নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি \'স্মৃতিকাতরতা \' নামক ভীষণ এক রোগগ্রস্ত, সেই সাথে বিষাদগ্রস্থ মানুষ। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন।

স্বপ্নবাজ সৌরভ

আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......

স্বপ্নবাজ সৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ও জীবন রে ,ও জীবন...

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২




বাড়িতে যাতায়াতের জন্য হানিফ এন্টারপ্রাইজে সাধারণত উঠি না। ঢাকা-কুষ্টিয়া রুটে বাজে গাড়ি হচ্ছে হানিফ। সাধারণত এসবি পরিবহনের যাতায়াত করা হয়। ১০.৩০ টার কোচ কল্যানপুর ছাড়লো এগারোটার পরে। সারা রাস্তা গেলো ধুঁকতে ধুঁকতে। শীতের রাত। প্রচন্ড কুয়াশা। যত রাস্তা অতিক্রম করছে কুয়াশা যেন আরো ঘন হচ্ছে। গাড়ির গতি বাড়ানোর কোন উপায় নেই।
টাঙ্গাইল পর্যন্ত শীত সহনীয় ছিল। সিরাজগঞ্জ হোটেলে শীতের কারণে আর নামতে ইচ্ছা হলো না। পাবনা দাশুরিয়াতে যখন পৌঁছলাম তখন মনে হলো অন্য জগতে আছি। এত্ত শীত। বুদ্ধি করে আনা বৌয়ের চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিলাম।
ভেড়ামারাতে নামলাম। দাঁতে দাঁতে বাড়ি খেয়ে ঠক ঠক শব্দ হচ্ছে। পুরো শরীর কাঁপছে। এই ব্যাপারটা ভুলেই গেছিলাম ঢাকাতে শীত কাটিয়ে।
শীত নিবারণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ছাড়া এই শীতে টেকা মুশকিল।

বাস স্ট্যান্ড থেকে আমাদের বাড়ি যেতে বেশি সময় লাগে না। রিকশায় গেলে বড়োজোর ৬ মিনিট। রিকশায় বাড়ি ফিরছি। ঠান্ডা বাতাস যেন তীক্ষ্ণ বরফ কণা হয়ে শরীরে বিঁধছে।
আব্বা ঘুমাচ্ছেন। কয়েকদিন ধরে কথা বলছেন দুয়েকটা। কথা শুনে রেস্পন্স করছেন দেরিতে, আবার করছেনো না কখনো। রাতে নাকি একবার অস্পষ্ট স্বরে জানতে চেয়েছেন , সৌরভ কতদূর?
আমি আসবো সেটা ব্রেনসেলে সংরক্ষণ করেছেন। সেই ব্রেনসেল বারবার সিগন্যাল পাঠাচ্ছে।
আব্বা কে ডাকা হলো। আম্মা ডাকলেন। বললেন, সৌরভ এসেছে।
আব্বা শুনলেন , তাকিয়ে থাকলেন। তারপর ঠোঁটের কোন হাসি দেখা গেলো।
ভীষণ শীত সেই সাথে এক অদ্ভুত অনুভূতির মিশ্রণ আমাকে আর দাঁড়িয়ে থাকতে দিলো না। রুমে ঢুকে শুয়ে পড়লাম। লেপের নিচে ঢুকলাম।

ছোটবেলায় আব্বা আমাকে একটা ছোট্ট লেপ বানিয়ে দিয়েছিলেন। নানারঙের খোপ খোপ লেপের কাভার। ঘুমের সময় ওই লেপ ফেলে আব্বার লেপে ঢুকে পড়তাম।


গ্রামের দাওয়াত। দুপুরে অপ্রত্যাশিতভাবে দাওয়াত পেয়ে গেলাম। ইদানিং সবখানেই পোলাও রোস্টের চল দেখা যায়। কিন্তু এই দাওয়াতের মেন্যু দেখে মন ভরে গেলো। লবন দিয়ে প্লেট ধুলাম অনেকদিন পর।
এরপর সাদা ভাত , আলুঘন্ট , ঝাল গরুর গোশত , কালাইয়ের ডাল , শসা , দই।
অনেকদিন ধরেই ঠিক করেছি সব কিছু ঠিক থাকলে ভেড়ামারাতে ছেলের সুন্নতে খাৎনার আয়োজন করবো। ওর দাদারো ইচ্ছা।
এখানে মেন্যু থাকবে ,
১. সাদা ভাত
২. আলুঘন্ট
৩. মাছ ভাজা
৪. ঝাল মাংস গরু / খাসি
৫. কলাইয়ের ডাল
৬. সালাদ
৭. কুমারখালীর দই
৮. রসগোল্লা


কোন উপহার প্রযোজ্য নয়। সবাই আসবে ছেলেকে শুভকামনা জানাতে , দোয়া করতে , হাসিমুখে।
সেই অনুষ্ঠানে সকল ব্লগার কে আমন্ত্রণ জানাবো। রাতে ফ্লোরিং করে শোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন বাড়ির অনুষ্ঠান গুলোতে আত্মীয়স্বজনরা কয়েদিন আগে থেকেই আসতে থাকতো। উৎসব শুরু হতো অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে থেকেই। মেঝেতে খড় বিছিয়ে , কাঁথা চাদর পেতে বিছানা করা হতো। আমার বিছানায় জায়গা থাকার পরেও মেঝেতেই শুয়ে পড়তাম।

কয়েকজন ব্লগার নিশ্চয় আমন্ত্রণে আসবেন ।

নাজমা ফুফু এসেছে। নাজমা ফুফু একসময় একটা আমাদের বাড়িতে থাকতো ,কাজ করতো। নাজমা ফুফু অনেকদিন আমাদের বাড়িতে ছিল। বিয়ের আগে বাড়ি চলে যায়। নাজমা ফুফু আমাদের এখানে ভালোই ছিলেন। এখন থেকে যেতে চায়নি। পরিবারের চাপে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের জন্য আব্বা আম্মা বেশ কিছু টাকা দিয়ে ছিলেন। নাজমা ফুফুকে আমার বোনেরা পড়াতে বসাতেন সন্ধ্যার পরে।
আম্মা বলতেন , "ভালো মত পড়। ক্লাস সিক্সে আমার স্কুলে ভর্তি করি দিবো।"
নাজমা ফুফু বলতেন , "না দাদী ! আমার দ্বারা হবি নানে। আমার মাথা নাই।"
মাথা নাই সেটা আমার বোনেরাও বুঝতে পেরেছিলো। সন্ধ্যায় লোডশেডিং হলে সবচেয়ে বেশি কিছু হতো নাজমা ফুফু।

বিয়ের ১৩ মাসের ছেলেকে নিয়ে একবার নাজমা আপা আমাদের বাড়িতে চলে আসেন। আমাদের তখন নতুন পাকা বাড়ির কিছু অংশ বাস যোগ্য হয়েছে।
নাজমা ফুফু এসেই কান্না শুরু করলো। স্বামী মারে , বনিবনা হয় না।
আম্মা ধমক দিয়ে বললেন , কাঁদিস না। এখানেই থাক।
নাজমা ফুফু ছিলেন ছয়মাস। ছয়মাস পরে ওর স্বামী এসে আব্বার হাতে পায়ে ধরে ফুফু কে নিয়ে যায়।
নাজমা ফুফুর সেই ছেলেটা এখন বিদেশে থাকে। নিজ খরচে নাজমা ফুফু ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়ে। ছেলে এখন বিদেশ থেকে টাকা পাঠায়। নাজমা ফুফু ঢাকাতে ক্লিনিকে আয়ার কাজ করে। বাড়িতে স্বামী ছোট্ট দোকান চালায়।

নাজমা ফুফু এসেছিলো মেয়ে কে নিয়ে। আব্বার জন্য নিজের টাকায় ফল কিনে এনেছিল। আব্বাকে দেখে নাজমা ফুফু ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদলেন।
নাজমা ফুফুর মেয়ে ক্লাস সেভেনে পড়ে। বিনা বেতনে পড়ে , প্রাইভেট পড়ে যার যার কাছে তারাও টাকা নেয় না। আব্বা ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

ভেড়ামারা রেলওয়ে স্টেশনের এক কোনায় পিকু চা কফির দোকান দিয়েছে। পিকুর দোকানে গেলাম সন্ধ্যায়। কিছুক্ষন আগে ট্রেন ছেড়ে গিয়েছে। স্টেশন মোটামুটি ফাঁকা। স্থানীয় আড্ডাবাজ ছাড়া স্টেশনে তেমন লোক নেই। পিকুর দোকানে বিক্রি চলছে। চা কফি খাচ্ছে , ক্যারামবোর্ড খেলছে।
প্ল্যাটফর্মে পিকুর দোকানের এক পাশে সিমেন্টের বেঞ্চিতে একটা মেয়েকে বসে থাকতে দেখলাম। পুরো প্ল্যাটফর্মে একটাই মেয়ে। মেয়েটা চুপচাপ বসে আছে। হয়তো অপেক্ষা।

পিকু গরম কফি নিয়ে এলো। এককাপ কফি আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে আরেক কাপ কফি নিয়ে এগিয়ে গেলো একাকী অপেক্ষারত মেয়ের দিকে। বুঝলাম মেয়েটা প্রতিদিন সন্ধ্যায় কফি খেতে আসে। মেয়েটা পিকুর বৌ।

কফির দাম ৩০ টাকা। পিকু নিলো ৫০ টাকা। বললো , ৩০ টাকা কফির দাম আর ২০ টাকা আমার। পিকু ওমনি আছে।
ফিরে আসার সময় বললাম , কোন একদিন জোসনা রাতে ঢাকার ট্রেন থেকে তোর কফির দোকানে আবার নামবো।
পিকু বললো , সমস্যা নাই ! আমার দোকান ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।

প্ল্যাটফর্ম ধরে বাড়ি ফিরছি । ভাবলাম জোসনা নামাতে সবসময় পূর্ণিমার দরকার হয় না। সিগন্যাল পরে গেল। হুইসেল বাজিয়ে কিছুক্ষন পর হাজির হবে অন্তঃনগর ট্রেন। তাড়াহুড়ো , ব্যস্ততা। অন্তঃনগর ট্রেনগুলো প্ল্যাটফর্মে বেশিক্ষন থামে না।


আমাদের খড়ি রাখার ঘরটা হচ্ছে কুকুর - বিড়ালের লেবার রুম।
রাজ্যের কুকুর বিড়াল এখানে ছানা প্রসব করে। একটা মা কুকুর ৬ টা ছানার জন্ম দিয়েছে। মা কুকুর তার ছানা নিয়ে খড়ির ঘরের নিচে আস্তানা করেছে আর বাইরে বাপ কুকুর পায়চারি করছে , লেজ নাড়াচ্ছে , পাহারা দিচ্ছে।
আমাকে দেখে বাপ কুকুর পায়ের কাছে এসে শুয়ে পড়লো। মনে হলো বাপ হবার আনন্দ প্ৰকাশ করছে। মা কুকুর কে দেখা গেলো বেশ রুগ্ন। আড়ংয়ের দুধ কিনে এনে খাওয়ালাম। চুকচুক করে খেলো। বাপ কুকুর সেই দুধের দিকে মুখও বাড়ালো না। এর আগেও অনেক দেখেছি। মা কুকুরের খাবারে বাপ কুকুর মুখ বাড়ায় না। খেতে দেয় , দূর থেকে দেখে।

আমার লাগানো ১১টা পেঁপে গাছের মধ্যে ৫টা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। ৩টা ফল দিচ্ছে। ৬ টা আমের চারার মধ্যে বেঁচে আছে মাত্র দুটো। খেয়ে ফেলে রাখা খিরসাপাতি আমের আঁটি থেকে দুটো গাছ বড় হয়ে গেছে দুই বছরে।
তেজপাতা গাছ পাতা ছাড়িয়েছে। এলাচ গাছে ফলন আসবে দেড় বছর পরে। নতুন নারিকেল কাছে কুড়ি দেখা দিচ্ছে। পুকুরে পরিষ্কার করে মাছ ছাড়া হয়েছে এবার । বানে লাউয়ের পাতাগুলো লকলক করছে।
কুল বরই গাছে পাখিদের আনাগোনা। হটাৎ চোখ আটকে গেলো। বসন্তবৌরী নামের অদ্ভুত সুন্দর পাখিটা ডালে চুপচাপ বসে আছে।
আচমকা চোখটা ভিজে উঠলো।

সকালের সোনালী রোদ ধীরে ধীরে বাড়ছে। আর কয়েকদিন পর এই রোদে কুকুরের ছানাগুলোকে তার বাপ খেলা শিখাবে। আলতো রোদে হাঁটা শেখাবে। ঘেউ ঘেউ ডাক শিখাবে। গা ঘেঁষবে বাপের ছানারা।


সবাই ভালো আছে। শুধু আব্বা ভালো নেই। শুয়ে আছেন। নড়তে পারেন না। কথা বলেন না। বোঝাতে পারেন না।
আমি আব্বার মাথার কাছে এসে দাঁড়াই। কপালে হাত বোলাই। বলি , "আব্বা ছোটবেলার সেই পাখিটা আজ আমি দেখেছি। যেই পাখিটা তুমি দেখতে ডেকেছিলে , আমি রাগে গেছিলাম না। ওই পাখিটা আজ আমি দেখেছি।
জানো , পাখিটার জন্য আমার কোন কষ্ট ছিল না। কষ্টটা ছিল আমি গেছিলাম না বলে। কষ্টটা ছিল আমার এই কষ্টটা তোমাকে বলতে পেরেছিলাম না বলে। "
আব্বা কিছুই বললেন না । চোখ বন্ধ করে থাকলেন। শুনেছেন হয়তো।

ঢাকায় ফিরবো। আব্বার কাছে দাঁড়িয়ে আছি। আব্বা ঘুমাচ্ছেন। আম্মা আব্বাকে ডাকলেন , সৌরভ চলে যাচ্ছে।
আব্বা অস্পষ্ট স্বরে কিছুক্ষন পর বললেন , যাও।
তোমার দাদু ভাইয়ের জন্য মুরগির মাংস রান্না করে দিসি। তুমি আর তোমার দাদুভাই যেমন রান্না খেতা তেমন মাংস।

আব্বার থুতনি কেঁপে কেঁপে উঠলো। হালকা ফুঁপিয়ে উঠলেন। তার চোখের কোণে পানি জমতে দেখলাম।

করোনাকালে চাকুরীহীন অবস্থায় দুইবছর বাড়িতে ছিলাম। মাঝরাতে দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠতাম। রুম থেকে বাইরে এসে দেখতাম আব্বা লাঠি ভর হেঁটে বাথরুমে যাচ্ছেন।
আমাকে দেখে বলতেন , "ঘুম হচ্ছে না? সব ঠিক হয়ে যাবে।"
তখন মনে হতো জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছে আমার।
কিন্তু এখন ভাবি -শৈশবের পর সবচেয়ে ভালো কাটানো সময় ছিল ওই দুই বছর।
আমার ছেলেটা দাদা পেলো। দারুন একটা শৈশব স্মৃতিজমা করলো।
আব্বা নাতির জন্য নিয়মিত পাবদা মাছ কিনতেন। সেইমাছ শুধু আমার আমার ছেলে আর আব্বা খেতেন। আমরা চলে আসার পর আব্বা আর পাবদা মাছ কেনেনি। পাবদা মাছ আব্বার খুব পছন্দের মাছ। পাবদা মাছওয়ালা হাঁক দিয়ে যায় কিন্তু নিয়মিত পাবদা মাছ কেনা মানুষটা আর মাছওয়ালা কে থামান না।

ঢাকা ফিরছি। আব্বা কোচ স্ট্যান্ড পর্যন্ত আসেননি। আগে নিয়মিত আসতেন। কোচ ছাড়ার সময় অন্যদিকে তাকিয়ে থাকতেন। ভেড়ামারা থেকে বাস ছাড়লো। একে একে পরিচিত সবকিছু পিছনে ফেলে যাচ্ছি। আমার হাতে মোবাইল। এক ঘন্টা পর পর কতদূর এলাম বা কতদূর পৌঁছলাম এটা জানতে আব্বা আর ফোন দিবেন না। কোন কারণেই হয়তো আর ফোন দেবেন না কখনো ।
ঢাকাতে আমার ছেলে অপেক্ষা করছে। বাবা , বাবা করছে।
কি অদ্ভুত এক জীবন সুতোর গল্প ! যে জীবন সুতো বাবা ছেলে বাবাকে আটকে রেখেছে।

সামনে ভেড়ামারার শেষ প্রান্ত। ফকির লালন শার প্রতিকৃতি দেখা যাচ্ছে। সামনেই টোলপ্লাজা , তারপর লালন শাহ সেতু।
কুষ্টিয়া লালন বাউলের দেশ। বাংলার কোন এক প্রান্তরে , কোন এক পথে , কোন এক বাউল হাঁটতে হাঁটতে গেয়ে চলেছিল - জীবন ,জীবনের মায়া , জীবনকে ভালোবাসার গান।

ও জীবন রে , ও জীবন ছাড়িয়া না যাইস মোরে
তুই জীবন ছাড়িয়া গেলে আদর করবে কে জীবন রে ..





ছবি: দাদা, দাদী, বড়ফুফুর কবরস্থান।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এক টানেই পড়া হয়ে গেলো।

আপনার রোপণ করা পেপে থেকে পিকুর কফি এবং ছেলের জন্য ঠিক করে রাখা মেন্যু সবই ঠিক আছে। তবে আসার সময় কি বাবাকে বলে এসেছেন, আবার কবে ভেড়ামাড়ায় এসে বাবাকে দেখতে আসবেন!

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
তবে আসার সময় কি বাবাকে বলে এসেছেন, আবার কবে ভেড়ামাড়ায় এসে বাবাকে দেখতে আসবেন!



না। অপেক্ষা করাতে ইচ্ছা হয়নি।

ছেলের উপলক্ষে আমন্ত্রণে আপনি নিশ্চয় আসবেন ?

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: লেখাটি ভালো লেগেছে। আপনার আব্বার জন্য দোয়া রইলো।

আমি যখন ঢাকায় থাকতাম, মাঝে মধ্যে খুলনা যেতাম, সেই সব দিন গুলার কথা মনে পড়ছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আব্বার অবস্থা একেবারেই ভালো না।
ভালো থাকবেন আপনি। আমার লেখায় অনেক কিছু মনে পড়েছে। ভালো লাগলো।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
পড়ে ভাললাগলো। আঙ্কেলের সুস্থতা কামনা করছি। নিশ্চয় বাবাকে ছেড়ে আসতে অনেক খারাপ লেগেছে।

ছেলের মুসলমাসিনর ম্যানু পছন্দ হয়েছে, তবে দাওয়াত পেলেও মনে হয় যাওয়া হবেনা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আব্বার অবস্থা একেবারেই ভালো না।
ভালো থাকবেন আপনি। ছেলের আয়োজন দেরি আছে। সুযোগ থাকলে অবশ্যই আসবেন।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার বাবাকে সুস্থ রাখুন।
জীবন এমনই :(

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
তুই জীবন ছাড়িয়া গেলে
ভালোবাসবে কে আমারে ...

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

লিংকন১১৫ বলেছেন: কুমারখালি তেবাড়িয়া তে আসবেন ,
দাওয়াত রইলো

রমেশের চম চম কি ভালো লাগে ?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
রমেশের চমচম সম্ভবত খাওয়া হয়নি। আমাদের বাড়ির সকল অনুষ্ঠানের দই কুমারখালী থেকে আসতো।
এখন কুমারখালীর কিছু মানুষ ভেড়ামারাতে দই পাতে।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: বাবার জন্য অনেক দোয়া।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আব্বার অবস্থা একেবারেই ভালো না।
ভালো থাকবেন আপনি। শীত আব্বার সহ্য হয়না।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বাবার আশু সুস্থতা তথা আরোগ্য কামনা করি ।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আব্বার অবস্থা একেবারেই ভালো না।
দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন।

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সোনাগাজী বলেছেন:


ভেঁড়ামারা কি নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকে?

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

পানি নিষ্কাশনের অপব্যবস্থার কারণে কিছু স্থানে পানি জমে। তাছাড়া কোন সমস্যা নাই। এমনিতে পুকুর খাল ডুবে ,মাঠে পানি জমে। আমরা মজাই মাছ ধরি।

৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪০

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: শীত কি জিনিস সেটা বুঝেছিলাম সুন্দরবন গিয়ে। ও বাবাগো। শীতের চোটে হাত পায়ের আঙ্গুল বাঁকা হয়ে যাচ্ছে। অথচ একসময় আমি খুব বড়াই করতাম আমার শীত লাগে না। ঢাকাতে শীত কম। অনেক কম। শীত কি জিনিস পঞ্চগড় আর সুন্দরবন গেলে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়।

দাওয়াত খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে। একবার ফরিদপুর গিয়ে এক বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছিলাম। সেই স্বাদ আজও মুখে লেগে আছে। অথচ অতি সাধারন সব খাবার।

আমার আব্বা এই তো কিছুদিন আগে করোনায় মারা গেলো। আব্বা ছিলো আমার পাওয়ার। যে কোনো সমস্যায় বা বিপদে আব্বাকে একবার ফোন দিলেই আমার সমস্ত চিন্তা চলে যেত। আব্বা নেই দুই বছর হয়ে গেলো। আমার মাথার উপর থেকে বটগাছ নাই হয়ে গেলো।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

আপনার বাবা নাই। ব্যাপারটা কেমন সেটা বুঝতে পারি আমি। দোয়া করবেন।
শীত আমার সহ্য হয়। খারাপ লাগে না।
ভেড়ামারতে নিশ্চয় আসবেন। এখানকার রান্না নিশ্চয় ভালো লাগবে। স্টেশনে বসে থাকবেন। ভালো লাগবে।

১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ছেলের উপলক্ষে আমন্ত্রণে আপনি নিশ্চয় আসবেন ?

- ইচ্ছে আছে।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অন্তত ১০কে পাবো।

১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা। আপনার আব্বার জন্য দোয়া।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আব্বার অবস্থা একেবারেই ভালো না।
ভালো থাকবেন আপনি। অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কিছু কিছু পরিবহন খুব বাজে সার্ভিস দেয় তবুও মানুষ এইসবের যাত্রী হয়। যেমন ফেনীর স্টার লাইন।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
হানিফের একটা সুনাম আছে দেশজুড়ে। ঢাকা কুষ্টিয়া রুটের গাড়ি গুলো এখন যাচ্ছেতাই।

১৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার বাবা নাই। ব্যাপারটা কেমন সেটা বুঝতে পারি আমি। দোয়া করবেন।
শীত আমার সহ্য হয়। খারাপ লাগে না।
ভেড়ামারতে নিশ্চয় আসবেন। এখানকার রান্না নিশ্চয় ভালো লাগবে। স্টেশনে বসে থাকবেন। ভালো লাগবে।

দোয়া বিষয়টা আমি সঠিক বুঝি না। কি দোয়া করবো? কার জন্য দোয়া করবো? কেন করবো? দোয়ায় কি কাজ হয়?
ঢাকা শহরের শীতে আমার কিচ্ছু হয় না। শীতের জামাও পরতে হয় না।
ভেড়ামারা অবশ্যই যাবো। ভালো রান্নার জন্য আমি কলকাতা যেতেও রাজী আছি।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
তাহলে ছেলের আয়োজনে আপনাকে পাচ্ছি। অবশ্যই একা নয়।

তাহলে ছেলের আয়োজনে আপনাকে পাচ্ছি। অবশ্যই একা নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.