নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবী আমাদের ওপর ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।
সে আমাদেরকে তার শেষ প্রান্তে ঠেলে দিয়েছে আর
আমরা সেটা অতিক্রম করার প্রচেষ্টায় আমাদের
অস্তিত্বের বিভিন্ন অংশ বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছি।
পৃথিবী আমাদেরকে নিংড়ে ফেলছে।
হায়!
আমরা যদি এর শস্যদানা হতাম, তবে আমরা
আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার পরও
আবারও অঙ্কুরিত হতে পারতাম।
হায়!
এই ভূ-পৃষ্ঠ যদি আমাদের জন্মদাত্রী হতো, তাহলে আমাদের জন্মদাত্রী
আমাদের প্রতি নিশ্চয়ই দয়াপরবশ হতো !
হায়!
আমরা যদি সেসব প্রস্তরখণ্ডের প্রতিচ্ছবি হতাম,
যেগুলো অচিরেই আমাদের স্বপ্নগুলো বহন করে আনতে সক্ষম!
প্রতিচ্ছবি!
আমরা তাদের চেহারা অবলোকন করেছি,
যারা জীবন বাঁচানোর শেষ চেষ্টায় আমাদের মধ্য হতে
একজন অন্যজনের দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।
আমরা তাদের শিশুদের আনন্দোৎসব দেখে ক্রন্দন করতাম। আর আমরা
তাদের চেহারাও দেখেছি যারা আমাদের সন্তানদেরকে
এই সীমানার সর্বশেষ প্রান্ত থেকে ছুঁড়ে ফেলবে।
প্রতিচ্ছবি!
যা আমাদের সৌভাগ্যের নক্ষত্রকে প্রতিফলিত করবে।
আমরা শেষ প্রান্তে ঠেকে গেলে কোথায় যাব?
আকাশের সীমানা শেষ হয়ে গেলে পাখিরা কোথায় উড়বে?
বাতাস আটকে গেলে বৃক্ষ-তরুলতা কোথায় দুদণ্ড শান্তির শ্বাস নেবে?
আমরা আমাদের নাম বাষ্পকণায় লিখে যাব; যা হবে
রক্তকণা সদৃশ গাঢ় লাল। আমরা সংগীতের তালু কেটে ফেলব;
যাতে আমাদের মাংস এসে তা ভরাট করে দিতে পারে।
এখানে আমরা মরব। এখানে শেষ প্যাসেজে; এখানে বা সেখানে,
আমাদের প্রবাহিত রক্ত এ ধরিত্রীর বুকে নতুন করে সবুজ
জলপাই বৃক্ষ অঙ্কুরিত করবে।
تضيق بنا الأرض
تَضِيقُ بِنَا الأرْضُ. تَحْشُرُنَا فِي المَمَرِّ الأَخِيرِ, فَنَخْلعُ أَعْضَاءَنَا كَيْ نَمُرَّ
وَتَعْصُرُنَا الأَرْضُ. يَا لَيْتَنَا قَمْحُهَا كَيْ نَمُوتَ وَنَحْيَا. وَيَا لَيْتَهَا أُمُّنَا
لِتَرْحَمَنَا أُمُّنَا. لَيْتَنَا صُوَرٌ لِلصُّخُورِ التِي سَوْفَ يَحْمِلُهَا حُلْمُنَا
مَرَايَا. رَأَيْنَا وُجُوهَ الذِينَ سَيَقْتُلُهُمْ فِي الدِّفَاع الأخيِرِ عَنِ الرُّوحِ آخِرُنَا
بَكَيْنَا عَلَى عِيدِ أَطْفَالِهم. وَرَأَيْنَا وُجُوهَ الذِينَ سَيَرْمُونَ أَطْفَالَنَا
مِنْ نَوَافِذِ هَذَا الفَضَاءِ الأَخِير. مَرَايَا سَيَصقُلُهَا نَجْمُنَا.
إلَى أَيْنَ نَذْهَبُ بَعْدَ الحُدُودِ الأخِيرَة ِ؟ أَيْنَ تَطِيرُ العَصَافِيرُ بَعْدَ السَّمَاءِ
الأَخِيرَةِ أَيْنَ تَنَامُ النَّباتَاتُ بَعْدَ الهَوَاءِ الأخِيرِ؟ سَنَكْتُبُ أَسْمَاءَنَا بِالبُخَارِ
المُلَوَّنِ بِالقُرْمُزِيِّ سنَقْطَعُ كَفَّ النَّشِيدِ لِيُكْمِلَهُ لَحْمُنَا
هُنَا سَنَمْوتُ. هُنَا فِي المَمَرِّ الأخيرِ. هُنَا أَو هُنَا سَوْفَ يَغرِسُ زَيْتُونَهُ..
دَمُنَا.
মূল: ফিলিস্তিনের চিরনির্বাসিত কবি মাহমুদ দারবিশ।
ভাবানুবাদ: সম্রাট
মাতৃভূমি ফিলিস্তিনের করুণ অবস্থা নিয়ে লেখা কবিতাটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আমি মূল আরবি থেকে অনুবাদের চেষ্টা করেছি। ভুল-ত্রুটি যা আছে তা অবশ্যই আমার সীমাবদ্ধতা।
২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১০
দি এমপেরর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো হয়েছে কি না জানি না, তবে চেষ্টা করেছি।
২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:০২
বনজোসনা বলেছেন: বেশ ভালো অনুবাদ করেছেন। মারাত্মক কবিতা।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২০
দি এমপেরর বলেছেন: ভালো হয়েছে কি না জানি না, তবে চেষ্টা করেছি। আপনার ভালো লেগে থাকলে আমি সার্থক।
৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৭
শ্রাবণধারা বলেছেন: দারুন অনুবাদ হয়েছে। ভালো লাগলো কবিতাটি।
অনক দিন আগে মাহমুদ দারবিশের কিছু কবিতা আর তার সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম সম্ভবত প্রথম আলোর সাহিত্য পাতায়। অনেক দিন পরে তার লেখা পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৫
দি এমপেরর বলেছেন: সুন্দর আর অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি অনুবাদক হিসেবে একেবারে আনকোরা। মূল আরবি থেকে অনুবাদের চেষ্টা করেছি। ভুল-ত্রুটি অবশ্যই রয়ে গেছে। তারপরও আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকলে আমি ভবিষ্যতে আরও চেষ্টা করতে উৎসাহী হব।
ধন্যবাদ।
৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২২
হাসান মাহবুব বলেছেন: কবিতাটির মূল ভাব হৃদয়গ্রাহী, তবে অনুবাদ অতটা প্রাঞ্জল লাগে নি।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
দি এমপেরর বলেছেন: মূল আরবি থেকে অনুবাদের চেষ্টা করেছি। ভুল-ত্রুটি অবশ্যই রয়ে গেছে, যা আমার সীমাবদ্ধতা। ভবিষ্যতে আরও ভালো করার চেষ্টা থাকবে।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৯
অধীতি বলেছেন: মূল আরবী থেকে করার জন্য আপনাকে আন্তরিক মোবারক বাদ। তবে কবিতার নামটা বাংলায় করার পরামর্শ রইল।
২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫
দি এমপেরর বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে ইংরেজি নামটা আমার পছন্দ হয়েছিল তাই দিয়েছিলাম। এখন আপনার পরামর্শমতো বাংলায় দিলাম।
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের প্রবাহিত রক্ত এ ধরিত্রীর বুকে নতুন করে সবুজ
জলপাই বৃক্ষ অঙ্কুরিত করবে।
বাহ! ভালোই হয়েছিলো লেখাটা।
০৭ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২২
দি এমপেরর বলেছেন: লেখাটা টানেনি, এমন পাঠক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। আমাকে দারুণভাবে টেনেছে। তাই তো অপরিপক্ক হাতে অনুবাদের ধৃষ্টতা দেখিয়েছি। আসলে ভিন্ন ভাষা থেকে অনুবাদে লেখার মূল ভাবার্থ, আবেগ আর বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন, তারপরও যৎসামান্য প্রচেষ্টা ছিল।
প্রশংসার সবটুকু লেখকের প্রাপ্য আর নিন্দার সবটুকু আমার।
পড়া ও সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।