![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার কাছে লেখালেখি করা দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিনতম কাজ! আর নিজের সম্পর্কে লেখা তো আরও কঠিন!! :) :) শূন্য পথিক-অবাক জোছনার সন্ধানে!
(ছবিটি রুপম নামের এক ভাইয়ের আঁকা, পূর্বে সম্মতি সাপেক্ষে আমার হুমায়ূন আহমেদ পেজে প্রকাশিত)
হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত হিসাবে এই লেখাটা আমার কাছে আবর্জনা সম! তসলিমা নাসরিন কত বড় মাপের লেখিকা, কি লিখে আজ আবর্জনাই পরিণত, তা আমরা জানি। এই লিখায় তিনি নারী সমাজের চিত্র বা তাদের অধিকার নিয়ে কিছু লিখতে চেয়েছেন, তো এর মধ্যে হুমায়ূন আহমেদ কেন?
হুমায়ূন আহমেদের সমালোচকদের উপর বিরক্ত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বঙ্গ দেশে হুমায়ূনের সমালোচনা না করলে বুদ্ধিজীবী হওয়া যায় না।’ কথাটার সার্থকতা প্রমান করলো তসলিমা।
(এই লেখার শেষে "লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ফাঁস করে দিলেন তসলিমা নাসরিনের সকল কৌশল" লিংক দেওয়া আছে। পড়তে ভুলবেন না।)
তসলিমার লেখাটিঃ
হুমায়ূন আহমেদের যে ক্যান্সারটি হয়েছিল, সেই একই ক্যান্সার আমার মায়ের হয়েছিল। আমার মা মারা যান সাতান্ন বছর বয়সে, হুমায়ূন আহমেদ মারা গেছেন তাঁর চৌষট্টি বছর বয়সে। এক দশকের বেশি হল আমার মা মারা গেছেন, আর এই সেদিন মারা গেছেন হুমায়ূন আহমেদ। আমার মা নামি দামি কেউ ছিলেন না, সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন ভয়ঙ্কর জনপ্রিয় লেখক। হুমায়ূন আহমেদ-এর মারা যাওয়ার খবর শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি, কষ্ট পেয়েছি। মা’র কথা মনে পড়েছে, একই রকম অসুখে তিনিও ভুগেছিলেন। নাহ, নিউ ইয়র্কের ¯োন কেটেরিং বা বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা করার সামর্থ আর সুযোগ কোনোও টাই আমার মা’র ছিল না। এক রকম বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা গেছেন। আমার মা দেশের লক্ষ লক্ষ দুর্ভাগা মায়ের মত এক মা। অসুখের শেষ অবস্থায় যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়, যখন তাদের বাঁচবার আর সময় থাকে না, আমার মা তেমন এক মা। কোলন ক্যান্সার বড় হয়ে হয়ে খাদ্যনালী বন্ধ করে ফেললে অথবা লিভারে এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে গিয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা করলে কেউ হয়তো তাদের দয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যায়, এর আগে নয়।
যতদিন বেঁচে থাকি আমার মা’র জন্য আমি কাঁদবো, আরও শত শত মা’র জন্য কাঁদবো, চিকিৎসার অভাবে যারা মৃত্যুকে বরণ করতে বাধ্য হয়। কাঁদবো দারিদ্র্য আর পরাধীনতার শেকলে বন্দী বাংলার সহস্র মা’র জন্য। কাঁদবো সেই লক্ষ কোটি অসহায় মানুষের জন্য, প্রচুর প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও শুধু মেয়ে জš§ানোর কারণে যাদের অন্ধকারে পড়ে থাকতে হয়, তাদের জন্য।
হুমায়ূন আহমেদকে ভুগতে হয়নি, কারণ তিনি পুরুষ। তাঁকে হাঁটতে হয়নি কোনও অমসৃণ পথে, যে পথে প্রতিটি মেয়েকেই হাঁটতে হয়। হুমায়ূন আহমেদের জন্য সম্ভবত আমার কষ্ট হবে না দীর্ঘদিন। কারণ হুমায়ূন আহমেদ জীবনে যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন, যা ইচ্ছে করেছেন তাই করেছেন। রাজা হতে চেয়েছেন, রাজা হয়েছেন। বাদশাহী উপভোগ করতে চেয়েছেন, উপভোগ করেছেন। পৃথিবীর খুব কম মানুষই জীবনে এত ভোগ বিলাস করার সুযোগ পান। খুব কম মানুষই নিজের যাবতীয় স্বপ্নকে সফল করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এই জীবনে কে কার চেয়ে বেশি যশ আর খ্যাতি লাভ করতে পারে, তার একটা ভীষণ প্রতিযোগিতা চলে। হুমায়ূন আহমেদ সেই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে যারা সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের হাজার মাইল পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে ছিলেন। তার নাগাল কেউ স্পর্শ করতে পারে নি। তাঁর মতো সৌভাগ্যবান মানুষ আমার জীবনে আমি আর দেখিনি। তিনি চলে গেছেন। এরকম সবাই যাবে, কেউ দুটো বছর আগে যাবে, কেউ দুটো বছর পরে। এই সম্ভাবনা আমার মনে হয় না খুব বেশি ছিল যে বেঁচে থাকলে তিনি নতুন ধরনের কোনো লেখা লিখতেন বা সাহিত্য জগত কে বিশাল কিছু দান করতেন। আমরা মানুষ টি কে হারিয়েছি, এটাই যা ক্ষতি, তার চলে যাওয়ায় সত্যি বলতে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতের কোনও ক্ষতি হয়নি।
হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমি পড়তাম আমার কিশোরী বয়সে। যখন থেকে আমি বাংলায় এবং অন্যান্য ভাষায় উন্নতমানের সাহিত্য পড়তে শুরু করেছি, হুমায়ূন আহমেদ পড়া আমার পক্ষে আর সম্ভব হয়নি, এবং যখন থেকে আমার ভালো নাটক দেখার রুচি বোধ গড়ে উঠলো, আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি হুমায়ূন আহমেদের নাটক দেখা। কিন্তু কী করে লক্ষ লক্ষ মানুষ হুমায়ূন আহমেদের শত শত রম্য রচনা পড়ে গেছে যুগের পর যুগ? এর উত্তর হতে পারে, তারা রম্য রচনারই পাঠক, রম্য রচনা ছাড়া আর কোনও রচনার যোগ্য নয় তারা, অথবা পাঠক হিসেবে তাদের বিবর্তন ঘটেনি, অথবা অল্প শিক্ষিত বলে হুমায়ূন আহমদের বই আর নাটকের ছোটো ছোটো সুখ দুঃখ আর সহজ সরল কৌতুক বোঝা তাদের জন্য সুবিধে। বাংলাদেশের জনগণ যদি এত বিপুল পরিমাণে অশিক্ষিত আর অর্ধশিক্ষিত না হত, হুমায়ূন আহমেদের পক্ষে এত প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা অর্জন করা সম্ভব হত না। বাংলার প্রকাশকরা, হুমায়ূনের বন্ধু সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদাররা বছরের পর বছর প্রবল চেষ্টা করেও পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে হুমায়ূন আহমেদকে জনপ্রিয় করে তুলতে পারেননি। এর কারণ সম্ভবত একটিই, ওই রাজ্যে শিক্ষিতের মানটা বাংলাদেশের চেয়ে তুলনায় সামান্য বেশি।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার পরিচয় তিনি বেজায় রকম বিখ্যাত হওয়ার আগে। তার যে গুণটি আমার প্রথমেই চোখে পড়েছে, তা হল তিনি গল্প বলে ঘরোয়া আসর জমিয়ে রাখতে পারেন। অসাধারণ স্টোরি টেলার। একবার তিনি আমাদের ময়মনসিংহের বাড়িতে হঠাৎ চলে এলেন। বললেন, নেত্রকোণা গিয়েছিলেন, ঢাকায় ফেরার পথে ভাবলেন আমার সঙ্গে দেখা করে যাবেন। আমাদের বাড়িটা কল্পনা করে নিয়েছেন ব্রহ্মহ্মপুত্রের পাড়ে একটা লাল বাড়ি। সেই কল্পনার বাড়িটি তিনি খুঁজছিলেন, যত লাল বাড়ি আছে নদীর পাড়ে, দরজা ধাক্কিয়ে ওদের জিজ্ঞেস করেছেন, আমি আছি কি না। শেষে নাকি তার রিক্সাওয়ালাই নিয়ে এলো ঠিক বাড়িটিতে। সারাদিন ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। একাই গল্প বলে গেলেন, বাড়ির সবাই মুগ্ধ হয়ে হুমায়ূন আহমেদের গল্প শুনেছিল। আমার বিশ্বাস তিনি যদি সারারাতও ঠিক ওভাবে গল্প বলে যেতেন, সবাই মুগ্ধ হয়ে ওভাবেই শুনতো আর থেকে থেকে ঘর ফাটিয়ে হেসে উঠতো। হাসাতে জানতেন। অনেক গুণ ছিল হুমায়ূন আহমেদের। ইস্কুলের সিলেবাসের বাইরে কোনও বই পড়ার অভ্যেস যাদের নেই, লক্ষ লক্ষ সে সব সাধারণ মানুষকে তিনি তাঁর বই পড়িয়ে ছেড়েছেন। অনেকে আছে জীবনে একটিই গল্পের বই পড়েছে, গল্পের বইটি হুমায়ূন আহমেদের। এক সময় ভাবা হত, হুমায়ূন আহমেদ পাঠক তৈরি করেছেন। তাঁর বই পড়ে পড়ে পাঠকের বই পড়ার অভ্যেস গড়ে উঠবে, বোধোদয় হবে, রুচি পাল্টাবে, তখন আর হুমায়ূন আহমেদ না পড়ে অন্য লেখকের বই পড়বে। ভাবনাটি ভুল ছিল। হুমায়ূন আহমেদ পাঠক তৈরি করেছেন, তবে সেই পাঠককে জীবনভর নিজের বই পড়ার জন্যই তৈরি করেছেন, অন্য কারও বই পড়ার জন্য নয়। তাঁর পাঠককূল খুব কমই বিবর্তিত হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের ‘নেই’-কে ‘নাই’ লেখাটা আমাকে বরাবরই বড় পীড়া দিয়েছে। জানি না পরে তিনি ‘নাই’ এবং আরও কিছু ভাষার দোষ কাটিয়ে উঠতে পেরেছিলেন কি না। অর্ধশিক্ষিত পাঠকদের জন্য পৃথিবীর সব দেশেই কিছু লেখক আছেন, তাঁরা জনপ্রিয় বই লেখেন। তাঁদের প্রায় সবারই মান হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে অনেক ওপরে। স্টিফেন কিং, টেরি প্র্যাটচেট। বাংলা ভাষার লেখক ‘শংকর’-এর চটি বইয়ের মানের কথাই ধরা হোক না কেন। ভাষার তুলনা চলুক। শংকর অনেক ওপরে। ভাষায় দক্ষতা না থাকলে ভালো সাহিত্যিক হওয়া যায় না। ঘরের আসর মাতিয়ে রাখতে পারা, বা প্রকাশকের চাপে এক সপ্তাহে বা দু’রাত্তিরে একটা বই লিখে ফেলতে পারা বা তিন দশকে বইয়ের সংখ্যা তিনশ’র বেশি করে ফেলতে পারা মানেই বড় সাহিত্যিক হওয়া নয়। আজ অবশ্য অনেকে হুমায়ূন আহমেদকে ‘বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক’ ইত্যাদি বলছেন। বাংলা ভাষা এবং এর সাহিত্য কে এই অপমানটি কি না করলেই নয়! ‘ম্যাজিক রিয়ালিজম’-এর কথাও উঠছে। আহ, ওরা যদি জানতো ম্যাজিক রিয়ালিজম ঠিক কাকে বলে!
আরও একটি ব্যাপারে আমি বিস্মিত হই। হুমায়ূন আহমেদের মতো বুদ্ধিমান লোক স্ত্রী পুত্র কন্যা ফেলে গোঁড়ালির বয়সী একটা মেয়েকে কেন বিয়ে করেছিলেন! দ্বিতীয় যে ব্যাপারটি দেখেছি, তা আমাকে ততটা বিস্মিত করেনি, তা হল মিডিয়ার মুখ বুজে থাকা। মিডিয়া চিরকালই ক্ষমতার দাস। খুব কম মিডিয়াই নিরপেক্ষ হওয়ার এবং সত্য কথনের সাহস দেখাতে পারে। আমি বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের হাড় মজ্জা অবধি চিনি। ওই সমাজে আমি বড় হয়েছি, ওই সমাজ আমার সঙ্গে কারও সম্পর্কের বা বিয়ের গুজব শুনেই হায়েনার মতো দৌড়ে এসেছে আমাকে আক্রমণ করতে। আমার বিরুদ্ধে বিস্তর মিথ্যে কথা রটিয়ে মিডিয়ার অসংখ্য আমোদ জুটেছে। আমিও জনপ্রিয় লেখক ছিলাম এককালে। আমি যদি আমার স্বামী সন্তান সংসার ত্যাগ করে আমার পুত্রের কোনও বন্ধুকে বিয়ে করে তাকে নিয়ে কোনও বাগান বাড়ি বানিয়ে বাস করতে শুরু করতাম, লোকে আমাকে আক্ষরিক অর্থে ছিঁড়ে ফেলতো, আক্ষরিক অর্থেই কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে রাখতো রাস্তায়, আগুনে পুড়িয়ে মারতো অথবা পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলতো অথবা জ্যান্ত কবর দিয়ে দিত। কারও আমার বই পড়ার তো প্রশ্ন ওঠে না। শুধু আমি নই, অন্য কোনও মেয়েকেও একই রকম করতো এই নষ্ট সমাজ। কোনও অন্যায় না করেও দেশ হারানোর শাস্তি আমি পোহাচ্ছি, অন্যায় করলে পরিণতি কী হত, তা আমি বেশ অনুমান করতে পারি। নারীর মুক্তির জন্য আর মানবাধিকারের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রাম করে গেছি, নিরন্তর লিখে গেছি। আর আমাকেই কিনা দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য জঘন্য অন্যায় যারা করেছে, যারা আমার মাথার দাম ঘোষণা করেছে, তাদের দিব্যি দুধ কলা দিয়ে পোষা হচ্ছে, আর দেশ থেকে জšে§র মতো তাড়ানো হয়েছে আমাকে! আজ উনিশ বছর আমাকে দেশে ফিরতে দেয় না কোনও সরকার। মুখ বুজে মজা দেখছে দেশের তথাকথিত জ্ঞানী গুণী পণ্ডিত এবং মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করা হিপোক্রেটস। লেখক গোর ভিডাল বলেছিলেন, ‘ভালো কাজের সব সময় একটা শাস্তি পাওনা থাকে।’ মিডিয়া যদি পুরুষতান্ত্রিক না হত, আমার বিরুদ্ধে সরকারের অগুনতি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো। যেহেতু সমাজ পুরুষতান্ত্রিক, মিডিয়াও পুরুষতান্ত্রিক, সে কারণে হুমায়ূন আহমেদ সমালোচিতও হন না, নিন্দিতও হন না বত্রিশ বছরের সংসার ভেঙে সন্তানের বন্ধুকে বিয়ে করার পরও। মিডিয়া তাঁকে ‘নিন্দিত’ হওয়ার কোনও সুযোগই দেয়নি। শুরু থেকে শেষ অবধি তাঁকে সম্বোধন করে গেছে ‘নন্দিত লেখক’ বলে। বাংলাদেশের মিডিয়া এবং মানুষ প্রচণ্ড পুরুষতান্ত্রিক বলে হুমায়ূন আহমেদের পক্ষে সম্ভব হয়েছে চরমতম নিন্দার কাজ করেও জীবনভর ‘নন্দিত’ থেকে যাওয়া।
হুমায়ূন আহমেদ নিজে ছিলেন পুরুষতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাঁর ছিল এত আদর। সমাজের নারী বিদ্বেষী পুরুষতান্ত্রিক চরিত্র আরও স্পষ্ট ফুটে উঠেছে হুমায়ুন আহমেদ মারা যাওয়ার পর। গুলতেকিন হুমায়ূন আহমেদের শোক সভায় এসে কেঁদেছেন, এই কান্নার জন্য তাঁকে মহিয়সী রমণী খেতাব দেওয়া হচ্ছে। স্বামী লোচ্চামি, বদমাইশি যা খুশি করুক, তুমি স্বামীকে নিরবধি শর্তহীন ভালবেসে যাও। স্বামী সাত জনের সঙ্গে শুয়ে বেড়াক, হাজার হলেও পুরুষ তো, মেয়ে হয়ে জšে§ছো, তুমি ভাই সতী সাধ্বী থেকে যেও। স্বামী তোমাকে লাথি দিলেও তুমি স্বামীর জন্য কেঁদে বুক ভাসিও। স্বামী তোমাকে ছেড়ে চলে গেলেও, অন্য কার সঙ্গে বাকি জীবন রং-তামাশা করলেও স্বামীর যে কোনও প্রয়োজনে পাশে দাঁড়িও, সমাজ তোমাকে বাহ্বা দেবে। আমরা ভোগ করবো, তোমরা আমাদের ভোগের বস্তু হবে, বা আমাদের ভগবান জ্ঞান করবে, বা আমাদের স্তুতি গাইবে, আমাদের মঙ্গলের জন্য জীবনপাত করবে। এই না হলে তোমরা আর মেয়ে কেন! হুমায়ূন আহমেদের সন্তানের বয়সী স্ত্রী নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তুচ্ছ করে স্বামীর সেবা করে গেছে, অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে তাঁকে সুস্থ করে তোলার জন্য, তাকেও অনেকে বাহবা দেবে। কেউ কেউ আবার কোনও ত্র“টি খুঁজে পেলে তার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেবে। কেন? স্বামী দেবতার সেবায় একটু এদিক ওদিক হলে যে রক্ষে নেই!
ক’দিন আগে আমার এক বন্ধু হুমায়ূন আহমেদের একটা লেখা, তার তিন কন্যাকে নিয়ে, পড়তে দিল আমাকে। কন্যাদের সম্ভবত প্রায় দশ বছর পর তিনি দেখেছেন। আমি ভেবেছিলাম পিতা হয়ে যে অন্যায় তিনি করেছেন এর জন্য ক্ষমা চাইবেন। আবেগে কাঁপবে তার কলম। কিন্তু তা নয়, পুরো লেখাটিতেই নিজের গুণগান গেয়েছেন। তিনি নিজে খুব মেধাবী, তাঁর জিন পেয়েছে কন্যারা, সে কারণে তাঁর কন্যারাও মেধাবী। আমি তাজ্জব! হƒদয় বলে কিছু কি ছিল না হুমায়ূন আহমেদের! দেখতে শুনতে গ্রামীণ, সরল সোজা। কিন্তু ভেতরে খুব কঠিন একটি মানুষ। নির্বিকার। নিজের সুখ আনন্দ ছাড়া দুনিয়ার অন্য কিছু থোড়াই হয়তো কেয়ার করেছেন। জনপ্রিয়তা তাঁকে আকাশে বসিয়ে দিয়েছিল, তিনি ধরাকে সরা জ্ঞান না করলেও বড় তুচ্ছ কিছু একটা জ্ঞান করেছিলেন, ধরার মানুষগুলোকেও হয়তো তা-ই করেছিলেন। কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছিলেন, ক’টা টাকা দেশের মানুষের দারিদ্র্য দূর করতে, অশিক্ষা, কুশিক্ষা দূর করতে খরচ করেছিলেন? ক্যান্সার হাসপাতাল করবেন, ক্যান্সার না হলে বলতেন? নিজের শরীরে বড় রোগ ধরা পড়লে ভয়ে ভয়ে সব ব্যাটাই মানত করে, এই গড়বো, সেই বানাবো ইত্যাদি।
যে কন্যারা অভিমানে দূরে সরে ছিল, কারণ তাদের পিতা তাদের গড়ে তোলার চেয়েও বৃদ্ধ বয়সে এক কন্যাসম কিশোরীর সঙ্গে স্বপ্নের ফানুস ওড়ানো টা কেই যৌক্তিক বলে মনে করছিল, সেই কন্যারা অসুখের খবর শুনে কাছে এলে মিডিয়া খুশি হয়, মানুষ খুশি হয়। ক্ষমতাবানের সামনে সকলে নত হয়। সে বেঁচে থাকলেও হয়, সে মরে গেলেও হয়। পুরুষের ক্ষমতা বলে কথা। সাফল্যের মুখ পুরুষের মুখ। যাদের এক সময় পায়ে ঠেলে দিয়েছিলে তুমি, তারাই এখন তোমার পায়ের কাছে এসে কাঁদছে। কারণ তুমি পুরুষ, তুমি ধনী, তুমি জনপ্রিয়, তুমি রাজা, তুমি বাদশাহ, তুমি সম্রাট, তোমার সাত খুন মাফ। হুমায়ূন আহমেদ অনেকটা ইশ্বরের মতো। নিজের কারণে নয়, ইশ্বরভক্তদের কারণেই ইশ্বর টিকে আছেন।
এইবার পড়ুন লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ফাঁস করে দিলেন তসলিমা নাসরিনের সকল কৌশল
*** তসলিমাকে নিয়ে সমরেশ মজুমদারের মন্তব্য-
"প্রায় ৯০ বছর আগে কলকাতার সোনাগাছিতে একজন খ্যাতনামা বেশ্যা থাকতেন। তার নাম ছিল নন্দরানী। কলকাতার প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো তার কাছে। (আবারও পড়ুন কলকাতার প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো তার কাছে।) নন্দরানী যদি এদের নিয়ে উপন্যাস রচনার কথা ভাবতেন তাহলে তা অনেকদিন আগেই করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সমাজে চুপচাপ থাকার ভদ্রতা ও সৌজন্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু হায় তসলিমা নাসরিন, নন্দরানীর সেই আত্মসম্মান বোধের অংশীদার হতে পারেন নি।"
নিচে পড়ুন বিস্তারিতঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
শূন্য পথিক বলেছেন: ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না! আমরা আবার তসলিমার মত বড় মাপের লেখক না!
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শালি মাগার আব্বার লেখে
তাও হিমুকে কটাক্ষ
ফুট হই যাইব বক্ষ
টেকা অবৈধকামাই লক্ষ লক্ষ
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
শূন্য পথিক বলেছেন: ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না! আমরা আবার তসলিমার মত বড় মাপের লেখক না!
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
মোঃ আবদুল হাই বলেছেন: তসলিমারমতই বাজে লেখা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
শূন্য পথিক বলেছেন: বাংলা সাহিত্য আবার তার কাছে অনেক ঋণী!! তার লিখা রসসোল্লা সম!! ঝোলে ঝোলে টইটুম্বুর!
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: তচলিমা *গীর লেখা পড়তে কৈছে কে ?
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০২
শূন্য পথিক বলেছেন: জবাব দেওয়ার দরকার আছে ভাই।
>> পড়ুন লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ফাঁস করে দিলেন তসলিমা নাসরিনের সকল কৌশল
আরও পড়ুনঃ
*** তসলিমাকে নিয়ে সমরেশ মজুমদারের মন্তব্য-
"প্রায় ৯০ বছর আগে কলকাতার সোনাগাছিতে একজন খ্যাতনামা বেশ্যা থাকতেন। তার নাম ছিল নন্দরানী। কলকাতার প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো তার কাছে। (আবারও পড়ুন কলকাতার প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো তার কাছে।) নন্দরানী যদি এদের নিয়ে উপন্যাস রচনার কথা ভাবতেন তাহলে তা অনেকদিন আগেই করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সমাজে চুপচাপ থাকার ভদ্রতা ও সৌজন্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু হায় তসলিমা নাসরিন, নন্দরানীর সেই আত্মসম্মান বোধের অংশীদার হতে পারেন নি।"
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০০
সুস্মিতা শ্যামা বলেছেন: ফেসবুকে এর আগেই এই লেখাটার উপর আমার প্রতিক্রিয়া লিখেছিলাম। আবারো সেগুলো বলছি।
প্রথমত, এতটা একপেশে নারীবাদী মনোভাব কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় শুধুমাত্র নারী বলে কেউ চিকিৎসা পান না- এটা একটা চরম নির্লজ্জ মিথ্যাচার! খালেদা, হাসিনা কি নারী নন? তাদের অসুখ হলে কি চিকিৎসা থেমে থাকে?
ইস্যুটা নারী বা পুরুষের নয়। ইস্যুটা ক্ষমতার। সমাজের সমস্তরকম সুবিধা ক্ষমতাবান আর ধনীদের দখলে। এটাই নিষ্ঠুর সত্যি কথা- সেটা আমার ভাল লাগুক বা না লাগুক।
হুমায়ুন আহমেদের চিকিৎসা পাওয়া আর উনার মায়ের চিকিৎসা না পাওয়ার কারণটা শুধুই লিঙ্গ? অর্থ বা ক্ষমতার কোন ভূমিকা এতে নেই?
বিশ্ববিখ্যাত এই লেখিকা প্রায়শই এমন প্রলাপ বকে নারীদেরকে হাস্যকর করে তোলেন। তাদের দু:খ দুর্দশার প্রকৃত কারণটা উনিই মূলত আড়াল করে ফেলেন। এতটা একচোখামি অসহ্য।
এই লেখায় হুমায়ুন আহমেদের বিলাসিতা নিয়ে, মেয়েদের সম্পর্কে তার লেখা নিয়ে কিছু বক্তব্য আছে। সেগুলোর সাথে আমি অনেকটা একমত। তবু এই কথাগুলো তসলিমার মুখে খুব বেশি মানায় না। কেন যেন লেখাটাতে গঠণমুলক সমালোচনার চাইতে হুমায়ুনের প্রতি তার ঈর্ষাটাই প্রকাশ পাচ্ছে বেশি।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
শূন্য পথিক বলেছেন: এই লেখিকা প্রায়শই এমন প্রলাপ বকে নারীদেরকে হাস্যকর করে তোলেন। তাদের দু:খ দুর্দশার প্রকৃত কারণটা উনিই মূলত আড়াল করে ফেলেন।
লেখাটাতে গঠণমুলক সমালোচনার চাইতে হুমায়ুনের প্রতি তার ঈর্ষাটাই প্রকাশ পাচ্ছে বেশি।
আপনার সাথে সহমত।
ধন্যবাদ।।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮
রাঘব বোয়াল বলেছেন: ছেমরিডারে কাপড় ছাড়া এই দেশে আইনা ঢাকা শহরে ছাইড়া দেয়া ঊচিত।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
শূন্য পথিক বলেছেন: নিচে পড়ুন বিস্তারিতঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
তসলিমা হইল ওইটা
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০০
শূন্য পথিক বলেছেন: নিচে পড়ুন বিস্তারিতঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
বয়ানবাজ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের কোন লেখায় পড়েছিলাম- তসলিমা নিজের দেশে ফিরতে পারছেন না বলে তিনি(হুমায়ুন) বেশ কষ্ট পেতেন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
শূন্য পথিক বলেছেন: নিচে পড়ুন বিস্তারিতঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
আঁখি মনি বলেছেন: ফেমাস হবার ধান্দায় মানুষ কত নিচে নামে
বলি তসলিমা এতো যখন অপছন্দ করে , হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকতে এই কথা গুলা বলে নাই ক্যান??
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
শূন্য পথিক বলেছেন: ঠিক ঠিক!
নিচে পড়ুন বিস্তারিতঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
কলমবাঁশ বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাংলা সাহিত্য আবার তার কাছে অনেক ঋণী!! তার লিখা রসসোল্লা সম!! ঝোলে ঝোলে টইটুম্বুর! (
(
(
(
*** তসলিমাকে নিয়ে সমরেশ মজুমদারের মন্তব্য-
"প্রায় ৯০ বছর আগে কলকাতার সোনাগাছিতে একজন খ্যাতনামা বেশ্যা থাকতেন। তার নাম ছিল নন্দরানী। কলকাতার প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো তার কাছে। (আবারও পড়ুন কলকাতার প্রায় সমস্ত খ্যাতনামা ব্যক্তিদের যাতায়াত ছিলো তার কাছে।) নন্দরানী যদি এদের নিয়ে উপন্যাস রচনার কথা ভাবতেন তাহলে তা অনেকদিন আগেই করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সমাজে চুপচাপ থাকার ভদ্রতা ও সৌজন্যের পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু হায় তসলিমা নাসরিন, নন্দরানীর সেই আত্মসম্মান বোধের অংশীদার হতে পারেন নি।"
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
শূন্য পথিক বলেছেন: ঘটনা সত্য।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫
রীতিমত লিয়া বলেছেন:
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫১
শূন্য পথিক বলেছেন: আরও পড়ুনঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
১২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩
খাটাস বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ পাঠক তৈরি করেছেন, তবে সেই পাঠককে জীবনভর নিজের বই পড়ার জন্যই তৈরি করেছেন, অন্য কারও বই পড়ার জন্য নয়। তাঁর পাঠককূল খুব কমই বিবর্তিত হয়েছে।
তসলিমা নাস রিন এর লেখা আমার মোটেই পছন্দ নয়। কিন্তু এই কথা তা অনেকাংশে সত্য মনে হয়ছে। আর কি বলেছেন তার বেশিভাগ হিংসা সুলভ মনে হয়েছে। মাফ করবেন, কাউ কে কষ্ট দেয়ার জন্য বলি নি। হুমায়ন আহমেদের লেখা আমার ও পছন্দ। কিন্তু এই কথা তা শুধু বেক্তি গত মতামত।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫২
শূন্য পথিক বলেছেন: এই কথাতা স্যার নিজেও বলেছেন কিন্তু আর কথা গুলা?
আরও পড়ুনঃ
হুমায়ূন আহমেদের সহমর্মিতা ও অকৃতজ্ঞ তসলিমা নাসরিনের প্রতিদান!
১৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৬
ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: এইটা ঠিক হুমায়ুনের পাঠকেরা বিবর্তিত হয় না। যদি হত তাহলে বিশাল একটা পাঠক সমাজ তৈরী হত। তবে এর দায় হুমায়ূনের নয়। হুমায়ুন একজন লেখক, সাহিত্য রচনা করাই তার কাজ, পাঠক সমাজ উন্নয়ন করা তার কাজ নয়।
হুমায়ূন বাংলা কথাসাহিত্যে যে অবস্থানে পৌছেছে তাতে একমাত্র রবীন্দ্রনাথ আর নজরুল ছাড়া আর কেউ তার ধারে কাছেও নাই। আরেকটা রবীন্দ্রনাথ/নজরুল/হুমায়ূন কবে জন্মায় সেই আশাতে বাঙালি বসে থাক।
তসমিলার কিছু কিছু কথার সাথে সহমত হলেও সার্বিকভাবে এটা পক্ষপাতদুষ্ট ও ঈর্ষাকাতরতায় আক্রান্ত একটা লিখা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৭
শূন্য পথিক বলেছেন: আপনার সাথে সহমত।
১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ```অর্ধশিক্ষিত পাঠকদের জন্য পৃথিবীর সব দেশেই কিছু লেখক আছেন, তাঁরা জনপ্রিয় বই লেখেন। তাঁদের প্রায় সবারই মান হুমায়ূন আহমেদের চেয়ে অনেক ওপরে। স্টিফেন কিং, টেরি প্র্যাটচেট। বাংলা ভাষার লেখক ‘শংকর’-এর চটি বইয়ের মানের কথাই ধরা হোক না কেন। ভাষার তুলনা চলুক। শংকর অনেক ওপরে। ভাষায় দক্ষতা না থাকলে ভালো সাহিত্যিক হওয়া যায় না। ঘরের আসর মাতিয়ে রাখতে পারা, বা প্রকাশকের চাপে এক সপ্তাহে বা দু’রাত্তিরে একটা বই লিখে ফেলতে পারা বা তিন দশকে বইয়ের সংখ্যা তিনশ’র বেশি করে ফেলতে পারা মানেই বড় সাহিত্যিক হওয়া নয়। আজ অবশ্য অনেকে হুমায়ূন আহমেদকে ‘বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক’ ইত্যাদি বলছেন। বাংলা ভাষা এবং এর সাহিত্য কে এই অপমানটি কি না করলেই নয়! ''
তসলিমা এই কথাডা একেবারে খারাপ কয় নাই।
পড়ার আহবান জানাই
সাহিত্যিকের মৃত্যু এবং আমাদের গদগদে আবেগ
Click This Link
১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদ কখনোই কালজয়ী লেখক ছিলেন না। সেটা এখনই প্রমানিত হয়েছে। আজ থেকে ৫০ বছর পর তাঁর লেখা কৌতুকগুলোর অস্তিত্ব নিয়ে টানাটানি বেধে যাবে। যদিও হুমায়ূন আহমেদ নিজেও তা স্বীকার করে গেছেন। মাগার আবাল ভক্তকুল তা অস্বীকার করছেন।
Click This Link
১৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৭
এ ফ্রেন্ড বলেছেন: হুমায়ূনের মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে আসলে কোন ক্ষতি হয়নি???? """"" এ ছাগলে কয় কি??? শিওর কিছু থাইছে :s
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
শূন্য পথিক বলেছেন: কাঁঠাল পাতা!
১৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫১
এ ফ্রেন্ড বলেছেন: আমার মতে বলদরাই নিজের ঢোল নিজে পিটায়....., হুমায়ূন আহমেদ সেরকম বরদামি করেন নাই বলেই বলছেন যে তিনি কালজয়ী নন..... আপনার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে উহা ধরে নাই বুঝিতে বাকি নাই @পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
শূন্য পথিক বলেছেন: উত্তম উত্তম!
১৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
অকপট পোলা বলেছেন: অশিক্ষিতদের জন্য হুমায়ুন টিকলে, তসলিমা টিকেছে কিছু বিকৃতমনা মানুষদের জন্য, যারা ওর রাবিশ পরে মজা পায়!
১৯| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৬
নিম আল আশফাক বলেছেন: এখানে একটি কথা বলা প্রয়োজন। হুমায়ূন আহমেদ বিষয়ে তসলিমা'র সব কথা সত্য না হলেও কন্যা বিষয়ক সব কথাই সত্য। হুমায়ূন কখনই এই বিষয়টি বোঝেননি যে তাঁর করা কাজের জন্য তাঁর কন্যাদের কি অবস্থার ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছিল। বরং তাঁর দোসররা (মাজহার-মাসুম-মাসুদ আখন্দ গং) এই বিষয়টি নিয়ে উপহাস করেছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। সাথে ছিলেন জাতির নয়া নায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। কেন হুমায়ূন তার ছেলে মেয়ের কষ্ট বোঝেননি সেটা অজানাই রয়ে যাবে। তার প্রতিটই লেখায় তিনি তার ছেলে মেয়েদের অপমান করেছিলেন। ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে, তাঁর পুত্র-কন্যারা শাওনকে মা বলে মেনে নিলেই হুমায়ূনের আত্মা শান্তি পাবে।
(জানার জন্য পড়ুন শাকুর মজিদের লেখা "এক যে ছিল মুগ্ধকর" !) সব মেনে নেয়া যায়, কিন্তু ছেলে মেয়ের কাছে এত বড় অপরাধের পরও "বাপ বাপ" করে ছুটে আসবে -- এই মানসিকতা ধরে রাখার ব্যপারটা তাঁর মত বড় মাপের সাহিত্যিকের জন্য হাস্যকর।
২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১২
আখতার ০১৭৪৫ বলেছেন: ----------
২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩
প্যাপিলন বলেছেন: এই লেখাটা অনেক আগেই পড়া হয়েছে, তারপও আবার পড়লাম। হুমায়ুনের ভাষায়ই বলতে হয় থাকুকনা তসলিমা তার ভাবনা নিয়ে,যার ভাল লাগেনা সে না পড়লেই হয়, তসলিমা থাকুক তার বিভ্রান্তি নিয়ে।
সহস্র পাঠকদের মধ্যে কে কোন লেখকের লেখায় দ্রবীভুত হবে সেটা নির্ধারন করে দেয়া যায়না। কেউ আলবেয়ার কামুর লেখায় দ্রবীভুত হতে পারে, কেউ সমরেশ , সেটা তার সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপার। ঠিক তেমনি আমাদের পাড়াগায়ের কেউ যদি কাসেম বিন আবু বকরের 'বোরখা পড়া মেয়েটি' পড়ে দ্রবীভুত হয় তাকেও তুচ্ছ করা উচিত নয়। কেননা পাঠকের অনুভুতি গ্রো করাটাই লেখার সাফল্য। কাজেই সাহিত্যে কি সেটা নির্ধারণ করে দেয়াটা হাস্যকর এবং সেটাই তসলিমা করতে চাচ্ছেন।
ইংরেজি সাহিত্যে একটা চরম রম্য উপন্যাস আছে যেটা পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে এবং খুবই জনপ্রিয়। সেটা হলো জেরোম কে. জেরোম এর 'থ্রি মেন ইন আ বোট'। সাহিত্যের কোন মানদন্ডে এই বইটিকে এত উপরের দিকে রাখা হয় জানিনা, তবে পুরো বইটি পড়ে কোন ধরনের হাসি আসার মতো অনুভুতি আমারতো হয়নি, অন্য যারা পড়েছেন তারাও এরমধ্যে রম্যের কিছু খুজে পায়নি। সাহিত্যের শীর্ষ আসনে থাকা এরকম রম্যের খেতা পুইড়া হুমায়ুনের চরম ফালতু বইটাকেও শ্রেষ্ঠত্যের আসনে রাখব।
আর কলকেতার কথা আর কি বলব। আমাদের দেশের বই যদি কলকাতায় উন্মুক্ত থাকতো তাহলে সেখানকার লেখকদের আর বাংলা লিখে উপার্জন করতে হতোনা
২২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬
কাজলরেখা-০১ বলেছেন: আমার একটা কথা ছিলো তা হলো তসলিমা হুমায়ুন স্যার সর্ম্পকে যা বলেছেন তা সঠিক নয় কিন্তু আরো অনেক কথাই বলেছেন যা ১০০ ভাগ সত্য ও যুক্তিসংগত। সুতরাং একজন মানুষকে একপাশে বিচার করাটা কি ঠিক? আমাদের সমাজেও অনেক বেশ্যা বসবাস করছে কই আমরাতো তাদের সমাজচুত করিনি কারণ তারা মুখ খোলেনা তাই? আমার চোখে দেখা এক সাংবাদিক আছে যে মুখে এত মিষ্টি কথা বলে আর বেশ নাম ও আছে। সে মেয়েদের চাকরি দেবার নাম করে তাদেরকে ফাদে ফেলে ব্যবহার করে। আর বউ এর কাছে ওই মেয়েদের সর্ম্পকে বাজে কথা বলে এবং তার বন্ধুদের কে ও লেলিয়ে দেয় আমি একবার তার গোপন তথ্য ফাস করতে চেয়েছিলাম একটা আর্টিকেল তৈরী করে কয়েকটা পত্রিকার সাথে কথা বলেছিলাম (তখন আমি আর্টিকেল লিখতাম ) তারা তো নিউজ ছাপেনি বরং আমার বাসায় এসে আমার বাবা মা কে হুমকি দিয়ে গেছে। তাহলে কি হলো? আপনারাই বলুন?????????
২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৫০
েবনিটগ বলেছেন: বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার - এই বাগধারার ইংরেজি সমার্থক কোন idiom আছে কি?
:!> :!> :#> :#>
:> :> :-< :-<
:-& :-&
২৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৩
আগ্রাসন বলেছেন: সমালোচনা তাঁরই হবে যিনি বরেণ্য ও ঈর্ষনিয় আর হুমায়ুন আহমেদ দুটোই
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শালি মাগার আব্বার লেখে
তাও হিমুকে কটাক্ষ
ফুট হই যাইব বক্ষ
টেকা অবৈধকামাই লক্ষ লক্ষ