নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সাধারণ মানুষ। গল্প , কবিতা লিখি।\nশখ- বই পড়া, গান শোনা, রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করা, ভ্রমণ, ছবি তোলা(ডিজিটাল ক্যামেরায়)।\nট্র্যান্সক্রিপশনের কাজ করি। পত্রিকায় ফিচার লিখি।

শুভ্রা হক

আমি একজন সাধারণ মানুষ। লেখালেখি করি, পড়তেও পছন্দ করি।

শুভ্রা হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেঠো পথের কাহিনী- পর্ব -৯

১১ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:২৫

আজ ফিল্ড টেস্ট । মানে আমাদের সবাইকে পরীক্ষামূলক ভাবে আজ ফিল্ডের কাজ শুরু করতে হবে।

সবাই কে সকাল আটটার মধ্যে অফিস পৌঁছে যেতে বলা হয়েছে। তাড়াতাড়ি বের হলে জ্যাম এড়ানো যাবে। যাবো গাজীপুরের একটা উপজেলায়।

তো সবাই সকাল আটটার মধ্যে অফিস পৌঁছে গেলো। সবাইকে ঠিকানা ধরিয়ে দেওয়া হলো। আর যার সাক্ষাৎকার নেয়া হবে তার স্বাস্থ্য কেন্দ্র এর নাম আর কর্মকর্তার নাম, টেলিফোন নাম্বার এই সব আর কি।

যাই হোক , সাড়ে আটটার মধ্যে রওনা দেয়া গেলো।

গাড়িতে উঠে ছেলেরা সবাই জোরে গান বাজাতে লাগলো। কান্তার খুব বিরক্ত লাগছিলো। মনে হচ্ছে যেন এরা পিকনিকে যাচ্ছে!
যা হোক, সকাল সাড়ে এগারোটার মধ্যে পৌঁছে গেলাম গাজীপুর সদর উপজেলায়।একটা বাজারে গাড়ি থামালো।
এখান থেকে সবাইকে নামিয়ে দেয়া।

গাজিপুরের একটা গ্রামে যেতে হবে । নাম মেঘডুবি । কি অপূর্ব না নামটা! কান্তার মনে একটা ভাল লাগা কাজ করে। গ্রামে সব রিকশাই কান্তা দেখল বিদ্যুৎ এ চলছে। একটা রিকশা ভাড়া করলো । যেহেতু চেনে না, তাই রিকশাওয়ালা যে ভাড়া বলল তাতেই রাজি হতে হলো ওকে।

একটা প্রাথমিক স্কুলের নাম দেয়া আছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র –এর পাশেই। সেটাই আগে খুঁজে বের করতে হবে কান্তাকে।
সেটা পেয়েও গেলো কান্তা। রিকশা ভাড়া দিয়ে এবার নেমে পড়লো মেঠো পথে। দারুণ লাগছে ! কি সবুজ সব!

একে-তাকে জিজ্ঞাস করতে করতেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপস্থিত হলো কান্তা।
একজন মহিলা বসে আছেন আর তাকে ঘিরে ৮/৯ জন মহিলা আর কয়েকটি বাচ্চা।

“এখানে সি এইচ সি পি (CHCP-Community Health Care Provider) আমিনা খাতুন আছেন? “-কান্তা জিজ্ঞাস করলো।
“ হ্যাঁ , আমি “ –বলে ভিড়ের মধ্য থেকে একজন উঠে এলেন।

কান্তা তাকে নিজের নাম, পরিচয় জানালো। কেন এসেছে –এইসব বিস্তারিত বলার পর শুরু হলো সাক্ষাৎকার ।
এর মধ্যে রোগীও দেখে নিচ্ছেন আমিনা খাতুন।

প্রায় পঞ্চাশ মিনিট ধরে ৯ পাতার প্রশ্নাবলী থেকে প্রশ্ন করে গেলো কান্তা। এর মাঝে পানি খেলো কান্তা। বাথরুম পরিষ্কার কিনা দেখার জন্য বাথরুমেও গেলো। বারান্দায় দরকারি নোটিশ বোর্ড লাগানো আছে কিনা চেক করলো। কাগজে সব লিখে নিলো । তারপর চলে আসার আগে বিস্কুট –পানিও খেলো। না খেলে নাকি তারা রাগ করবেন! অগত্যা কি আর করা।

কাজ শেষ হবার পর তারাই কান্তাকে রিকশা ডেকে দিলো । কান্তা নির্দিষ্ট বাজারে এসে অপেক্ষা করতে লাগলো ।
রিকশায় ফেরার পথটা আগের চেয়ে সংক্ষিপ্ত মনে হলো । কিংবা কে জানে , গন্তব্য যতক্ষণ অনিশ্চিত ততক্ষণ মনে হয় যাত্রাপথটা দীর্ঘই লাগে। চেনা পথ তাই সংক্ষিপ্ত লাগে।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: নামপুরুষে লেখা হচ্ছে গল্প। কিন্তু উত্তম পুরুষও ঢুকে গেছে। যেমন -- যা হোক, সকাল সাড়ে এগারোটার মধ্যে পৌঁছে গেলাম গাজীপুর সদর উপজেলায়। --- ঠিক করতে হবে।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৫

শুভ্রা হক বলেছেন: তাই নাকি!!??

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০২

বিজন রয় বলেছেন: কেমন আছেন?
নতুন পোস্ট দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.