![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানুষ। লেখালেখি করি, পড়তেও পছন্দ করি।
হাতঘড়িটা হটাৎ নষ্ট হয়ে গেলো। শাকিল ঘড়িটা নিয়ে গিয়েছিলো নিউমার্কেটের ওর পরিচিত ঘড়ি সারাই করার দোকানে। যেখান থেকে ও গত দশ বছর ক্রমাগত ঘড়িটার ব্যাটারি পরিবর্তন করেছে।
ঘড়ি মেরামতকারি বাবুল ভাই ঘড়িটা দেখে, ভালো করে পরীক্ষা করে বললেন, “না ভাই, এই জিনিস আর চল্ব না। আয়ু শেষ।“
-আর একটু দেখেন না ভাই। শাকিল তবুও অনুরোধ করে।
-না, ভাই। হবে না। বাবুল ভাই আবারো জানায়।
কি আর করা ! অনেক সৃতি মাখা ঘড়িতে নিয়ে ব্যাগে ঢোকায় শাকিল। তারপর উদ্দেশ্যহীন ভাবে হাঁটতে থাকে।
এই ঘড়িটা গত দশ বছর ধরে ছিলো ওর সাথে। ওর অনার্স পাশের পর মা টাকা দিয়ে বলেছিলেন,” একটা নতুন ঘড়ি কিনবি বাবু।“
মায়ের দেয়া সেই টাকা দিয়ে ঘড়িটা কিনেছিলো শাকিল। চার বছর আগে মা মারা যাওয়ার পর ওর মনে হতো হাতঘড়িটা যেন মা-এর হাত হয়ে ওকে ধরে রাখে সব সময়। তাই এই মোবাইল ফোনের যুগে প্রায় সবাই যখন ঘড়ি পরা বাদ দিয়েছেশাকিল তখনো এই হাত ঘড়িটা দেখেই সময় দেখে নেয়। মাঝে মাঝে ঘড়িটার সাথে কথাও বলে। এভাবেই যান্ত্রিক এই ঘড়িটার সাথে ওর বন্ধুত্ত গড়ে ওঠে। এক তরফা একা একা কথা বলে যায় আর ঘড়িটা ওর নীরব শ্রোতা । কথার মাঝে কেউ বাঁধা দেওয়ার নেই, তর্ক করার কেউ নেই। এটাই সুবিধা যন্ত্রের সাথে কথা বলার। যন্ত্র কখনো তর্ক করে না। যা বলার , বলে যাও আপন মনে ।
আবার শাকিল এও ভাবে কে বলেছে যন্ত্রের মন নেই? এই যে অনেক গুলো দিন এক সাথে থাকা এটা কি একটা সঙ্গ না? অনেক অনুচ্চারিত কথা কি বলে যায় না যন্ত্র? আমার কত আনন্দ-বেদনার সাক্ষী হয়ে কি থাকেনি এই ঘড়িটা? ও যখন আনন্দিত হয়, ঘড়িটাও কি আনন্দিত হত না? ও যখন মন খারাপ করে বসে থাকতো, ঘড়িটা কি ওর হাত ধরে চুপচাপ ওর সঙ্গী হতো না?
এই ঘড়িটা ছিল ওর যান্ত্রিক সঙ্গী। নিরবে দুজন দুজনকে সঙ্গ দিতো।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
শুভ্রা হক বলেছেন: শুনে অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
কল্লোল পথিক বলেছেন: বেশ লিখেছেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৬
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪
শুভ্রা হক বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগছে। অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
ফয়সাল রকি বলেছেন: যন্ত্রের যে মন আছে অনুভব করার জন্য খুব আবেগী একটা মানুষ দরকার। ভাল লিখেছেন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৭
শুভ্রা হক বলেছেন: আমাকে বুঝার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুন্দর লিখসেন শুভ্রা।
গুড লাক
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৯
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
নীলসাধু বলেছেন: ভাল লাগল অণূ গল্প।
শুভেচ্ছা রইল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১০
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ। অনেক অনুপ্রাণিত হলাম ।
৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১২
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: সুন্দর অনুগল্প।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১২
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৫
অপূর্ব আফজাল বলেছেন: ভাললাগল আপনার অনু গল্প
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩২
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: অণুগল্প ভাল হয়েছে। শুভকামনা জানবেন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নিত্য ব্যবহার্য কিছু কিছু জিনিসের প্রতি আমাদের খুব টান থাকে। হোক সেটা ব্যবহার অনুপযোগী। ফেলে দিতেও খারাপ লাগে।
কিছু বানান বিভ্রাট আছে, শুভ্রা।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।কোন বানানগুলি ? বলে দিলে ঠিক করে নিতাম, অপর্ণা মম্ময় ।
১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: হটাৎ < হঠাৎ
চল্ব < চলব/ চলবো
সৃতি < স্মৃতি
বন্ধুত্ত < বন্ধুত্ব
নিরবে < নীরবে ( বাংলা একাডেমির নতুন অভিধানে দীর্ঘ ই আড় হ্রস্ব ই নিয়ে নিয়ম কানুনের পরিবর্তন এসেছে। আমি টাই এই বানান নিয়ে শিওর না)
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৮
শুভ্রা হক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ঠিক করে নিবো।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: টাচি লেখা।
+++