নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মানুষ। গল্প , কবিতা লিখি।\nশখ- বই পড়া, গান শোনা, রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা, ভ্রমণ, ছবি তোলা(ডিজিটাল ক্যামেরায়)।\nট্র্যান্সক্রিপশনের কাজ করি। পত্রিকায় ফিচার লিখি।

শুভ্রা হক

আমি একজন সাধারণ মানুষ। লেখালেখি করি, পড়তেও পছন্দ করি।

শুভ্রা হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঠো পথের কাহিনী- পর্ব -৮

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সকালে ঘুম ভাঙলো কান্তার ঘড়ির অ্যালার্ম এর শব্দে।

ভাগ্যিস অ্যালার্ম দিয়ে রেখেছিলো আর সেটা সময় মতো শব্দ করে ওর ঘুম ভাঙ্গালো!
ঘড়িতে সাড়ে ছয়টা বাজে কিন্তু ঘুটঘুটে অন্ধকার। এমন তো হওয়ার কথা না! ভাবে কান্তা।
বারান্দায় গিয়ে দেখে আকাশের মুখ কালো।

দ্রুত তৈরি হয় কান্তা। একবার বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তায় পানি জমতে শুরু করবে। তখন কোন রিকশাও পাবে না। দরকারের সময় যা হয় আর কি! আর পাওয়া গেলেও দিগুণ দাম চেয়ে বসবে । তার চেয়ে আগে বের হওয়াই ভালো। অনেক ঝামেলা এড়ানো যাবে তাতে।
যথা সময়েই অফিসে পৌঁছে যায় কান্তা। ৯ টা বাজতে আরও পাঁচ মিনিট বাকি কিন্তু অনেকেই আসেনি এখনো।
এর মধ্যে অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে । যেন আজ শহরটাকে ভাসিয়ে নেবে!

সাড়ে নয়টার মধ্যে তাদের এগারো জনের দশ জন পৌঁছে গেলেও তাহেরা আপু এখনো এসে পৌঁছাননি।

তাই ট্রেনার ফিরোজ ভাই বার বার এসে দেখে গেলেন। সবাই এলে একসাথে ক্লাস শুরু হবে। আজ আবার পরীক্ষা হবে নাকি। এতো দিন কি কি শিখলাম তার পরীক্ষা। সবাই তাই খাতা বের করে পড়া –শোনা শুরু করে দিলো।

দশটা বেজে ১০ মিনিট তখন তাহেরা আপু এলেন।
“কি আপু, ভালো আছেন? “ ফিরোজ ভাই জিজ্ঞাস করলেন তাকে।
“ সরি ভাইয়া, আমার রিকশা গর্তে পড়ে গেছিলো । তাই আবার বাসায় গিয়েছিলাম। কাপড় চেঞ্জ করে এলাম তো তাই এতো দেরি হয়ে গেলো আজ” তাহেরা আপু বললেন।
“ কিন্তু আপনার ফোন কেন বন্ধ ছিলো আপু, আমি তো অনেক বার আপনার ফোনে কল দিলাম।“ ফিরোজ ভাই বললেন।
“ ওহ, পানি ঢুকে ফোন নষ্ট হয়ে গেছে ভাইয়া” তাহেরা আপু বললেন।
এবার ফিরোজ ভাই সবার দিকে তাকিয়ে বললেন, “ যা হোক, সবাই তো এখন উপস্থিত। আজকের ক্লাস শুরু করা যাক তাহলে। আজ আপনারা এতো দিন কি শিখলেন তার একটা মূল্যায়ন পরীক্ষা হবে। আশা করি সবাই পাশ করবেন। “
“পাশ –ফেল আছে নাকি “ বনানী আপু জিজ্ঞাস করলেন

“আরে ! ভয় পাবেন না! আপনারা সবাই পারবেন । তেমন কঠিন কিছু না “ফিরোজ ভাই অভয় দিলেন।
“ এর পর আমরা আশা করি আগামী পরশু ফিল্ড টেস্টে যাবো ” ফিরোজ ভাই আবার বললেন।
এর পর তিনি সবাইকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলেন। এর মধ্যে ছিলো তাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নাম কি, গবেষণার মূল উদ্দেশ্য কি? বাংলাদেশের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা কারা দেয় এই সব বিষয়।

দুপুরে লাঞ্চের আগে চললো এই পরীক্ষা। অনেকে ভুল করলো।
লাঞ্চ শেষ করে সবাইকে দুপুর ঠিক দুইটায় চলে আসতে বললেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৭

মহামানব রেহান বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে লেখার জন্য । পড়ে ভালো লাগলো । আবারও অপেক্ষায় রইলাম

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৯

শুভ্রা হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য ।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশি ছোট করে লিখছেন কিন্তু!

১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

শুভ্রা হক বলেছেন: আলসেমি !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.