নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
নিয়মিত ডায়েরী লেখার অভ্যাস কোনো দিন ছিল না। হাজার খানেক কবিতা কোথায় হারিয়ে গেছে তার ইয়াত্তা নেই। লিপিবদ্ধ হয়নি কত কবিতা আর লেখা। লিখে কি ? কেন লিখি সেটা আজ অজানা । নিজের ভাবনা তো নিজের কাছেই থাকতে পারে, কেউ চুরি করবে না ছিনতাই হবে না। সেগুলো লিখতে হবে কেন ?
কখনো ভাবিনি কেন লিখি। কার জন্য লিখি ? অনেকেই বলে থাকে নিজের জন্য লিখি। নিজের জন্য লেখার দরকার কি ? আমার লেখা আমি কতবার পড়ি ? আমিই কি আমার লেখার পাঠক ? নিজের জন্য লিখি - কথাটা আমার কাছে গুরুত্ব বহন করে না।
নিজের জন্য লিখলে সেটা গোপন ডায়েরীতে লেখা উচিত। নিজের লেখা নিজেই পড়া উচিত। সেটা কিন্তু হচ্ছে না। লিখা হচ্ছে ব্লগে , সোশ্যাল মিডিয়াতে যেখানে লেখা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। তাহলে কি সেটা নিজের জন্য লেখা বলা চলে? নিজেই যেটা মেনেছি সেটাই হাস্যকর লাগে। লেখার উদ্দেশ্য না থাকলে টিকে থাকা মুশকিল।
আচ্ছা, আমার ভাবনা গুলো অন্যদের জানিয়ে লাভ কি ? শৈশব , স্মৃতিচারণ , গল্প , কবিতা কতটুকু আন্দদায়ক এবং মূল্যবান ? এখানে আমার কি লাভ ? নাকি মন্তব্য আর প্রশংসার আশা ? এখানেও তো নিজেকে জাহিরের একটা প্রচেষ্টা। আমার লেখা পড়ুক , মন্তব্য করুক , প্রশংসা করুক নাকি এর বাইরে অন্য কিছু আছে। স্বপ্নবাজ সৌরভ ভালো লেখে - এটাই কি উদ্দেশ্য নয় কি ?
আমার লেখা পড়ুক , পছন্দ করুক, মন্তব্য করুক, প্রশংসা করুক , আলোচনার করুক। এটাই আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য বলে বিবেচিত হয় আমার কাছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আনন্দ পাইনা।
২| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯
ফুয়াদের বাপ বলেছেন: ব্লগ/সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা মানে নিজের চিন্তা-চেতনা অন্যদের সাথে শেয়ার করা। একে অপরের লেখনী থেকে শিক্ষনীয় মধু আহরণ করা।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: সঠিক। এটাকে একান্তই নিজের জন্য লেখা বলে না। কমেন্ট আসবে আলোচনা হবে। মানুষ তার লেখা শেয়ার করে এই জন্যেই।
৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
কামাল৮০ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন,তার পরও কিছু কথা থাকে সেটা পেয়ে যাবেন বিভিন্ন মন্তব্যে।অনেকে তার আদর্শের প্রচার চায়।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সেটাই নিজের জন্য লিখি, লিখে আনন্দ পাই। এই গুলো আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয় না। আপনি যখন কিছু লিখে শেয়ার করবেন তখন অবশ্যই ফিডব্যাক আশা করবেন।
যদি সেটা না করে তবে ডাইরী মেন্টেইন করারই ভালো। নিজের লেখার আনন্দ নিজের কাছেই থাকলো।
৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সোনাবীজ ভাইয়ার মন্তব্য ভালো লেগেছে! আসলে লেখক দের না লিখলে ভালো লাগে না। আমি আমার নিজের জন্যে লিখি, কেউ পছন্দ করলে আনন্দিত হই, ভাললাগে নিজের লেখা। না লিখতে পারলে বিষণ্ণ সময় কাটে।
৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আমিও ডায়েরি লেখি। আমাদের দৈনদিন জিনিস শেয়ার করা উচিত, প্রাচীন মিশরের মত।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এটা আবার কেমন। আপনার প্রাইভেসী থাকবে না?
৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মিরোরডডল বলেছেন:
সেদিন ইভানের লিংকটা ঠিকমতো হয়নি ।
আজ তাই আবারও দিচ্ছি । আমি শিখেছিলাম ধুলোর কাছে ।
এই গানের লিংকটা ওপেন করবে ।
ইকোয়ালের পরের অংশটুকু কপি করবে, এটা eEaQ586gEwk
প্রথমে first bracket এটা [
এরপর টাইপ yt
এরপর স্ল্যাশবার | দিন
তারপর লিংকের কপি অংশটুকু eEaQ586gEwk
এরপর unbracket ]
কেমন হবে দেখতে বোঝার সুবিধার জন্য এটা এখানে স্পেস দিয়ে দেখাচ্ছি কিন্তু শেয়ার করার সময় কোন স্পেস দিবেনা ।
[ yt | eEaQ586gEwk ]
আশা করি এবার ইভানেরটা হবে ।
Enjoy this song.
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অবশেষে শিখেছি।
৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ডায়েরি লেখার অভ্যাস বহু বছরের পুরনো... তবে কয়েক বছর যাবত ডিজিটাল ডায়েরি লিখছি....
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: আপনার ডায়েরী কি অন্য কাউকে পড়তে দিতেন?
৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে উপরে আমাদের ধুলো ভাইয়ের মন্তব্য ভালো ভালো লেগেছে।
মানুষের মধ্যে আত্মপ্রেম থাকে। থাকতেই হবে। কম বা বেশী যা ই হোক না কেন। আত্মপ্রেম না থাকলে জীবন অর্থহীন হয়ে যায়।
আবার আমিত্ব ছাড়া মানুষ হয় না। এই কারণেই মানুষ সব সময় আশা করে তার কথা, কাজ এবং সৃষ্টিকে অন্য মানুষ সমর্থন দেবে। এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।
মানুষ যদি অন্যের ভালো প্রতিক্রিয়া আশা না করতো সেই ক্ষেত্রে সে পাবলিক প্লেসে না লিখে নিজের ডাইরিতে লিখত। যারা ডাইরি লেখে তারা নিজের জন্য লেখে এটা বলা যেতে পারে। কিন্তু পাবলিক ডোমেইনে লেখার উদ্দেশ্য কখনও শুধু নিজের জন্য হওয়ার কথা না। হওয়া উচিতও না। কারণ নিজের অজান্তেই আমরা হয়তো অন্যকে বিনোদন দিচ্ছি আমাদের লেখার মাধ্যমে।
আরেকটা কারণ হোল মানুষ সামাজিক জীব। তাই সে তার ভাবনা অন্যকে জানাতে চায়। কেউ ভাবনা প্রকাশ করে আড্ডা দিয়ে বা অন্য কোন ভাবে আবার কেউ করে শিল্পের মাধ্যমে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সবাই লিখুক। আমি পড়ে আনন্দ নেবো।
৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,
আপনার ভাবনা গুলো অন্যদের জানিয়ে কিছু লাভ নেই যদি কোন উদ্দেশ্য না থাকে।
"নিজের জন্যে লিখি" কথাটি মনে হয় সর্বাংশে ঠিক নয় বা এটা নিছক নিজেকে নিজের চোখ ঠারা! । হতে পারে এমনটা যে- নিজের আনন্দের জন্যে লিখি।
এব্যাপারে সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই এর মন্তব্যটাই যথাযথ যেখানে তিনি বলেছেন -লেখাটা নিজের আনন্দের জন্যই, কিন্তু বৃহত্তর বাসনাটা হলো তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। মানুষের প্রশংসা, ভালোবাসা লেখককে অনুপ্রাণিত করবে; সমালোচনায় তিনি পরিশুদ্ধ ও ঋদ্ধ হবেন।
তারচেয়েও বড় কথা, আমিত্ব ছাড়া মানুষ হয় না। যেটা বলেছেন সাড়ে চুয়াত্তর। মানুষ নিজেকে জাহির করতে চায় এটা প্রকৃতির নিয়ম। সে কারনেই মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হয়েই চীৎকার করে জানান দেয় - "আমি হাজির! "
একারনেই আপনার লেখার শেষের লাইন দু'টিই মনে হয় অকথিত ও নিভৃত সত্য।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
ইদানীং ব্লগে নিজের ভাবনা গুলো শেয়ার করি না। তেমন ইচ্ছাও হয় না।
১০| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
:আমার ভাবনা গুলো অন্যদের জানিয়ে লাভ কি ?
- এ প্রশ্ন মাথায় এসেছে ; মনে হয় লেখায় ভাটা পড়বে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অলরেডি পড়েছে।
১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নিজের ভাবনা, চিন্তা চেতনা অন্যের সাথে এক্সেঞ্জ করার প্রোয়োজন আছে, তবে সবার সাথে না।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভালো বলেছেন। ভাবতে হবে মন্তব্য নিয়ে।
১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৭
শেরজা তপন বলেছেন: একসময় আমার মনে হোত নিজের জন্য লিখি। আমার সুখ,দুঃখ,ভাললাগা সহ অন্য অনুভুতিগুলো আমার জানিয়ে লাভ
কি!
ধীরে ধীরে উপলব্ধি হল আমার এই ব্যক্ত কিংবা অব্যাক্ত অনুভুতগুলো অনেক প্রিয়জন কাছের মানুষের কাছে মুল্যহীন কিংবা অবহেলিত!
কিন্তু অজানা অচেনা কিছু মানুষকে সেগুলো ভাবায়, কাঁদায়, কষ্ট দেয় কিংবা বিমল আনন্দ দেয়।
সেই দুরের মানুষগুলো ধীরে ধীরে আপনজন হয়। আমার মৃত্যুর পরে হয়তো নিজের সন্তানেরাও দিনক্ষন ভুলে যাবে- কিন্তু বহুদুরের অচেনা আপনজন গুলো হয়তোবা মনে রাখলেও রাখতে পারে।
এই দুরের মানুষগুলোই যখন একজন সাহিত্যিককে ভীষনভাবে মুল্যায়ন করে- তখন দেখবেন কাছের সেই মানুষগুলো তার পরিচয়ে পরিচিত হতে চায় আর ভাব নেয় তাদের একান্ত ভালবাসা, অনুগ্রহ, উৎসাহ ছাড়া তিনি এখানটায় কখনোই পৌছুতে পারত না।
ব্যাতিক্রম অবশ্যই আছে।
অবশেষে এখন মনে হয় আমি আর আমার জন্য লিখি না- আমি লিখি কাছে অথবা দুরের অচেনা আপন মানুষগুলোর জন্য।
আপনার কথা, সোনাবীজ ভাই, সাড়ে চুয়াত্তুর, আহমেদ জী এস ভাই সহ অনেকের কথাই ভাল লেগেছে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
নিজের জন্য কেউ লেখে না বলেই আমি মনে করি। তবে একসময় নিজের জন্য লিখতাম। আমার একটা গোপন ডায়েরী ছিল। ঐটাতে নিজের জন্য লিখতাম।
১৩| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৪
অপু তানভীর বলেছেন: আমি বরাবরই লিখি নিজের জন্যই । আসলে আমার কাছে আমিই সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । তাই নিজের জন্য লেখা । এমন অনেক লেখা আছে তা কেবলই গোপন নিজের জন্য । তবে এই যে ব্লগে লিখছি এখানে অন্যেরা পড়ছে এটা একটা উপড়ি পাওনা । ধরুন একদিন পোস্ট করলাম কেউ পড়লো না, কেউ মন্তব্য করলো না তবুও খুব একটা কিছু যায় আসবে না ।
অনেকে আছেন তারা লিখেনই অন্যের পড়ার জন্য । লেখা কেউ না পড়লে মন্তব্য না করলে অস্থির হয়ে যান ।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: নিজের জন্য লিখলে শেয়ার করার দরকার হয় না। নিজের ডায়রীর বা খাতায় লিখে রাখলেই হয়। একসময় আমি সেটাই করতাম।
১৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখালখির মধ্যে একটা অকৃত্রিম আনন্দ আছে।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনার লিখে আনন্দ পান না লেখা শেয়ার করে আনন্দ পান? নাকি দুটোই?
১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখা প্রকাশ করার পর সেটা মনে হয় আর নিজের জন্য লেখা থাকে না।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হমম। আমার কাছে সেটাই মনে হয়।
১৬| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার ডায়েরী কি অন্য কাউকে পড়তে দিতেন?
আমাদের বৃহত্তর পরিবারে বড়ো জনেরা আমাদের ডায়েরী(তখন ডায়েরী মানে খাতায় লিখতাম) লিখতে উতসাহ দিতেন এবং যে যতটুকু পারি তা ইংরেজীতে লিখতে বলতেন। আমরা যে যা-ই লিখতাম তা ছিলো- ওপেন টু অল। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের লেখা পড়তাম এবং আমাদের গৃহ শিক্ষকদের তা দেখাতে হতো। আমাদের লেখায় ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। ক্যাডেট কলেজেও ডায়েরী(তখন ডায়েরী মানে কলেজের মনোগ্রাম খচিত নোট বুক) লিখতে হতো- ইংরেজীতে। তাও স্যারদের দেখাতে হতো ভুল সংশোধনের জন্য।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেও নিয়মিত ডায়েরী লিখতাম। তখন প্রাইভেসী ছিলো- ডায়েরী উন্মুক্ত থাকলেও পরিবারের কেউ কারোর ডায়েরী স্পর্শও করতোনা।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন যখন ডায়েরী লিখতেন তখন প্রাইভেসী ছিলো। নিজের জন্যই লিখতেন। শেয়ার করতেন না। আমার কাছে এটাকেই নিজের জন্য লেখা বলে মনে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমি নিজের জন্য লিখি - তিনি প্রচারবিমুখ - এ নিয়ে আমি বিভিন্ন জায়গায় আমার মতামত দিয়েছি। নিজেকে প্রকাশ করাই মানুষের, বিশেষ করে ক্রিয়েটিভ মানুষের মূল লক্ষ্য। যিনি নিজেকে প্রচার করেন না, তার কোনো লেখা আমরা কোনোদিন পড়ি নি। মানুষের কাছে নিজের ভাবনা ছড়িয়ে দিয়ে আমরা আনন্দ পাই। কোনো গল্প বা কবিতা যখন পাঠকের কাছে ভালো লাগে, তা লেখক হিসাবে আমাকে প্রচুর আনন্দ দেয়। তবে, সব লেখারই কিছু উদ্দেশ্য বা নির্যাস থাকতে হবে, যা অপরের কল্যাণে আসবে। আপাত মূল্যহীন কোনো লেখারও অনেক মূল্য থাকে, যদি তা পাঠ করে কোনো মানুষ আনন্দিত হোন। সেই আনন্দ থেকে তার মনে নতুন কোনো চেতনার জন্ম হতে পারে, যা তাকে করতে পারে সৃষ্টিশীল, মহৎ ও কল্যাণকারী। আপনি নিশ্চয়ই এমন গল্প অনেক শুনে থাকবেন, নিঃসন্তান কোনো মানুষ অঢেল সম্পদের মালিক। বিরাট বিরাট ইন্ডাস্ট্রির মালিক। কেউ নাই, অথচ টাকার পেছনে রাতদিন ছুটছেন। তিনি কেন এ পরিশ্রম করছেন? তার ধন কি পিঁপড়ায় খাবে না? না। আমাদের চিন্তাটায় ভুল আছে। একদিন এত সম্পদের অধিকারী হয়েও তিনি নিজে আসলে একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। প্রতিদিন হিসাব করছেন, তিনি কত বিলিয়ন টাকার মালিক হচ্ছেন। তার নেশাটাই তার আনন্দ। কিন্তু, সবচাইতে বড়ো অবদান তিনি রেখে যাচ্ছেন দেশের অর্থনীতিতে। তার অধীনে হয়ত হাজার হাজার মানুষ কাজ করছেন, যাদের মাধ্যমে অজস্র মানুষের বেঁচে থাকার অবলম্বন সৃষ্টি হচ্ছে। ঐ লোকটি সবকিছু গুটিয়ে বসে গেলে এই মানুষগুলোর কী হবে? এই উদাহরণ থেকে কিছু ধরতে পারেন নি, তাই না? কোনো লেখাই ফেলনা না। আমি সাহিত্য যে বুঝি না, তা না। যেহেতু সাহিত্যের মধ্যেই পুরোটা জীবন গেল, সাহিত্য কিছুটা বুঝি। এই ব্লগেই দেখেছি, খুবই কাঁচা, দুর্বল মানের কবিতা। আমাকে নাম্বারিং করতে বললে আমি হয়ত ১০০-এর মধ্যে বড়োজোর ২ দিব। কিন্তু সেই কবিতাই দেখেছি অনেকে পড়ে খুব আপ্লুত হয়েছেন। পাঠক যে লজ্জা বা ভদ্রতার খাতিরে এমনটা করেছেন, তা না। সবকিছুরই একটা লেভেল আছে। রবীন্দ্রনাথ বা মাইকেলের কবিতা সবাই বুঝবে না, সবাই পড়বে না। সেখানে মানুষের জন্য কী বাণী আছে, তা যদি কেউ নাই বুঝলো, তাহলে সেই বাণীর কোনো মূল্য ঐ পাঠকের কাছে নাই। তো, এই পাঠকও আমার দৃষ্টিতে এত কাঁচা কবিতাটিকেও এতখানি মূল্য দিয়েছেন, যা তার মনকে আলোড়িত করেছে, আর আমার তথাকথিত উচ্চমার্গীয় কবিতা হয়ত কোনোদিন পড়বেনও না, তা থেকে কোনো মোটিভেশনও নিবেন না। এবার সেই ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টের তুলনায় আসি। আমরা যা কিছুই লিখি না কেন ব্লগে, নিজের অজান্তেই কত পাঠকের মনোরঞ্জন করে যাচ্ছি, তা জানি না। ১০০ পাঠকের মধ্যে ৯৫জনের হয়ত পছন্দই হবে না, কিন্তু কারো কাছে তা সোনার খণ্ডের মতোই দামি মনে হবে।
আমার বসের একটা বিখ্যাত বাণী আছে- Your wisdom or knowledge has no value unless it is shared. ইন ফ্যাক্ট, কোনো মানুষ যে জ্ঞানী, তা আমরা বুঝি তখনই যখন তার জ্ঞানগর্ভ আলোচনা শুনি। মুখ বন্ধ করে বসে থাকা লোকটা কী রত্ন, তা আমরা জানি না।
যা খুশি তাই লিখুন। লেখাটা নিজের আনন্দের জন্যই, কিন্তু বৃহত্তর বাসনাটা হলো তা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া। মানুষের প্রশংসা, ভালোবাসা লেখককে অনুপ্রাণিত করবে; সমালোচনায় তিনি পরিশুদ্ধ ও ঋদ্ধ হবেন।
লিখুন। লিখে যান। শেয়ার করুন যত্রতত্র।