাইবোনদের সাথে আড্ডায়।
পিঠা খাওয়া হবে সেই রাতে আর আমাদের উৎসব শুরু হয়েছে এখনই । এটাকেই সম্ভবত শৈশব বলে।
এতো কাল পরেও দৃশ্য গুলো একবারে জীবন্ত। টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলো জমা করে রেখেছে ব্রেন সেল। ছোটফুফুরা ঢাকা থেকে আসার আগে চিঠি দিত। চিঠিতে নির্দিষ্ট তারিখ থাকতো না। তাই আমরা ছোটরা দুই একদিন ধরেই অপেক্ষা করতাম বাড়ির পাশের রাস্তায়। ঈদের চাঁদ দেখার মত কে আগে দেখবে এমন একটা উৎকণ্ঠা কাজ করতো।
বেঁচে থাকলে অনেক শীত পাবো। শীতের সকাল পাবো। কিন্তু সে সময়? আমার স্মৃতি কোষ সব সময় সুখের স্মৃতি জমা করে। আমি চাই আমার ছেলেমেয়েদের শৈশব আমার মতোই হোক । এমন শৈশব নিয়ে বড় হোক। মেজোচাচার বাছাই করা গুড়ের মত মিষ্টি শৈশব !
২.
একটা সময় শবে বরাত ছিল উত্সবের মতো। সামাজিক একটা বন্ধনের মতো ব্যাপার। পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে তর্কে যেতে চায় না। একটা সময় ছিল দিনটি নিয়ে কোন বিতর্ক ই ছিল না! দুপুর থেকে রুটি বানানো শুরু হতো একটার পর একটা চাউলের রুটি পাহাড় তৈরী করতো, আমরা ছোটরা রুটি গুনতাম আশি... একাশি...বিরাশি...
আমরা অপেক্ষায় থাকতাম আমাদেরকে কখন বাড়িতে বাড়িতে রুটি আর হালুয়া বিতরণ করতে পাঠাবে! বাড়ি বাড়ি থেকে রুটি আসা শুরু হয়ে যেত এরই মধ্যে সুজির হালুয়া, ডালের হালুয়া, ময়দার হালুয়া... আলাদা আলাদা পাত্রে তুলে রাখতাম আমরা। কত কাজ আমাদের... এরপর আমরা বেড়বো রুটি আর হালুয়া বিলি করতে, গোসল করে পাঞ্চাবী পড়ে আমরা প্রস্তুত।
ডিমের হালুয়া বরাবরই আমার খুব পছন্দ । অল্প করে রান্না করা হতো আমার জন্য, ছোটদের জন্য আর দাদার জন্য ।
ইতিমধ্যে ফকির মিসকিন দরজায় ভীড় শুরু করছে.. ওদিকটাতেও নজর রাখতে হচ্ছে! কত কাজ আমাদের...
কয়েকবছর ধরে এই সব আর ঘটে না। দেশের মানুষ ধর্ম নিয়ে অনেক জ্ঞান রাখে( !) তাই নিয়ম রীতি পাল্টে গেছে। এই সব নিয়ম রীতি অনেক কিছুই বদলে দেয়, সামাজিক বন্ধন... আন্তরিক বন্ধন কিংবা আমাদের শৈশব!
৩.
পেনসিল আর সর্বকর্মার অ্যাডভেঞ্চার
(সত্যমূলক রুপকথা)
আমাদের দুই নায়ক- যাদুকর পটুয়া,
ড্রয়িঙের মাস্টার পেনসিল আর সব
কাজের কাজী, লোহার মানুষ
সর্বকর্মা তাদের বৃত্তন্ত, তাদের
নানা অ্যাডভেন্ঞ্চার, তাদের যাদু
ইশকুলের খবর শোনাবার জন্য এবার
বিদেশ যাত্রা করল।
বইটি পড়ার পর তোমাদের অনেকেই
নিশ্চয় ধরতে পারবে যে যাদুর
ইশকুলটা খাস জীবন ছাড়া আর কিছুই
নয়। সে জীবন কিছু শিখিয়েছে,সবই
শেখাবে।
তোমরা কিন্তু
চিঠি লিখে জানাবে বইটা থেকে তোমরা কী বুঝলে,
কী শিক্ষা পেলে?
নানান জায়গা থেকে ছেলেমেয়েদের
চিঠি আমরা পাই অনেক।যাদু ইশকুলের ঠিকানাটা জানতে চায় সবাই।
একটি ছেলে লিখেছঃ 'যাদু ইশকুলের
ঠিকানাটা আমায় দিন, নিজের
জন্যে একটা বাইসাইকেল ,
টোটা সমেত বন্দুক আর দুটি দম
দেয়া খেলনা মটরগাড়ি আঁকতে চাই!'
আরেকজনের ইচ্ছে একটু অন্য
রকমঃ 'যাদু ইশকুলে ভর্তি হতে চাই, আমাদের গাঁয়ের জন্য ঠিক
এমনি একটা ইশকুল এঁকে দেবো,
ফলে সব ছেলেমেয়েই তাতে পড়তে পারবে। তাছাড়া বাড়ির
পাশে একটা নদী আঁকতে চাই,
ঠাকুরমাকে তাহলে বেশীদূর
হাঁটতে হবে না,
বুড়ো হয়ে গেছেন তো...'
দেখেছ তো, কত রকমের ছেলে আছে, কত রকম তাদের চিঠি। আমাদের ইচ্ছে কী জানো, তোমরা ওই দ্বিতীয় ছেলেটির মতো হও। কেন, সেটা নিজেরাই ভেবে দ্যাখো।
- ইউরি দ্রুজকভ
_______
বইটি যখন হাতে পেয়েছি তখন শুধু মাত্র বইয়ের উপর নিজের নাম লিখতে শিখেছি। আব্বা বই এনে দিতেন আর আমি 'সৌরভ' লিখে রাখতাম। বইয়ের উপর নাম
লেখার জন্যই সবার আগে আমাকে নিজের নাম লেখা শেখানো হয়েছিলো।
পরে যখন একটু বড় হলাম তখন জাদুর ইশকুলের চিঠির
কথা মনে হতো। একটা চিঠিও লিখেছিলাম। চাকাওয়ালা ঘর
বানাতে চেয়েছিলাম। অসুস্থ থাকতাম তো তাই চেয়েছিলাম
শুয়ে শুয়ে এখানে ওখানে ঘুরে বেড়াতে।
আর একটা জিনিস চেয়েছিলাম,
আমাদের বাড়িতে একটা মহিলা ভিক্ষুক
আসতো প্রতিদিন,এসে চৌকাঠে বসে বসে আমার
সাথে গল্প করতো।দুপুরে খেত। আমি উনার জন্য
একটা লাঠি আঁকতে চেয়েছিলাম, সুইচ দিলে ছোট আবার বড় হবে।মহিলাটার কোমড়ে ব্যাথা ছিলো তো! মাজা কুঁজো করে হাঁটতো। এই লাঠি এখন কিনতেই পাওয়া যায়। জাদু করা লাগে না। তবুও শৈশবের সময়টা জাদুই ছিল।
শৈশবের এইবইটি আমার সবচে প্রিয় বললে ভুল হবে না।অনেক মজা অনেক অ্যাডভেঞ্চার, অনেক শেখার আর
ঐযে 'সত্যমূলক রুপকথা' - আর বুঝেছিলাম যাদুর
ইশকুলটা খাস জীবন ছাড়া আর কিছুই
নয়। সে জীবন কিছু শিখিয়েছে,সবই শেখাবে।
আমার শৈশবটা খারাপ ছিলনা। ঠিক যেন 'সত্যমূলক রুপকথা'।
জাদুর ইশকুল নিয়ে চিঠি লেখার
ঠিকানা।
আমাদের ঠিকানাঃ
প্রগতি প্রকাশন ২১,
জুবোভস্কি বুলভার
মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ । বই টার প্রতিটা বাক্য যেন দৃশ্য হয়ে চোখের সামনে ভাসে। একেবারে জীবন্ত। কি অসামান্য অনুবাদ । ননী ভৌমিকের কাছে আমার শৈশব ঋণী।
ভাল থাকবেন আপনি। আমার পোষ্ট গুলোতে আপনি রাশিয়ান শৈশবে ফিরে যান জেনে খুব ভাল লাগছে।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬
শেরজা তপন বলেছেন: অসাধারন কিছু স্মৃতি শেয়ার করেছেন ভ্রাতা।
আপনার প্রথম স্মৃতিটার সাথে আমাদের শৈশব মিলে যায় খানিকটা।
শবে বরাতটা আসলে ধর্ম থেকে সাংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠেছিল বেশী- রাতের বেলায় আমরা বাড়ি বাড়ি ভিক্ষুক সেজে রুটী হালুয়া নিয়েছি বাড়ি বাড়ি ঘুরে- কি যে মজার ছিল ব্যাপারগুলো। ঠিক বলেছেন , ধর্ম বিষয়ে লোকজন বেশী জেনে ফেলায়-দুয়েকটা উৎসব যাও ছিল কালে ভদ্রে সেগুলোও হারিয়ে যাবার দশা!
আমার দুর্ভাগ্য যে, যাদুর স্কুল নিয়ে আমার পড়া হয়নি কখনো- যখন এ বিষয়ে জানলাম, ততদিনে বড় হয়ে গেছি
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: শবে বরাতের নামাজ বেশ খুশীর ছিল। আমরা দল বেঁধে নামাজ পড়তে যেতাম। এখন এই নামাজ পড়া কে নিরুৎসাহিত করা হয়। বলা হয় ফরজ না পড়ে নফল নিয়ে টানাটানি ।
পেনসিল আর সর্বকর্মা সবার পড়া উচিত বলে মনে করি। আপনি পড়ে দেখবেন নিশ্চয়ই ।
ভাল থাকবেন । হালুয়া রুটির শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৮
হাবিব বলেছেন: মসৃণ লেখার মাঝে কিছু সময়ের জন্য হারিয়ে গিয়েছিলাম
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনি পাঠক হিসেবে একনিষ্ঠ ।
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: এই বইটা আমি খুঁজছি।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: প্রগতি প্রকাশনীর বই হয়তো পাবেন না। আমার দুই কপি আছে। পেলে আরো নেব ।
ভালো থাকবেন। রাশিয়ান শৈশবের শুভেচ্ছা ।
https://www.somewhereinblog.net/blog/ShopnobazShourav/30292665
৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। উপভোগ করলাম।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই । আরো এমন পোষ্ট দেবার চেষ্টা করব ।
৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩২
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সরল এবং মাধুর্যপূর্ন সুন্দর লেখা। যেন ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সেই সাথে প্রানবন্ত কিছু মুহুর্তে ফিরে গেলাম। খুব ভালো লাগলো। দোয়া রইল। পোস্টে লাইক।
- দেয়ালিকা বিপাশা
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পাঠ মন্তব্য আর ভালো লাগায় স্বাগত জানাই । ভালো থাকবেন দেয়ালিকা।
৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২০
শায়মা বলেছেন: ছোটবেলায় আমার সবচাইতে প্রিয় বই ছিলো মালাকাইটের ঝাঁপি, উভচর মানুষ আর এই পেন্সিল সর্বকর্মা।
আমি মনে মনে কতইনা স্বপ্ন দেখতাম পেন্সিলের মত যা আঁকা যায় যদি সত্যি হত তবে হাতের মুঠোয় পেতাম রে ভাই বিশ্ব নিখিল।
হা হা এসো গান শিখি এর গান আর এই বই মিলেমিশে একাকার ছিলো জীবনে।
তবে সর্বকর্মা হতে ইচ্ছে করেনি আমার। যদিও সেও এক মজার পন্ডিৎ ছিলো।
সবই বানাই নিজে নিজে বিশ্বাস নেই আজব চীজে
নিজে নিজে সবই নিজে .....
আরও একটা গান গেয়েছিলো তারা শেষে এসে।
মনে নেই আর সেই প্রিয় গান আজ....
আহারে এই বইটা যদি খুঁজে পেতাম।
মালাকাইটের ঝাঁপি আর উভচর মানুষ খুঁজে পেয়েছি।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপু মনি , তিনটা বইই আমার কাছে আছে অরিজিনাল কপি। আচ্ছা পেনসিল আর সর্বকর্মা, উভচর মানুষ নিয়ে কোন এনিমেশন / মুভি আছে?
এই গানটা মনে আছে?
মন্তব্যে অনেক খুশি হলাম । কি চমৎকার অনুবাদ আর ছবি নিয়ে কেটেছে শৈশব!
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০০
শায়মা বলেছেন: উভচর মানুষ নিয়ে আছে এম্ফোবিয়ান ম্যান।
কিন্তু পেনসিল সর্বকর্মা একটু কম পরিচিত ছিলো কেনো যেন।
আমাকে শিঘরী পেনসিল সর্বকর্মা এনে দাও!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: মুভিটা দেখা নাই।
দুইটা অরিজিনাল কপি পেলে একটা রাখবো আপনার জন্য ।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খুবই ভালো লিখেছেন। ভিক্ষুক মহিলার জন্য লাঠির কথা পড়ে আরোও একটি বিষয় মনে পড়েছে - আমাদের সময় টেলিফোন একটি বিরল মানের যন্ত্র ছিলো। যা এখন সবার হাতে হাতে ভ্রাম্যমান। পোস্টে +++
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আর' টরে টককা টরে' এর কথা বললেন না?
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:২০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমার শৈশব ও কৈশোরের অসাধারণ কিছুও মানবিক গল্প ও উপন্যাসের পরিচয় ঘটেছিলো প্রগতি প্রকাশনের মাধ্যমে। তারই 'পেন্সিল আর সর্বকর্মা' আমাকে এক বিস্ময়কর জগতে নিয়ে যায় - প্রসারিত করেছিল আমার কল্পনার জগৎ।
আমাদের ফেরদৌসী আপা (গায়িকা ফেরদৌসী রহমান) সেই সময় টিভিতে 'জাদুর পেন্সিল' নাম একটা গান শেখাতেন - সেই গানটার কথাও মনে পড়ে গেলো।
আপনার রাশিয়ান সাহিত্যের উপর পোস্টগুলোর মাধ্যমে আমি মাঝে মধ্যেই ফিরে যায় সেই সকল দিনগুলোতে।