নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
পুরাতন বইয়ের দোকান গুলোর সামনে দাঁড়িয়ে বই গুলোর নাম পড়তেও ভালো লাগে। আজ নাম পড়তে পড়তে কয়েকটা বই আবার কিনে ফেললাম। হারিয়ে যাওয়া শৈশবের হারিয়ে যাওয়া রাশিয়ান বই।
হুমায়ূন আহমেদ আর তিনগোয়েন্দার বই গুলোতে হাত বোলালাম। পৃষ্ঠা উলটে পালটে দেখলাম। প্রথম পাতায় আমার নাম খুঁজলাম, পেলাম না। কোন একদিন পেয়ে যাবো। আমার হারিয়ে যাওয়া বই গুলো মাঝে মধ্যে পুরনো বইয়ের দোকান গুলোতে খুঁজে ফিরি... একদিন ঠিকই পেয়ে যাবো। বইয়ের প্রথম পাতায় আমার নাম, দুয়েকটি বাক্য, কবিতার কয়েক লাইন কিংবা আমার হাতেল লেখা দেখেই চিনে ফেলবো।
আমার বই গুলো যেখানে আছে ভালো থাকুক। যেদিন আমার অনেক টাকা হবে সেদিন সেইসব বই গুলো আবার কিনবো। কিন্তু রাশিয়ান আর তিন গোয়েন্দার বই গুলো হয়তো কোনদিন পাবোনা। খন্ড খন্ড ১৫৪টি বই!সম্ভবতঃ ১৫৪টি, তিনগোয়েন্দা থেকে শুরু করে রকিব হাসানের লেখা শেষ বই পর্যন্ত সব বই আমার ছিলো। কত কষ্ট করেই না জমিয়ে ছিলাম ।
রাশিয়ান বই নিয়ে আমার আলাদা দূর্বলতা আছে। যদিও আমি পাঠক হিসেবে বোদ্ধা গোত্রীয় কেউ না। হাজারটা বই পড়ার ধৈর্য কিংবা সাধ্য কোন টাই আমার হয়নি। অনেক নামিদামী লেখকের বই ছুঁয়েও দেখিনি। রাশিয়ান বই আমার শৈশবের সত্তা। যার সাথে পরিচয় আমার আব্বার মাধ্যমে, আব্বা আমার শৈশবে অনেক কিছুর সাথে পরিচয় করে দিয়েছেন যাদের একজন হলো ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার 'জ্যাক দ্যা রিপার'!
রাতে রেডিওতে নাটক শুনতাম আর দিনে পড়তাম রাশিয়ান বই! সবে তো বানান করে পড়তে শিখছি... আমার সামনে রাজ্যের রাশিয়ান বই। বই গুলো আজো পড়ি। বড় হয়েছি। তার পরেও এই বইগুলোর ভাল লাগার মোহ একবিন্দুও কমেনি।
কেন ই বা ভালো লাগলো? কিইবা বুঝতাম? কতইবা বয়স ছিলো ?
আমার শৈশবের রাজ্যের কয়েকটি বই আজ কিনলাম, যেগুলো ছবিতে আছে। যেগুলো নেড়ে চেড়ে দেখতাম। ভাবতাম একটু বড় হলেই পড়বো। আব্বা বলতেন, একটু বড় হলেই পড়তে পারবা।
আচ্ছা দাদু , জার্মানদের সাথে যে তুমি লড়লে , তার জন্যে তোমায় মেডেল দিবে ?
'মেডেলের কি দরকার ?' বললে দাদু , ' তবিয়ৎ বহাল থাকলেই আমার হল।'
রাশিয়ান বইয়ের 'রুপের ডালিখেলা'র গল্পটার কথা মনে পড়ে । সব বই কিনে দিয়েছেন আমার আব্বা । তিনি ভেড়ামারাতে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। স্কুলের ল্যাব থেকে লুকিয়ে বিস্ফোরক বানানোর সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না , দাবীও করেন না। তিনি বলেন, যুদ্ধ করেছে তো আমার ছাত্ররা।
তিনিও মেডেলের দাবী করেন নি। তাঁর কাছেও দেশ আর নিজে ভালো থাকলেই হলো। তবিয়ৎ বহাল থাকলেই হলো।
আচ্ছা , তাঁর কল্পনার স্বাধীন দেশের তবিয়ৎ কি বহাল আছে?
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: না , কিছুই নেই।
২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আলেকজ্যান্ডার পুশকিনের একটা গল্প পড়েছিলাম। এটা নিয়ে রেডিওতে নাটকও হয়েছিল দুনিয়া নামে। মূল নামটা মনে করতে পারছি না।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৫
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হুমম। আলেকজ্যান্ডার পুশকিন হলেন আধুনিক রাশিয়ান সাহিত্যের জনক। পৃথিবীতে খুব বেশি সময় ছিলেন না।
৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩১
জুন বলেছেন: পিতা পুত্র বইটা আমার অনেক প্রিয়। পিতৃহীন ছোট্ট সেরিওজাকে রেখে তার মা নতুন বাবা আর সৎ ভাইকে নিয়ে যখন ওকে ফেলে যাচ্ছিল সেই সময়ের কথা মনে হলে এখনো চোখে পানি আসে স্বপ্নবাজ।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: এইযে আবার এলো। চোখটা ভিজলো।
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বই দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে সে নতুন কিম্বা পুরাতন হোক।
১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
একেবারেই সঠিক।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: শিরোনামের সাথে তো লেখার মিল খুঁজে পেলাম না।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কেন পোষ্টটা তো পিতা এবং পুত্রকে নিয়েই।
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: @রূপক সাধু আপনার প্রশ্নের উত্তর গল্পটির নাম পোস্টমাস্টার পুশকিন এই ছোট গল্পসহ আরও কয়েকটি গল্প একটি বইতে লিখেছেন বইটির নাম বেলিকিনের গল্প পুশকিন বলতে চেয়েছেন ইভান পেত্রোভিচ বেলকিন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর সেই বন্ধু বিভিন্ন জনের মুখ থেকে গল্পগুলো শুনেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। বেলকিন নিজের নাম প্রচার করতে চায়নি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: শৈশবের চেয়ে সুন্দর কিছু নেই!