নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একটা বিপ্লব চাই।

দোদূল্যমান

দোদূল্যমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পান্না মাস্টারের ১৫০ ধর্ষণের কাহিনী ও আমাদের প্রতিক্রিয়া

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

পান্না মাস্টারের ১৫০ ধর্ষণের কাহিনী প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে প্রশ্ন উঠে,একটা মানুষ এতটা পশু হতে কী করে?? হ্যাঁ,পারে। আমাদের সমাজব্যবস্থা আমাদের সে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বর্তমান সমাজের কর্পোরেট নারী বাণিজ্য ধর্ষক যেমন তৈরি করে, তেমনি এর কোন বিচার না হওয়ার ব্যবস্থা সৃষ্টি করে ধর্ষককে অনুমোদন দেয়।



এখন সবচেয়ে লক্ষনীয় ব্যাপার হল, সুশীল সমাজের এ ক্ষেত্রে নিরবতা। রাতের বেলা টকশো কাঁপানো এই বুদ্ধিজীবীরা যে পান্নাকে নিয়ে কোন কথা বলবে না সেটা আমাদের কাছে বিস্ময় হয়ে আসে না। এদের মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকার কারণ মূলত এই যে-



১। ধর্ষিতারা মুসলিম। তারা হিন্দু বা আদিবাসী নয়,কাজেই অসাম্প্রদায়িকতার ব্যবসা করা যাবে না।

২। পান্না জামায়াত-শিবির করেনা,কাজেই চেতনা ব্যবসা করা যাবে না।

৩। পান্নার দাড়িটুপি নেই,কাজেই একে ইসলাম না মুসলমানের দোষ হিসেবে প্রচার করা যাবে না।

৪। এটা ঢাকার কোন স্কুলে হয়নি



আর তাই মোচু মিজানরা এখন নিশ্চুপ। নারীবাদী রোকেয়া প্রাচীরা পান্নাকে তওবা করতে বলে না। বিটিভিতে দিনরাত পান্নার ভিডিও দেখানো হয়না। সুলতানা কামালদের চুলে টান পড়েনা। নবনীতাদের মুখ লাল হয়ে যায়না। আবুল মকসুদেরা একাত্তর টিভিতে এসে পান্নাকে নিয়ে দুটো কথা বলেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি তাকে অমুসলিম ঘোষণা করেনা। পান্নার বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়না।



হ্যাঁ, শফি সাহেবের মুখে তেঁতুলের কথা শুনে এদেরই শাড়ি-লুঙ্গি খুলে গিয়েছিল। কারণ শফির মাথায় টুপি,মুখে দাড়ি। পান্নার তো আর তা না।



মুখবন্ধঃ

আমরা শুধু ৯০% মুসলিমই হইছি, আর কিছু শিখিনি। আজকে যদি কোন নেতার সাথে কিছু হইত, ঠিকি এই জনতা/নেতার ভক্তরা একটা কিছু করে ফাটায়ে ফেলত। বাট এখন কারও কোন রা নাই। ১৫০ টা মেয়ে রেপড। এন্ড ইয়েট দিস পান্না ইজ নট হ্যাঙ্গড, নরমাল আইনেই যেটা আছে!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:১১

মূসা আলকাজেম বলেছেন: হ্যাঁ, এখন এরা চুপই থাকবে। কিন্তু হুমায়ুন আহমেদ বা অন্য কেউ যখন ২য় বিবাহের মত বৈধ কোন পন্থায় নিজেদের যৌন চাহিদা মিটাবে তখন এরা শিয়ালের মত সব হুক্কা হুয়া শুরু করে দিবে যে, হুমায়ুন আহমেদ লম্পট, সে মেয়ের বয়সী একজনকে বিয়ে করেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।

বৈধ ও শালীন ২য় বিয়ের নিন্দা করে অশ্লীলতা, ব্যভিচার, পরকীয়া আর সমকামের সাপোর্ট দেয়, এরা কারা? ভালো মন্দের মাপকাঠিতে হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩

উপরের পোষ্টটি থেকে কিছু অংশ নীচে কপি পেষ্ট করে দিলাম।


........। মোটকথা ভালো খারাপ নির্ধারণের কোন মাপকাঠিতেই আপনি তার এই ২য় বিবাহকে খারাপ বলতে পারেন না, নিন্দা করা তো অনেক দূরের কথা।(ঠিক তেমনি ইতিহাসের আরো যারা বহু বিবাহ করেছেন ) কিন্তু অর্বাচীন, মূর্খ , অসভ্য আর বদ্ধ মানসিকতার লোকেরা কোন কিছু না বুঝেই, কেউ ২য় বিবাহ করলে তার নিন্দা শুরু করে দেয়। ঐ চিলে কান নেয়ার মত ছোট বেলা থেকে শুনে আসতেছে মূর্খ সমাজের মূর্খ লোকের প্রচারণা যে, একাধিক বিবাহ খারাপ; ব্যস, খারাপ। কেন খারাপ? কে বললো খারাপ? কিসের ভিত্তিতে বললো খারাপ? ইত্যাদি কোন কিছু চিন্তা না করে তারা সেটাকে মেনে নিলো। বাড়তি যৌন চাহিদা পূরণের জন্য ২য় বিবাহের মত একটা চির শালীন ও বৈধ পন্থার কথা কেউ অবলম্বন করেছে শুনলে এদের মাথায় যেন একটা অন্ধ ও বয়ড়া ভূত চেপে বসে, আর সভ্যতা ও ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে আর একজন মানুষের নির্দোষ ব্যাক্তি জীবন নিয়ে নোংরা সমালোচনা করতে থাকে। অথচ সমাজে যৌন চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে কত মানুষ যে কত লাম্পট্য করছে সেখানে সব ভেজা বেড়াল। একদিকে ২য় বিবাহের নিন্দা করে মানুষকে তা থেকে আটকে রাখা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে অশ্লীল সিনেমা , নাটক দেখিয়ে; অশ্লীল বই, পত্রিকার বিস্তার ঘটিয়ে এবং প্রগতির নামে , নারী অধিকারের নামে সুন্দরী নারীদেরকে ঘরের বাহিরে এনে মানুষের যৌনতাকে উস্কিয়ে দেয়া হচ্ছে। তখন অটোমেটিক মানুষ তার যৌন চাহিদা মিটানোর জন্য চুপি চুপি লাম্পট্যময় কাজের দিক এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, আবার অন্যদিকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়ার জন্য যা যা করা দরকার সব করছে। ফলে তারা এখন প্রায় প্রকাশ্যেই লাম্পট্য শুরু করেছে। প্রাইমারীর ছেলে মেয়েরা পর্যন্ত অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িয়ে যাচ্ছে। তখন এরা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে থাকে, বা বলে যে, আরে এই যুগের ছেলে মেয়েরা এগুলো একটু করবেই। এই নাস্তিকরা হলো শয়তানের দোসর। এরা চায় সমাজ থেকে লজ্জা শালীনতা উঠিয়ে দিয়ে সমাজে অশ্লিলতা, ব্যাভিচার আর লাম্পট্য ছড়িয়ে দিতে।বাড়তি যৌন চাহিদা পুরণের বৈধ ও শালীন পন্থাকে সামাজিক চাপ প্রয়োগ করে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, আর সর্ব দিকে থেকে যুবক যুবতীদের যৌনতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে যাতে সে অবৈধ পন্থায় , লাম্পট্য করে তার যৌন চাহিদা মিটায়। আল্লাহ আমাদের এদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করুন।


............৫-আর যে সমাজ হুমায়ুনকে নিন্দা করলো তারা হচ্ছে চরম অর্বাচীন, পরোক্ষভাবে নারী নির্যাতনকারী, শিশু হত্যাকারী। এই নিন্দার ফলে কি হবে? অন্য নামকরা লেখকরা, সাধারণ মানুষরা, এমনকি এই নিন্দাকারীরা দ্বিতীয় বিয়ে করার প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লোকনিন্দার ভয়ে বিয়ে করবে না। কেউ হয়তো পেটে ক্ষুধা নিয়ে বসে থাকবে, মরণ পর্যন্ত কষ্ট করবে। কিন্তু অনেকেই যাদের চাহিদা বেশী সে কিন্তু ঠিকই গোপনে তার ক্ষুধা মিটিয়ে নিবে, নিচ্ছে।পুরুষ মানুষের যৌন চাহিদার এই বাস্তব বিষয়টি অযথা গোঁড়ামি করে মেনে না নেয়ার কারণে সমাজে কত অন্যায় হচ্ছে তার ইয়ত্তা নেই। হচ্ছে পরকীয়া, হচ্ছে ব্যাভিচার, হচ্ছে ধর্ষণ।বাড়ছে পারিবারিক কোন্দল, ভাঙছে সংসার, হচ্ছে আত্মহত্যা। ছোটবেলা থেকে নিজের আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাঝে দেখে আসছি এই পারিবারিক কোন্দল। গত এক বছরের পেপার ঘাটলে দেখা যাবে কত কত প্রাণ ঝরে গেছে এই কোন্দলে। অথচ স্ত্রী ও সমাজ যদি আধুনিকতা ও উদারতার সাথে স্বামীর ২য় বিবাহকে বা প্রয়োজনে আরো বেশী বিবাহকে মেনে নিত তাহলে এই ঝগড়া বিবাদ, কোন্দল কিছুই তেমন হত না। ২য় বিবাহকে মেনে না নিয়ে আমাদের কি লাভ হয়েছে? সেইতো পরকীয়া করতে গিয়ে ১ম স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য, ঝগড়া বিবাদ হচ্ছেই, সেইতো সংসার ভাঙছেই।সেইতো স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে খুন করছেই,সেইতো মা তার সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করছেই। হচ্ছে আরো শত নিদারুণ ঘটনা। এরচেয়ে ভালো কি এই নয় যে আমরা সংকীর্ণতা পরিহার করে পুরুষের যৌন চাহিদা পূরণের জন্য একাধিক বিবাহের এই বৈধ , শালীন ও নিয়ন্ত্রিত বাস্তব চাহিদাকে মেনে নেই? এই শালীন ও বৈধ জিনিস মেনে না নেয়ার কারণে কিন্তু আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে লাম্পট্য, বিচ্ছেদ, অশান্তি, আত্মহত্যা ইত্যাদি কত কি। যার ক্ষুধা বেশি লেগেছে তাকে যদি খাবার দেয়া না হয় তাহলে তো সে একসময় অসহ্য হয়ে চুরি ছিনতাই করবেই। একটা বুড়া মানুষ ধর্ষণ করেছে এই খবরে আমরা নিন্দার ঝড় বইয়ে দেই, কিন্তু চিন্তা করি না যে আমরাইতো তাকে এই কাজে বাধ্য করেছি।একদিকে লোকনিন্দার ভয়ে সে বিয়ে করতে পারেনি, যৌন চাহিদাকে দমিত করে রেখেছে অনেক দিন মূর্খ সমাজের নিন্দার ভয়ে, আরেকদিকে এই লম্পট সমাজ সুন্দরী ললনাদেরকে তার চোখের সামনে নাচিয়েছে,হাসিয়েছে; তো কত আর সহ্য করা যায়, অবশেষে ভেঙ্গে যায় ধৈর্যের বাধ কোন এক নির্জনতায়, কোন এক দুর্বল মুহূর্তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.