নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ।লিখালিখি ভাললাগে।লিখালিখির মাঝে আমি আমাকে খুঁজে পাই তাই লিখি।

সিয়াম মেহরাফ

আমি নিজেকে খুব ভালবাসি।

সিয়াম মেহরাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উদ্ভট মানুষিকতার জন্য কখনো আবার নিজেদের ধর্মকে না হারাতে হয়! কি আজব এই দুনিয়া!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনা।বড়ই আশ্চর্য হলাম।তাই এটা নিয়েই লিখতে বসে গেলাম।

সেদিন এক্সামের দিন ছিল।আমার সামনে একজন মেয়ে ছিল সেদিন।মেয়েটার রোল আমার আগেই তাই তার সিট আমার আগেই পড়েছিল।প্রথম এক্সাম ছিল বাংলা।মেয়েটা সেদিন কলেজে কলেজ ড্রেসের উপরে বোরকা আর হিজাব পড়ে এসেছিল।স্যার ক্লাসে ঢুকেই মেয়েটাকে বললেন দাঁড়াতে।মেয়েটা চুপচাপ দাড়িঁয়ে গেল কোন কথা না বলে।স্যার আচমকা প্রশ্ন করলেন – “তোমার কলেজ ড্রেস কই? বোরকা পরে কলেজে এসেছো তার পারমিশন নিয়েছো প্রিন্সিপালের কাছ থেকে?”
মেয়েটা কোন উত্তর দিতে পারেনা।চুপচাপ দাড়িঁয়ে থাকে।আসে পাশের ছাত্র-ছাত্রীরা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে কর্কট কন্ঠে হাসতে থাকে।স্যার বলতেছেঃ- “পড়াশুনা করতে আসছে তাও আবার ধং করে ড্রেস পরে এসেছে।যত্তসব আজাইরা বুদ্ধি”।

আসলে স্যার হিন্দু ধর্মের ছিলেন কিনা তাই!স্যার কোন ধর্মের ছিলেন এটা ব্যাপার না।ব্যাপারটা হচ্ছে মেয়েটা তার ধর্ম মেনে ড্রেস পরে এসেছে।এটাতে ধং এর কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।ইসলাম ধর্মের রীতি-নিতী অনুসারে মেয়েদের পর্দা করা ফরজ।তাই সে নিজের ধর্ম মেনে বোরকা-হিজাব পরে এসেছে।এতে তাকে ক্লাসের সবার সামনে এভাবে অপমান করার কোন মানে আছে বলে আমি মনে করি না!আসলে আমাদের সমাজে ঐ স্যারের মত মানুষিকতাসম্পন্ন এমন অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেদের ধর্ম ছাড়া কিছুই বুঝে না।নিজেদের ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কিছুই তারা মেনে নিতে পারেনা।এক প্রকার তাদের সারা শরীর জ্বলে এসব অন্য ধর্মের কাউকে দেখলে।তাই সরাসরি কিছু না বলে সবার সামনে তাদের ছোট করতে ভুল করে না।তারা নিজেদেরকে খুব বড় মনে করে নাকি নিজেদের ধর্মকে খুব বড় মনে করে এটা বোঝা দায়।

আসলে আমাদের মন মানুষিকতাকে পরিবর্তন করতে হবে।নয়ত অন্য কিছুর বেড়াজালে আমাদের নিজেদেরকেই হারিয়ে ফেলতে হবে।যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এটাতে বাধা দেয়ার অধিকার কারো নাই।আর যদি কেউ সত্যিই এমন করতে পারে তাহলে সে যে কতটা নিম্ন পর্যায়ের মানুষ সেটা বুঝতে আর কিছুই বাকি থাকবে না।কোন কলেজে পড়ার জন্য যদি নিজেদের ধর্মকে অবহেলা করতে হয় তবে হয়ত কলেজের পাসের সার্টিফিকেটটা পাওয়া যাবে কিন্তু পরকালে পাস করবার মত কোন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে কি?এটাই প্রশ্ন!!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০২

মুদ্‌দাকির বলেছেন: আসলে এই ধরনের লোক একটু বেশী ঈ হয়ে গেছে এই দেশে, পরিমলরাও বেপরোয়া

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৬

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: ইসলাম ধর্মে স্পষ্ট ভাবে বলা আছে কেউ যদি অন্য ধর্মের মানুষকে বিন্দুমাত্র হেরেজ করে তবে মহানবী সাঃ তার বিরুদ্ধে নিজে দাড়াবেন। অন্য ধর্মের কথা জানিনা। তবে প্রায় সব ধর্মই শান্তির কথা বলে। অশান্তি সৃষ্টি করে মূলত মানুষ নিজেরােই।

৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাপড় আবিস্কার করেছে মানুষ, মানুষ কাপড় পরে তার সংস্কৃতি অনুসারে

৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৬

নতুন বলেছেন: “তোমার কলেজ ড্রেস কই? বোরকা পরে কলেজে এসেছো তার পারমিশন নিয়েছো প্রিন্সিপালের কাছ থেকে?”
মেয়েটা কোন উত্তর দিতে পারেনা।চুপচাপ দাড়িঁয়ে থাকে।আসে পাশের ছাত্র-ছাত্রীরা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে কর্কট কন্ঠে হাসতে থাকে।স্যার বলতেছেঃ- “পড়াশুনা করতে আসছে তাও আবার ধং করে ড্রেস পরে এসেছে।যত্তসব আজাইরা বুদ্ধি”।


যদি কলেজে বোরকা পড়া নিষেধ না থাকে তবে মেয়ে টিকে নিষেধ করতে পারেনা ঐ শিক্ষক।

আর যদিও ঐ মেয়েটি নিয়ম ভেঙ্গে থাকে তবুও তাকে ক্লাসে দাড় করিয়ে কটাক্ষ করা শিক্ষকের কাজ না।

৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: কিছু শিক্ষক পরিমলদের মতো হয়!

৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: সব শিক্ষক এক সময় কিশোর/তরুণ ছিল। আর বোরকা দেখলে অনেকের মাথা খারাপ হয় ফিগার দেখা যায় না বলে!

৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৯

ইদানীং জাহিদ বলেছেন: কি বলবেন ! দেশটা বাজে লোকে ভরে গেছে , ওনারা টিচার হবার যোগ্যতা রাখেন না ।

৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বোর্খা বা হেজাব ইসলামিক বা ধর্মিয় ড্রেস নয়।
পবিত্র কোরান বা হাদিসে কোথাও বোর্খার কথা লেখা নেই।
পবিত্র কোরানে মেয়েদের পর্দার কথা বলা হয়েছে, তা সুধু প্রচলিত পোশাকের মাধ্যমেই মুখমন্ডল খোলা রেখে ঢেকেঢুকে সংযত হয়ে চলতে বলা হয়েছে।
ইসলামের ইতিহাসে কোথাও ইসলামি ড্রেসের সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন দেওয়া নাই।
তৎকালিন আরব অঞ্চলের লোকজন ঢিলাঢালা বেদুইন ট্রাউজার, জামা, পাগড়ি টুপি, মেয়েরা বড় চাদর জাতিয় পরিধেও বস্ত্র (জিলবাব) পরিধান করতো। এসব পোষাক আরব অঞ্চলের সবধর্মের বাসিন্দারাি ইসলাম আবির্ভাবের আগে থেকেই পরিধান করতো, সেসব কোনটিও বোর্খা জাতীয় না।
ইসলামের অভুদ্যয়ের পর ও মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই। কোথাও কোন বাড়াবাড়ি রকমের তেমন কিছু পাইনি। ঐ আরব অঞ্চলের কাফের ও মুসলিমদের পরিধেয় বস্ত্র মোটামোটি একই ধরনের ছিল।
কোরান ও হাদিসে ছেলে বা মেয়েদের পোষাকের ব্যাপারে অনেকটা উদারতাই দেখানো হয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
সুরা আহাজাবের একটি আয়াতে মেয়েদের মুখ খোলা রাখার কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে। হেজাব বা বোর্খার কথা কোথাও বলা হয় নি।
এদেশি বাংগালি মেয়েদের প্রচলিত শারী ও ওড়নাসহ ড্রেসে কোরানের আদেশ অনুযায়ী ইসলামি অনুসশাসন পুর্নভাবে মেনে চলা সম্ভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.