![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে খুব ভালবাসি।
মানুষটা নিয়ে সবারই কম বেশি কৌতুহল আছে।আমিও তার ব্যতিক্রম নই।তাই ইন্টারনেট ঘেটে,বেশ কিছু বই এবং পত্রিকা থেকে সাহায্য নিয়ে লিখে ফেললাম জ্যাক দ্যা রিপার সম্পর্কে।
১৮৮৮ সাল থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত পূর্ব-লন্ডনের হোয়াইট চ্যাপেলের আশপাশ জুড়ে সর্বমোট এগারোটি খুনের ঘটনা ঘটিয়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার জ্যাক দ্যা রিপার।জ্যাক দ্যা রিপার মুলত বস্তিবাসী পতিতাদের খুন করতেন।১১টির খুনের খবর শোনা গেলেও জানা যায়নি জ্যাক দ্যা রিপার মোট কতটি খুন করেছিলেন।ম্যালভিল ম্যাকনাগটেন নামের তৎকালীন চিফ কনস্টেবল জ্যাক দ্যা রিপার হিসেবে তিনজন ব্যক্তিকে সন্দেহ করেন। এর মধ্যে প্রথম হলেন এম জে ড্রুয়িট নামে এক ব্যারিস্টার যিনি পরবর্তীতে শিক্ষকতায় নিয়োজিত হয়েছিলেন।দ্বিতীয়জন এর নাম কসমিনিস্কি নামের এক পোলিশ ইহুদি এবং তৃতীয়জন মাইকেল ওস্ট্রং নামের একজন উন্মাদ লোক। তবে এর সপক্ষে কোনো জোরালো প্রমাণ ছিল না। ডিটেকটিভ ফেডারিক এভারলিন জ্যাক দ্য রিপার হিসেবে সন্দেহ করেন সেভেরাইন ক্লোসোস্কি এলিস জিওর্গি চেপম্যানকে।অবশ্য এটিও কোনভাবে প্রমান করা যায়নি।
যখন জ্যাক দ্যা রিপার হোয়াইটচ্যাপেলে নৃশংস কিছু খুন করেছিলেন তখন সাবেক স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডও খুনিকে ধরতে পারেননি।শুধু নাম দিয়েছিলেন জ্যাক দ্যা রিপার।প্রথম কোপে গলার নলি ফাঁক, তারপর নিহতদের পেট চিড়ে কারো জরায়ু, কারো কিডনি বের করে নেওয়া নৃশংসতায় ‘অদ্বিতীয়’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে।তার এই খুনের ধরন থেকে সন্দেহ করা হয় তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন, সার্জারি সমন্ধে ভালো কাজ না জানা লোকের পক্ষে এই ভাবে পেট কেটে কিডনি নেয়া সম্ভব ছিলোনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রমান হয়েছে, জ্যাক দ্য রিপার আসলে এক পোলিশ ল্যুনেটিক অ্যারন কসমিনস্কি।ব্রিটনের দ্য মেইল পত্রিকা এমনটিই দাবি করেছে।প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কিভাবে শতাব্দীর প্রাচীন রিপারকে চেনা গেল? এর পিছনের একটা মজার ঘটনা হলোঃ-২০০৭ সালে এক নিলামে রাসেল এডওয়ার্ড নামে এক ব্যবসায়ী একটি শাল কিনেছিলেন। নিলামের সময় তিনি শুধু জানতেন, শালটি রিপার-রহস্যের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু পরে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানতে পারেন, শালটি ক্যাথরিন এডওয়ে হত্যার সময় খুঁজে পেয়েছিল পুলিশ। রাসেল এটি নিয়ে বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। তখনই সেখানে দুই ব্যক্তির শতাব্দী প্রাচীন ডিএনএর সন্ধান মেলে। সন্দেহের নিরসন করতে রাসেলের অনুরোধে বিশেষ প্রক্রিয়ায় শাল থেকে ১২৬ বছরের পুরনো ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষজ্ঞ জারি লৌহেলেনেন। আর তারপর ক্যাথরিনের উত্তরসূরির সঙ্গে ডিএনএর নমুনা দুটি মেলান। একটার সঙ্গে মিলও পাওয়া যায়। অর্থাৎ একটি ডিএনএ ক্যাথরিনের।কিন্তু দ্বিতীয়টি কার? বিভিন্ন প্রমাণ দেখে রাসেলের সন্দেহ হয়েছিল অ্যারনই খুনি। তাই অ্যারনের এক উত্তরসূরির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন তিনি। আর তারপর শুরু হয় দ্বিতীয় ডিএনএর সঙ্গে মিল খোঁজার কাজ। এখানেও সাফল্য। অ্যারনের উত্তরসূরির সঙ্গে অবিশ্বাস্য মিল রয়েছে দ্বিতীয় ডিএনএর। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় পুরো চিত্রটা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০
সিয়াম মেহরাফ বলেছেন: উনার ব্যাপারটা আজীবনই ধোঁয়াশাই থেকে যাবে হয়ত!
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৫
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: ? !
অবস্থা এমন ! ? !
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: থাক না কিছু রহস্য! কী দরকার ছিল ডিএনএ টেস্টের
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৪
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পুরোটা সমাধান হয়ে যায় না।
ডিএনএ একমাত্র বাবা-মায়ের সাথে সন্তানেরটা মিলে। এছাড়া আর কারো সাথে না। ১২৬ বছর আগের রহস্যের ঐ মানুষটার মানে অ্যারনের ডিএনএ যদি কারো সাথে মিল পাওয়া যায় তাহলে সেটা একমাত্র অ্যারনের ছেলে বা মেয়ে এদের কারো সাথে মিলবে।
নাতিপুতি হইলেও তাদের সাথে মিলবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ধোঁয়াশাটা থেকেই গেলো।