নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজাইরা প্যাঁচাল

যাহ পাই তাহা চাই না, যাহা চাই তাহা পাই না

সৌমিক রহমান

বিশ্ব জোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র নানান ভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র

সৌমিক রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার মহাপ্রতাপশালী (?!!?) বন্ধুরা

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

আমার ব্লগগুলো মনে হয় বেশীরভাগই আত্মজীবনী টাইপের হয়ে যাচ্ছে। হোলে হোক, আমি ব্লগ লিখি মনের আনন্দের জন্য। কারন আমি আগেই জানি, আমার ব্লগ পড়ে দেশ ও দশের তেমন কোনই উপকারে আসবে না।

যাই হোক, আজকে আবার একটা স্কুল জীবনের গল্প বলবো।

ছোটবেলা থেকেই আমি রোগাপটকা শরীরের অধিকারী। খুব বেশী শারীরিক সামর্থ্য আমার কোন কালেই ছিল না (অবশ্য এখনও নেই)। হয়তোবা এ কারণেই পড়াশুনার সাথে সমানুপাতিক হারে খেলাধুলায়ও আমার দক্ষতা বলার মতো কিছু ছিল না। প্রতি বৃহস্পতিবার আমাদের “হাফ ডে” স্কুল হত। তাই ঐ দিনটাতে সবাই খেলার জন্য বাসা থেকে রেডি হয়ে আসতো। ক্লাসে এসেই দেখতে পেতাম, বিভিন্ন সাইজের ফুটবল ও ক্রিকেট ব্যাটের ছড়াছড়ি। সে যাই হোক, যথাসময়ে স্কুল শেষ হলেই আমরা সবাই ক্লাস থেকে ছুটে বের হয়ে ডিরেক্ট মাঠে চলে আসতাম। খেলা ফুটবল বা ক্রিকেট যেটাই হোক না কেন আমাকে কখনোই কোন দল নিতে চাইত না। যদিও বা কখনো নিত, তাও নিতান্ত অনিচ্ছায়। দলের ক্যাপ্টেনরদের চেহারাখানি দেখলে আমার নিজেরই ভীষণ মায়া লাগত যেন আমি তাদেরকে একটা চোখ দান করতে বাধ্য করেছি। এ কারণেই, বেশীরভাগ সময় আমাকে খেলতে হত “দুধভাত” পজিশনে। যাদের এই বিশেষ পদমর্যাদায় খেলার সৌভাগ্য হয় নি অথবা এই দুধভাতের তাৎপর্য জানেন না তাদের বলছি, এই পজিশনে আপনি থাকলে আপনার খেলা আর না খেলা সমান কথা। ধরুন, কোন ফুটবল ম্যাচে আপনি দুধভাত হিসেবে আছেন। তার মানে আপনি আসলে কোন দলের হয়েই খেলছেন না। আপনি যদি দুর্ঘটনাক্রমে কোন গোলও করে বসেন তবুও সেই গোল কোন দলের স্কোরশিটে যোগ হবে না। আপনার কাজ, স্রেফ মাঠের এই মাথা থেকে ঐ মাথা দৌড়াদৌড়ি করা, ব্যাস। ক্রিকেটের ক্ষেত্রেও মোটামোটিভাবে একই নিয়ম প্রযোজ্য কিন্তু সাধারণত দেখা যায়, ক্রিকেটে এরা ব্যাটিং বা বোলিং কোন কিছুই করতে পারে না। তাদের প্রধান ও একমাত্র কাজ, ফিল্ডিং করা। মাঝে মাঝে অবশ্য আমি “দলীয় অভ্যন্তরীণ পানি বিভাগ” এর দায়িত্ব পেয়েছি (মানে পানি টানাটানির কাজ আর কি :P)। সে যাই হোক, এক বৃহস্পতিবার খেলার শেষে কে একজন প্রস্তাব দিল পুকুরে সাঁতার কাটতে যাবার। আমাদের স্কুল থেকে একটু দূরেই পুলিশ লাইন স্কুলের পুকুর ছিল। তখন সর্বসম্মতিক্রমে আমরা মহাসমারোহে গেলাম পুলিশ লাইন স্কুলের পুকুরে। তখন আমি মহা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম, আমার মহা প্রতাপশালী বন্ধুদের বেশীরভাগই সাঁতারের “স”টাও জানে না। অন্যদিকে আমি সাঁতার শিখেছি খুব ছোটবেলায়। এই পুরো বিষয়টা যখন বুঝতে পারলাম, তখন আমাকে আর পায় কে? আমি আমার “সালমান খান” টাইপ ফিগার নিয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লাম।

মিথ্যা বলব না। আমি যখন মহা আনন্দে পুরো পুকুর ঘুরে বেরাচ্ছিলাম তখন পুকুর পাঁড়ে বিমর্ষ মুখে বসে থাকা আমার বীর বন্ধুদের জন্য সত্যিই মায়া হচ্ছিল। হাজার হলেও, একসাথে কোন কিছু করার মজাই আলাদা, তাই না?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

কবি সাহেব বলেছেন: হা হা, ভাইয়া নিশ্চই খুব মজা পাইছিলেন। আমারো এমন অভিজ্ঞতা আছে নৌকা চালানো নিয়ে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

সৌমিক রহমান বলেছেন: আবার জিগায়। হেহেহে :#) :#) :#)

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৭

দাদুভাই বলেছেন: হুম, সাতার না জানলে যে ষোল আনা মিছে

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

সৌমিক রহমান বলেছেন: সেটাও ঠিক ;) ;)

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: সুন্দর লিখসেন। ++++++++++++

স্কুলে থাকলে পোলাপান আমারে খেলায় নিত শুধু মাত্র ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিলাম বলে !! না নিলে যদি নাম লিখে স্যারের কাছে জমা দিতাম !!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৯

সৌমিক রহমান বলেছেন: হেহেহে........ ভাল বলসেন।

এবং ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। :)

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯

শায়মা বলেছেন: বুঝেছি তুমি ছোট থাকতে একটু দুষ্টুই ছিলে এখন ভালো হয়েছো তো ভাইয়া?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০২

সৌমিক রহমান বলেছেন: আপু ভাল হয়েছি কিনা সেটা ঠিক বলতে পারব না তবে ভাল হবার চেষ্টায় আছি......। :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.