নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মানুষ। গল্প , কবিতা লিখি।\nশখ- বই পড়া, গান শোনা, রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা, ভ্রমণ, ছবি তোলা(ডিজিটাল ক্যামেরায়)।\nট্র্যান্সক্রিপশনের কাজ করি। পত্রিকায় ফিচার লিখি।

শুভ্রা হক

আমি একজন সাধারণ মানুষ। লেখালেখি করি, পড়তেও পছন্দ করি।

শুভ্রা হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঠো পথের কাহিনী- পর্ব -৩

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫২

আধা ঘণ্টার পথ কিন্তু কান্তা দেড় ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বের হয়েছে। আগে গেলে ক্ষতি নেই কিন্তু দেরি হয়ে গেলে বড় লজ্জার ব্যাপার হবে, আজ ট্রেইনিং এর প্রথম দিন -কান্তা ভাবে।

কিন্তু হায়! বাস দেখি আধা ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে!

নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আকাশের ফোন পেল,”আপু, আপনি যান নি ?আমার বন্ধু মানে আশরাফ তো আমাকে ফোন করে বলল আপনি যান নাই”।

-”হ্যাঁ, বের হয়েছি, কিন্তু রাস্তায় এতো জ্যাম, বাস তো নড়ছেই না।আরও আধা ঘণ্টা লাগতে পারে হয়তো। “কান্তা বললো আকাশকে।
অবশেষে যখন সেই অফিসে পৌঁছতে পারলো ততক্ষণে সাড়ে নয়টা বেজে গেছে। ঢুকবে কি ঢুকবে না ভাবছিলো কান্তা। আজ তাকে আসতে বলে ফোন করেছিলো যে, সেই আনিসুল হক এর ফোন নাম্বারটা সেভ করে রেখেছে কান্তা। তাকেই একটা এসএমএস পাঠালো, I am late already, should I come for attend?” regards kanta Islam
প্রায় সাথে সাথেই উত্তর এলো “Yes, you can come”।

কান্তা ট্রেনিং রুমে ঢুকে দেখলো আরও নয় জন বসে আছে , তাঁর মধ্যে ৩ জন নারী, বাকিরা সব পুরুষ।
“কান্তা, আমরা এতক্ষণ নিজেদের মধ্যে পরিচিত হয়েছি সবাই, সবার সম্পর্কে জেনেছি। আপনার সম্পর্কে বলুন। “ একজন বললেন। উনি সম্ভবত ট্রেইনিং দিবেন । তাকে ইন্টারভিউ বোর্ডে দেখেছিল কান্তা।
“ আমি খুবই লজ্জিত যে আমার আজ আসতে দেরি হলো । আমি যদিও অনেক সময় নিয়ে বের হয়েছিলাম, জানি না আজ এ রকম ট্রাফিক জ্যাম কেন হলো! আশা করছি আগামীকাল থেকে সময় মতো আসতে পারবো। কারণ, আমি আরও আগেই বাসা থেকে বের হবো। “ বলে কান্তা একটু থামলো।

“ আমি কান্তা ইসলাম, রাজশাহিতে জন্ম । ইংরেজি সাহিত্তে অনার্স ও মাস্টার্স করেছি, বর্তমানে ঢাকায় থাকি। “ বললো কান্তা।
“ওনার নাম কি”? কান্তা ফিসফিস করে পাশের জহির কে জিজ্ঞাস করে।

“ওনার নাম জাফর আহমেদ” জহির উত্তর দিলো

জাফর আহমেদ ততোক্ষণে বলে চলেছেন কোথায় কাজ করতে হবে, কি কি কাজ করতে হবে এইসব।
এসব শুনতে শুনতে দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেলো। জাফর কথা থামালেন।বললেন , “আপনাদের দুপুরের লাঞ্চের ব্যাবস্থা করা হয়েছে আমাদের অফিস ক্যান্টিনেই । আপনাদের কুপন দিয়ে দিচ্ছি, এটা দিয়ে সকাল ও বিকালের চা-নাস্তা, এবং দুপুরের লাঞ্চ করবেন আপনারা।
তারপর সবার হাতে একতাড়া কুপন ধরিয়ে দিলেন।
আপনাদের ২টার মধ্যে এখানে ফিরতে হবে বলে তিনি চলে গেলেন।

ক্যান্টিনটা কোথায়? কান্তা জিজ্ঞাস করে একজনকে।
“চলেন আপা, আমরা সেদিকেই যাচ্ছি “ বলল একজন।
কান্তার মনে পড়লো না এর নাম কি। অনেক মানুষের সাথে একসাথে পরিচয় হলে কান্তার এই সমস্যাটা হয়। সবার নাম মনে করতে পারে না।
সবাই মিলে ক্যান্টিনে গেলো।
নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো কান্তার।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সাহিত্য, ব্যবস্থা হবে।
পরের পর্বে যাচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.