নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি খুবই সাধারন একজন মানুষ।লিখালিখি ভাললাগে।লিখালিখির মাঝে আমি আমাকে খুঁজে পাই তাই লিখি।

সিয়াম মেহরাফ

আমি নিজেকে খুব ভালবাসি।

সিয়াম মেহরাফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিবারিক ভালবাসাগুলো এমনই হয়.!!!

১০ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

সবসময়ই একটা জিনিস দেখে আসছি।একেবারে ছোটবেলা থেকেই.....যখন কোন ডাক্তার কাউকে প্রায় মৃত ঘোষনা করে অর্থাৎ বলে যে সে প্রায় মৃত্যুর পথে। তার সময় আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টা বা কয়েকটা মাস....তবুও কেউ থেমে থাকেনা।জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত তার ফ্যামিলি চেস্টা করে যায় তাকে বাঁচানোর।এটা নিশ্চিত যে তার মৃত্যুর আর বেশি বাকি নেই তবুও চেস্টা করে যায় যতদুর সম্ভব।যতটুকু সম্ভব।ফ্যামিলির কেউই কাউকে হারাতে চায়না।তাই চেস্টা করতেই থাকে।অন্তত যাতে এতটুকু বলতে পারে যে তারা চেস্টা করেছে তাকে বাঁচানোর।যথেস্ট চেস্টা।যতটুকু তাদের সাধ্যে ছিল.....
.
মানুষের জীবনটা খুব একটা সহজ নয়।কাউকে কেউ সহজে হারাতে চায়না।অন্তত নিজের ফ্যামিলির কেউ না।আপনি যদি অসুস্থ হন,আর সে ক্ষেত্রে ডাক্তার যদি বলে যে আপনার হাতে আর বেশি সময় বাকি নেই তবুও আপনার ফ্যামিলি আপনাকে সাপোর্ট দিয়েই যাবে।আপনার চিকিৎসার জন্য চেস্টা চালিয়ে যাবে।তাদের মনের মধ্যে তখন এটাই কাজ করবে যে হয়ত এটা করলে আপনি বাঁচবেন,ওটা করলে আপনি বাঁচবেন।সেই মনের কথাটা শুনেই আশা নিয়ে ব্যার্থ না হয়ে তারা চেস্টা করেই যাবে আপনাকে বাঁচানোর।লাইফটাই এমন।আপন কাউকে মানুষ হারাতে চায় না।কখনোই না।অন্তত তারা কেউই চায়না নিজের জীবন থাকতে আপনাকে তার চোখের সামনে হারাতে দিতে।তাইতো এতটা প্রচেস্টা।
.
ছোটবেলা থেকে এই পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই সেইম ব্যাপার।সেদিন হসপিটালে গিয়েছিলাম একটা আত্মীয়কে দেখতে।পাশের বেডেই একজন লোক বুকের ব্যাথায় প্রচন্ড কাতরাচ্ছিল।ডাক্তার আসল রোগীর বেডের পাশে রাখা চেয়ারটাতে বসল।হালকা চেকাপ করলো।আর চেকাপ করবার পর ডাক্তারটা পাশানের মত বলে দিল বাঁচার আশা খুবই কম.....আর বেশি সময় হাতে নেই,পারলে ঢাকা নিয়ে দেখাতে বলছে।সাথে সাথে রোগীর পাশে দাঁড়ানো বোধ করি রোগীর ছেলে-মেয়ে কাঁদতে শুরু করল।রোগীর মাথার কাছেই তার স্ত্রী বসা ছিলেন।সে তো অঝোর ধারায় কাঁদতে ছিল।মনে হচ্ছিল অজ্ঞান হয়ে যাবেন আর একটু হলেই......
.
এরপর আমাদের রোগী দেখার কাজ শেষ হলো।পরে আমরাও ৪তলা থেকে থেকে নিচে নেমে আসলাম।এসেই দেখি রোগীর ছেলে তাকে ঢাকা নিয়ে যাবার জন্য গাড়ী ঠিক করতে এসেছে।অনেকদিন যাওয়া আসা করায় আমাদের সাথে পরিচয়টা বেশ ভালোই হয়েছিল তাদের।যেহেতু আমাদের রোগীর পাশের বেডেই সে হিসেবে।কোন এক কারনে ওই ভাইয়াটার নাম্বারটা রেখে দিয়েছিলাম।রাতে ফোন দিয়ে জানতে পারলাম ঢাকা যাওয়ার আগেই তার বাবা মারা গিয়েছেন।কষ্টে ফেটে যাচ্ছিল বুকটা।
.
ঠিক হয়ত প্রত্যেকটা মানুষের জীবনটাই এমন।কেউই কাউকে সহজে হারাতে চায়না।সেই রোগীটির নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও তাকে ঢাকা নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তার পরিবার।এরপর রোগীটি হয়ত বাঁচেনি তবুও তারা চেস্টা করে গেছে তাকে বাঁচানোর জন্য......এটা সবার ক্ষেত্রেই হয়।সব পরিবার এমনি।সবগুলো সম্পর্ক এমনি হয়।সহজে হারাতে দেয়া কেউই মেনে নিতে পারেনা। তাই হয়ত চেস্টা করেই যায়,শত কষ্ট হলেও,শত বাধা-বিপত্তি আসলেও।
.
.
-Siam Mehraf

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.