![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি নিজেকে খুব ভালবাসি।
বর্তমানে অত্যাধিক ভাইরাল একটা বিষয় হলো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রপোজ।ভবিষ্যৎ যেন আরো কাছে এগিয়ে আসছে ইদানিং।আগে সাধারনত এমন টাইপ ভালবাসা বলতেও অত্যাধিক লজ্জা লাগতো মানুষগুলোর মধ্যে।আর আজ এই দিনে বর্তমানে যুগে পা দেয়ার সাথে সাথে পুর্বকালের সেই মানুষদের অর্ধেক বয়সেই এসে শুরু হয় প্রপোজ,প্রেম, ভালবাসা।ভালবাসা কি না বুঝেই হালকা ইম্প্রেসের ভাড়ে তারা ঝুঁকে পরে ভালবাসায়।ক্লাস ৫/৬ এ থাকতেই বর্তমানে ভালবাসাকে কি তা সম্পর্কে হালকা জ্ঞান থাকে।পুরোপুরি না থাকাতেও ৭/৮ ক্লাসের মধ্যেই জড়ায় রিলেশনে।ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় ১ মাসে ব্রেক'আপ।
.
একটা মানুষ অন্য একটা মানুষকে ভালবাসতে পারে কিন্তু সেটা ঠিক তখন যখন সে লাইফের সব ধাপগুলো বুঝতে পারে।তার ধারনা থাকে ভালবাসা,ফিউচার সম্পর্কে।ক্লাস ৫/৬/৭ এ পড়া একটা মেয়ে বা একটা ছেলে কখনোই নিজের লাইফ সম্পর্কে ধারনা করতে পারেনা।আর সেই বয়সে কিনা জরিয়ে যায় প্রেমে।এটাকে অবশ্য ভালবাসা বলা যায়না।এসবে আলাদা চাহিদা থাকে একটা।হতে পারে সেটা শারীরিক বা হতে পারে আর্থিক।অনেক আছে রিলেশন করে শারীরিক সুখ লাভের আশায় এবং সেটা হয়েও যায়।ফলাফলে কম বয়সেই কিছু জানার আগেই সমাজের চোখে খারাপ হয়ে যায়।চলে যায় একটা নিষ্পাপ প্রান।৫/১০ মিনিটের সুখের আশায় মানুষ বর্তমানের প্রেম ভালবাসার বেড়াজালে আত্মহত্যা করে নিজের শরীরকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দিয়ে।তবুও তারা মনে করে সত্যিই তো ভালবাসে তাহলে দিতে সমস্যা কোথায়।সেই দেয়া থেকেই একটা মেয়ে কলঙ্কিত হয়ে থাকে সমাজের বুকে।হয়ত এর ফলাফল হয়ে দাঁড়ায় আত্মহত্যা।তবুও ছেলেটা স্বাধীনভাবেই ঘুরতে পারে।ছেলেটার দোষের থেকে মেয়েটার দোষ বেশি দেখে সবাই।আর সেটাই সত্য।কেননা সে কেন ভালবাসা টিকিয়ে রাখতে শরীর বিলিয়ে দিবে? ভালবাসা টিকাতে গেলে লাগে শুধু মনের মিলন,শারীরিক নয়।মুলত তারা ভালবাসার মানেও বুঝেনা সঠিকভাবে।বলা যায় ভালবাসা বলতে তারা যা বুঝে সেটা নিরক্ষরতা ছাড়া আর কিছুইনা।
.
অল্প বয়সের ছেলে মেয়েরা একে অন্যকে প্রপোজ করছে।রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে কিস করছে,জরিয়ে ধরছে এটা দেখে বাকিরা সাহস করছে সেটা করার।আর করেও নিচ্ছে।এই নিয়ে টোটাল ৩বার ৩টি ভিডিও আসলো সামাজিক মাধ্যমে।অল্প বয়সে করে নিজেদের ক্ষতির সাথে সাথে পারিপার্শ্বিক এর মানুষগুলোকে হতাশায় ফেলছে। আর সবচেয়ে বড় কথা ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে অল্প ক্লাসে পড়া ছেলে মেয়েগুলোকে।তারা মনে করছে কিস,জরিয়ে ধরা এটাই যেন কত মধুর।কত সুন্দর।এটাই যেন সব।আস্তে আস্তে দেশ ডিজিটালের দিকে আর আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাচ্ছে ধংসের দিকে।
.
বদলাবেই বা কিভাবে? একজনের জন্য ক্ষতি হয় ৫ জনের।একজনের ভুল সিদ্ধান্তে নষ্ট হয় অনেক জীবন।একজনের দেখাদেখি ভুল করে অনেকজন।এভাবে একজন করে অনেকজনকে আগিয়ে দিচ্ছে তারা ধংসের দিকে। তাহলে এই একজনটাকে থামাতে না পারলে ভবিষ্যৎ আর ভবিষ্যৎ থাকবেই না।
.
ডিজিটাল পুরো ধাপ সম্পন্ন হয়ার আগেই সামাজিক মাধ্যমে হয়ত ভেসে উঠবে বিশাল বিশাল কয়েকটি শিরোনাম।"২য় শ্রেনীতে পড়া একটি মেয়েকে প্রপোজ করলো ৩য় শ্রেনীর একজন ছাত্র।"...আর সেই ঘটনার পরেই শুনা যাবে -"সেই মেয়েটা কোন এক ছেলের পাল্লায় পরে শরীর বিলিয়ে দিয়ে গর্ভবতী হয়ে আত্মহত্যা করেছে গলায় দড়ি দিয়ে"..... সবাই দেখবে হয়ত মেয়েটার দোষ।মেয়েটাকে বানাবে কলঙ্কিতা আর তার পরিবারকে থাকতে হবে মুখ লুকিয়ে।এটাই যদি ডিজিটাল হয় তাহলে সেই ডিজিটালের থেকে ব্যাকডেটেড থাকাটাই শ্রেয়।
২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৪০
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার কথাগুলো যৌক্তিক কিন্তু সিদ্ধান্তটা কি যথার্থ? আমার সন্দেহ আছে। আসলে বিষয়টা ব্যাকডেটেড বা ডিজিটালের না, বিষয়টা মোরালিটির। আমি অন্তত মানতে নারাজ যা যা হচ্ছে তার জন্য কেবল তথ্য প্রযুক্তি দায়ী। অতীতেও অনেক ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটত কিন্তু তা প্রকাশ হত কম। এখন বরং এই ঘটনাগুলো দৃষ্টান্ত হতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে আইএমজিপিএফাইফ বা প্রোপজ এর মতো ঘটনাগুলো কেবল ওদের একার দায় না, বরং আমাদেরও দোষ আছে। সবচে বড় শিক্ষা ব্যবস্থার, এখানে মূল্যবোধ ও নৈতিকতার শিক্ষা না দিয়ে এর বিপরীতটা করা হচ্ছে।
@বৈশাখের আমরণ নিদাঘ,
এই বোঝানো ব্যাপার ভয়ঙ্কর কঠিন। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু একজন বা দুই তিনজন অথবা দশজনের পক্ষেই কতটুকু কী করা সম্ভব জানি না।
৩| ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৫৬
আমি নবপ্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন: ডিজিটালের আর দোষ কী? যখন ডিজিটাল ছিল না তখনও মানুষ ব্যভিচার করতো। আগে মানুষের চরিত্র বদলাতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:২২
বৈশাখের আমরণ নিদাঘ বলেছেন: এত হতাশ অওয়ার কিছুও নাই। আপনি ইন্টারনেট, স্যাটেলাইট চ্যানেল কিংবা অন্য দেশে জাতিতে কি হচ্ছে এসব জানা থামিয়ে রাখতে পারবেন না। এইসব বন্ধ করতে চেষ্টা না করে বা হাহুতাশ না করে ছেলে মেয়েকে সময় দিন, তাদের বন্ধু হন, বোঝান, তাদের সাইকোলজি বুঝতে চেষ্টা করেন। ভুল পথে থাকলে কাউন্সেলিং করেন। পিটাইলে বা ধামাচাপা দিয়ে রাখতে চাইলে আরও বড় বিস্ফোরণ হবে।
আর পিছাইতে চাইতেছেন কেন। আমরা তো আগাচ্ছিই। এখন ক্লাস টু বা ফাইভে যৌন সম্পর্ক খারাপ বলছেন, বলছেন যে পরিণত হয়না এই সময়ে। কিন্তু আর মাত্র ৩০-৪০ বছর আগেও ১০-১২ বছর বা ৫-৬ বছরেই বিয়ে দিয়ে দিত। ওরাও কাস ফাইভের আগেই গর্ভবতী হয়ে যেতো। কিন্তু এখন তো সেই দিন প্রায় নাইই। আরও ভালো করা যায় কি করে সেটা নিয়েই ভাবা উচিত। আর সেটার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বোঝানো।