![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে খুব ভালবাসি।
মনে পড়ে সেই জিয়াদের কথা যে পাইপের ভিতর পড়ে মারা গিয়েছিল? আজকে আবারো সেইম রকমের একটা ঘটনা ঘটেছে ছেলেটির নাম নীরব।যাই হোক সেদিনকার জিয়াদের কিছু কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছি দেখে নিন।একটু মনযোগ দিয়ে নিচের অংশটা পরুন।
জিয়াদ পাইপের মধ্যে পড়েছিল দুপুর ৩টার দিকে।উদ্ধার বাহিনি কাজ শুরু করেছিল বিকেল ৫টার দিকে।সেই ৬০০ ফুট গভীরে দড়ি ফেলা হয়েছিল রাত ৮টায়।সাড়ে আটটায় ফায়ার সার্ভিসের বাহিনীরা বলেছিল যে জিয়াদ সারা দিচ্ছে।রশি ধরেও উঠার চেস্টা করছে।কিন্তু পারছে না।শিশুটির জন্য জুস ও পানি পাঠানো হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।শিশুটি জুস এবং পানি খেয়েছিল বলেও জানাল তারা।জুস আর পানি খেয়েছে বিধায় অতিরিক্ত জুস,পানি আর অক্সিজেন পাঠানো হয়েছিল রাত ৯টার দিকে।রাত পৌনে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের এক উদ্ধারকর্মী মনির হোসেন জানান যে শিশুটির সাথে তার বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে।বাচ্চাটা নাকি তাকে বলেছিল সে একটুখানি জুস খেয়েছে।রশি পাঠানোর পর বাচ্চাটা বলেছিল সে নাকি ধরতে পারছে না এটাও জানায় উক্ত কর্মকর্তা।আবার রাত ১টার দিকে উক্ত কর্মী মনির হোসেনই জানান যে পাইপটির ভিতর থেকে সে অস্বাভাবিক কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছে।রাত ২টা ৩০ মিনিটে ৬০০ ফুট গভীরে ক্যামেরা নামিয়ে কোন কিছুরই সন্ধান পাওয়া যায়নি।রাত ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকতা জনগনকে জানান সে পাইপে বাচ্চা ছেলেটা পরে যাওয়ার বিষয়টি গুজব। ঠিক তখনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বিষয়টাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।পরেরদিন শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়।
এবারে কিছু কথাঃ-পাইপে পড়ার ২ঘন্টার মধ্যেই মারা গিয়েছিল জিয়াদ।অতএব,বেলা ৫টা অথবা ৫টা ৩০ এর দিকে মারা গিয়েছিল জিয়াদ।পাইপের নিচে থাকা পানিতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল সে।৬০০ ফুট নয় জিয়াদকে উদ্ধার করা হয়েছিল মাত্র ২৪০ ফুট গভীর থেকে।জিয়াদ মারা গিয়েছিল ২৪০ ফুট নিচে কিন্তু উক্ত ক্যামেরা ৬০০ ফিট গভীরে যাওয়ার পথেও কোন সন্ধান পায়নি জিয়াদের।
আপনাদের কাছে কিছু প্রশ্ন।যদি জিয়াদ উক্ত ২ ঘন্টার মধ্যেই মারা গিয়ে থাকে তাহলে রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে কেন বলা হয়েছিল যে জিয়াদ সারা দিচ্ছে?রশি ধরে উঠার চেস্টা করছে?কিন্তু পারছে না।বাচ্চাটি নাকি জুস খেয়েছিল,কিন্তু কিভাবে সম্ভব?আবার রাত পৌনে ১২টায় মনির হোসেন কেন বলেছিলেন যে জিয়াদের সাথে তার কথা হয়েছে অনেকবার।জিয়াদ নাকি তাকে জানিয়েছে যে সে একটুখানি জুস খেয়েছে?দড়ি ধরেও নাকি উপরে উঠার চেস্টা করছে।আচ্ছা মেনেই নিলাম শিশুটি সারা দিচ্ছে,জুস খাওয়ার কথা তাকে জানিয়েছে,কিন্তু আমার প্রশ্ন এখানেই যে শিশু জিয়াদের উদ্ধারকাজ শুরুর সময়েই পাইপের আশেপাশে হাজার মানুষের ভিড় ছিল সবাই জিয়াদকে তাড়াতাড়ী পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করছিল।সেই মানুষগুলোর তৈরি করা শব্দগুলো কি এতই নিচু গলার ছিল যে ৬০০ ফুট গভীরের নিচে পাইপে কি হচ্ছে বা জিয়াদ কথা বলছে এটা শোনা উপর থেকে সম্ভব হয়েছে? আসলেই কি এত সহজ ছিল ব্যাপারটা?আচ্ছা এটাও মেনে নিলাম যে সে শব্দটা শুনেছে।মনির হোসেন সেখান থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আর কথা বলা,তাছাড়া সে যে জুস খেয়েছে এটা শুনেছিল।তবে কিভাবে রাত ৩টায় এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন?এর উত্তর আপনারাই দিন।তারপরেও আমি কিছু বলি ঐদিন হয়ত জিয়াদকে মৃত অবস্থায় পেয়েও জনগনকে জানানো হয়নি কিছু কেননা তাহলে জনগন তাদের দায়িত্বহীনটার উপর প্রশ্ন তুলবে আর সেই মৃত লাশ উদ্ধার করলে একদিক থেকে তাদেরও বদনাম হবে,ঐ একই কারনে দায়িত্বহীনতা।বেশ ভালো,তারা পরেরদিন গুজব বলে সব উড়িয়ে দিয়ে দুপুরে তা স্থগিত করল।যাতে এখন কেউ শিশুটাকে মৃত অবস্থায় পেলেও ফায়ার সার্ভিসকর্মীদেরকে বা গোয়েন্দা সংস্থা বাহিনীর লোকদেরকে বা সরকার পক্ষকে বুড়ো আঙুল দেখাতে না পারে।দায়িত্বহীনতার প্রশ্ন না তুলে পারে।
ব্যাপারটা বুঝাটা কোন কঠিন কিছু নয়।এটা খুবই সহজ একটা ব্যাপার,সব কিছু পরিস্কার তবুও আপনাদের কাছে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলে হয়ত আরো ভালোভাবে জানতে পারব।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা ১৬কোটি আম জনতা সবাই যেন কোন এক কুপে পড়ে গেছি।
৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০০
কল্লোল পথিক বলেছেন: কি বলবো ভাই?
উত্তরটা জানা নাই!
শুধু বলবো
দুঃখিত জিয়াদ, দুঃখিত নিরব
আমরা তোমাদের বাঁচাতে পারলাম না।
৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এইখানে প্রশাসনের দোষ অবশ্যই আছে। তাদের দোষটা অস্বীকার করছি না।
কিন্তু জিয়াদ বলেন বা নীরব বলেন - তাদেরকে আমরা কেন দুঃখিত বলব? তাদের যেই বয়স - সেই সময় তো বাবা-মায়ের খেয়াল রাখার কথা তাদের। ঢাকনাবিহীন পাইপ থাকলে - ঐখানে তো বাবা-মায়েরই উচিৎ না বাচ্চাদের খেলতে পাঠানো।
তাহলে তারা ওখানে পাঠাচ্ছে কেন?
সব সময় তো এক দিকে থেকেই দোষ গুলোকে ধরা হয়। কিন্তু অপরটা খালি থাকবে কেন? সতর্ক কি জনগণ হতে পারে না? একটা ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা - এইটা বন্ধ না করা প্রশাসনের দোষ। তাদের সমালোচনা প্রাপ্য এই কাজটির জন্য।
আর খোলা বলেই কি আমার সেটার ভিতরে পড়ে যেতে হবে? সতর্ক থাকলে কি ক্ষতি?
একটা পূর্ণ বয়স্কও কিন্তু ঢাকনা খোলা থাকায় পড়ে মরে যাওয়ার খবরে আসেনি। দুইটা আসলো - দুইটাই বাচ্চা। বুদ্ধি-শুদ্ধি এখনও এতটা হয়ে উঠেনি। তাদের পথপ্রদর্শকরা কে? অবশ্যই তার অভিভাবক ও পরিবার। তো তারা ঐখান থেকে বাচ্চাগুলোকে নিরাপদে রাখলো না কেন?
এমনটা ভেবে দেখেছেন?
আবেগি হয়ে আমরা দুঃখিত দুঃখিত বলার আগে - পুরোটা ভেবে দেখা দরকার - এখানে সত্যিকার অর্থে দোষটা প্রশাসনের সাথে আর অন্য কার কার!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১১
প্রামানিক বলেছেন: উত্তর জানা নাই।