নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সম্ভবত খুব ছোট্ট কিছুর জন্য মারা যাবো .......
১৯ ডিসেম্বর ২০১২। বিকাল ৪টা ২০ মিনিট। বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় নামলাম। বাজারের দিকে যাবো আড্ডা দিতে। এলাকার মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ির আসতে শুরু করেছে। ঈদ না। সাধারণত ঈদে মেয়েরা বাপের বাড়িতে আসে আনন্দ করতে। কিন্তু এদের উপলক্ষ ভিন্ন। আনন্দ করতে নয় । এরা এসেছে বাপ মার সাথে একসাথে মরতে। কারণ ডিসেম্বরের ২১ তারিখ এক বিশেষ দিন । পৃথিবী টিকে থাকবে, নাকি প্রলয়ে ধ্বংস হবে নাকি হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে?
আজ থেকে এগারো বছর আগের কথা। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর তারিখটাকে ঘিরে দোদুল্যমান ছিল বিশ্বের অনেক মানুষ। পৃথিবী কি তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে ? প্রশ্ন টা ছিল এখানে ওখানে , চায়ের কাপে , আড্ডায় ক্লাসরুমে।
কারণ, মায়া সভ্যতার বর্ষপঞ্জির হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর— এই দিনটিতে এই মহা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার ভয়াবহ আভাস ছিল । মায়া সভ্যতার বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর শেষ দিন।
দক্ষিণ আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের আগে এই বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করত ওই অঞ্চলের মানুষ। পরে চালু হয় গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি। সেই বিখ্যাত মেসো-অ্যামেরিকান লং কাউন্ট ক্যালেন্ডার পাঁচ হাজার ১২৫ বছরের বৃত্ত শেষ করবে ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর। এ কারণে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবীর শেষ দিন। কিন্তু ধ্বংস হবে কি ভাবে ? ভূমিকম্প , জলোচ্ছাসের মতো কোনো কিছুর প্রভাবে ?
না , সেই সময় এক তত্ত্ব হাজির করেছিল গবেষকেরা। সুমেরীয়দের আবিষ্কৃত গ্রহ নিবিরু আর পৃথিবীর কক্ষপথ একই রেখায় চলে আসবে , অতঃপর পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য।
মেসোপটেমিয়ার পটভূমিতে কল্পকাহিনী অনুযায়ী , নিবিরু গ্রহটি ৩৬ হাজার বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর ! কি অদ্ভুত মিল। এই মনগড়া তথ্যের ওপর আগুনে ঘি ঢেলে দিল ন্যান্সি লেইডার। তার দাবি তার সঙ্গে ভিন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণির যোগাযোগ আছে। এবং নিবিরু গ্রহটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে। বুঝুন অবস্থা !
একেতে রহস্যময় মায়া সভ্যতা , ভিনগ্রহের প্রাণী তার সাথে আবার যুক্ত হলো হলিউড মুভি ২০১২। '২০১২' মুভিটি মুক্তি পায় ২০০৯ সালে।ভয়াবহতা আর চরম উত্তেজনায় মানুষ ধ্বংস হতে দেখলো পৃথিবী।
পৃথিবী কিন্তু ধ্বংস হয়ে যায় নি। আমার ধারণা খুব শিগ্রী পৃথিবী ধ্বংস হচ্ছে না। মানুষ জ্ঞান - বিজ্ঞানে আরো শক্তিশালী হবে। মানুষ পৌঁছে যাবে জ্ঞানের চরম শিখরে। হুমায়ুন আহমদের ফিহা , লিলিয়ান , স্রুরার মতো মহামতিরা জন্ম নিবে। হয়তো সময় সমীকরণের সমাধান হবে একদিন। কত নতুন জ্ঞান, নতুন পথ, আপনি এসে ধরা দেবে মানুষের হাতে।
২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর পৃথিবী ধ্বংস হয় নি। নিবিরু গ্রহ আছড়ে পড়েনি পৃথিবীর বুকে। দিব্যি টিকে আছে।
তবে আমরা পৃথিবীকে ভালোবাসি না , জীবনানন্দের মত পৃথিবীকে দেখি না। আমরাই নিয়ে যাচ্ছি পৃথিবীকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তরে।
নিবিরু গ্রহ কে এই পৃথিবীর জ্ঞানী মানুষেরা আটকে দেবে। ভিনগ্রহের প্রাণীকেও কব্জা করবে এই পৃথিবীর মানুষ। একদিন এই শক্তিধর মানুষ তার সীমা অতিক্রম করবে। প্রকৃতি নিশ্চয়ই সীমা অতিক্রম কে সহ্য করবে না।
...........
অপু তানভীর মজা করে আগামীকাল পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন। সেখানে শায়মা আপু প্রথম কমেন্ট করেছেন।
হুট করে ১১ বছর আগের ইমন জুবায়ের ভাইয়ের পোষ্টের কথা মনে পড়ে গেল।
ইমন জুবায়ের ভাই বারবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। এটাই নিয়তি।
ছবিঃ ইন্টারনেট
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৪১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই অহেতুক টেনশন। শায়মা কী আছে? নাকি ঢং। শায়মা ভয় পেয়ো না। পৃথিবী আজ ধ্বংস হবে না।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:২০
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: সৃষ্টি হলে ধ্বংস আছে, তবে শক্তির ধ্বংস নেই, সেই হিসাবে একদিন প্রাণী জগতের ধ্বংস হতে পারে কিন্ত সমস্ত শক্তির আধার বস্তুর রূপান্তর ঘটবে।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩০
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই। কালকে আমারও সেই একই কথা মনে পড়ছিলো। ইমন ভাইয়া কত কিছুই না জানিয়েছিলেন আমাদেরকে। ১১ বছর আগের একজনের লিখে যাওয়া পোস্টের লেখক আজ নেই। সেই একই পাঠক আমরা আজও আছি। আমরা যখন থাকবো না তখনও হয়ত একই আলোচনা হবে বহুদিন।
পৃথিবীও একদিন শেষ হবে তবে তাই নিয়ে আলোচনা চলবেই শেষ দিনটি পর্যন্ত।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩১
শায়মা বলেছেন: ২. ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৪:৪১০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলেই অহেতুক টেনশন। শায়মা কী আছে? নাকি ঢং। শায়মা ভয় পেয়ো না। পৃথিবী আজ ধ্বংস হবে না।
ভাইয়ু আমি আমার জায়গাতেই আছি।
আর আমার ঢং তো কখনই কমিবেক না।
পৃথিবী আজ ধ্বংস হবে না বুঝলাম কিন্তুক আলো ঝলমলে রোদ্রৌজ্বল আকাশ হঠাৎ কালো হয়ে আসছে।
হায় হায় শপিং এ যাবো কেমনে!!!
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৭
কিরকুট বলেছেন: আমিতো ভোর বেলা ঘুমিয়ে গেছিলাম। কোন ধ্বংস রিলটেড আপডেট আছে?
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯
শায়মা বলেছেন: ঘুরে আসলাম ইমনভাইয়ার পোস্টে। ভাইয়া নেই। অমূল্য লেখাগুলি আজও আছে।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: গ্রহ, নক্ষত্র, মহাকাশ। এগুলো টপিক আমি পছন্দ করি।
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: যারা বলেছে, হাদীসে আছে আকাশ থেকে শব্দ আসবে। সেই শব্দে ৭০ হাজার লোক অন্ধ হয়ে যাবে, কালা হয়ে যাবে। ইত্যাদি নানান কথা। আজ তাঁরা কোথায়? এখন যদি আমি ওদের ছাগল বলি, তাহলে কি আপনি রাগ করবেন?
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯
বিটপি বলেছেন: @রাজীব নুর, মুফতি কাজী ইব্রাহীমের কদম ফুল তত্ত্ব তেমন কেউই আমলে নেয়নি, তারপরেও কিন্তু ঐ তত্ত্ব ভালোই মার্কেট পেয়েছে। ঐ তত্ত্ব তখন না দিলে আমরা মুফতি ইবরাহীম বলে যে কেউ একজন আছে, সেটা জানতেই পারতাম না। এখন এই লোককে কি আপনি ছাগল বলবেন নাকি ধুরন্ধর বলবেন - সেটা আপনিই বিবেচনা করুন।
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
রানার ব্লগ বলেছেন: যেসকল মোল্লাগন এই তত্ব দিয়ে বাজার গরম করে নিজেদের লাইম লাইটে এনেছে তাদের সকল কে সংসদ ভবনের সামনের ফুটপাতে এনে পাছায় শপাং শপাং বেত্রাঘাত করা হোক জেন সেই শব্দ টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া অব্দি শোনা যায় । মানুষ কে ভয়ে দেখিয়ে নিজেদের পকেট লালা করার শাস্তি।
১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: পৃথিবী ধ্বংস হবার দিনক্ষণ কোন মানুষের জানার কথা নয়, কিন্তু তার পরেও এসব তত্ত্ব বাজারে বেশ চাউর হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৩
কামাল১৮ বলেছেন: ধারনা করার জন্য তথ্য উপাত্ত ও যুক্তি থাকতে হবে।কেবল তার পরেই আপনি কোন কিছু ধারনা করতে পারেন।