![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে খুব ভালবাসি।
বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ তবে এর ফলে যে আমরা কত পিছিয়ে যাচ্ছি তা দেখছে না সরকার,দেখছে না অন্য কেউ।প্রথমত আমাদের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে আর দেশের ক্ষতি তো আছেই।
অন্যদিকে ১৮-ই নভেম্বর ফেসবুক বন্ধ করা হইয়েছিল।ঐ তারিখের পর থেকে জুনায়েদ আহমেদ পলক এমনকি বাংলাদেশের আওয়ামীলীগের ফেসবুক কতৃক ভেরিফাইড পেইজেও আপডেট দেয়া হচ্ছে প্রতিনিয়ত।জুনায়েদ আহমেদ পলক নিজেই ফেসবুক বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন,এবং বন্ধও করেছিলেন।এতদিন জানতাম কোন দেশে সংবিধান প্রনয়ন করা হলে সরকার,বিরোধীদলের সবাইসহ দেশের সবাইকেই সেটা মেনে চলতে হবে।কিন্তু যারা আইন তৈরী করছে,সংবিধান তৈরী করছে তারাই যদি সেটা না পালন করতে পারে তাহলে অন্য কারো থেকে সেটা আশা করাটাও একটা বোকামি।এরপরেও উভয় অবৈধভাবে ফেসবুক চালানোর জন্য ঢাকায় ১৯জনকে গ্রেফতার এবং ৯জনের জরিমানা করা হয়ছে।কিন্তু সরকার পক্ষের লোকদের কি জরিমানা করা হবেনা? নাকি তারা সংবিধানের বাইরের কেউ? তারানা হালিম কিছুদিন আগে মিডিয়ার সামনে বললেন যে ফেসবুকসহ কিছু যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করায় জনগন কিছু অসত্বিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং সে নিজেও নাকি হচ্ছে।তাহলে সেই আইন তাদের পক্ষেরই লোক কি করে ভঙ্গ করলেন? আমরা করলে জেল-জরিমানা আর তারা করলে চা-মিস্টি।বেশ ভালোই।
গত পরশু আমেরিকার ওয়াশিংটনে ফেসবুক আয়োজিত এক সেমিনারে ফেসবুকের জনক মার্ক জুকার বার্গ বাংলাদেশ ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়ার প্রতি নিন্দাও জানিয়েছেন । তিনি আরও বলেন অতিবিলম্বে যদি বাংলাদেশে সরকার ফেসবুক খুলে না দেয় তাহলে বাংলাদেশ তার ভিশন-২০২১, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়বে। ফেসবুক এর মত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ ডিজিটাল দেশ গঠনে বিশেষ ভুমিকা রাখতে পারে। সেমিনারে আমেরিকা ভারত বেশ কয়েকটি দেশের বক্তরা এই বিষয়ে বক্তব্য দেন জানান। বাংলাদেশ ফেসবুক বন্ধ হওয়াতে ফেসবুক কোম্পানির ও ক্ষতি হচ্ছে, কারন বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইট সহ অনেক কোম্পানিই ফেসবুক এ বিজ্ঞপন দিত কিন্তু এখন সেটি হচ্ছে না। উল্লেখ, গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুক, ভাইবারসহ বেশকয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে মন্ত্রিসভার সদস্যসহ সরকারের অনেক উচ্চপদস্থত কর্মকর্তারা বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। আশা করি খুব দ্রুতই সকলের জন্য সরকার ফেসবুক উন্মুক্ত করে দিবেন। ভিন্ন.কমে আমরা প্রতিদিন অনেক ম্যাসেজ পাই বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কখন আবার ফেসবুক চালু হবে। কখন আবার ওরা আগের মত অনলাইনে আয় করবে। কেউ কেউ বলেন শুধু আমার ক্ষতি হলে এটা মেনে নেয়া যেত। সারা বাংলাদেশে অনেকেই এখন আউট সোসিং করে । তাদের ভবিষ্যত এখন হুমকীর মুখে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম উৎস এখন ফেসবুক। সবাই এখন তাদের পণ্যের প্রচার চালায় ফেসবুকে। হাজার হাজার তরুন ফেসবুকের মাধ্যমে সাবলম্বী হয়েছে। এখন তারা প্রতিদিন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশকে পিছিয়ে যাবার হাত বাচাতে হবে। প্রয়োজনে ফেসবুকে ব্যবহার নীতিমালা করা হোক তাও এভাবে ফেসবুক আর বন্ধ না করে দ্রুত চালু করা হউক। ডিজিটাল বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়তে সবাইকে এগিয়ে আসতে। তাই সরকারের সম্পৃক্ত মন্ত্রাণালয়েরে কাছে আকুল আবেদন ফেসবুক সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিন। আমরা আশাকরি এই বিষয় গুলি বিবেচনা করে সরকারে মধ্যেকার প্রযুক্তি মনস্ক ব্যক্তিগন এগিয়ে আসবেন এবং এই পরিস্থিতির মধ্য হতে আমাদের উদ্ধার করবেন।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৭
মিলন হোসেন১৫৮ বলেছেন: যারা অাইন তৈরি করে তারা আইন ভাঙ্গে বেশি ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯
কল্লোল পথিক বলেছেন: সহমত