ভালোবাসার রং মহল

০২ রা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

ভালোবাসার রং মহল
----------------------------------------------------
মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি ছেলে রাজ,,,
গাজীপুরেই ছোট থেকে বড় হয়েছে ছেলেটি ,,
ভালোবাসা বলতে
রাজের জীবনে কিছুই ছিল না।
কিন্তু
রাজের অনেক বন্ধু ছিলো,,,
সারা দিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর হইহুল্লা করেই কেটে যতো রাজের দিন,,,
----
আর সেই এলাকার একটি মেয়ে নাম ইভা,,
ইভা ক্লাস ১০এ পড়তো,,
ইভা ছিলো চুপচাপ স্বভাবের,, একটি ঝগড়াটে মেয়ে,,,,
ইভারা ছিলো গাজীপুরের প্রভাবশালী,,,
-------
ইভা যেখানে পড়া শুনা করতে যেতো,,
সেই রাস্তার পাসেই ছিলো রাজের বন্ধুদের আড্ডাখানা,,,,
যাই হোক
ইভা রাজের বন্ধুদের মধ্যে একজনকে পছন্দ করতো।
তো একদিন ইভা তার ভলো লাগার কথাটি জানাতে চেয়েছিলো,,
ছোট একটি বাচ্চা ছেলেকে দিয়ে।
সেই ছোট ছেলেটি ভুল করে,,,
রাজের কাছে গিয়ে ইভার ভালো লাগার কথা জানিয়ে,,
ইভার ফোন নাম্বার দিয়ে আসে রাজকে।
--------+----
রাজ ৩ দিন পর ইভার নাম্বারে ফোন করে,,
তার পর থেকে প্রতিদিন ইভার সাথে রাজ ফোনে কথা বলে।
এক সময় তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে,,,,
ভাবে এক বছর কেটে যায়।
তার কিছু দিন পর ইভা রাজের সাথে দেখা করে,,,
ভালোবাসা দিবসের valentine's day তে।
এবং তারা দুজনই একটি বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে গিয়ে
এক ঘরে ইভা রাজের সাথে ৪ ঘন্টা কাটায়।
ইভা আসার সময়
রাজ এর কাছ থেকে একটি সমস্যার কথা বলে ১০০০ টাকা নিয়ে চলে যায়।
রাজ ইভাকে বলেনি
সে টাকাটা ছিলো
রাজ এর মেছে থাকার খাবার এর টাকা।
যাই হোক,,
রাজ তার ভালোবাসার মানুষটিকে টাকা টা দিয়েছে,,,
তাতে রাজের একটু ও কষ্ট লাগেনি।
এ ভাবে ইভার সাথে রাজের রিলেশন চলতে থাকে।
কিন্তু ১মাস পর
হটাত্‍ ইভা রাজকে ফোন করে বলে,,,,
আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে
তুমি আমাকে ভুলে যাও,,,
আমি আর তোমার সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবো না।।।।
রাজ তখন কি করবে বুঝতে পারছিলো না,,,
রাজ দিন রাত শুধু কান্নাকাটি করে,,,
আর ইভার সাথে একটু কথা বলার জন্য পাগলের মত চটফট করতে থাকে।
কিন্তু ইভা তার ফোন নাম্বার বন্ধ করে দিয়েছে,, তাই
রাজ দিশেহারা হয়ে ইভার সব নাম্বারে ফোন করতে থাকে,,,
ইভার ঐ নাম্বার গুলো থেকে একটি নাম্বার খোলা পেয়েছিলো রাজ।
সে নাম্বারটি ছিলো ইভার বড় বনের hujband এর নাম্বার,,,
রাজ তখন
কান্না করতে করতে ইভার দুলাভাই এর কাছে,,,,,,,,,
তাদের সর্ম্পকের কথা সব খুলে বলে।
তখন ইভা তার
দুলাভাই এর সামনে কোরান শরীফ ধরে,,
রাজ এর কথা অস্বীকার করে বলে,,,,
সে অন্য কাওকে ভালোবাসে
এবং ইভা জাকে বিয়ে করতেছে
সেই ইভার ভালোবাসার মানুষ।
রাজ তখন কি করবে পাগলের মত রাস্তায় রাস্তায় হাটে আর চিৎকার করে কাদতে থাকে,,,,,
এছাড়া রাজের কিছুই করার ছিলো না।
কারন রাজ তো গরীব ঘরের ছেলে
আর ইভারা ছিলো ঐ এলাকার প্রভাবশালী বড়লোক।
এ ভাবে রাজের জীবনে অন্ধকার নেমে আসে,,,,!!! রাজ চলে যায় নেশার জগতে।
আর রাজ হয়ে যায় এলাকার একটি খারাপ ছেলে।
ইভাকে ভোলার জন্য রাজ ফোনে অনেক মেয়ের সাথে রং নাম্বার এ কথা বলতে থাকে,,,
তবুও রাজ ইভাকে ভুলতে পারছে না,,,
ইভার ও বিয়ে যায়।
---------------------------
রাজ ও ইভাকে ভোলার জন্য,,,,
যত খারাপ পথ আছে সব পথে পা বাড়ায়,,,
রাজ হয়ে যায়
সেই এলাকার সন্ত্রাস।
----------------------
এভাবে কেটে যায় একটি বছর।
একদিন রাজ তার ফোনের যত গুলো নাম্বার ছিলো সব ডিলেট করতে গিয়ে,,,
ইভার একটি নাম্বার সামনে চলে আসে,,
রাজ সে নাম্বারে কল দিয়ে দেখে
নাম্বারটা খোলা আছে,,,
কিন্তু
কেউ ফোন রিসিভ করলো না।
পরেরে দিন রাত ২টায় ঐ নাম্বার থেকে রাজের ফোনে কল আসে,,,,,
রাজ ফোনটা রিসিভ করে কথা বলে বুঝতে পারলো,,,,,
নাম্বার টা অন্য কোন মেয়ে ব্যবহার করছে। মেয়েটি তার পরিচয় দেয় এবং বলে
তার নাম মিতু সে Class ১০,এ পড়াশুনা করছে।
মিতু তখন রাজের সাথে ফোনে কথা বলতে থাকে,,,
রাজ ও মিতুকে তার অন্য পরিচয় দেয়,,,
রাজের কথা গুলো মিতুর ও ভালো লেগে যায়।
এভাবে মিতু আর রাজের মধ্যে,,, ভালোবাসার মিষ্টি সম্পর্কটি তৌরি হয়ে যায়।
মিতু ও তখন ফোনে আল্লহর কালাম পড়ে সাক্ষী রেখে রাজকে কবুল বলে বিয়ে করে রাজকে।
এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর,,,
হটাত্‍ রাজ মিতুকে কল করলে সে কলটি রিসিভ করে ইভা,,
আর এই ইভা হলো মিতুর আন্টি,,,
রাজের জীবনের প্রথম ভালোবাসা,,,,
তখন ইভা রাজের ভয়েজ চিনতে পেরে মিতুকে সব খুলে বলে।
রাজ ও তখন জেনে গেলো,,,,
রাজ যে ইভার সাথে রাতো জেগে কথা বলতো,,,,
তখন ইভার সাথে
যে মেয়েটি থাকতো
সেই হলো ইভার ভাগনি এই মিতু।
-----------------
রাজ যে মেয়েটিকে ফোনে কবুল বলে বিয়ে করেছে এই সেই মিতু।
এখন কি আর করার
মিতু আর রাজ তো বিয়ে করে ফেলেছে।
তাই তারা ঠিক করলো,,,,
সর্ম্পক ভাংবে না।
কারন
মিতু আর রাজ মেনে নেয়
ভালোবাসা
জাত,, মান,, কুল,,, ধর্ম কোন বাধাই মানে না।
তাই তারা
দুজনই ঠিক মত যোগাযোগ করতে থাকে। ---------
এভাবে ৬মাস কেটে যায়......
রাজ মিতুর সাথে কোন এক মেলায় দেখা করতে যায়।
মিতু রাজকে মেলা থেকে কিছু উপহার কিনে দেয়। রাজ
ঐ দিন প্রথম মিতুকে স্পর্শ করে,,,
আর সেই দিন থেকে রাজের প্রতি মিতুর ভালোবাসার টান আরো দিগুন বেড়ে যায়।
মিতু ও রাজকে
মনে প্রানে স্বামি হিসাবে মেনে নেয়,,,,,
রাজ ও মিতু কে বউ বলে মেনে নেয়।
তাই
মিতু রাজকে কাছে পাওয়ার জন্য,,,,
রাতের আঁধারে
রাজকে মিতুর বাড়িতে আসতে বলে।
এভাবে ১বছর
রাজ লুকিয়ে লুকিয়ে রাতের আঁধারে মিতুদের বাড়িতে যেতো।
এবং ফজরেরে নামাজের আগে
রাজ মিতুর ঘর থেকে বেরিয়ে আসতো।
----------
এভাবে চলতে থাকে মিতু আর রাজের সর্ম্পক।
২বছর যখন পার হলো,,,,
রাজ জনতে পারে মিতু আর একটি ছেলেকে
কোরান শরীফ ধরে শপত করে বিয়ে করেছে,,,,,
এবং
মিতু সে ছেলেটিকে কোরান শরীফ ছুঁয়ে
কথা দিয়েছে,,,,
মিতুর জীবনে যত কিছুই হোক না কেনো,,,,
মিতু ঐ ছেলেটিকে ছেড়ে যাবে না।
------------------
রাজ মিতুর বিষয়টি জানার পর থেকে,,,,
মিতুকে হারানোর ভয়ে নিয়ে রাজ কিছু না বলেই বুকের ভিতর চেপে রাখে।
রাজের সাথে মিতুর যখন পরিচয় হয়
মিতু তখন ১০,এ পড়ে,,,,
আর এখন মিতু কলেজে পড়ছে ।
রাজের কপাল এতোটাই খারাপ ছিলো,,,,
রাজ মিতুর বিষয়টি জানার ১৫দিনের পর
মিতু রাজের সাথে যোগাযোগ করা কমিয়ে দেয়।
কারন,,,,
মিতু যে ছেলেটিকে কথা দিয়েছিলো
সে ছেলেটি এখন
মিতুর জীবনে ফিরে এসেছে।
ছেলেটি এতো দিন বিদেশে ছিলো,,,
রাজ মিতুর কাছে
যখন ছেলেটির বিষয় জান্তে চায়।
মিতু তখন রাজকে একটি কথাই বলে,,,,
((((রাজ আমার কিছুই করার নাই,----,
এটাই আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা,----,
আমি ওরে ছাড়া বাঁচবো না,,,
আমি ওরে আমার জীবনের থেকে অনেক বেশী ভালোবাসি।)))
রাজ তখন পাগলের মত হয়ে গেলো।
রাজ শুরু করে দিলো তার ভালোবাসা মানুষ,,,
মিতুকে পাবার জন্য সব ধরনের পাগলামী।
রাজ তখন ছেলেটির ফোন নাম্বার যোগার করে মিতুর বিষয় নিয়ে কথা বলে।
কিন্তু
মিতু তখন রাজকে অশ্বিকার করে।
রাজ তখন দিশেহারা হয়ে ছেলেটিকে
মিতুর সাথে যে তার সর্ম্পক আছে এবং সেটা হলো Hujband---waif এর।
সব প্রমান ছেলেটিকে দেখাবে বলে।
কিন্তু রাজ সে প্রমান দেখায় না।
কারন,,,,,
রাজ তার ভালোবাসার মানুষটিকে
ছেলেটির কাছে ছোট করতে চায় না।।
-----------------
কিন্তু,,,,
রাজের এই পালামীর কারনে মিতু রাজকে ঘৃনা করে রাজের জীবন থেকে দূরে চলে যায়,,,
আর ঐ ছেলেটি ও একবুক জন্ত্রনা নিয়ে বিদেশে চলে যায়।
রাজ মিতুর সাথে অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
কিন্তু,,,
মিতু তার সাথে যোগাযোগ করার সব গুলো রাস্তাই বন্ধ করে দেয়।
শেষে
মিতু ---রাজ ---
আর ---ঐ ছেলেটি,,,,
তিন জনই
তিক্তত ভালোবাসার স্বাদ নিয়ে দূরে চলে যায়।
♥♥♥♥♥♥♥♥
জানি না এর সমাধান কোন দিন হবে কি না,
-------------++---++
বি:দ্র:,,,,,
এটা হলো গাজীপুরে একটি ছেলের Life Story,,,,,,
এখনে শুধু ৩ জনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে,,,,
যেনো তাদের বাস্তব জীবনে এর প্রভাব পড়ে ক্ষতি না হয়।
,,,,,,,,
আর
এই সমাজের
সবার কাছে
আমার একটি প্রশ্ন,,,
--------------------
What is love ?
ভালোবাসা কি????

০ টি +১/-০