![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারণ মানুষ। লেখালেখি করি, পড়তেও পছন্দ করি।
বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। একটু আগেই পাঁচটা বেজেছে। কিন্তু সব বাসই ভর্তি হয়ে আসছে, গেটেও মানুষ ঝুলছে।
খুব ক্লান্ত লাগছে কান্তার।
“এই কান্তা” বলে কে যেন ডাকলো।
কান্তা মাথা ঘুরিয়ে তাকালো। রাস্তার এক পাশে স্টাফ বাস থেকে পরিচিত একটা মুখ দেখা দিলো । সোনিয়া, কান্তার ক্লাসমেট ছিলো বিশ্ববিদ্যালয়ে । পাশ করার পর একটু যোগাযোগ ছিলো কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর কান্তার সাথে আর তেমন যোগাযোগ রাখেনি সোনিয়া। অনেক দিন পর দেখে ভালো লাগলো কান্তার।
“আরে, তুই?” কান্তা নকল একটা উচ্ছ্বাস দেখায়। কারণ ও ভালো করেই জানতো সোনিয়া এখানে চাকরি করে।
এটাই তো আমার অফিস। সোনিয়া বলে
ওহ, তাই তো! কান্তা বলে
বাসে চলে আয়, একসাথে যাই। সোনিয়া বলে।
কোন রুটের বাস? কান্তা জিজ্ঞাস করে।
তোর বাসা আগের জায়গাতে না? সোনিয়া পাল্টা প্রশ্ন করে।
হ্যাঁ । কান্তা বলে।
তাহলে ওঠ , ঐ পাশ দিয়েই যাবে। সোনিয়া ওকে বলে।
কিন্তু এটা স্টাফ বাস না? আমি উঠবো , কেউ কিছু বলবে না তো ? কান্তার প্রশ্ন।
আরে না, ওতো খেয়াল কে করবে। তোর আইডি কার্ড আছে না। সোনিয়া বলে
তা আছে একটা। কান্তা জানালো
এমন সময় সোনিয়ার একটা ফোন এলো। ও বলছে, “ হ্যাঁ, বাসে উঠেছি । আচ্ছা” বলে ফোন রেখে দিলো।
কে, বাসা থেকে নাকি? কান্তা জিজ্ঞাস করে
না, কলিগ। ছোট্ট করে উত্তর দিলো সোনিয়া।
কান্তার মনে হলো যেন বা একটু বিরক্ত হলো সোনিয়া। একটু অনাবশ্যক কৌতুহল দেখানো হয়ে গেলো কি? ভাবে কান্তা ।
এরপর কোন প্রজেক্ট, কতো দিনের এই সব কথা বলতে বলতে বাসটা কান্তার বাসার কাছেই এসে যাওয়াতে কান্তা নেমে গেলো।
৫ মিনিট হাঁটলেই বাসা।
কান্তা আবার হাঁটতে খুব পছন্দ করে। তবে ইদানিং ঢাকায় এতো মানুষ। গায়ে গা লাগানো মানুষে কিলবিল করছে যেন!
ফুটপাথগুলোতেও হয় চা-সিগারেটের দোকান বা গাড়ির ওয়ার্কশপ ! আরাম করে হাঁটাও যায় না!
আর গাছ তো একেবারেই নেই। কেমন ধূ ধূ মরুভূমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে শহরটা!
কান্তার ভালো লাগে না। ক্লান্ত পথে বাসার দিকে হাঁটে ।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৭
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন:
আমাদের মাঝে এমন কান্তা অনেক।
ভালো লাগল।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:১৮
বিজন রয় বলেছেন: অনেক ভাল লাগল।
+++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৬
শুভ্রা হক বলেছেন: ধন্যবাদ।
কিন্তু এই "যোগ চিনহ " এর মানে কি বিজন ভাই?
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: +++++ এর মানে আপনাকে প্লাস দিলো।
এতো ছোট কেন একেকটা পর্ব? ৪ আর ৫ মিলিয়েই তো একটা করা যেতো!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
শুভ্রা হক বলেছেন: আমি যে ভয়াবহ আলসে মানুষ, এটা তার প্রমাণ! হা হা হা
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১৬
কল্লোল পথিক বলেছেন: চমৎকার গল্প ভাল লেগেছে।