![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের সন্ধান করতে ভালবাসি। আবেগ নিয়ে লিখতে চেষ্টা করি। নতুনত্বের সন্ধান করি।
০৮/১১/১৯৯৫ ইং
প্রাণপ্রিয় বৌ,
চিঠির শুরুতে আমার ভালবাসা নিও। তুমি জানিয়া খুশি অইবায় আমি ভালা বেতনর কাম পাইছি। তোমারে চিঠি লেখমু লেখমু করিয়া আর লেখা অয়না। ঘুম থাকিয়া উঠিয়াউ যে বিয়ান্তুবেলা বারোই, আর হাইঞ্জাবেলা ঘরো আই। মাদানে একটু খাওয়ার সময় দে। আর বিয়ালকু তো শরীরে আর মানেউ না, খালি মনো আয় কত সময়ে শেষ অইবো আর ঘরো যাইমু। যাই হোক কারখানা থাকিইয়া বাসা খানদাত হওয়ায় লায় লায় হাটিয়া যাইতাম পারি যার লাগি ভাড়া ইগুন্তা বাঁচি যায়। মনো করলাম দুই পয়সা বাঁচাইয়া কিচ্ছু করতাম ফারমু। আর কিতা যে কইতাম? ইকানোর মানুষ ইতায় আমরার লাখান মাতইন্না। ইতারে বুঝানিত গিয়া আরো হেরান অইযাই। তারফরেও যে চলি যাইতাম পাররাম এর লাগি ভালাউ লাগের। আম্মারে কইও দোয়া করতা আমার লাগি। আব্বার লাগি টর্চ লাইট একটা কিনছিলাম কিন্তু লাগেজ ও হারানির সময় হাত থাকি ধুরুমছান্দি পড়িয়া ভাঙ্গিগেছে। আমি আর কয়দিন ওর মাঝে আইমু যখন তখন আব্বার লাগি আরেকটা লাইট কিনিয়া লইয়া আইমু। আর মখলিস আওয়ার সময় মছাত বান্ধিয়া হাতখরার আচার পাঠাইও। আর হুটকি ও দিলাইও কিছু। আর রুম্মন উগুরে কইও আর তার বিছার যেন আমার কানো না আয়। যেছাগুর যেছা মাতো হামাইয়া ফাল মারে আর বেজাল করে! আর তার উরাতাড়া হামাইগেলো কেনে বিদেশ আওয়ার লাগি? ইনো যে কি পরিমাণ কষ্ট বুঝের না তো।
আজকে আর লেখরামনা। দশ হাজার ট্যাখা ফাঠাইলাম। কুনোছুরত অউ মাসটা চলিযাও। আর মাসো বাড়াইয়া ফাঠাইমু। সবরে লইয়া ভালা থাকিও। আব্বা আর আম্মারে আমার ছলাম দিও। আমার আওয়ার বার ছাইতানা কইও। কইও আরো তোরা কয়টা ট্যাখা জমাইয়া এমনেউ আইমু। আল্লাহ হাফেজ।
ইতি
উসমান উদ্দিন
বিঃদ্রঃ যদিও লেখাটি কাল্পনিক। তবুও একসময় সিলেটী ভাষায় এভাবে সিলেটীরা দূর থেকে তাদের আত্মীয়-স্বজন, পরিবারের সাথ্বে যোগাযোগ রাখত। সেই চিঠিগুলোতে যতটা আবেগ নিয়ে লেখা হত তারচেয়ে বেশি আবেগ মিশ্রিত কন্ঠে পরিবারের সবাইকে এক জায়গায় বসিয়ে পড়ে শুনানো হত। সে গুলো ছিল যেন জীবন্ত কাগজ। তাই সেই চিঠিগুলো যত্নের সাথেই সংরক্ষণ করে রাখতো প্রিয়জন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:৪৮
সৌরভ খাঁন বলেছেন: ওয়ালাইকুম ছালাম ভাই। আফনার ভালা লাগা দেকিয়া লেখাটা স্বার্থক অইছে লাগের। হুরুবেলার কথা মনো করিয়াউ লেখলাম যেন বুড়া অইয়াও নিজের টাইমলাইন ঘাটিয়া তখনকার সময়ে কিছু বিলুপ্ত হওয়া শব্দ অন্তত নিজে মনে রাখতে পারমু। ফনে দেখিয়া মাতা গেলেও আগর আবেগ রইছেনা মানুষর মাঝে। ধন্যবাদ ভাই। আফনেও ভালা থাকবা। আর শরীরর মুখা খেয়াল রাখবা।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:২৭
সনেট কবি বলেছেন: বেশ
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯
সৌরভ খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ সনেট কবি।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০২
রাজীব নুর বলেছেন: সিলেটি ভাষা খুব কঠিন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:১৭
সৌরভ খাঁন বলেছেন: খুব না তবে কিছুটা। শিখতে পারলে সিলেটি ভাষা ছাড়া কথাই বলতে চাইবেননা।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ভাই কি আখালিয়া ভার্সিটির??
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সৌরভ খাঁন বলেছেন: জ্বি না ভাই, সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৮
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
প্রিয় সৌরভ ভাই,
ছালাম নেইন জানি। আফনার ছিটি লেখা কুব সুন্দর অইছে। এখন ছিটি লেখার ছল না তাখায় ছিটির খতা বুলি গেছলাম। আপনার ছিটি লেখা দেকিয়া মনে ফড়ল। হরু তাখতে দেখতাম বিদেশি হখলর গেছে গাউর বউয়াইনতে ছিটি লেখাইতে মানসর বাড়িনতো জাইতা। এখন ইতা লাগে না। ফনে দেকিয়া দেকিয়া মাতা জায়।
বাল তাখবা বাই।