![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যের সন্ধান করতে ভালবাসি। আবেগ নিয়ে লিখতে চেষ্টা করি। নতুনত্বের সন্ধান করি।
বর্তমান সময়ে সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যে ব্যধিতে আমাদের সমাজ আক্রান্ত সেটি হচ্ছে পরকিয়া। বিয়ের পূর্ববর্তী প্রেমের চেয়ে ও ক্ষতিকর পরকিয়ার মত ব্যধি। বিয়ের আগে আমাদের সমাজে সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য প্রেমের ব্যাপারটা এখন আর ট্যাবু নয়। এখন বিয়ের আগেই ৫ বছর, ৭ বছর রিলেশনশিপের সেলিব্রেশন করতে দেখা যায় অনেককেই। কিন্তু একবার ও কি চিন্তা করি, যে সম্পর্ক সামাজিকভাবে স্বীকৃত নয় সে সম্পর্কের মাঝে নিজেকে জড়িয়ে জীবনের অনেক গুরত্বপূর্ণ সময় এবং অর্থ যখন নষ্ট করে বুঝতে পারি সম্পর্ক টা আর চালানো সম্ভব না তখন কে এর দায়ভার নেয়? সবচেয়ে বড় কথা, হারানো সময় কিংবা অর্থ কি আর ফেরত পাওয়া যায়? আর তার পরবর্তি সময়ে এর জন্য উভয়কেই ব্যক্তি কিংবা পারিবারিক জীবনে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। যদিও আমার আলোচনার ব্যাপার এই সম্পর্ক না। তবুও আমি পরকিয়া যে এর চেয়ে মারাত্নক ভুল সেটি বুঝাতে এ ব্যাপারটি সামনে আনলাম। পরকিয়া বলতে বুঝায়, বিবাহ পরবর্তী সময়ে স্বামী কিংবা স্ত্রী ব্যাতীত অন্য কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানো। বর্তমানে বিভিন্ন আর্ট ফিল্ম বা মুক্ত চিন্তার মুভি গুলোতে এগুলোকে এক রকম শিল্পের সম্মান দিয়ে দিছে। মুক্ত চিন্তা করা অবশ্যই কল্যানকর। কিন্তু যে মুক্তচিন্তা আমাকে আমার মানবিক গুণের বিপর্যয় ঘটাতে পারে সে চিন্তাকে কেন আমি লালন করবো? মূল প্রসংগে আসি, বর্তমান সময়ে আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্দ্রে পরকিয়ার বিষ ঢুকে গেছে। আর এর মূলে রয়েছে অসুস্থ চিন্তা-ভাবনা, সঙ্গদোষ, চটি গল্প সহ যাবতীয় নোংরামীর সহজলভ্যতা। ইন্টারনেটের এই যুগে একজন কিশোর কিংবা কিশোরী খুব সহজে অসুস্থ চিন্তাভাবনায় নিজেকে ডুবাতে পারে। শুরুটা এখান থেকেই। কিশোর বয়সেই তাই তাদেরকে সম্পর্কের ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে। তারা এসময়ে সংকোচে থাকে তাই তারা সাধারণত প্রশ্ন করবেনা। তাদেরকে নিজ থেকে বলতে হবে কেনে বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্ক এড়িয়ে চলা উত্তম? বিয়ের সময় কী কী ব্যাপার লক্ষ্য রেখে জীবন সংগী বাছাই করবে আর বিয়ে পরবর্তি সময়ে কীভাবে পরিবারের সদস্যদের প্রতি উত্তম আচরণ বজায় রাখবে, বিশেষ করে জীবন সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক কীরকম হওয়া উচিত, কীভাবে নিজেকে বিশ্বস্ত রাখা যায়, কীভাবে খারাপ সম্পর্ক থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করা যায় সেসব ব্যাপারে কিশোর বয়স থেকেই বাচ্চাদের সাথে আলোচনা করতে হবে। তবে সবগুলো একসাথে নয়। ধীরে ধীরে বলতে হবে যেন সম্পর্কের মধ্যে সম্মানবোধটা ও থাকে আবার খোলামেলাভাবে আলাপ করার পরিবেশ ও থাকে। তবেই পরিবার থেকেই শেখানো যাবে সম্মান-অসম্মান, বিশ্বাস-অবিশ্বাসের পার্থক্য এবং এর ভালো-খারাপ উভয় দিক। এবার আসা যাক, যারা বিয়ে করে ফেলেছেন তারা অনেক সময় আশংকা করি আমাদের পার্টনার কি পরকিয়াতে লিপ্ত? এক্ষেত্রে বলব, আগে নিজে বিশ্বাসী হোন, তবেই অপরকে বিশ্বাস করতে পারবেন। আমরা অনেকে শিক্ষিত আর রুচিশীলতার পরিচয় দিতে গিয়ে লাইফ পার্টনারের অনেক ব্যাপারে নিজেকে জড়াতে চাইনা। কিন্তু যেখানে আপনাদের সম্পর্ক জড়িত সেখানে উচিত হবে একজন আরেকজনকে নিজ থেকে সে ব্যাপারে জড়িত করতে হবে। মনে করেন আপনার ফেসবুকের পাসওয়ার্ড আপনার স্ত্রী জানেননা। তখন আপনার উচিত হবে নিজ থেকে সেটা স্ত্রীর সাথে শেয়ার করা তবে আপনি চাইলেও আপনার কোন মেয়ে বন্ধুর সাথে বাজে আড্ডা দেওয়ার সাহস করবেননা একপ্রকার দায়বদ্ধতা থেকে। আপনি যখন আপনার সকল ব্যাপার শেয়ার করবেন আপনার স্ত্রীর সাথে তখন উনিও আপনার সাথে সব ব্যাপারে শেয়ার করবেন। আর এ থেকে একজনের প্রতি আরেকজনের সম্মানবোধটাও আপনা-আপনি বেড়ে যাবে। সব সময় জীবন সঙ্গীর কাজের প্রতি, মতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে তবেই আপনাদের সম্পর্ক অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর আরেকটা গুরত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো জৈবিক চাহিদার ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। শুধু নিজেরটা চিন্তা না করে সঙ্গীর চাহিদার ব্যাপারটা খেয়াল করবেন। তৃতীয়ত, নিজের কাজ শেষে সঙ্গীর কাজে সাধ্যমত একটু আধটূ সাহায্য করুন। অন্তত না পারলেও তার প্রশংসা করুন। তবে দেখবেন আপনাদের সম্পর্ক অন্যদের জন্য ঈর্ষনীয় হয়ে যাবে। সবশেষে যে ব্যাপারটা খেয়াল করবেন, যে সব সম্পর্ক থেকে দুর্ঘটনা বেশি হয় যেমন-শালী-দুলাভাই সম্পর্ক, ভাবী-দেবর সম্পর্ক, বন্ধু-বান্ধবী সম্পর্ক সেগুলো থেকে সব সময় নিজেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে সম্পর্ক রাখবেন তবে আপনার সঙ্গীও অবশ্যই আপনার মত নিজেকে গড়ে নিবে। সবশেষে একটা কথাই বলবো, নিজেদের মধ্যে সম্মানবোধ, ভালোবাসা আর নৈতিকতা ধরে রাখুন, অবসর পেলে সঙ্গীকে সময় দিন, সুযোগ হলে ঘুরাঘুরি করুন মাঝে মধ্যে বাইরে খাওয়া-দাওয়া করুন জীবনে সুখী হবেন। পরকিয়ার মত দাবানল আপনার সংসারকে আচ দিতে ও পারবেনা। পরকিয়া একটি সাজানো সংসারকে ধ্বংস করে ফেলে, সন্তানদের মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত করে তোলে তাই সর্বদাই এর কুফল যেন প্রত্যেকটা হৃদয়ে স্মরণ হয় বাগান ধ্বংস করার আগে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সৌরভ খাঁন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৫
নাহিদ০৯ বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন। কিন্তু লিখার বিষয় অনুসারে অনুচ্ছেদ ভাগ না থাকায় একবারে পড়তে গিয়ে হাঁপিয়ে পড়েছি।
পরকীয়া এর মতো খারাপ ব্যাধি যেন কারো জীবনেই না আসে। আর পরকীয়া এর কথা লিখতে গিয়ে আপনি বোধয় শুধু নারীর পরকীয়া’র কথাই লিখেছেন!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৪
সৌরভ খাঁন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সেই সাথে কষ্ট করে পোস্টটি পড়েছেন। আমি আসলে নারী-পুরুষ উভয়ের কথাই বলেছি। এবং এ ও বলেছি উভয়কেই নৈতিকতাবোধ ও বিশ্বাস ধরে রাখলে এ ব্যধির আচ ও লাগবেনা।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষই সেরা জাতি, কিন্তু আজকাল আমাদের চরিত্র এক্কেবারে শূন্যের কোঠায়। সন্তান আল্লাহর দেয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত ও আমানত। সন্তান আপনাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে, সন্তান আপনাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে, সন্তানের কারনে কেন আপনি জাহান্নামে যাবেন? মৃত্যুর পরে সন্তানের দোয়ার বরকতেও আপনি ক্ষমা পেতে পারেন।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১০
শিখণ্ডী বলেছেন: পরকিয়া সমাজে ছোঁয়াচে রোগের মত ছড়িয়ে পড়েছে। এর পেছনে অনেক অনেক কারণের মধ্যে বড় একটি কারণ, চোখ-মুখ ঢাকা বোরকা। যারা মূলত ধার্মিক নয় তবুও রাস্তাঘাটে এরা অনেকেই পরকীয়া করার কৌশল হিসেবে বোরকা পরিধান করে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৭
সৌরভ খাঁন বলেছেন: রোগ যেখানে মনের মধ্যে পোষাক সেখানে ঢালস্বরূপ। তাই পোষাকে দোষ দেবনা। তাই যেদিন তারা মন বিশুদ্ধ করলো, বাস্তবিকপক্ষে তারা তাদের জীবন সুন্দর করে ফেললো। ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভাই আমি সৎ আছি। কিন্তু পাসওয়ার্ড দেয়ার মত উদার নই...
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৮
সৌরভ খাঁন বলেছেন: সৎ থাকাটাই মূখ্য। ঐটা গৌণ ব্যাপার।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৪
নতুন বলেছেন: পাসওয়াড দেওয়া লাগেনা...
স্বামী স্ত্রীর মাঝে সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে পরকিয়ে কখনোই আসেনা....
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:২৯
সৌরভ খাঁন বলেছেন: উভয়ে উভয়ের কাছে দর্পন স্বরূপ হলে ভালোবাসা আরো তীব্র হয়। আর পাসওয়ার্ড ছাড়াও অনেক ব্যাপারে বলা হয়েছে। এটা তো গৌণ ব্যাপার। মূখ্য হল বিশ্বস্ততা আর সম্মানবোধ।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৬
নাহিদ০৯ বলেছেন: যারা এমন সম্পর্কে জড়িয়ে পরে তারা উভয়েই অনৈতিক। উভয়েই খারাপ, উভয়েই দোষী। বোথ আর গিল্টি অফ দ্যা সেইম ক্রাইম। পরকীয়া সভ্য সমাজে কিছু অসভ্য লোকের দুর্বলতা আর উন্মাদনা। দিস ইজ এ ডিজিজ!!
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪১
সৌরভ খাঁন বলেছেন: জ্বী এটি আসলেই মানসিক ব্যধি।
৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
নীল আকাশ বলেছেন: এই বিষয়ে আরো লেখা আসা উচিত। বিষয়টা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে আমি ঠিক এই বিষয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন Click This Link
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ২:৪০
সৌরভ খাঁন বলেছেন: জ্বী আপনার লেখাটি পড়লাম। অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: আমার ২ টা মন্তব্য ভুল করে চলে এসেছে। এই মন্তব্য এবং আগের যে কোন ১ টা কষ্ট করে ডিলিট করে দিবেন।
ধন্যবাদ & শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৩
ইব্রাহীম আই কে বলেছেন: যথার্থ লিখেছেন।