নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা করবেন তা বুঝে শুনে করবে, অহেতুক নিজের প্রশংসা করবেন না।

বাতাস০০০১

আমি একজন সাধারন মানুষ আমি মানুষের কথা বলি, দেশের কথা বলি। আমি যা বলি আর যা লিখি তা একান্তই আমার ব্যক্তিগত ধারনা।

বাতাস০০০১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালীগঞ্জে রাতের আধারে চলছে সরকারী বৃক্ষ নিধোন, প্রশাসন নির্বিকার !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

দেশের দক্ষিন-পশ্চিম অঞ্চরের ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানায় চলছে প্রতিনিয়ত রাতের আধারে বৃক্ষ নিধন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় কালীগঞ্জ থানার বারবাজার এলাকায় সড়ক ও রেলপথের পাশের বৃক্ষ দিন দিন অদৃশ্য হয়ে হচ্ছে। বিশেষ করে আগে থেকে করাত দিয়ে গাছ কেটে রাখা হয়। যখন ট্রেন আসে তখন গাছ চুরির ঘটনা
ঘটে। সড়ক পথ ও রেলপথের দূরত্ব কাছাকাছি হবার কারনে খুব সহজেই পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।
এলাকায় একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, উপজেলার রঘুনাথপুর খোশালপুর গ্রামের একদল চোরা কারবারির সম্বন্বয়ে গড়ে উঠেছে বিরাট এক সিন্ডিকেট এরা সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে নিজেদের দল ও পরিবর্তন করে। ফলে যথেষ্ট সাক্ষী প্রমান থাকার সত্ত্বে ও তারা ধরা ছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি জানায়, রঘুনাথপুর গ্রামের গাজী বংশের ছেলে আমিনুল ইসলাম (নয়ন), সিরাজ এবং খোশালপুর গ্রামের কসাই বাবু, ইমান আলীর ছেলে গাজা ফাহাদ এর সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে বিরাট চক্র। শুধু তাই নয় এদের প্রত্যেক নামে রয়েছে থানার মামলা সহ রেললাইনের স্লিপার চুরি, গাছ চুরি, গাজা-ফেনসিডিল, নারী কেলেংকারী সহ নানান অভিযোগ। অভিযুক্তদের ভিতর কসাই বাবুর বিরুদ্ধে রয়েছে তার নিজ গ্রামে নারী কেলেংকারী সহ ছিনতাইয়ের মামলা। ফাহাদ ওরফে গাজা ফাহাদ উঠতি বয়সের মাস্তান, ছোট বড় সব ধরনের চুরির সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।সিরাজের বিরুদ্ধে রয়েছে গাজা বিক্রির অভিযোগ।
এলাকাবাসি আরো জানায়, ক্ষকমতাসীন দলের অনেকে ভাগ পারার কারণে তারা এই সব বেপারে নিরব ভুমিকা পালন করছে। ফলে এলাকার যুব সমাজ দিন দিন নেশাগ্রস্ত হচ্ছে এবং দিনে দুপুরে গ্রামের অসংখ্য জায়গায় গাজা বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটলেও কেউ ভয়ে মুখ খুলছেনা।
এরাই রাতের বেলায় ভয়ংকর রুপ ধারন করে মেতে উঠে সরকারী সম্পত্তি চুরি এবং মানুষের বাসা বাড়িতে চুরি সহ নানান সব অপকর্মে। এই গ্রুপেরই কারনে এলাকার সংখ্যালঘু পরিবার সব সময় অতংকে থাকে। এ ব্যাপারে এক প্রতিক্রিয়ায় খোশালপুর গ্রামের পূজা পরিষদের সভাপতি প্রান গোপাল চন্ডি জানান, “আমরা আমাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে অনেক আতংকে থাকি। বিশেষ করে মেয়েদের হাইস্কুল দূরে হবার কারনে পথে ওরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়। বেশির ভাগ সময় তারা আত্ম সম্মানের ভয়ে কেউই ভয়ে মুখ খোলেন না।”
গাছ চুরি প্রতিনিয়ত ঘটনার ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাস) এর উপজেলা সভাপতি মো: জাকির হুসাইন (প্রিন্স)। তিনি বলেন “আমাদের এখানে রাস্তার পাশের এ যাবত কালে বহু বৃক্ষ নিধন হয়েছে, আমরা বারবারই মাননীয় এমপি মহাদয় সহ উপজেলা প্রশাসন কে দৃষ্টি আকর্ষন করার পরেও আবার চলছে চুরির ঘটনা। এ ব্যাপারে মাননীয় জেলা প্রশাসক সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি”।
পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রীন মোসাইটির উপজেলা প্রেসিডেন্ট ইঞ্জি.সাইদুল ইসলাম অবশ্য দুষেছেন রাজনৈতিক দলকে। তিনি বলেন, “রাজনৈতিক দলের মদদের কারনে বারবারই পার পেয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা। কারন
অপরাধীদের ভিতরে দু’রাজনৈতিক দলের কমীরাই রয়েছে”।
উপজেলার সর্বমহলের গনদাবী হল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: নিধন*

ভালো পোস্ট , এরকম পোস্ট আসুক আরও +

শুভেচ্ছা :)

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭

বাতাস০০০১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভূল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য। অবশ্যই চেষ্টা করব। ৥ অপূর্ব রায়হান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.