নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
১.
সকাল ৫: ৩০। ভোর আর সকালের মধ্যে পার্থক্যটা ঠিক ধরতে পারছি না। সাড়ে পাঁচটা কি ভোর? সারারাত ঘুমতে পারিনি। এপাশ ওপাশ করছি শুধু। ফ্যানের বাতাস যেন একফোঁটাও গায়ে লাগে না কিন্তু ফ্যান চলেছে ফুল স্পীডে। মাথার ভেতর হাজারটা মানুষ কথা বলে। ঘুমাতে দেয় না একটুও। কয়েক মাস ধরে এভাবেই চলছে । করোনা মহামারী তে ঢাকার রুজিরোজগার ছেড়ে বাড়িতে চলে এসেছি প্রায় এক বছর । বাড়িতেই আছি।
বিছানায় আর থাকতে ইচ্ছে করছে না। মাস্কটা পরে বাড়ি থেকে বের হলাম হাঁটতে । এতো সকালে অনেকদিন হাঁটিনা।
হাঁটতে ভালোই লাগছে। কিন্তু পরিবেশটা স্বাভাবিক না। চারিদিকে কেমন গুমোট ভাব। সময়টা করোনায় আক্রান্ত ।আমি হাঁটছি। চেয়ারম্যান মোড় হয়ে ক্যানেলের দিকে চলে যাবো। ঐখান দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সাবজোন রোড হয়ে বাড়ি । এই সাতসকালে বেপরোয়া ট্রাক গুলো শাঁ শাঁ করে চলে যাচ্ছে। সতর্কতার কোন বালাই নাই। আমি রাস্তা পাড় হবো। ঐ পাড়ে নাঈমদের বাড়ি। তারপর 'সুশীলা ভবন' , আর ঐতো বট গাছ আর ব্রীজ.....
২।
আম্মা..আম্মা। বেশ কয়েকবার ডাকলাম । কলিংবেল দিচ্ছি না। সবাই জেগে যাবে। এতো সকালে জাগাতে ইচ্ছা করছে না।
আম্মা.. আম্মা। আম্মার তো সকালে উঠে পড়ার কথা। শুনতে পাচ্ছে না নাকি?
'মিলি, মিলি। সৌরভ বাইরে ডাকছে। ' আব্বার গলা। আব্বা উঠে পড়েছে। নাকি ভোরে উঠে আর ঘুমায় নি। বুকের মধ্যে হঠাৎ একটা ধাক্কা লাগলো। দৃশ্যপট পরিচিত মনে হতে লাগলো। মনে হলো এমন ঘটনা আগেও ঘটে গেছে। হাঁটতে বের হওয়া , চেয়ারম্যান মোড়, নাঈমদের বাড়ি, সুশীলা, বেপরোয়া ট্রাক ....
আম্মা... আম্মা। আম্মা চাবি হাতে হেঁটে আসছে। পেছনে লাঠি ভর দিয়ে আব্বা।
'তাড়াতাড়ি গেট খোল। পুরো শরীর ভেজা। গোসলে যাবো। '--- আমি তাড়াহুড়া করি।
আব্বা বললেন , 'কোথায় গেছিলি?'
আমি বললাম, ' হাঁটতে। সারারাত ঘুম হয়না।'
আমি সোজা চলে এলাম কল পাড়ে। পানির মেশিন ছেড়ে গোসল করা আমার অভ্যাস ।
মনের অস্থিরতা যাচ্ছে না । প্রতিটি ঘটনা পুণঃপ্রচার মনে হচ্ছে । মনে হচ্ছে । মনে হচ্ছে আমি গোসল করবো আর আব্বার মোবাইলে কল আসবে। আচ্ছা আমার মোবাইলটা কোই?
আব্বার মোবাইলে নোকিয়া টিউন বেজে উঠলো। কে , কি ,কোথায়...? তিনটি শব্দ কানে ভেসে এলো।
আমি মাথায় পানি ঢালছি। ঠান্ডা পানি। আরে, পানি এতো লাল কেন? নাকি রক্ত??
৩।
গোসল শেষ। খুব ক্লান্ত লাগছে। ঘুম ঘুম লাগছে। বিছানায় গিয়ে ঘুমাবো। বারবার দেখা স্বপ্নের পরিচিত দৃশ্যপট এতো বাস্তবিক হতে পারে? আমার সাথে না ঘটলে হয়তো বুঝতে পারতাম না।
ভাবছি কাল সকালে আবার হাঁটতে যাবো।
চেয়ারম্যান মোড়, নাঈমদের বাড়ি, সুশীলা , বেপরোয়া ট্রাক ....
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পুরোটাই আসল। ২ নং টাতে পুরোপুরি ঘোরে ছিলাম। মনে হতেছিল এইসব আগে ঘটেছে।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পুরোটাই স্বপ্ন?
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হয়তো স্বপ্নে দেখেছিলাম আগে এমন কিছু। ২ নং এসে মনে হলো এগুলো আগেই ঘটে গেছে। গোসল করার সময় রক্ত মনে হতে ছিল। মনে হতেছিল বেঁচে নেই। নিউজটা এখনই আসবে।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩০
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেজা ভ্যু?
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: না দেজা ভ্যু নয় হয়তো। দেজা ভ্যু আমার কাছে মজার অভিজ্ঞতা। অনেক হয়েছে।
আগের দুঃস্বপ্ন টা হয়তো ঘোরের মধ্যে বাস্তব মনে হয়েছে। এমন কি সেই সময় আব্বার মোবাইলে রিং এসেছিল।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:২৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পোস্টি শুরতেই একবার পড়েছি।
এখান আবার পড়লাম।
লেখাটা এমন ভাবে ছেড়েছেন যেটা খুবই আকর্ষণীয় লেগেছে।
১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৩
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আগে একবার পড়েছিলেন?
তবে ঠিকভাবে সাজাতে পারিনি। প্লট ছিলো। ভালো গল্প লিখিয়ে হলে দারুণ কিছু লিখতো।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩২
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: বেশ লেখেছেন মাঝে মাঝে মনে এর লেখা লেখি কিন্তু সময় হয়ে উঠে না
ভাল থাকবেন দাদা-----------------
১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লিখে ফেলুন !
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৫
সোনাগাজী বলেছেন:
কোন অংশ স্বপ্ন, কোন অংশ আসল?