নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজাইরা প্যাঁচাল

যাহ পাই তাহা চাই না, যাহা চাই তাহা পাই না

সৌমিক রহমান

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র

সৌমিক রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিতৃষ্ণাময় পরীক্ষা

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

পরীক্ষা নিয়ে টানা লিখে যাচ্ছি। কারন আক্ষরিক অর্থেই সারাটা জীবনই আমার পরীক্ষা ভীতি রয়েছে। আমার বাবা-মা থেকে শুরু করে অনেক টিচাররাও বিভিন্ন পর্যায়ে আমার এই ভয় কাটানোর চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু সে রকম কাজের কাজ প্রায় কিছুই হয় নাই। আমার এই ভীতিটা কোন পর্যায়ের সে বিষয়ে কিছু কথা বলা আবশ্যক বলে মনে করছি। কোন সিরিয়াস ধরনের পরীক্ষা থাকলে তার আগে আমার বাধ্যতামূলকভাবে জ্বর আসে। তাও সামান্য জ্বর না। রীতিমত কাঁপুনি দিয়ে জ্বর। অঙ্ক পরীক্ষার আগে আগে এই জ্বরগুলো বেশী আসে। কারন, অঙ্ক জিনিসটা আমার কোনোদিনই ভাল লাগত না। অঙ্ক যে পারতাম না তাও ঠিক না। কিন্তু আমাদের পাঠ্য বইয়ের অঙ্কের মধ্যে আনন্দ আমি কোনদিনই পাই নাই। আমি কখনোই বুঝে উঠতে পারলাম না, বীজগণিত বা Algebra নামে যে জিনিসটা আমি বা আমরা শিক্ষাজীবনের বড় একটা সময় করে আসলাম এটার আসলে বাস্তব ব্যবহারিক প্রয়োগটা কোথায় (এটা সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত মতামত। কেউ এর উত্তরটা জানলে দয়া করে জানাবেন। যদিও সম্প্রতি ‘চমক হাসানে’র* একটা কথায় আমার এই প্রশ্নের কিছুটা হলেও উত্তর মিলেছে। তার কথায়, গনিত আমাদের চিন্তা শক্তির বিকাশ ঘটায়।)? যাই হোক, আমার আব্বুর ধারণা এই জ্বর আমি ইচ্ছে করে নিয়ে আসি। আব্বু এসবে কোনদিনই নজর দিত না। আম্মুকে বলে, আমি নাকি স্বেচ্ছায় গায়ে জ্বর আনার এক অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে জন্ম নিয়েছি। সত্যি বলতে কী, এক সময় আমার নিজেরও সেরকমই ধারণা ছিল। পরে অবশ্য সেই ভুলটা ভেঙেছে। কারন, অনেক সময় খুব বেশী করে জ্বর আনার চেষ্টা করেও আনতে পারি নাই। এটা পুরোটাই ছিল আমার নিয়ন্ত্রনের বাইরে।

আবার পুরনো প্রসঙ্গে ফিরে আসছি, তারা আমার ভয় কাটানোর জন্য যে পদ্ধতি বেছে নিলেন তা হল ঘন ঘন পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করা। এতে কাজ তো হলই না বরং ফল হল উল্টো। ঘন ঘন পরীক্ষা নেওয়ার কারনে এবার পরীক্ষাভীতির সাথে যোগ হল পরীক্ষার উপর চরম বিতৃষ্ণা। প্রতিদিনই পরীক্ষা থাকতো। মাঝে মাঝে আবার সকাল-বিকাল দুই বেলা পরীক্ষা। এমনও সময় গেছে, সকাল বেলা ফিজিক্স পরীক্ষা দিয়ে বিকাল বেলা আবার বায়োলজি পরীক্ষা। আবার পরদিন দেখা যেত ম্যাথ মানে অঙ্ক পরীক্ষা। খুবই বিরক্তিকর ব্যাপার। এত এত পরীক্ষা দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত এমন অবস্থা হল যে, আমি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়াই ছেড়ে দিলাম। সকাল বেলা ব্যাচে পড়তে গিয়ে পরীক্ষা দিয়ে আসতাম। ঐ দিনই অথবা পরদিন আবার নির্বিকারভাবে পরীক্ষা দিতে চলে যেতাম। রেসাল্ট নিয়ে মাথা ঘামাতাম না। যা হবার হত কিছু একটা।

ভাল যে হত না এটা মনে হয়, না বললেও চলে।



*‘চমক হাসান’ ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যারোলাইনার পিএইচডি গবেষক এবং বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির একাডেমিক কাউন্সিলর।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

বোকামন বলেছেন: :||

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:১৬

সৌমিক রহমান বলেছেন: মানে কী ভাই ????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.